ওই যে দেখ ধূসরে মাখা
তপ্তবালুতে ঘেরা নূরানি হেরা
যাচ্ছে দেখা।

ওই যে দেখ হেরার মহান-গুহা।
গুহার ভিতরে রাতের আঁধারে
গৃহ ও পরিবার-পরিজন ছেড়ে
উদ্ভ্রান্ত বিচলিত কে শুইয়া আছে উহা?

ওই যে দেখ মরুর বুকে
ভেড়া-ছাগল-দুম্বার ঝাঁক।
সেই ঝাঁকের রাখাল বালক, রাসুলে পাক
একজন মহাপয়গম্বর, চরমবক।
তাঁর ঘনিষ্টবন্ধু স্বয়ং আল্লাপাক।
সেই রাখালের গবাদি পশুর সাথে সাথে
আছে সঙ্গিনীর ঝাঁক।

ওই যে দেখ পৃথিবীর বুকে
বেহেস্তী ডিজাইনে গড়া কুটির।
সেথা মহানুভবতা আর মহাদর্শের ভীড়।
সেই কুটিরে বাস করে
এক প্রেরিত অশেষ মহা মহাপুরুষ।
তাঁর সংঘটিত শান্তিময় কুকর্মের জন্য
তাঁর নিজের নাই কোনো দোষ।
সবই মহান আল্লার পবিত্র নির্দেশ।

ওই যে দেখ নূরের কুটির।
অসংখ্য সতীন, হালালদাসী
ও হালাল-গনিমতে পূর্ণ
প্রেম-সুনিবিড় ঝগড়াঝাঁটির পর্নোনীড়।
পাতালভেদী কুকর্মের পরেও
আসমানসম উন্নত শির
সেই কু-কুটিরবাসীর।

সেই নীড়ে লুণ্ঠিত মালামালের ঠাসাঠাসি,
সতীনে-দাসীতে নিত্য ঘেঁষাঘেঁষি।
দিনেরাতে একজন ভোগীকে নয়ে
ভোগ্যদের কাড়াকাড়ি রেষারেষি।
ভোগীটি কার ভাগে পড়ে কম
কার ভাগে প’ড়ে যায় বেশি!

সেই নীড়ে খেজুর পাতার বেড়া।
সে ভাগ্যবান কুটিরে বাস করেন
আল্লার বিশিষ্ট হাবিব, সর্বকালের সেরা
পরম-লুটেরা-নবী-রাসুল-উটবেচারা।

কুটিরবাসী মহামানবের(দানবের)
কোনো বিলাসিতা নাই।
শুধু হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন ছাড়া।
বড়োই সাদাসিধে জীবন তাহার।
খেজুর, সুধা ও শুষ্ক-রুটিই
তিনি করেন আহার।
এতগুলো মুখে এর চেয়ে ভাল কিছু জোগাড় দেয়া ভার।

তাঁর বসনে-ভূষণে নেই কোনো
জাঁকজমকের আড়ম্বর কিংবা বাহার।
এতগুলো সঙ্গিনী প্রতিপালনের পর
বিলাসের দুঃসাধ্য থাকে কাহার?
তাই বসন থাকে তাহার
সদা তালি দেওয়া ছেঁড়া-ফাড়া।
চুল মোবারক থাকে
তেলবিহীন শুষ্ক ছন্নছাড়া।

এত অনটন ও খরার পরেও
তাহার হৃদয়খানি ভালবাসায় ভরা।
এত নারীভারেও নাই কো সেথায় জরা।
ঝরঝরিয়ে বইতে থাকে সেথা
সদা প্রেমের ফল্গুধারা।
তাহার চক্ষুদুটি শুধু
একটুখানি নূরানি-টেরা।
নারীর সুগন্ধ পেলেই আড়চোখে
তিনি দেখেন আগাগোড়া।
তিনি সর্বকালের সেরা
আপাদমস্তক-মোবারক নূরে তাহার মোড়া।
পরম-লুটেরা-নবী-রাসুল-উটবেচারা।