“…বিজ্ঞানীরা যখন পদার্থের পরমাণু ভেঙ্গে তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছেন, মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন এবং প্রস্তুতি নিচ্ছেন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাবার জন্য, তখনো তপস্বীরা গবেষণা চালাচ্ছেন, ‘মার্গ দিয়ে বদবায়ু বেরুলে তাতে ভগবানের আরাধনা চলে কি-না’…।” স্যার আরজ আলী মাতুব্বর। অতএব আমাদের ধর্ম অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানিক ধর্ম নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা না করাই উচিত। এর চেয়ে বরং বিজ্ঞান, রাজনীতি, সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, মানবাধিকার… ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা অত্যান্ত শ্রেয়কর এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো অন্যান্য ধর্মগুলোর আলোচনা-সমালোচনা না করলেও একটি বিশেষ ধর্মের সমালোচনার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। এই বিশেষ ধর্মটি বাদে অন্যান্য প্রায় সব ধর্মই এখন মানবতার জন্য যতোটুকু হুমকিস্বরূপ তাতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয় না। অথচ এই বিশেষ ধর্মটি, যার মধ্যে পৃথিবীর যাবতীয় নোংরামীর সমাহার এটির আরো বেশি বেশি সমালোচনা এবং প্রতিরোধের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। তবে এটি প্রকাশ্যে করতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু তা যে সম্ভব না তা সকলেরই জানা। এ ধর্মটি ধ্বংস হয়ে যাক কিংবা এর অনুসারীরা অন্য ধর্মাবলম্বি হোক তা বলছি না, শুধুমাত্র এ ধর্মটির অমানবিক দিকগুলো আড়ালে রাখলেই পৃথিবীতে শান্তি আসা সম্ভব, নতুবা নয়। এ ধর্মটির এমনই গুণ যে, আপনি কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাবেন, ধর্মীয় বাক্য শুনতে পাবেন না, পাবেন অন্য ধর্মের তীব্র সমালোচনা আর গালাগালি। এসব বন্ধ হলেও সাধারণ মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি কিছুটা সহনীয় থাকতো কিন্তু তারা এসব শুনে অন্য ধর্মের প্রতি এমন একটা ভাব নিয়ে থাকে যেন অন্য ধর্মাবলম্বিরা মানুষের পয়দা নয়, শয়তানের পয়দা এবং ওরা এই তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের একনম্বর শত্র“। আর এ শত্র“দের ধ্বংস করে পুরষ্কারের লোভ সামলানো অশিক্ষতি শ্রেণীর জনসাধারণ দূরের কথা উচ্চশিক্ষতিদের কাছেও মহা গৌরবের বিষয়। কারণ এ তো আল্লারই আদেশ!

অন্যান্য ধর্মগুলোর (বিশেষ করে খৃস্টান, হিন্দু) গেড়ামি যেখানে প্রায় শূন্যের কোঠায়, সেখানে এ বিশেষ ধর্মটির গোড়ামি যেন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এদের হুমকি-ধামকি শুধু এরা যে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সে দেশেই, তাও নয়। যেসব দেশে এরা সংখ্যালঘু সেসব দেশেও এরা যেসব কথা প্রচার করে, ঠিক এর উল্টোটা যদি অন্য ধর্মাবলম্বীরা করতো তাহলে তাদের কেল্লা কেটে ফেলা হতো। সৌদির বর্বররা বিশ্বের সব কাফের দেশগুলোতে মসজিদ নির্মাণ করে দিচ্ছে, অথচ তাদের দেশে একটিও মন্দির বা গির্জা তৈরি করতে দেয় না। এ বিশেষ ধর্মটির আরেকটি মারাত্মক দোষ হলো এ ধর্মের মধ্যে যতো অন্যায়, অসত্য, বানোয়াট, মিথ্যাচার, হিংস্রতা আছে তা অস্বীকার করতে গিয়ে আরো হাজারো মিথ্যা এবং হিংস্রতার আশ্রয় নেয়া। অন্য ধর্মাবলম্বিরা এসব থেকে সরে এসেছে বহু পূর্বেই, অতএব যারা এক সময় পৃথিবীর অশান্তির কারণ ছিলো সেই পাদ্রি-পুরোহিতরা এখন আর পৃথিবীর জন্য হুমকি নয়। অপর দিকে এই বিশেষ ধর্মটির হুজুর থেকে শুরু করে শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবি, ধর্মরক্ষক শাসকশ্রেণী, এমনকি বুদ্ধিজীবিসহ অতি সাধারণ লোকেরা যেভাবে পৃথিবী জুড়ে সমস্ত মানুষদের নিকট নিজেদের ধর্মকে প্রচার করছে, কাফেরদের দেশে গিয়ে বলছে আপনারা এ ধর্ম গ্রহণ করেন ইত্যাদি… (গাদ্দার গাদ্দফিও গত বছর ইটালিতে গিয়ে প্রকাশ্যে বলেছিলো)। এছাড়া অজস্র ধর্মীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে এর গুণাগুণের নহর বইয়ে দিচ্ছে এবং সারা বিশ্বকে ওই ধর্মের ছায়াতলে আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, তাতে এ ধর্মের কঠোর সমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। ওরা (জাকের নায়েকের মতো তথাকথিত ডক্টররা) সুন্দর অঙ্গভঙ্গি করে যেভাবে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, অবৈজ্ঞানিক… কথাগুলো বলছে, তাতে মানুষ উম্মাদ না হয়ে পারে না। আসলে ওইসব তথাকথিত বিজ্ঞরা ধর্মীয় মিথ্যাচার দিয়ে ককটেল বানিয়ে কোটি কোটি মানুষকে যেভাবে নেশাগ্রস্ত করে রেখেছে এর হাত থেকে মুক্ত পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। এর জন্য প্রয়োজন একে কঠিনভাবে আঘাত করা অর্থাৎ এ বিশেষ ধর্মটি যে অন্য ধর্মের চাইতে উৎকৃষ্ট নয় বরং তুলনামূলকভাবে নিকৃষ্ট তার প্রমাণ জনসমেক্ষ তুলে ধরা, শুধুমাত্র মুক্তমনায় লেখালেখি করে নয়, প্রকাশ্যে জাতীয় দৈনিকে এর যাবতীয় হিস্রাংত্মক বাণীগুলো তুলে ধরা উচিত। জানি এ কাজটি কেউ করবে না, কারণ প্রাণটা আগে। আমার কাছে মনে হয়, পৃথিবীর সমস্ত ধর্মগ্রন্থের চেয়ে একমাত্র সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থটিতেই হিস্রাংত্মক বাণী বেশি। অন্যান্য ধর্ম পুস্তকে যুদ্ধের মহিমা, অন্য ধর্মাবলম্বিদের হত্যায় উৎসাহিত করা, গণিমাতের মাল হিসেবে ধর্ষণ ইত্যাদি তেমন একটা আছে বলে আমার জানা নেই, (থাকলেও সামান্য কিছু থাকতে পারে)। কিন্তু তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মপুস্তকের প্রতিটি পাতায় পাতায় তা দেখতে পাওয়া যায়। অতএব এর সমালোচনা ততোদিন পর্যন্ত বন্ধ হওয়া উচিত নয়, যতোদিন পর্যন্ত অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের ন্যায় ওরাও হিংস্রতা পরিহার না করে।

এ সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মটি যে সত্য বিমুখ এবং অন্যের কাঁধে দোষ চাপাতে ওস্তাদ এর প্রমাণ আবুল কাশেম সাহেবের “ইসলামে বর্বরতা”। তিনি লিখেছেন, “ভারতীয় মুসলিমরা যখন এ উপমহাদেশে প্রচলিত দাসপ্রথা সম্পর্কে আলোচনা করে, তারা কেবলই কীভাবে পর্তুগিজরা গোয়া, কেরালা ও বাংলার সমুদ্রোপকূলীয় অঞ্চল থেকে ভয়াবহ অবস্থায় দাস পরিবহন করতো সেসব লোমহর্ষক কাহিনীর কথা বলে। …পাকিস্তানের ইতিহাস বইয়ে শেখানো হয়: ইসলামের আগে ছিল দাসপ্রথা ও শোষণ, যা ইসলাম আসার সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষ হয়ে যায়। তারা ভারতে মুসলিম হানাদার ও শাসক কর্তৃক ব্যাপকভাবে দাসপ্রথাচর্চার কথা কখনোই বলবে না।” আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মুখস্ত বুলি, আগের সরকার করেছে তখন দোষ হয়নি, আমরা করলে দোষ অর্থাৎ আগে কেউ করছে বলে আমিও অন্যায় করি, তাতে দোষের কি? অন্যের দোষ দেখিয়ে নিজের দোষ ঢাকাতে আমাদের জুড়ি নেই, কি ধর্মবিষয়ে, কি রাজনৈতিক বিষয়ে।

যাহেক, তথাকথিত কুরবানী প্রথা কোথা থেকে এলো এবং ইসমাইল না ইসহাক, কাকে কুরবানী করতে নেয়া হয়েছিলো সে বিষয়ে আলোচনায় যাবার পূর্বে মুক্তমনায় লেখা “শুধু ইসলামের সমালোচনা হয় কেন?” সৈয়দ কামরান মির্জার লেখা থেকে দু’একটি উদাহরণ। {…বিশেষ একটি খবর বারবার দেখতে বা শুনতে পাই …ইসলামিক টেররিস্ট, ইসলামিক মিলিটেন্ট, মুসলিম টেররিস্ট, মুসলিম ফেনাটিক্স এবং আল-কায়দা টেররিস্ট ইত্যাদি। প্রশ্ন, এসব শ্রতিমধুর বিশেষণ আর অন্য কোন ধর্মের নামে কখনো শুনতে পাই না কেন? (কাফের বিশ্বে) …শতশত মুসলিম উম্মা নামক অনেক সমিতি আছে। এসব সমিতির প্রধান কাজ হলে, স্থানীয় মুসলিম অভিবাসীদেরকে ইসলাম ধর্মের অনেক গুণাগুণ শুনানো এবং বলা হয় যে, ইসলাম ধর্ম হলো সকল ধর্মের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তারা শেখায় যে ইসলাম হলো গিয়ে একমাত্র সত্যিকারের ধর্ম এবং মুসলিমদের কর্তব্য হলো তাদের জীবন-যাপন ইসলামের আওতায় সীমাবদ্ধ রাখা। …ছেলেমেয়েদের শিখাতে হবে যাতে তারা এদেশের জীবন পদ্ধতির সঙ্গে মিশে একেবারে বিনাশ না হয়ে যায়। প্রশ্ন, আমরা কি এধরণের কোন অবস্থা অন্য কোন ধর্মে (খৃস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ইত্যাদি) দেখতে পাই? অন্য কোন ধর্মের অভিবাসীদের মধ্যে কি এধরণের উম্মাটিক সঙ্গ দেখা যায়? কোন শুধু মুসলিম অভিবাসীকেই এধরণের ইসলামি সঙ্গ/সমিতি দরকার হয়?

…আমরা কি অন্য কোন ধর্মের লোকদের মাঝে …জেহাদি অরগনাইজেশন দেখতে পাই? ইসলামি টেররিস্টরা প্রায় সবেক্ষত্রই তাদের পরিচয় দিয়েছে কোন না কোন ইসলামি অরগানাইজেশনের। যেমন, হরকাতুল জিহাদ, লস্করে তাইবা, য্যায়সে মোহাম্মদ, জিহাদে রসুন, ইসলামিক জিহাদ, হামাশ, জিজবুল্লাহ, সিপা-ই-সাহাবা, তারিক-ই-জাফরিয়ায়ে পাকিস্তান, তাহরীক-ই-নিফাজ-এ-শারিয়াতে মুহাম্মদ, আল হিক্মা, জামাতুল-মুজাহিদিন, হিজব-ই-ইসলামী, জাগো মুজাহিদ, হরকাতুল মোজাহিদিন, আল-বদর মেজাহিদিন, জামাহ ইসলামিয়া, আরও কতো কি? কিন্তু আমরা কি কখনো শুনেছি অন্য ধর্মের কোন টেররিস্ট তাদের ধর্মকে নিয়ে এরূপ কোন নাম ব্যবহার করতে? এ বিশ্বে আছে কি, অন্য আর কোন ধর্মের নামের এতগুলো টেররিস্ট অরগানাইজেশন? সোজা উত্তর হল, আমরা অন্য কোন ধর্ম সম্বন্ধেই এরূপ কথা শুনিনি। অন্য কোন ধর্মে জিহাদ শব্দটির অস্তিত্বই নেই। প্রশ্ন হলো, আছে কি অন্য কোন ধর্মে এরূপ কোন টেররিস্ট অরগানাইজেশন? যদি না থাকে তবে বলতে পারেন কি, কেন নেই? (অতএব ইসলামের সমালোচনা না করে উপায় কি)?
আজকের এই আধুনিক বিশ্বে আমরা প্রায় এক ডজন দেশ খুঁজে পাবো যেখানে ইসলামী শরিয়া (হুদুদ) আইনের দ্বারা দেশ শাসন করা হচ্ছে এবং প্রায় সকল মুসলিম মেজরিটি দেশেই পারিবারিক আইন হচ্ছে ইসলামি শরিয়া মতে। আমার প্রশ্ন, আছে কি একটিও দেশ সারা পৃথিবীতে যেখানে দেশের আইন হচ্ছে বাইবেল অথবা গীতার আইনে? যদি না থাকে তবে তার কারণ কি?

আজ সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত এবং ভীত মুসলমানদের ব্যাপারে। … টেররিস্ট ধরা পড়েছে…। …আশ্চর্যের ব্যাপার যে ওরা সবাই হল মুসলমান। প্রশ্ন, এই টেররিস্টরা অন্য কোন ধর্মের লোক হল না কেন? অথবা, এদের মধ্যে কোন ধর্মহীন বা কোন গুন্ডাবদমাশ থাকল না কেন? এসব মুসলিম টেররিস্টদের প্রায় সকলেই কিন্তু পাক্কা মুসলিম এবং নিয়মিত মসজিদগামী নামাজী। এসবের মানে কি?} বিস্তারিত দেখুন: http://www.faithfreedom.org/Author/SKM.htm (Syed Kamran Mirza). জানি নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের এতোটুকু ছাড় না দেওয়ার জন্য বহু ইসলামিস্টরা সৈয়দ কামরান মির্জার উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর যুক্তিপূর্ণ উত্তর না দিতে পেরে, তাকে কাফের বলবেন, পশ্চিমা কাফেরদের মগজ ধোলাই বলবেন, মৃত্যুপরোয়ানা জারি করবেন, এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। যেমনটি করা হয়েছে সালমন রুশদির বেলায়। সত্য বড়ো কঠিন ও নির্মম, ধর্ম কখনো সত্য স্বীকার করতে চায় না, পারে না, কারণ এটি আমাদের জন্মগত বিশ্বাস, এর বাইরে যাওয়া অসম্ভব প্রায়। কিন্তু সত্যিকারে যদি আপনি নিরপেক্ষভাবে বাইবেল, গীতা, ত্রিপিঠক, কোরান ইত্যাদি নিয়ে সামান্য একটু পড়াশোনা এবং প্রতিটি ধর্মপুস্তকের প্রতিটি বাক্যের উপর প্রশ্ন রাখা হয়, তাহলে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, কোন ধর্মগ্রন্থে কতো বেশি হিংস্রাত্মক (তথাকথিত ঐশ্বরিক) বাণী রয়েছে।

সম্প্রতি ৮ বাংলাদেশীকে আল্লার নামে সূরা-কালাম পড়ে হত্যা করলো সৌদীর বর্বর বেদুইনরা। নিশ্চয়ই এরা আল্লার কাছেই (বেহেশতে) গেছে বা যাবে! কারণ এদের পাপের শাস্তি তো আল্লা দিয়েই দিলো! অতএব এতে ওই দরিদ্র ৮ ভাইয়ের উপকারই তো হয়েছে, নাকি? এরা যদি এভাবে না মরতো তাহলে হয়তো বেহেশতে যেতে পারতো না। চুরি করে বা খুন করে যারা ধরা পড়ে না তাদের তো বেহেশতে যাবার প্রশ্নই ওঠে না, আর এরা ধরা পড়লো, আল্লার বিচারে কেল্লা গেলো অর্থাৎ শাস্তি পেলো, অতএব এরা অবশ্যই বেহেশবাসী! যদি এরপরেও এদের শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে তো আল্লা ন্যায় বিচারক থাকতে পারে না! যাহোক, এই ৮ বাংলাদেশীদের কবে থেকে বিচার চলছিলো তা কেউ টের পেয়েছিলো কিনা জানা নেই। আমি অন্যান্য খবর রাখতে না পারলেও বিবিসির খবর নিয়মিত দু’বার (সকাল-সন্ধ্যা) শুনি, একদিনও বাদ যায় না। আল্লার দেশের, আল্লার প্রকৃত বান্দাদের দ্বারা এমন একটি বিচারের খবর বিবিসির নজর এড়িয়ে যাবে তা আমার বিশ্বাস হয় না। এ খবরটি শিরোচ্ছেদ হওয়ার পরেই জানতে পারি। যদিও আমাদের ন্যায় সাধারণের জানা-অজানায় কারো কিছু যায় আসে না। তথাপিও জানতে পারলাম না কেন বলছি, বিচারটি বোধহয় খুবই গোপনীয়ভাবে সমাপ্ত করেছে ইসলামের আদর্শ সৈনিক ওই বর্বর বেদুইনরা। তবে হ্যাঁ, অল্লার বিচার তো এভাবেই গোপনেই হতে হয়। আল্লার বিচার তো আর যে-সে বিচার নয়, এটি তার ইচ্ছামত সময়েই হবে লোকে জানবে কেন? লোকে জানলে আল্লাকে যে ছিঃ ছিঃ করবে! আল্লা তো আর ছিঃ ছিঃ-র পাত্র হতে পারে না! তিনি তো মানুষের জন্মদাতা, মৃত্যুদাতা, ভরণপোষণদাতা…! (যদিও জন্ম দিয়ে বিশ্বের প্রায় ২শ বিলিয়ন লোককে সে না খাইয়ে রাখছে)। যাহোক, সেদিন সৌদি দূত সংবাদ সম্মেলনে বললো, মানবাধিকারকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু তা তো ইসলামিক আইনের উর্ধে নয়! কথাটি ষোলআনা সত্যি। আল্লার আবার মানবাধিকারের প্রয়োজনটা কি? মানুষের অধিকার নিয়ে যারা লাফালফি করে তাদের জীবনটাও তো আল্লার হাতে, তাই তো বেশি লাফালাফি কইরেন না, আল্লা নাখোশ হইলে সব শেষ। এটি আল্লার বিধান, যাবে না খন্ডন! সেইহেতু তথাকথিত মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদ করার প্রশ্নই ওঠে না। তবে কাফের কোন দেশের সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানরা এর জোরালো প্রতিবাদ করেছে বলে আমার জানা নেই, যেসব প্রতিবাদ হয়েছে তা অতি সামান্য কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও সাধারণ মুক্তচিন্তার মানুষেরা করেছে। তবে আল্লা ন্যায়বিচারক হলে এমন অন্যায়টি করতে পারতো না, হয়তো আল্লা আরবীয়দের বেশি ভালোবাসে, নয়তো ঘুষ খেয়েছে নতুবা প্রকাশ্যে বিচার করতো এবং ১ কেল্লার বদলে ৮ কেল্লা নিতো না! তথাকথিত আল্লা যেমনি অতুলনীয় নয়, তেমনি ন্যায় বিচারকও নয়, একথা স্যার আরজ আলী মাতুব্বরের লেখায় প্রমাণিত। তবে সত্য যে, ভূতপ্রেতদের যেমনি রক্ত পছন্দ, আল্লারও তেমনি পছন্দ।

আল্লার আরেকটি মহান আদেশ কুরবানী! এ বিধানটি মানুষ হত্যার ন্যায় একই সূত্রে গাঁথা। অর্থাৎ তথাকথিত আল্লা বা ঈশ্বর মা-কালির ন্যায় রক্তপিপাসু বিধায় তিনি বা তারা আদিতেই এমন বিধান করে দিয়েছে। কালির উদ্দেশে নরবলি, পাঠা বলি এবং হত্যার দায়ে হত্যা এবং কুরবানী এ সকলই তথাকথিত আল্লা/ঈশ্বরের বিধান। পার্থক্য এই যে, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এসব হত্যা করা থেকে অন্য ধর্মালম্বীরা সরে এসেছে, কিন্তু তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মেই তা বহাল রয়েছে।

ইহুদি, খৃস্টান ও মুসলমান ধর্মের উৎপত্তিস্থল, তথাকথিত নবী-রাসূলগণ এবং এদের জীবনী, কার্যক্রম ইত্যাদির হুবহু মিল পাওয়া যায় তথাকথিত ঐশ্বরিক গ্রন্থগুলোতে। পার্থক্য শুধু কেউ ভাত খায় চামচ দিয়ে, কেউ খায় হাত দিয়ে। অথচ একথা ইসলামিস্টরা স্বীকার করবে না, কারণ এতে তাদের মান-সম্মান যাবে, শ্রেষ্ঠত্বহানী হবে, এতো বড় ধর্ম ইসলাম ছোট হয়ে যাবে, এটি কি করে মেনে নেবে, তাই আরো আরো মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে এরা। যাহোক, বাইবেলের ওল্ডস্টেটামেন্ট হলো ইহুদিদের প্রধান ধর্মপুস্তক। যে পুস্তকে ইস্রায়েল জাতিকে মিশরের ফরৌনের দাসত্ব হতে মোশি অর্থাৎ মুসা কিভাবে মুক্ত করেছিলো, কিভাবে ঈশ্বর স্বর্গ হতে মুসাকে নির্দেশ দিতো। ঠিক একইভাবে উক্ত পুস্তকে রয়েছে কিভাবে ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলো, আদম ও হাওয়াসহ যাবতীয় প্রাণী, বৃক্ষ, চন্দ্র-সূর্য ইত্যাদি সৃষ্টি করেছিলো। ঈশ্বর এসব সৃষ্টি করেছিলো ৬ দিনে এবং ৭ম দিন বিশ্রাম করেছিলো, তাই ইহুদিরা ৭ম দিনকে বিশ্রামবার হিসেবে মান্য করে এবং এদিন ওরা কোন কাজ না করে শুধু ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা করে কাটায়। ঠিক একইভাবে ঈসা এসে বাইবেলে (ওল্ডটেস্টামেন্টের সব ঠিকঠাক রেখে) নিউস্টেটামেন্ট নামে নিজের জীবনী ও কার্যক্রম জুড়ে দিলো। অনুরূপভাবে মোহাম্মদও ওল্ডটেস্টামেন্টের অর্থাৎ তার চরম শত্র“ ইহুদিদের পুস্তক থেকে পৃথিবীর যাবতীয় সৃষ্টির কাহিনী একই রেখে সামান্য ভাষাগত পরিবর্তন করে নিজের কিছু কথা, যুদ্ধের মহিমা, রক্তের হোলি খেলা, পরনারী ভোগ এবং অন্য ধর্মকে ধ্বংসের জন্য নানাপ্রকার মশলা দিয়ে তৈরি করেছে তথাকথিত কোরান। অর্থাৎ খৃস্টান ও মুসলমান ধর্মের প্রায় সবটাই নকল করা হয়েছে ইহুদিদের ধর্মপুস্তুক থেকে (শুধু ঈসা ও মোহাম্মদের কর্মকান্ড ছাড়া বাকিটা সব)।

যাহোক, কুরবানীতে আসি। ওল্ডটেস্টামেন্টে (ইহুদিদের ধর্মপুস্তক) আদমের বংশধরকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো যে, বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে তারা যেন খোদার কাছে নৈবেদ্য উৎসর্গ করে, যাকে ওল্ডটেস্টামেন্টে বলা হয়েছে হোমবলি (কালি ও দূর্গার উদ্দেশে যেভাবে নরবলি বা পাঠা বলি চলতো ঠিক একই অনুকরণে)। ওল্ডটেস্টামেন্টে অনুসারে, (আদিপুস্তক ১৬:৩): “…অব্রামের স্ত্রী সারী আপন দাসী মিস্রীয়া হাগারকে লইয়া আপন স্বামী অব্রামের সহিত বিবাহ দিলেন।” কারণ সারী বন্ধ্যা ছিলো এবং তখন অব্রাহামের বয়স তখন সম্ভবত ৯০ বছর। এই মিস্রীয়া দাসীর গর্ভে যে পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছিলো তার নাম ইশ্মায়েল বা ইসমাইল।

ইসমাইলের জন্মের সম্ভবত ৯ বছর পর অব্রামের যখন নিরানব্বই বছর বয়স তখন সারা গর্ভধারণ করে এবং ইসহাকের জন্ম হয়। ইসহাকের জন্মের পর সারা বলেছিলো, (আদিপুস্তক ২১:১০) “তাহাতে তিনি অব্রাহামকে কহিলেন, তুমি ঐ দাসীকে (হাগারকে) ও উহার পুত্রকে (ইসমাইলকে) দূর করিয়া দেও; কেননা আমার পুত্র ইসহাকের সহিত ঐ দাসীপুত্র উত্তরাধিকারী হইবে না।” ২১:১২-১৩ “আর ঈশ্বর অব্রাহামকে কহিলেন, ঐ বালকের বিষয়ে ও তোমার ঐ দাসীর বিষয়ে অসন্তুষ্ট হইও না; সারা তোমাকে যাহা বলিতেছে, তাহার সেই কথা শুন; কেননা ইসহাকেই তোমার বংশ আখ্যাত হইবে। আর ও দাসীপুত্র হইতেও আমি এক জাতি উৎপন্ন করিব, কারণ সে তোমার বংশীয়।” যে কারণে খৃস্টানগণ মনে করে যে মুসলমানেরা দাসীর পুত্র ইমাইলের বংশ, আর তারা অব্রামের বা ইব্রাহিমের আসল বংশধর। যাহোক, সারা এবং ঈশ্বরের কথামত ইসমাইল ও তার মাতাকে অব্রাহাম প্রান্তরে রেখে এসেছিলো। এখানে ঈশ্বর অমানবিক ও বিতর্কিত কাজ করেছে, ঈশ্বর নিজে ইসমাইলকে দাসীপুত্র বলেছে এবং ইসহাককেই তার বংশীয় বলছে।

যাহোক, (আদিপুস্তক ২২:১-২) : “…ঈশ্বর অব্রাহামের পরীক্ষা করিলেন। …তিনি কহিলেন, তুমি আপন পুত্রকে, তোমার অদ্বিতীয় পুত্রকে, যাহাকে তুমি ভালবাস, সেই ইসহাককে লইয়া মোরিয়া দেশে যাও, …তাহাকে হোমার্থে বলিদান কর।” (কোরানে নাকি, ইসমালইকে কুরবানীর কথা আছে)। (আদিপুস্তক ২২:৬-১৮): তখন অব্রাহাম হোমের কাষ্ঠ লইয়া আপন পুত্র ইসহাকের স্কন্ধে দিলেন, এবং নিজ হস্তে অগ্নি ও খড়গ লইলেন; পরে উভয়ে একত্র চলিয়া গেলেন। আর ইসহাক আপন পিতা অব্রাহামকে কহিলেন, হে আমার পিঃত। …অগ্নি ও কাষ্ঠ, কিন্তু হোমের নিমিত্তে মেষশাকব কোথায়? …অব্রাহাম সেখানে যজ্ঞবেধি নির্মাণ করিয়া কাষ্ঠ সাজাইলেন, পরে আপন পুত্র ইসহাককে বাঁধিয়া বেদিতে কাষ্ঠের উপরে রাখিলেন। পরে অব্রাহাম হস্ত বিস্তার করিয়া আপন পুত্রকে বধ করণার্থে খড়গ গ্রহণ করিলেন। এ সময়ে আকাশ হইতে সদাপ্রভুর এক দূত তাঁহাকে ডাকিয়া কহিলেন, অব্রাহাম। …যুবকের প্রতি তোমার হস্ত বিস্তার করিও না, উহার প্রতি কিছুই করিও না, কেননা এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাকে আপনার অদ্বিতীয় পুত্র দিতেও অসম্মত নও। তখন অব্রাহাম চুক্ষ তুলিয়া চাহিলেন, আর দেখ, তাঁহার পশ্চাৎ দিকে একটি মেষ, তাহার শৃঙ্গ ঝোপে বদ্ধ; পরে অব্রাহাম গিয়া সেই মেষটি লইয়া আপন পুত্রের পরিবর্তে হোমার্থ বলিদান করিলেন। …পরে সদাপ্রভুর দূত দ্বিতীয় বার আকাশ হইতে অব্রাহামকে ডাকিয়া কহিলেন, …তুমি এই কার্য্য করিলে, আমাকে আপনার অদ্বিতীয় পুত্র দিতে অসম্মত হইলে না, এই হেতু আমি আমারই দিব্য করিয়া কহিতেছে, আমি অবশ্য তোমাকে আশীর্বাদ করিব এবং আকাশের তারাগণের ও সমুদ্রতীরস্থ বালুকার ন্যায় তোমার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব; তোমার বংশ শত্র“গণের পুরদ্বার অধিকার করিবে; আর তোমার বংশে পৃথিবীর সকল জাতি আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে।” (উপরে উল্লেখিত বাক্যগুলোতে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রয়েছে, দূত অব্রাহামকে ডাক দিলো কিন্তু কথা বললো ঈশ্বর, তা কি করে হলো? আর অদ্বিতীয় পুত্র বলা হলো, তাতে বোঝা যায় যে, দাসীপুত্র ইসমাইলকে ঈশ্বরও অস্বীকার করেছে)। একারণেই ইহুদিরা নিজেদের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এবং অব্রাহামের বংশধর বিশেষ করে ঈশ্বরের প্রতিশ্র“ত মহাআর্শিবাদ প্রাপ্ত জাতি হিসেবে দাবি করে।

বাইবেল অনুসারে ইসহাককে কুরবানী দিতে নিয়ে গিয়েছিলো ইব্রাহিম বা অব্রাহাম, কিন্তু কোরানে নাকি বলা হয়েছে ইসমাইলকে কুরবানী দিতে নিয়েছিলো। এ বক্তব্যটি আমার সঠিক জানা নেই তবে এক পাদ্রির মুখে শুনেছি যে, মুসলমানরা বিশ্বাস করে ইসহাক নয় ইসমাইলকেই কুরবানী দিতে নেয়া হয়েছিলো। এছাড়া তারা যুক্তি দেখান যে, কুরবানী দিতে বলা হয়েছে প্রিয় জিনিষ, কিন্তু এরা কেউই প্রিয় জিনিষ কুরবানী দেয় না, দেয় বাজার থেকে কিনে এনে যা কখনো প্রিয় জিনিষ হতে পারে না, কারণ যদি কেউ কোন প্রাণী পোষে তবে তা তার প্রিয় হতে পারে, কিন্তু ক্রয়কৃত প্রাণী প্রিয় হয় কি করে?

যাহোক, আমরা কেউ জানি না যে, পৃথিবীতে কোন মানুষ সর্বপ্রথম খুন হয়েছিলো এবং সেটা কে করেছিলো! কিন্তু বাইবেল অনুসারে আদমের প্রথম সন্তান (কয়িন) তার ছোট ভাই হেবলকে খুন করেছিলো এবং এটাই নাকি পৃথিবীতে মানুষ খুনের সর্বপ্রথম ঘটনা। এ খুনের জন্য কিন্তু ঈশ্বরের রক্তপিপাসাকেই দায়ী করা চলে। আশ্চর্য! খোদা বা ঈশ্বর কেন রক্তাক্ত পশু ছাড়া আমার প্রিয় বস্তুটি গ্রহণ করবে না? ইহুদি ধর্মগ্রন্থ অনুসারে এটি এলোও খৃস্টানগণ কুরবানী দেয় না তার কারণ ঈসা বা যীশুখ্রীস্ট এসে তা রহিত করেছে; তিনি বলেছে, ওইসব রক্তপাতের আর প্রয়োজন নাই আমিই তোমাদের পাপের জন্য ক্রুশে রক্ত দিয়ে গেলাম, তোমরা আমার রক্তের স্মরণ লইও ইত্যাদি। সম্ভবত ইহুদিরাও কোরবানী বা হোমবলি দেয় না। কুরবাণী প্রথা অব্রাহামের পূর্বে আদমের সন্তানদের সময় থেকে বিদ্যমান ছিলো যেমন, আদমের প্রথম সন্তান কয়িন ও দ্বিতীয় সন্তান হেবলের দৃষ্টান্ত। (আদিপুস্তক ৪:২-৮) “…হেবল মেষপালক ছিল, ও কয়িন ভূমিকর্ষক ছিল। পরে কালানুক্রমে কয়িন উপহাররূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ভূমির ফল উৎসর্গ করিল। আর হেবলও আপন পালের প্রথমজাতক একটি পশু ও তাহাদের মেদ উৎসর্গ করিল। তখন সদাপ্রভু হেবলকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন; কিন্তু কয়িনকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন না; এই নিমিত্ত কয়িন অতিশয় ক্রুদ্ধ হইল…। …কয়িন আপন ভ্রাতা হেবলের বিরুদ্ধে উঠিয়া তাহাকে বধ করিল।” আরো বলা হয়েছে, হেবলকে যখন কয়িন হত্যা করে বালুর মধ্যে পুতে রেখেছে তারপর ঈশ্বর তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলো তোমার ভ্রাতা কোথায়? কয়িন উত্তর দিয়েছিলো আমি কি জানি? আমি কি আমার ভ্রাতার রক্ষক? ঈশ্বর বলেছিলো, তোমার ভ্রাতার রক্ত আমার নিকটে ক্রন্দন করছে, তুমি তোমার ভ্রতাকে বধ করেছো…। প্রশ্ন হলো, হেবলকে বধ করার সময় ঈশ্বর কোথায় ছিলো? হেবলের রক্ত ক্রন্দন করে তার কাছে নালিশ করছে, কিন্তু বধ করার সময় সে দেখিনি! এটি কি বিশ্বাসযোগ্য?

এখানে দেখা যায়, আল্লা বা ঈশ্বর রক্তহীন হোমবলি বা কুরবানী গ্রহণ করে না। তার পছন্দ রক্তযুক্ত পশু বা মানুষ! কয়িনের কাছে মেষশাবক বা কোন পশু ছিলো না, তাছাড়া ধর্মপুস্তকের ব্যাখ্যানুসারে বলা হয়েছে, তোমার প্রিয় বস্তুটি কোরবানী দেও। কারো প্রিয় বস্তু যদি শষ্য হয় তবে তা কেন ঈশ্বর গ্রহণ করবে না? প্রতিটি ধর্ম অনুসারে শয়তান রক্তপিপাসু কিন্তু আল্লা/হরি/ঈশ্বর এরা পবিত্র! আর এই পবিত্রতার জন্য যদি সত্যিই রক্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে এরা কিসের সৃষ্টিকর্তা? রক্ত এবং হত্যায় ভগবান/ঈশ্বর/আল্লা খুশি! এ কেমন বিধান? তাহলে শয়তান এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?