ঘটনা নাম্বার ১.

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে পর্নোগ্রাফি বহন, বিনিময়, মুঠোফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা, বিক্রি প্রভৃতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসবের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো।

কী হেতু??
জিনিসটা অশ্লীল। (যদিও যারা আইন পাশ করছে হেগোর মোবাইল কম্পু আমরা চেক করতে যামু না।)

ঘটনা নাম্বার ২.

সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে ব্যক্তিগত স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনাকারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মদ রুহুল আমীন খন্দকারকে আদালত অবমাননার দায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সূত্রঃ বাঙলানিউজ২৪ ডট কম।

কী হেতু??
খবরটা পড়েন, তাইলেই বুঝবেন। দেশের শীর্ষ আস্তাবলের প্রধান নারী গাধারে অপ্রয়োজনীয় মনে কইরা এক নিরক্ষর শিক্ষক তারে পরলোকে জাবর কাটারেই যৌক্তিক মনে করছে এবং মৃত্যু কামনা করছে। (চুপি চুপি কই, আমিও একই ধারনা পোষন করি।)কত্ত বড় সাহস!!!! আস্তাবলের শীর্ষ গাধারে(পড়েন নারী গাধা) হুমকি(???!!!)দেওয়ার জন্য ছয় মাসের জন্য নিরক্ষর শিক্ষকটারেও আস্তাবলে দিয়া দিছে।

উত্থাপিত প্রশ্নঃ কোনটা বেশী অশ্লীল?
মনে মনে রাখেন। কওয়ার দরকার নাই, আমি জানি কোনটা বেশী অশ্লীল।

ঘটনা নাম্বার ৩.

উন্নয়ন ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলনরত প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীদের ওপর দুই দফা হামলা চালিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। হামলায় জোটের ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

সূত্রঃ প্রথম আলো।

ঘটনা নাম্বার ৪.

উচ্চশিক্ষা টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার জিনিস, ব্যয়বহুলের প্রশ্ন অবান্তর। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের কোনো যুক্তি নেই।

সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪ডটকম

পরামর্শঃ পাত্তি না থাকলেও পোলা মাইয়ারে লেহাপড়া করানোর স্বপ্ন যদি দেইখ্যাই থাকেন তাইলে ঐ বুড়া বয়সের ভীমরতি এহনই ছাড়েন। কারন ঐ একই খবরে জানা যায়ঃ


এদিকে, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাসনা হেনা বেগমকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য দেশরে ডিজিটাল বানানের মহান উদ্দেশ্য লইয়া যারা শাসন করতে আইছে ভোদাই বাঙালদেশীগুলারে তারা যে এই প্রক্রিয়া স্কুল থিকাই শুরু কইরা দিছে ঐটা আশাবাদী কিছু বাঙালি ছাড়া অনেকের নজরেই পড়ছে বইলা আমার মনে হয়। যাগোর চোখে পড়ে নাই তাগোর জন্য নীচে খবরটা দিলামঃ

সাংবাদিকদের ওপর সাংসদ কামাল মজুমদারের হামলা(ভিডিও)

কামাল মজুমদারের হাতে লাঞ্ছিত সংবাদকর্মীরা

দেশটা পবিত্রতা দিয়া ভইরা গেল। শরীর কেমন স্যাতস্যাত করতাছে।

ঘটনা নাম্বার ৫.
ব্লগের কিছু আশাবাদী পাবলিকের জন্য একটা মুখোশ পরানো ভালো খবর:


গোলাম আযম কারা হেফাজতে। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারা হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে গোলাম আযমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। তবে এ আদেশ সঠিক হয়নি বলে মনে করেন গোলাম আযমের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক

সূত্রঃ প্রথম আলো।

মুখোশ পরানো কেন কইলাম ব্যাখ্যা করি। কিছুদিন আগে যখন গ্রেফতার করার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় তখন ঠিকভাবে সাজানো হয় নাই প্রতিবেদনটা এই জন্য ঐটারে ডিনাই করা হইছিল!! হজরতে গুআ(সঃ) যে কী করছে ঐটা জানেনা এমন কোন কীটপতঙ্গ নাই এই দেশে। আর তার তদন্ত প্রতিবেদন সঠিকভাবে সাজানো হয় নাই এই জন্য ঐটারে অগ্রহনযোগ্য কওয়া হইল? যারা প্রতিবেদন দিছে তারা নিশ্চই আমার লাহান জীবনেও প্রেজেন্টেশন না করা আবুল না? তাইলে কেন এই কাহিনী হইল?

আরেকটা ঘটনা কই। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামি লিগ প্রার্থীরে ডাবলের চাইতে বেশী ভোটের ফারাকে বিএনপির প্রার্থী হারাইয়া দিছে। বিএনপি তারে নমিনেশন না দিলেও(বিএনপির অবস্থান ইভিএমের বিপক্ষে)উনি একলা একলাই নির্বাচন করছে আর জিতাও গেছে। অবাক করা ব্যাপার হইল আওয়ামি লিগের প্রার্থী হাগুহারা হারার পরেও বিপক্ষ প্রার্থীরে অভিনন্দন জানাইছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো।

এই ঘটনা কারোর মনে কি কোন প্রশ্ন জাগাইতেছে? অবশ্য আশাবাদী হইলে এর মধ্যে দেশের আগাইয়া যাওয়া ছাড়া আর কিছুই দেখব না। কিন্তু আমার লাহান দেশ লইয়া হা হুতাশ করা পাবলিকরা অনেক কিছুই দেখব। কী দেখব?

কুমিল্লা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করলেও সাক্কুরে সবাই বিএনপির প্রার্থী হিসাবেই চিনত, কারন উনি বগুরা নোয়াখালি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এখন জনগনের কাছে কী প্রমানিত হইছে? যে ইভিএম এমনই একখান জাদুর বাক্স যে ঐহানে ক্ষমতাশিন দলের ক্ষমতার কোন দাম নাই। আর নাইলে আওয়ামিরা ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপি কেমনে জিত্তা গেলো?

উদ্দেশ্যঃ পরবর্তী নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়াই নির্বাচন।
লাভঃ আওয়ামিরা এইটাই চাইতেছে। লাভ কী এইটা আশাবাদীরা ছাড়া সবাই বুঝব।
সবকিছু ছাড়াইয়া আসল উদ্দেশ্যঃ আবার নির্বাচনে জয়লাভ করা, ভোদাই বাঙালিরে বুড়া আঙ্গুল দেখাইয়া।

আগের প্রসঙ্গে ফিরি। তাইলে গোলাম আজমরে ধরার কী কী কারন থাকতে পারে?
দুইটা।
নাম্বার একঃ আসলেই বিচার করা।
নাম্বার দুইঃ নির্বাচনে জেতার জন্য মূলা হিসাবে ব্যাবহার করা।
এক নাম্বার উদ্দেশ্য নিয়া সন্দেহ হইতেই পারে কারন এর আগে একবার ক্ষমতায় আসলেও হযরতে গুআ(সঃ)এর টিকিটার সন্ধানও তারা করে নাই। এহন কী এমন ঘটল তারে মাইরা ফালাইতে হইব?

হতাশরা বুইঝা ফেলছেন আমি জানি। আর আশাবাদীরা আশা করতে থাকেন। আশীর্বাদ করি আপনাদের আশা পূর্ণ হউক। আমিন।