আমি যখন স্কুলে পড়তাম, তখন জীববিজ্ঞান বইয়ের জীবকোষ সংক্রান্ত অধ্যায়ে একটা অদ্ভুত দর্শন কোষের ছবি আঁকা থাকতো, আর লেখা থাকতো, স্নায়ুতন্ত্র গঠনকারী কোষকে বলা হয় নিউরন। অন্যরা কি করত বলতে পারবো না, কিন্তু যতবার আমি ছবিটা দেখতাম, ততবার মনে হত, একটা কোষ দেখতে এতো সুন্দর হয় কি করে? একটা তন্তু আছে, যার নাম কিনা অ্যাক্সন, অন্যান্য কোষের মত কোষদেহ আছে, নিউক্লিয়াস আছে, কিন্তু কোষদেহ থেকে আবার ডেনড্রাইট নামের অনেকগুলো শাখা প্রশাখা বেরিয়েছে। আমার তখন ইন্টারনেটে পদচারণা ছিল না। আমাদের স্কুলের লাইব্রেরীটা ছিলো অনেকটা শোকেসের মত, বই তাতে সাজানো থাকতো। কলেজের আপুরা এসে কিছু ক্লাসের বই পড়ত, কিন্তু স্কুলের কেউ আসতো না লাইব্রেরীতে… জীববিজ্ঞানের বই খুঁজে দেখেছিলাম, পেয়েছিলাম কতগুলো উচ্চমাধ্যমিক ক্লাসের বই, সেখানেও এমন কোন তথ্য পাইনি নিউরন সম্পর্কে, যা আমি জানিনা। টের পেতাম, মনের মধ্যে জানার আগ্রহ, কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা, এই অদ্ভুত কোষটাকে আমার অদ্ভুত সুন্দর লাগে, অ্যাক্সন, ডেনড্রাইট, নোড অফ র্যা নভিয়ার, নিউরনের বিভিন্ন অংশের এইসব নামগুলোকে পর্যন্ত আমি ভালোবাসতে শুরু করেছি। আর বিস্ময়, এই কোষটা ছিলো বলেই আমি ভাবতে পারছি, মনে রাখতে পারছি, শিখতে পারছি… কি কল্পনাতীত ক্ষমতা এই কোষটার! কী এক বিস্ময়!

স্কুল বেলাতেই শিখেছি, অন্যান্য সব জীবের মত মানবদেহের গঠনকারী মৌলিক একক কোষ। প্রাণের একক কোষ। দেহটাকে তার কাজ অনুসারে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করলে খুব সামান্য একভাগ হবে স্নায়ুতন্ত্র, কিন্তু অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একভাগ। একজন মানুষের মনন থেকে শুরু করে দৈহিক নিয়ন্ত্রণ সব কিছুই নিপুণ ভাবে দেখাশোনা করছে এই স্নায়ুতন্ত্র! স্নায়ুতন্ত্রের যে কোষগুলোর কার্যকারীতার জন্য মানবদেহের ভিতর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে ভিতরে তথ্যের আদানপ্রদান চলে তার নাম নিউরণ। তথা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকরী এককের নাম নিউরন। আরেকটু গভীরে গিয়ে ভাবি, মানবদেহের কার্যকরী একক কোষ, কিন্তু কোষ কি দিয়ে গঠিত? কোষীয় অঙ্গাণুগুলো কি দিয়ে গঠিত? সমস্ত মহাবিশ্বের সবকিছুর মত*, কোষও গঠিত অনু-পরমাণু নিয়ে, সেই হাজার হাজার বছরের পুরাতন গল্প, কোষও গঠিত ইলেক্ট্রকন, প্রোটন, নিউট্রন দিয়ে। তাই মানবদেহের ভিতরেও কাজ হয় আনবিক পর্যায়ে। আমাদের আলোচ্য বিষয়বস্তু নিউরণেও কাজ হয় ইলেকট্রন প্রোটন পর্যায়ে, তথা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অনু-পরমাণুর আয়নিত অবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে। জীবদেহ মানেই রাসায়নিক বিক্রিয়া, আর কিছু নয়। আমার নিউরণ থেকে শুরু করে প্রতিটা কোষে কোষে ইলেক্ট্রনেরই স্রোত!

স্নায়ুতন্ত্রে দুইধরণের কোষ আছে। নিউরণ হল একধরণের স্নায়ুকোষ, যাকে সাধারণত আমরা কেবল স্নায়ুকোষ বলে উল্লেখ করে থাকি। আরেকধরণের নন-নিউরোনাল কোষের নাম গ্লিয়াল সেল বা গ্লিয়া। এদের সম্পর্কে এইবার একটু বিস্তারিত জানব।

নিউরণের এক অংশ থেকে অন্য অংশে ইলেক্ট্রিক সিগ্যনাল পরিবহনের মাধ্যেমে কাজ করে নিউরণ, আর সব শেষে এই ইলেক্ট্রিক সিগ্যনাল পরিবহনের ফলাফল হিসেবে নিউরণ থেকে নিঃসৃত হয় নিউরোট্রান্সমিটার নামের একধরণে রাসায়নিক বার্তাবাহক, যা আরেকটি নিউরণ পৌছে দেয় এই নিউরণের বার্তা। সর্বোপরি, এইভাবেই নিউরণের অভ্যন্তরে রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার মাধ্যমে, নিউরণ কাজ করে মানবদেহের ইন্টিগ্রেটর বা বিভিন্ন কাজের সমষ্টিকারক -সমন্বয়কারক হিসেবে। এই কাজটা করার জন্যই আমাদের মস্তিষ্কে, মেরুরজ্জুতে কিংবা মাংশপেশীর নীচে পেরিফেরাল নার্ভ হিসেবে লুকিয়ে আছে তিন ট্রিলিয়ন নিউরাল সংযোগ।

নিউরণের গঠনঃ

ছবিঃ নিউরণ

এটা দুটো নিউরণের ছবি, একটা নিউরণের লেজের সাথে লেগে আছে আরেকটা নিউরণের মাথা। এররকম একটি নিউরণের ছবি আমরা সেই স্কুল বয়স থেকেই দেখে আসছি। কিন্তু আসলে এটা নিউরণের একটা প্রতিনিধিত্বকারী ছবি, যা থেকে আসলে নিউরণের বিভিন্ন অংশ বুঝতে সুবিধা হয়। আসুন দেখি অংশগুলো কি কি…
১. কোষদেহ
২. ডেনড্রাইট
৩. অ্যাক্সন হিলক
৪. অ্যাক্সন
৫. সিন্যাপ্টিক টার্মিনাল বা অ্যাক্সন টার্মিনাল

অন্য সাধারণ দেহকোষ গুলোর মত, নিউরণেরও একটা দেহকোষ আছে, যা নিউক্লিসায়, রাইবোসোম সহ আরো অন্যান্য ক্ষুদ্রাঙ্গ গুলো ধারণ করে। নিউরণের বিশেষত্ব এইখানেই যে নিউরণের কোষদেহ থেকে বাইরের দিকে বহুভাগে ভাগ হওয়া ডালপালার মত ছড়িয়ে থাকা শাখাপ্রশাখা বের হয়, যার নাম ডেনড্রাইট। ডেনড্রাইটগুলোই আসলে মূলত সেই অংশ যা মানব দেহের বিভন্ন ইন্দ্রিয় থেকে অথবা অন্য নিউরণ থেকে তথ্য গ্রহণ করে। ডেনড্রাইটের সংখ্যা যত বেশী হবে, একটি নিউরণের তথ্য গ্রহণের ক্ষমতাও তত বেশী হবে। একটি নিউরণের ডেন্ড্রাইটের সংখ্যা ৪,০০,০০০ পর্যন্তও হতে পারে!

অ্যাক্সনও কোষদেহ থেকে বাইরের দিকে বের হওয়া একটা শাখার মত অংশ বটে এবং অপেক্ষাকৃত ভাবে লম্বা হয়, দৈর্ঘ্যে কয়েক মাইক্রোমিটার থেকে কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে, অনেকটা তন্তুর মত। এইজন্য অ্যাক্সনকে নার্ভ ফাইবারও বলে। কোষদেহের যে অংশটি অ্যাক্সনের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং সাধারণত একটু সূচকের মত দেখা যায়, সেই অংশকে বলা হয় অ্যাক্সন হিলক। কোষদেহ পরবর্তী অ্যাক্সন হিলকেই নির্ধারিত হয়, নিউরনে আসা তথ্য তার পরবর্তী নিউরণে সঞ্চালিত করতে পারবে কি পারবে না। এর পরই শুরু হয়ে যায় কোষদেহ পরবর্তী অ্যাক্সন। মূলত, ডেনড্রাইট দ্বারা কোষদেহে আসা তথ্যসমূহ, পরবর্তী কোষে ইলেকট্রিক সিগ্যনাল রূপে সঞ্চালন করে। কিছু অ্যাক্সনের গায়ে লিপিড জাতীয় পদার্থের তৈরী পুরু আস্তরণ থাকে, যাকে বলে মায়েলিন সিথ, আবার কিছু অ্যাক্সনের এই মায়েলিন সিথ থাকেনা। দুটো মায়েলিন সিথ দ্বারা আবৃত অংশের মাঝের আস্তরণ বিহীন অংশকে বলে নোড অফ র্যােনভিয়ার। অ্যাক্সনের একদম শেষ মাথায় অ্যাক্সন সাধারণত কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে গঠন করে সিন্যাপটিক টার্মিনাল বা অ্যাক্সন টার্মিনাল, যা পরবর্তী নিউরণের ডেনড্রাইট বা কোষদেহের সাথে পূর্ববর্তী নিউরণের অ্যাক্সনের সংযোগ স্থাপন করে। দুটো নিউরণের এই সংযোগকে বলে সিন্যাপস। সিন্যাপসের পূর্ববর্তী নিউরণকে বলে প্রি-সিন্যাপটিক নিউরণ, আর পরবর্তী নিউরণকে বলে পোস্ট-সিন্যাপটিক নিউরণ। এই সিন্যাপস থেকেই নিঃসৃত হয় নিউরোট্রান্সমিটার নামের রাসায়নিক বার্তাবাহক, যা পোষ্ট সিন্যাপটিক নিউরণ গুলো গ্রহন করে।

নিউরণের কাজের উপর ভিত্তি করে নিউরণকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়,
১. অ্যাফেরেন্ট নিউরণ (afferent neuron)
২. ইফেরেন্ট নিউরণ (efferent neuron)
৩. ইন্টার নিউরণ (interneuron)

ছবিঃ কাজের ভিত্তিতে নিউরণের শ্রেনীবিভাগ-- অ্যাফেরেন্ট-ইফেরেন্ট-ইন্টারনিউরণ

দেহের বাইরের দিকে, অ্যাফেরেন্ট নিউরণের সেনসরী রিসেপটর গুলো যাবতীয় ভৌতিক এবং রাসায়নিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়, তথ্য গ্রহন করে এবং ইলেক্ট্রিক সিগ্যনাল তৈরী করার মাধ্যমে স্নায়ুতন্ত্রের ভিতরের দিকে মস্তিষ্কে এবং মেরুরজ্জুতে তথ্য সঞ্চালন করে। এই অ্যাফেরেন্ট নার্ভগুলো অন্যান্য নিউরণ কোষের চেয়ে একটু আলাদা, কারণ এর ডেনড্রাইট থাকে না, এর কোষ দেহ থেকে যে প্রক্ষেপণ বের হয়েছে, তা অ্যাক্সন। অ্যাক্সন কোষদেহ ছেড়ে বের হবার কিছু পরেই একাধিক ভাগে ভাগ হয়ে গেছে, যার অধিকাংশ অংশই দেহের বাইরের অঞ্চল, আমাদের দেহের চামড়া, নাক, কান ইত্যাদি থেকে তথ্য গ্রহণে ব্যস্ত থাকে, খুব সামান্য অংশই, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করে।

যেসব নিউরণ মস্তিষ্ক বা মেরুরজ্জু থেকে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত বহন এবং সেই অনুসারে দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে কাজ করতে সাহায্য করে, তাকে বলে ইফেরেন্ট নিউরণ। অ্যাফেরেন্ট এবং ইফেরেন্ট নিউরণের অ্যাক্সনই পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমের নার্ভ গঠন করে। এক একটা অ্যাক্সনকে বলে নার্ভ ফাইবার আর একগুচ্ছ নার্ভ ফাইবার মিলে তৈরী হয় নার্ভ।

ইন্টার নিউরণ সম্পূর্ণভাবেই কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র তথা মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের ভিতরে অবস্থিত মেরুরজ্জুতে অবস্থিত। ইন্টার নিউরণের কাজ হল কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বসে থেকে বিভিন্ন দিক অ্যাফেরেন্ট নিউরণের বয়ে আনা ইলেক্ট্রিকাল সিগ্যনাল গুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধন (integrate) করা এবং বিভিন্ন রকম সিগ্যনাল বিভিন্নভাবে পরিবর্তন, পরিমার্জন করে ইফেরেন্ট নিউরণকে কাজের দিক নির্দেশনা দেয়া। কিছু অ্যাফেরেন্ট-ইফেরেন্ট নিউরণ গুচ্ছ আছে, যার কাজের জন্য সর্বদা মস্তিষ্কের নাক গলানোর দরকার হয়না, মেরুরজ্জু থেকেই জেনে যায়, কিভাবে কাজ করতে হবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে, ইন্টারনিউরণ তাদেরকেও সুবিন্যস্ত করে স্নায়ুতন্ত্রে। তাপ লাগলে দ্রুত হাত সরিয়ে নেবার মত স্বতঃস্ফূর্ত কাজের জন্য যে সংক্ষিপ্ততম অথচ সুবিন্যস্ত স্নায়বিক সংযোগ, যেটা করার জন্য মস্তিষ্কের সরণাপন্ন হতে হয় না, একে বলে রিফ্লেক্স আর্ক। সুতরাং এই রকম রিফ্লেক্স আর্কের দ্বায়িত্বও ইন্টার নিউরণের। আর স্নায়ুতন্ত্রের শতকরা ৯৯ ভাগ নিউরণই আসলে ইন্টার নিউরণ।

গ্লিয়াল সেলঃ
স্নায়ুতন্ত্রের কথা বলতে গেলে যতবার নিউরণের কথা উচ্চারিত হয়, তার শতকরা ৫ ভাগ বারও উচ্চারিত হয় না, স্নায়ুতন্ত্রের আরেক ধরণের কোষ গ্লিয়াল সেলের কথা। গতবছর ইউটিউবে পাওয়া স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রবার্ট সপলস্কির ছাত্র নাথান এবং অ্যান্থনির দেয়া নিউরোসায়েন্সের একটা ভূমিকামূলক লেকচার থেকে প্রথমবারের মত জেনেছি, নিউরন ছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রে আরেক ধরণের কোষ আছে, যার নাম গ্লিয়াল সেল। স্নায়ুতন্ত্রের শতকরা নব্বই ভাগ কোষই হল গ্লিয়াল সেল, যদিও সংখ্যায় মাত্র ১০ ভাগ হলেও নিউরণই স্নায়ুতন্ত্রের অর্ধেক আয়তন জূড়ে থাকে। গ্লিয়াল সেলের আয়তন নিউরণের তুলনায় অনেক কম, এবং এর ডেনড্রাইটের মত শাখা প্রশাখাও কম। গ্লিয়াল সেলের মূল কাজ হল, স্নায়ুতন্ত্রকে তার গাঠনিক আকার প্রদান করা এবং শ্বসন প্রক্রিয়ার (metabolism) মাধ্যমে শক্তি যোগান দিয়ে সাহায্য করা। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল, নিউরণকে ক্ষতিকারক ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা করা। স্নায়ুতন্ত্রে অলিগোডেন্ড্রোগ্লিয়া, অ্যাস্ট্রোগ্লিয়া, মাইক্রোগ্লিয়া, সোওয়ান সেল নামে বেশ কয়েকধরণের গ্লিয়াল সেল পাওয়া যায়। অলিগোডেন্ড্রগ্লিয়া কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের ভিতরের নিউরণগুলোর মায়েলিন সিথ তৈরী করার কাজে নিয়োজিত। আর সোওয়ান সেল পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমের নিউরণ গুলোর মায়েলিন তৈরীতে সাহায্য করে থাকে। অপরদিকে, অ্যাস্ট্রোগ্লিয়া, কোষের অভ্যন্তর থেকে পটাসিয়াম আয়ন এবং নিউরোট্রান্সমিটার কোষের বহিঃস্থ তরলে পাঠাতে সাহায্য করে বহিঃকোষীয় তরলের রাসায়নিক উপাদান নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেইসাথে নিউরণকে গ্লুকোজ প্রদান করে এবং এর অ্যামোনিয়া অপসারণ করে নিউরণের শক্তি উৎপাদনেও সাহায্য করে থাকে। মানবভ্রূণ পর্যায়ে এই অ্যাস্ট্রোগ্লিয়াই দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবারহ করে। আরেক ধরণের গ্লিয়াল সেল, মাইক্রোগ্লিয়া, সৃষ্টি করে স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিরোধ ক্ষমতা।

————————————–
References:

1. Vander, Sherman, Luciano, Human Physiology, 8th edition, 2001

2. Guyton and Hall, Textbook of Medical Physiology, 12th Edition, 2011

3. Wikipedia.