লিখেছেনঃ এ. প্রামানিক

নীলক্ষেতে গেছি একটা বইয়ের খোঁজে। একটা দোকানে গিয়ে কাঙ্খিত বইটা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছি। এমন সময় পাশের দোকানে কথোপকথনরত এক ভদ্রলোকের একটা কথা কানে আটকে গেলো। ভদ্রলোক বলছে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার নাম সুরজ মিয়া। আমি ৬নং সেকশনে যুদ্ধ করেছি। আমার কমান্ডারের নাম ছিলো কর্নেল মতিন। একটা বৃদ্ধ ভদ্রলোক কথার মাঝখানে কী কারণে বলছে আমি একজন মু্ক্তিযোদ্ধা তা শোনার জন্য কিংবা লোকটাকে দেখার জন্যই হোক কৌতূহল বশত ঘাড় ঘুরিয়ে লোকটা দেখার চেষ্টা করি। লোকটাকে দেখে আমি স্তম্ভিত। একটা লোক মুক্তিযোদ্ধা, একথা শোনার পর আমার বয়সী প্রতিটি তরুণের মনে সর্বপ্রথম জীর্ন কাপড় পরিহিত, চামড়া কুচঁকানো, চোখে মোটা চশমা নেওয়া অসহায় হতদরিদ্র এক বৃদ্ধলোকের কথা ভেসে ওঠে। যার চোখ দুটো সবসময় জলে ভেজা থাকে। একটা লজ্জায়, একটা ভীষন অভিমানে, একটা জমাট বাঁধা কষ্টে মাথা অবনত, চোখ নামানো বৃদ্ধকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেখতে আমরা অভ্যস্ত। সেখানে কিনা দেখছি, চুলে দাঁড়িতে মেহেদি লাগানো, সতেজ, সৌম্য, শক্তিশালী, আর অহংকারী এক বৃদ্ধকে। যার জন্য একটা কালো রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে। গাড়ির ড্রাইভার উদাসি চোখে চারপাশে তাকাচ্ছে আর অপেক্ষায় ভাবছে এই বুঝি তার মালিক গাড়িতে উঠে বসলো। তাই ঘাড় ঘুরিয়ে বৃদ্ধ ভদ্রলোককে দেখার পর প্রথম আমার মনে যে কথাটা আসলো তা হলো অসম্ভব। এ হতে পারে না। এ কিছুতেই হতে পারে না। লোকটা মুক্তিযোদ্ধা নয়। লোকটা আমাদের চাপা অহংকার, একজন মুক্তিযোদ্ধা নয়। লোকটা বানিয়ে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলছে। এ কিছুতেই হতে পারে না। ঠিকমতো খোঁজ খবর নিলে দেখা যাবে লোকটা আসলে একাত্তরে রাজাকার ছিলো।

প্রথম বিস্ময়ের ঘোর কারতেই দেখি লোকটা গাড়িতে উঠে বসেছে আর দরজা লাগাতে বাম হাতটা আগ বাড়িয়েছে। আমি একলাফে লোকটার গাড়ির জানালার কাঁচে গিয়ে পড়লাম। একটা বড় নি:শ্বাসে বললাম- আমি তপন। ঢাকা ভার্সিটিতে জ্যারনালিজমে এম এস করছি। এম এস ফাইনাল পরীক্ষায় একটা ডকুমেন্টারি অ্যাসাইমেন্ট হিসেবে জমা দিতে হয়। আমি আমার ডকুমেন্টারিটা স্যার আপনার উপর তৈরি করতে চাই। লোকটা বুঝলো কিনা জানি না, শুধু একটা কার্ড বের করে এগিয়ে দিতে দিতে বললো শুক্রবার পাঁচটার দিকে আসো। বলতে বলতে কাঁচের জানাল আটকে দিলো। আর গাড়িটাও তৎক্ষনাৎ সরাৎ করে সাঁ সাঁ শব্দে বেরিয়ে গেলো।

আমি কার্ডটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষন ঠিক সেইভাবেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। ঘোর কাটতেই হাতের আঙ্গুলে ধরা কার্ডের দিকে তাকালাম। দেখলাম সেখানে মালিবাগের একটা ঠিকানা লেখা। মাথায় চট করে ভাগ্যিস অ্যাসাইমেন্টের বুদ্ধিটা এসে ছিলো। নিজের চতুরতাই আমি নিজেই মুগ্ধ। তাই উল্লাসিত হাসিতে আমি দুহাত উচিঁয়ে ধরে আনন্দে চিৎকার করে উঠলাম। কিছু লোক অবাক হয়ে আমার কান্ড দেখছে। তাদের সাথে চোখাচুখী হতেই আমি লজ্জায় আড়ষ্ট হলাম। চোখ সরিয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম। অ্যাসাইমেন্ট ঠিক আছে। কিন্তু বাধ্যতামূলক না। অর্থাৎ আমি জারনালিজমেরই ছাত্র তবে আমি এই অ্যাসাইমেন্টটা করবো বিশ্ব-বিদ্যালয়ের জন্য না, ব্যাক্তিগত কৌতূহল মিটানোর জন্য।

শুক্রবার। বেলা বিকেল পাঁচটা বেজে প্রায় পনেরো মিনিট। আমি দো-তলার একটা ড্রয়িংরুমে বসে আছি। কিছু্ক্ষন আগে ছোট একটা কাজের মেয়ে চা দিয়ে গেছে। আমি সোফায় হেলান দিয়ে বসে চায়ের কাপ হাত তুলে নিলাম। চায়ে হালকা একটা চুমুক দিয়ে ঘরের চারপাশে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম। আমার সামনের টেবিলটাতে যেখানে চায়ের পিরিচ রাখা সেখানে পিরিচের পাশেই কিছু ম্যাগাজিন দেখা যাচ্ছে।বাংলা, ইংরেজী দুই ধরনের ম্যাগাজিনই আছে। ঘরের সবকিছু বেশ ঝক-ঝকে তক-তকে। ঘরের একপাশের দেয়ালে একটা বড় ছবি বাঁধাই করা আছে। তাতে সুরজ মিয়াকে হাস্যচ্ছল অবস্হায় দেখা যাচ্ছে। সে একহাতে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রীকে ধরে আছে। মহিলার মাথায় হালকা করে ঘোমটা দেওয়া। সুরজ মিয়ার দৃষ্টি সামনের দিকে। সামনের সারিতে দুই পাশে দুইটা কিশোরী মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যাদের চুলগুলো বেনি করে বাঁধা। বেনিগুলো সাপের মতো কাঁধের দুইপাশে ঝুলছে। তাদের মাঝখানে একটা যুবক ছেলে। যুবকের চোখে বিরক্তির ছাপ, দৃষ্টি উদ্বিগ্ন। সুরজ সাহেবের পরিবারের ছবি। চোখে পড়ার মতো ঘরেতে আর আছে একটা ছোট রঙিন টেলিভিশন ও ছোট একটা আলমারি। টেলিভিশনটা ঘরের এক কোনে রাখা। মেঝেতে লাল রংয়ের কার্পেট বিছানো। আলমারির উপর কিছু সুবেনিয়র, একটা ক্রেচ ও ক্রেচের দুই পাশে দুইটা ছবির ফ্রেম দেখা যাচ্ছে। বাম পাশের ফ্রেমের ছবিটি রং জ্বলা। তাতে একটা লোক একটা বন্দুক হাতে নিয়ে দাড়িঁয়ে আছে। লোকটার বৈশিষ্ট্য হলো নাকের নিচে পুরু মোচ । তাতে একটা উদাসী সংসারী ভাব ফুটে উঠেছে। ক্রেচটা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা এসোসিয়েশনের। তাতে সুরজ মিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আনুষ্ঠানিক সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। আরেকটা ছবির ফ্রেমে প্রধানমন্ত্রির কাছ থেকে ক্রেচটা নেওয়ার সময় সুরজ মিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। আমি একটু অস্তিরতা নিয়ে আমার হাত ঘড়ির দিকে তাকালাম। আরো পনের মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেছে। সুরজ মিয়ার এখনো আসার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তবে ছোট কাজের মেয়েটিকে এদিকে আসতে দেখা যাচ্ছে। বাসায় মনে হয় গেস্ট এসেছে। একটা গুম গুম ভাব পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে। ডাইনিং রুমে একটা ছোট বাচ্চার খেলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। মাঝে মাঝে সে আবার কেঁদে উঠছে। কাজের মেয়েটা এসে চায়ের কাপ আর পিরিচটা নিয়ে গেলো। যাবার সময় বলে গেলো আপনাকে আর একটু বসতে হবে। নানা জান নামায পড়তে গেছে।

ঘরে ঢুকে সোফাতে বসতে বসতে সুরজ সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কী যেনো নাম তোমার? স্বপন মনে হয়। আমি একটু হেসে বলি স্বপন না, আমার নাম তপন। তুমি কি সাংবাদিক? আমি বলি না। আমি প্রফেশনাল সাংবাদিক না তবে ফ্রি- লান্সার হিসেবে কালের কন্ঠের ক্যাম্পাসে মাঝে মাঝে লিখি। সেদিন তুমি বলছিলে যে আমার একটা সাক্ষাৎকার নিবে। তাহলে সেটা কিসের জন্য? আর পৃথিবীতে এত লোক থাকতে তুমি কেনই বা আমার সাক্ষাৎকার নিতে চাচ্ছো? আমি বলি, যদিও আমি সাংবাদিক না তবে আমি জারনালিজমেই পড়ি। আমি চাই আপনার উপর একটা ডকুমেন্টারি তৈরি করতে। আমি আপনার উপর ডকুমেন্টারি তৈরি করতে চাচ্ছি সত্যি কথা বলতে কি একজন মুক্তিযোদ্ধা শুনতেই আমার বা আমাদের চোখে ভেসে উঠে একটা অধিকার বঞ্চিত, একটা অসহায়, কোন রকমে বেচেঁ থাকা মানুষকে। সেখানে আপনাকে দেখছি বেশ শক্ত সামর্থ্য, সৌম্য, সুন্দর আর কিছুটা অহংকারী যা আমার বা আমাদের ধারণার বাইরে। আপনার এই যে ব্যতিক্রম হওয়া এটা কিসের জন্য, কী বা এর কারন, কী একটা উপাদান যা আপনাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে তার অনুসন্ধান করাই আমার ডকুমেন্টারির উদ্দেশ্য আর সেই সাথে ব্যতিক্রমী একজন মানুষের কাছ থেকে আমাদের চিরচেনা স্বাধীনতার গল্পটা আবার শুনতে চাই আর দেখতে চাই সেখানে কোনো ভিন্নতা পাই কিনা। আমি যে একজন মুক্তিযোদ্ধা সে কথা তোমায় বললো কে? সুরজ সাহেব আমায় জিজ্ঞেস করলেন। আমি বললাম সেদিন নীলক্ষেতের দোকানে যখন আপনি কথা বলছিলেন তখন আমি আপনার কথা থেকেই জানতে পারি যে আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ও, আচ্ছা। কিন্তু তুমি আরেক জনের কথা চুপি চুপি শুনছিলে এটা তো ঠিক না বাবা। তার এ কথাতে আমি দ্ব্যর্থবোধক একটা হাসি হাসলাম। সেও হাসতে ছিলো। সুরজ সাহেবকে আমার বেশ মিশুকই মনে হচ্ছিলো এবং কেন জানি মনে হচ্ছিলো আমি নতুন কিছু পাবো এই লোকটার গল্পে। ততক্ষণে কাজের মেয়েটা আবার চা নিয়ে এসেছে। দুই জনের জন্য দুই কাপ। মেয়েটা চা রেখে নি:শব্দে চলে গেলো। সুরজ সাহেব চায়ে চুমুক দিয়ে একটু চুপ থেকে কথা শুরু করলেন। দেখো বাবা, তুমি যে পয়েন্টটা নিয়ে কথা বলছো সেটা আমি সেভাবে কখনো ভাবিনি। তবে আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আমার অবস্হান ব্যাখ্যা করতে। তাছাড়া আমি জানিও না আমি ব্যতিক্রম কিনা। এরকম ভাবনা আমার কখনো হয়নি। এই প্রথম তোমার কাছ থেকে শুনলাম যে আমি ব্যতিক্রম। সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে আমি কী কারণে ব্যতিক্রম এটা অনুসন্ধান করার ইচ্ছে আমার এখন করছে তাই আমি তোমার কাছে আমার গল্পটা বলবো। দেখো, সেখানে নতুন কোন কারন খুজেঁ পাওয়া যায় কিনা যা আমাকে অন্যদের চেয়ে ভিন্ন করেছে, তোমার কথা মতো। আমি একটু নিরব হাসি হেসে তার কথার সমর্থন করে গেলাম।

চায়ে আরেকবার চুমুক দিয়ে তিনি আবার কথা শুরু করলেন। নাইনটিন সেভেনটিন ওয়ান। একাত্তের আমি ছাত্র। ঢাকা কলেজে পড়াশুনা করছি। কেমেস্ট্রিতে। তখন বোধহয় আমি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। আমাকে ঢাকা ছেড়ে কিছুদিন লুকিয়ে গ্রামে থাকতে হয়। কলেজে আমি হালকা পাতলা রাজনীতি করতাম। সেটা সুবিধা নেবার জন্য। রাজনীতি আমার বড়ো কোন লক্ষ্য ছিলো না। আমি রাজনীতি সচেতনও ছিলাম। বাংলাদেশ বা পাকিস্তান এসব নিয়ে আমার ভাবনা ছিলো না। আমার ভাবনা তখন কিভাবে আরো একটু ভালোভাবে বাচাঁ যায়। কৃষকের ছেলে। অনেক ভাইবোনের পর আমার জন্ম। অর্থকষ্ট আমার ছোট বেলা থেকে খুব চেনা। আমি চাইতাম মনে প্রাণে আমার অবস্হান পরিবর্তন করতে। রাজনৈতিক কারণে কলেজ বন্ধ হলে আমি কিছুদিন গ্রামে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। অত:পর আমার বয়সী যুবকদের দেখাদেখি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করি। আমরা গ্রুপ হয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়। উঠতি বয়স আমার। হঠাৎই আমার হাতে অস্ত্র চলে আসে। আমার রক্ত গরম হয়ে ওঠে। আমাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নেয়ে সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হয়। যৌবনের ঐ সময়টাতে আমার সে সব অভিযান মন্দ লাগতো না। আমি একটা চার্ম ফিল করতাম সেগুলোতে। সেখানে কিছুটা দেশপ্রেমতো ছিলোই। আবার ক্যাম্পে এসে যখন শুনতাম দেশ স্বাধীন হবার পর আমাদের অবস্হার উন্নতি হবে, আমরা স্বাধীন, সহজ ভাবে জীবন যাপন করতে পারবো তখন আমি ভাবতাম এগুলোইতো আমি চাই। এর জন্য সংগ্রাম করছি। তাই আমার এই সংগ্রাম আমার কাছে বেশ যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। সর্বোপরি আমার মনে হয়েছে সংগ্রাম একটা সময়ের দাবি। এ দাবি আবশ্যক। এর দায় এড়ানো যায়না। একটা উত্তেজনার ভিতর আমার দিন কাটতে থাকে। নতুন স্বপ্ন, নতুন দেশ। সবকিছু এবার আমাদের হবে। একা আমাদের। এসব ভাবতে খারাপ লাগতো না। নিজের ভিতর একটা অজানা সীমাহীন শক্তি অনুভব করতাম। এভাবে দিনের পর দিন চলে যায়। এক সময় দেশ স্বাধীন হয়। আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে। অবস্হার পরিবর্তন হবে তাই নতুন স্বপ্নে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু সময় যত যাই অবস্হার ভালো কি মন্দই বেশি হয়। এর ভিতর মরার উপর খড়ার ঘা হিসেবে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এমনিতই নতুন একটা দেশ। যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। চারপাশে স্বজন হারানোর চাপা কান্না। তার ভিতর ভাতের টান। সব কিছু মিলে অসহ্য সময়। অস্ত্র চালাতে চালাতে ততদিনে অভ্যাস হয়ে গেছে। অস্ত্রের সামনে সবাই কাবু ততদিনে আমি বুঝে গেছি। বাচাঁর জন্য আমি আবার অস্ত্র তুলে নেই। কয়েকজন মিলে আমরা রাতের অন্ধকারে নিজ গ্রাম ছেড়ে অনেক দূরে গিয়ে ডাকাতি করতে থাকি। একটা সময় প্রচুর অর্থ জমলে আর দেশের আইন শৃঙ্খলা মোটামুটি স্বাভাবিক হলে আবার ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় নারায়নগন্জের দিকে কয়েকটা ইটের ভাটা দেই। ব্যবসায়ীর আড়ালে ততদিনে আমার ডাকাতের দুর্নাম ঘুচে গেছে। দুহাতে টাকা আসতে থাকে। সাহস আর কাজে লেগে থাকার ব্যাপার আমার মজ্জাগত। তাই আর কোনদিন পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি।

সুরজ মিয়ার গল্প বলা শেষ হলে আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার বলার ভাষা খুজেঁ না পাওয়ায় কোনমতে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি।