আমি নিজেই নিজেকে নামকরণ করিয়াছি রহিম রহমান।
নিজের নামেই নিজে শুরু করিব নিজের গুণগান।

পাপাসক্ত কওমের প্রতি আমি
তুফান, কীট, ভেক, রক্ত ও পঙ্গপাল,
মোজেজা সহ করিয়াছি নাজেল।
নানাভাবে তাদের করিয়াছি নাজেহাল,
তবুও অবিশ্বাসে ওরা রহিয়াছে অটল।

আমি খুব প্রতিশোধ পরায়ন।
কেউ অবাধ্য হইলে মনে জ্বলে
প্রতিশোধের তীব্র অনল।
সুতরাং আমি ওদের উপর প্রতিশোধ লইলাম।
আমার আয়াতে অবিশ্বাস ও গাফেল থাকা হেতু
ওদের সমুদ্রে ডুবাইলাম।

মুসা আমায় দেখিবারে করিল আহবান।
লোকচক্ষুর অন্তরালে, সবার অজান্তে
মুসার সাথে গোপনে দেখা করিতে
পর্বতচূড়ায় করিলাম অবতরণ।
আমি বড্ড কদাকার, কুদর্শন।
পাইয়া আমার কুরূপের দর্শন
মুসা তৎক্ষণাৎ হইল অজ্ঞান।
মুসা আমায় দেখিয়া হইয়াছে অজ্ঞান,
ভাগ্যিস এই ঘটনার নাই কোন সাক্ষী-প্রমাণ।
কেউ দেখিবার আগে
সেইখান হতে লইয়া নিজ-প্রাণ
তাড়াতাড়ি করিলাম পলায়ন।

যারা আমার সাথে বাড়াবাড়ি করিবে
হইবে তারা নিকৃষ্ট বানর।
যাহা হইতে হইয়াছে তাদের বিবর্তন,
সেই পূর্ব-প্রজাতির ন্যায় বৃক্ষের শাখায় শাখায়
বাঁধিবে ওরা বাড়িঘর।
ঝুলিতে থাকিবে নিরন্তর।

মানুষ এবং জ্বীন
আমি দোজখের তরে করিয়াছি সৃজন।
জ্বীনের দেহ আগুনে তৈরি।
তাই আগুনের দোজখ তাদের তরে হইবেনা বৈরী।
কিন্তু মাটির মানুষ পালাইবে কোথায়?
তাদের দেহের উপাদান মাটি।
প্রজ্জ্বলিত লেলিহান শিখায় পুড়িয়া পুড়িয়া
হইবে ওরা খাঁটি।

আমি নিজেই নিজেকে করিয়াছি
বিভিন্ন উত্তম বিশেষ্য ও বিশেষণে বিভূষিত।
সেসকল বিশেষ্য-বিশেষণে আমায় ডাকিতে থাক অবিরত;
যদিও আমি কারো ডাকে দেইনাকো সাড়া।
সাড়া পাবার তোমাদের কীসের এত তাড়া?
হে ধৈর্যশীল ঈমানদারগণ, অস্থির হইয়োনাকো।
পরকালের অপেক্ষায় থাক।
সারাজীবনের সবুরের মেওয়া জীবনান্তে পাবে।
সেই মেওয়া মৃতাবস্থায়
জান্নাতে ব’সে ব’সে খাবে।