লইয়া রহিমুদ্দীনের নাম
তার নিজের বর্ণিত গুণকীর্তন শুরু করিলাম।

মালে গনিমত,
মোমিনদের প্রতি আল্লার অশেষ রহমত।
কব্জা কর কাফেরদের ঘরবাড়ী
স্থাবর অস্থাবর সব সম্পদ ও নারী।

গনিমতের হালাল মাল
আল্লা, রাসুল ও মোমিনদের।
রাসুলের নেই কোনো আইয়ের উৎস,
তিনি আল্লার রহমতে হতদরিদ্র।
অসাধ্য তার এতগুলো বিবি ও দাসী পালন।
তাই লুণ্ঠন করা তার জন্য ফরযে আইন।
আমি ত সর্ব-ঐশ্বর্যবান।
তবুও লুণ্ঠিত মালে আমারও হিস্যা প্রয়োজন।

গনিমতের মালের এক পঞ্চমাংশের মালিক
আল্লা ও রাসুল।
বাকী অংশ জেহাদিদের মধ্যে
সমানভাবে করিবে বণ্টন।
বণ্টনে করিবেনা ভুল।

আসলে কাফেরদিগে তোমরা হত্যা কর নাই।
তোমাদের রূপে আমি করিয়াছি।
ওদের চোখে তোমরা বালি নিক্ষেপ কর নাই।
উহা আসমান হইতে নামিয়া আমি করিয়াছি।
তোমাদের পাপের বোঝা
আমি মাথায় তুলিয়া নিয়াছি।
দেখেছ আমার মহত্ব!
এইভাবেই আমি দুর্বল করি ওদের চক্রান্ত।

হে ঈমানদারগণ,
আমার হুকুমে তোমরা যখন
কাফেরদের প্রাণ করিবে হরণ
ওদের মুখে ও ঘাড়ে সজোরে মারিবে তখন।
আর বলিবে, দোজখের স্বাদের কর আস্বাদন।
আমি ঈমানদারদের সদাই উদার।
বেঈমানদের প্রতিই আমার
যত ইহলৌকিক ও পারলৌকিক বিষোদগার।

হে মোমিন, কখনো তোমরা ২০ জন
২০০জন কাফেরের সমান।
আবার কখনো তোমরা ১০০০জন
২০০০জন কাফেরের সমান।
কখনো তোমাদের শক্তি ওদের ১০গুণ
কখনো বা দ্বিগুণ।
আমি গণিতশাস্ত্রে বড় দুর্বল।
তাই হিসাব-নিকাশে বড্ড করি ভুল।

যতদিন সামগ্রিকভাবে ইসলাম না হয় প্রতিষ্ঠিত
ততদিন জিহাদ কর অবিরত।
যে কোনো মূল্যে অনৈসলামিক শক্তিকে করিবে প্রতিহত।