কিছু ছবি কিছু জিজ্ঞাসা।

আকাশ মালিক

মুহাম্মদ-প্রেমী্রা সাতক্ষীরায় ৭টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিল। হতভাগা বিধর্মীদের মাথা গুঁজার একটুখানি জায়গাও আর নেই। হাঁড়ির ভাত, চালের টিন, ঘরের কাপড় এমন কি লক্ষ্মীপদ মন্ডলের মেয়ে নমিতার কানের দুলও তারা কেড়ে নিয়ে গেছে। মাটি পোড়া গন্ধের দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে কপাল ভাঙ্গা শিশুরা। আমরা সে খবর শুনেও না শুনার, দেখেও না দেখার ভান করেছি। কিন্তু কেন? যাদের কলমের আগায় বারুদ উড়ে তারা কেউ যে কিছু বললেন না। ওহ, না বলারই কথা। আপনারা তো লাশের গন্ধ শুঁকে বলতে পারেন, এ যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার ষড়যন্ত্র, এ যে পুঁজিবাদের কুফল। তারপর গোটা কয়েক ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের কারণে ইসলামকে বা মুহাম্মদকে তো আর দায়ী করা যায় না। আহা রে, স্বসস্ত্র শ্রেণী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন না হওয়ার কি করুণ পরিণতি! ফারহাদ মাজহার, বদরুদ্দীন উমরেরা কি কিছু বললেন? অন্তত এ পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি। আর পত্রিকাওয়ালারা? তারা তো কার্টুনিষ্ট আরিফের কথা ভুলে যায়নি, মুখ খুললে পরে মতির মতো করজোড়ে মাথা নত করতে হবেনা মুহাম্মদ-প্রেমীদের পদতলে? জানি, মুহাম্মদের বা তার কোরানের সমালোচনায় আপনাদের বড় বিরক্তি। আমরা যে মুখ্যসুখ্য মানুষ, নৃতাত্বিক সমালোচনা করতে জানি না। পরম সৌভাগ্যবান আপনারা, মুখে সোনার চামচ, হাতে বিজ্ঞান নিয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। আমাদের মতো তো আর আপনারা ধর্মের চড়-থাপ্পড় খেয়ে বড় হোন নি। আপনাদের চারপাশে হাসি-খুশী সুখের ছড়াছড়ি, কোথাও ধর্মের কোন বেড়াজাল নেই। কোথায় কোথাকার কোন্ হরিদাসীর কপালের সিঁদুর মুছে গেছে সে খবর আপনাদের নিলে কি চলে? কিন্তু আমরা যারা হাঙ্গর কুম্ভীর, সাপ-বিচ্ছু, বাঘ-ভল্লুকের মাঝে বাস করি তাদেরকে তো ওদের বিষদাঁতটা কোথায় চেনে রাখতে হয়। তাই আপনাদের পছন্দ না হলেও বলবো এই বিষদাঁতের নাম মুহাম্মদ ও তার কোরান। নাহ, ধর্মের কথা বলে আর আপনাদের সময় নষ্ট করবোনা, ছোট্ট অনুরোধ রইলো নীচের ছবিগুলো দেখে একবার বলেন তো প্লিজ এর উৎসটা কোথায়?


আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কতবার দেখতে হবে খান্ডবদাহন?

কবি শামসুর রহমান।

http://youtu.be/xuH7cZ_nHt4