অনেক দিন ধরেই আমার মুসলিম ভাইদের অনেক ব্লগ কিংবা ফেসবুক নোট পড়লাম, কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি আমি কিছুটা হলেও হতাশ। আমার এই হতাশার নেপথ্য বিশ্লেষণের জন্যই আজ লিখতে বসলাম। লেখাটি ফার্স্ট পারসন এ লেখা হলেও আমি নিজে ইসলামে বিশ্বাসী না, এরকম লেখা আসলে মুসলিমদেরই লেখা উচিত ছিল, তাই মুসলিম হলে যেভাবে লিখতাম সেভাবেই লিখেছি।

 

১।

 

শুধু ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলই নয়, অনেকেই মনে করেন ইসলামের মূল শত্রু হল ইহুদি-নাসারা, আরও স্পষ্ট করে বললে আমেরিকা। আমি এই কথাটির সাথে তীব্র দ্বিমত পোষণ করি। আমার মতে ইসলামের মূল শত্রু মুসলমানরা। আমাদের তীর্থভূমি সৌদি আরব এর দিকে তাকালেই বুঝবেন প্রকৃত অবস্থা। এই যে আমেরিকাই মূল শত্রু বলে ভাবি আমরা, চলেন না আগে সৌদি আরব কে ঠিক করি, মানুষ কে আগে বুঝাই সহিহ ইসলাম কোনটা, তারপর তারা মুসলমানরা কেমন বিচার করুক। ইরানে হামলা করতে পারে দেখে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি মুসলিম ভাইদের কথা ভেবে, অথচ সৌদি আরব কিন্তু খুশিই হবে আমেরিকা হামলা করলে। আর এক মুসলিম রাষ্ট্র জর্ডান ইসরায়েল এর সাথে খুব দহরম মহরম সম্পর্ক। আমরা মুসলিমরা বোকার মত ভাবি এইটা একটা ধর্ম যুদ্ধ, আসলে কি তাই? এইটা হয়ত কোন এক সময় ধর্ম যুদ্ধ ছিল, কিন্তু এখন এইটা হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। তেল আছে বলেই আমেরিকার এত আগ্রহ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, আর আমেরিকা প্রধান ক্রেতা বলে সৌদি আরব হুজুর হুজুর করে আমেরিকা কে। আমেরিকা যুদ্ধ ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে করছেনা, যুদ্ধ করছে অর্থনৈতিক লাভের আশায়।

সৌদি আরব এর কিছু ভালো না লাগলেই আমার মুসলিম ভাইরা বলে উঠে, ‘ইহা সহিহ ইসলাম না। কোন সাহসে প্রিয় নবীর দেশে সৌদি আরব আমাদের প্রিয় ইসলাম অবমাননার সুযোগ পায়? কেন আমরা সেই জালিম শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করিনা? কেন তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় মিছিলে নামতে আমাদের তীব্র অনিহা? পশ্চিমা কোন দেশে হিজাব নিষিদ্ধ করল এইটা নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই, কিন্তু সৌদি আরব এ যে নারীদের বুকের দুধ খাইয়ে গাড়ির ড্রাইভার কে পরপুরুষ না করার দীক্ষা দিল, ওইটা নিয়ে আমাদের চিন্তা কম। কুরানে সরাসরি কোন ‘পরিমাণ’ বলা না থাকলেও সৌদি আরব এ যখন কোন খুন হয়, তখন নিম্নোক্ত উপায়ে তার ‘ব্লাড মানি’ নির্ধারণ করা হয়ঃ

নিহত ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ হলে ৩০০,০০০ রিয়াল, মুসলিম নারী হলে ১৫০,০০০ রিয়াল, খ্রিস্টান বা ইহুদী পুরুষের জন্য ১৫০,০০০ রিয়াল, খ্রিস্টান বা ইহুদী নারীর জন্য ৭৫,০০০ রিয়াল, অন্য কোন ধর্মের পুরুষের জন্য ৬,৬৬৬ রিয়াল, অন্য কোন ধর্মের নারীর জন্য ৩,৩৩৩ রিয়াল।

http://en.wikipedia.org/wiki/Diyya

আপনি যদি বদ্ধ পাগল না হোন, তাহলে বুঝতেই পারছেন, কি রকম ঘৃণ্য এবং অসম এই বিচার। ইসলাম এ কোথাও বলা নাই যে এই রকম অসম উপায়ে ব্লাড মানি নির্ধারণ করো, এইটা সৌদি আরবের শাসকদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনার ফসল। তারপর ও আমরা চুপ করে থাকব, আর মাঝে মাঝে হিজাব নিয়ে একটু আহা-উহু করব। হিজাবের কথাই আপনি ধরুন, কুরানে তো পুরুষের পর্দার কথাও বলা আছে। কিন্তু হিজাব বা নারীর পর্দা নিয়ে যে পরিমাণ ব্লগ, নোট, বই লেখা হয়েছে, তার ১% ও পুরুষের পর্দা নিয়ে লেখা হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। সেই দিন দেখলাম এক মুসলিম ভাই ব্লগ লিখছে যে আজকাল মেয়েরা এত সিনথেটিক কাপড় পরে যে অন্তর্বাস পর্যন্ত দেখা যায়, যেখানে আল্লাহ এক নারীর দিকে ২ বার তাকাইতে নিষেধ করছেন, সেইখানে কি রকম কুদৃষ্টি নিয়ে তাকালে এই জিনিস আবিষ্কার করা যায় আপনিই বলেন। এই কয়দিন আগেই দেখলাম মিশরে মৃত নারীদের সাথে তাদের স্বামী সেক্স করতে পারবে মারা যাবার পর ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত। স্বাভাবিক ভাবেই নাস্তিক এবং বিধর্মীদের মধ্যে এইটা নিয়ে বিশাল আলোচনা আর টিটকারি। কিন্তু আমাদের মুসলিম ভাইরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকলেন। আরও হতাশার বিষয় এই আইন প্রচলন করেছে এক ইসলামিক দল। এহেন আজব এবং নৃশংস আইনের বিরুদ্ধে কেন আমরা জিহাদ করিনা? মুসলমান ভাইদের এই নীরবতা দেখে আমার মনে পড়ে আমাদের দেশের সরকারের কথা, যারা দেশে যাই অনাচার হোক না কেন তা দেশের বাইরে প্রচার না করার অনুরোধ জানান, পাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তেমনি আমার মনে হয় মুসলিম ভাইরা মুসলিম অধ্যুষিত দেশ গুলোর কঠোর সমালোচনা করতে লজ্জা পান, পাছে আমাদের প্রিয় ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।

 

২।

 

মাঝে মাঝেই দেখা যায়, আমার মুসলমান ভাইরা যাকে-তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বসেন। শুধু হুমকি দিয়েই অনেকে ক্ষান্ত হননা, অনেক লেখক, কবিই আজ আমার মুসলমান ভাইদের জিঘাংসার শিকার। যখন ই কাউকে হত্যা করা হয়, যখন নাস্তিক-বিধর্মীদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়, তখনও ছোট করে আমাদের মুসলমান ভাইরা একটা মন্তব্য দিয়ে যান, ‘ইহা সহিহ ইসলাম না’। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য আজ পর্যন্ত আমি এখনও কোন মুসলিম ভাই কে আগ বাড়িয়ে বলতে শুনিনি যে হুমায়ূন আজাদ কে হত্যা করা উচিত হয়নাই, খুনিদের বিচার হওয়া উচিত ইত্যাদি। কার্টুনিস্ট আরিফ কে বিনা প্রয়োজনে যখন কারাগারে পাঠানো হল, তখন ও আমরা মৌনতা পালন করলাম। সালমান রুশদির বিরুদ্ধে যে হত্যা পরোয়ানা জারি আছে সেইটা নিয়েও আমাদের কোন উচ্চবাচ্য নাই। এই কয়দিন আগে হামজা কাশগারি নামের এক সৌদি সাংবাদিক মুহাম্মাদ এর নামে অপমান সূচক টুইট করায় সে মালয়েশিয়া পালিয়ে গেলেও তাকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য করে, তার ভাগ্যে কি আছে তা বুঝতেই পারছেন। ১৪০ ক্যারাকটার এর এক টুইট এর জন্য একজন কে হত্যা করা হবে, এতে আমরা সামান্যও বিচলিত হইনা। মুখে যাই বলুক, আমি যেইটা বুঝছি তা হল, আমার মুসলমান ভাইরা  মোটেই মন খারাপ করেনি যখন হুমায়ূন আজাদ কে কোপানো হল কিংবা সালমান রুশদির নামে হত্যা পরওয়ানা জারি হল।

আমাদের একদম প্রধান সমস্যা যেইটা তা হল, আমরা মুসলমান রা মনে করি, তুমি মুসলিম হও আর না হও আমাদের আচার, নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। মুহাম্মাদ কে আঁকা নিষেধ, এইটা আমরা মুসলমানরা সবাই জানি, কিন্তু একজন অমুসলিম, নাস্তিক কেন এইটা মানতে বাধ্য হবে? হ্যাঁ, যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে মুসলিম দাবি করে এবং একই সাথে মুহাম্মাদ এর চিত্র অঙ্কন করে, তাহলে সেইটা চিন্তার বিষয় হয়ত হত, কিন্তু তা তো কেউ করছেনা। মুহাম্মাদ কেন ৯ বছরের বালিকা বা নিজের পালিত পুত্র বধু বিবাহ করেছিলেন, এইটা নিয়ে গবেষণা করার দায়িত্ব অমুসলিম দের না। তারা যদি তাদের ভাসা ভাসা জ্ঞানেও মুহাম্মাদ কে খুব ভালো মানুষ না মনে করে, এইটা তাদের কি এতটাই গর্হিত দোষ যে তাদের মেরে ফেলতে হবে? বলতেই পারেন আমাদের ধরমানুভুতি তে আঘাত করল কেন? খুব ভালো প্রশ্ন, তাইলে চলুন দেখে নেই, আমাদের ধরমানুভুতি তে আঘাত লাগাতে কত কষ্টই না করতে হয়। এই ধরা যাক, আসিফ মহিউদ্দিন এর কথা। ভদ্রলোক এতটাই আক্রমণাত্মক যে আপনার ধরমানুভুতি তে আঘাত লাগতে বাধ্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, এ দেশের বিশাল এক অংশ খুব করে চায় তাদের ধরমানুভুতিতে আঘাত লাগুক। এইজন্য এরা কষ্ট করে আসিফ মহিউদ্দিন কে ফ্রেন্ড রিকুএস্ট পাঠাবে অথবা সাবস্ক্রাইব করবে, আর এরপর চলবে শুধু একের পর এক ধরমানুভুতিতে আঘাত আর আঘাত। যখন আর সহ্য হয়না, তাকে করা হয় মেসেজ, সাথে থাকে গালাগালি আর মৃত্যু হুমকি। আপনারা আমাকে বলুন এতই যখন আঘাত পান আসিফ মহিউদ্দিন এর কথা শুনে, আপনাকে কোন অদৃশ্য শক্তি তাকে হাইড বা ব্লক করা থেকে আটকিয়ে রেখেছিল। আর হত্যা করাই যদি হয় সমাধান, তাহলে চিন্তা করুন কত লক্ষ-কোটি মানুষ কে মুসলমানদের হত্যা করতে হবে। কত শত মানুষ যে প্রতিনিয়ত ইসলাম ধর্ম আর মুহাম্মাদ এর অবমাননা করছে এদের হত্যা করা শুরু করলে মুসলমান রা নিজেরাই একে শান্তির ধর্ম বলে প্রচার করতে লজ্জা পাবে।

 

অনেককেই বলতে শুনি কুরানের এই অনুবাদ ভুল, এই ব্যাখা ভুল। এই অনুবাদ কে করে? ইউটিউব এ দেখবেন দেয়া আছে নাস্তিকদের হত্যা করার, স্ত্রীকে প্রহার করার সহিহ তরিকা। এগুলো ভুল তীব্র প্রতিবাদ জানান, এদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করুন। অমুসলিমদের ইসলাম অবমাননা যদি তাদের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে, তাহলে মুসলিমদের এসব ভুল ব্যাখার বিরুদ্ধে মুসলিমরা চুপ কেন?

 

অথচ কে কোন অমুসলিম ইসলামের অবমাননা করল এইটার চাইতে আরও বড় সমস্যা চোখ মেললেই দেখতে পাই। এই যে এত মাজার, পীর ভালো মত ধর্ম ব্যবসা জাঁকিয়ে বসল আমাদের চোখের সামনে আর ইচ্ছে মত শিরক, গুনাহ আর ইসলামের অবমাননা করতেই আছে, তাতে আমাদের সমস্যা নাই। আমরা কোন পীরের বিরুদ্ধে হত্যা পরওয়ানা জারি করা তো দুরের কথা, ভালো মত প্রতিবাদও করিনা। আমরা ব্যস্ত জানতে কিভাবে প্যারিস হিল্টন মুসলিম হল, কিভাবে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে আজান শুনল। এই সব বানোয়াট গল্প শুনেই আমাদের শান্তি হয়। অবস্থা এতটাই খারাপ যে ফটোশপ করে, এডিটিং করে মানুষ কে ইসলামের পথে আনতে হচ্ছে। নীচের ছবিটি দেখুনঃ

 

 

৩।

 

ছোট বেলায় যখন এক কথায় প্রকাশ পড়তাম, ‘যে আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব কে বিশ্বাস করেনা- নাস্তিক’, আমি বুঝতে পারতাম না এইটা কিভাবে সম্ভব! পরবর্তীতে বুঝলাম এরকম মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বাস্তব জীবনেও এরকম অনেকের সাথে পরিচয় হল, ফেসবুক-ব্লগ এর কল্যাণে আরও অনেকের সাথে পরিচিত হলাম। স্বাভাবিক প্রশ্ন, এরা কেন নাস্তিক? এ দেশের একটা বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস যখন তখন যার তার সাথে সেক্স আর ইচ্ছা মত চুরি-বাটপারি করার জন্যই মানুষ নাস্তিক হয়। অনেক নাস্তিকের সাথে পরিচয় থাকলেও এরকম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী কোন নাস্তিকের সাথে এখনও পরিচিত হইনি। আপনি মানুন আর নাই মানুন, একটা বিশাল অংশ ধর্ম বিশ্বাস করে শুধু মাত্র তার পরিবার সেই নির্দিষ্ট ধর্ম মানে বলে। এই বিশাল অংশ ধর্ম নিয়ে ভয়াবহ উদাসীন, বলতে গেলে কিছুই জানেনা ধর্ম নিয়ে, শুধু জানে ধর্মে অনেক ভালো ভালো কথা বলা আছে। এরপর তারা নিজের ইচ্ছে মত জীবন যাপন করে। অনেকেরই বিবাহপূর্ব শারীরিক সম্পর্ক থাকে। যা বলতে চাই তা হল, বিবাহ পূর্ব সম্পর্ক রাখতে আজকাল ধর্ম বিসর্জন দেয়া লাগেনা। বরং ধর্ম বিসর্জন দিলে হাজারো সমস্যা দেখা দেয়। এই নাস্তিকদের খুব কম সংখ্যকদের পরিবার ই জানে যে তারা নাস্তিক, জানলেও খুব একটা ভালো ফল হয়না। আত্মীয় স্বজন জানলে আরও বিপদ। ছেলে মেয়ে কি রকম শয়তানের পাল্লায় পড়লে ধর্ম বিসর্জন দেয় এইটা কারোরই মাথায় ঢুকেনা। ধার্মিক বন্ধু-বান্ধবও নাস্তিকতাকে ভালো ভাবে নেয়না। বস্তুত আমি আজ পর্যন্ত নাস্তিক হবার ফলে কোন ‘সুবিধা’ খুঁজে পাইনি। বরং ‘মডারেট মুসলিম’ দের মত ধর্ম আর পার্থিব জীবন চালানোতে অনেক অনেক সুবিধা দেখতে পাই। অনেকে নাকি ‘ফ্যাশান’ করে নাস্তিক হয়। এরকম ২-১ তা গাধা আমিও অবশ্য দেখছি। কিন্তু ‘ফ্যাশান’ করে লোক দেখানো নাস্তিক হওয়া আসলে খুব কঠিন। কেউ যদি মনে মনে বিশ্বাস করে আল্লাহ্‌ আছে আর মুখে নাস্তিকতা কপচায়, এর মত সু-গাধা পৃথিবীতে একটাও নাই। আল্লাহ্‌ এর অস্তিত্ব কে স্বীকার করলে তার ভালো মতই জানার কথা নাস্তিকতার শাস্তি কি। আর এ জীবনে যদি ভুল করে আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব বিশ্বাস ও করি, ক্ষতি তো নাই। নাস্তিক হবার জন্য তো কোনই পুরস্কার নেই, কোনই লাভের আশা নেই পরকালের জীবনে।

তাহলে মানুষ কেন ইচ্ছে করে নাস্তিক হয়? ধার্মিক দের হজম করা খুব কষ্ট হলেও উত্তর হল, ‘সত্যের জন্য’। পথভ্রষ্ট হোক আর যাই হোক, তারা মনে করে ধর্ম অনেক অন্যায় কে ন্যায় বানিয়ে দেয়, অনেক অবিশ্বাস্যকে বিশ্বাস করতে বলে কোন যুক্তি ছাড়াই। তাই অসুবিধার কথা ভেবেও তারা ধর্ম বিশ্বাস ত্যাগ করে।

নাস্তিকতা কি মুসলমানদের জন্য খুবই খারাপ সংবাদ? আমি একদমই মনে করিনা। এই সেদিনই এক নাস্তিকের সাথে আস্তিকের আলোচনা দেখছিলাম। নাস্তিক জানতে চাইলো, কেন ইসলামে দাসপ্রথা হারাম নয়? কেন ২ জন নারী সাক্ষী ১ জন পুরুষ সাক্ষীর সমান? আস্তিক বন্ধুটি জানালো, সে পড়াশুনা করে এসে জানাবে। খুব দুঃখজনক হলেও সত্য নাস্তিকদের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পড়াশুনা করতে হয়, এর আগে এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আমরা বোধ করিনা। নাস্তিকদের জন্য হলেও হয়ত তারা নতুন কিছু জানতে পারছে।

 

তাই সবশেষে শুধু বলতে চাই, একটু আত্মসমালোচনা করতে শিখুন, একটু আপনার মুসলমান ভাই দের দিকে তাকান, সব কিছুকেই সহিহ ইসলাম নহে আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হয় চালানো যায়না।