সব মুসলমান এক ধর্ম ইসলাম মেনে চলে বলে মনে হলেও, কথাটায় সত্যের ঘাটতি আছে। মুসলমানের বিশ্বাসকে মাত্র একভাবে – চলতি বা প্রধানধারার ইসলামের বর্ণনায় – বুঝতে গেলে তাই সমস্যা ঘটে। ব্যক্তির ধর্মকে যখন তার কর্মকাণ্ড, আচারাদি দিয়ে জানতে পারা যায়, তখন দেখা যায় তারা প্রতিটাই ভিন্ন। সবার ধর্ম এক না। নামটা সবাই একই ব্যবহার করে হয়তো। ফলে একই নামের অধীন প্রধানধারাটির পুস্তকি বিবরণ থেকে বোঝার চেষ্টা করলে ধার্মিকের ধর্ম বা মন আর বোঝা হয় না।

ধার্মিক মুসলমানের একটা বড় অংশের মন বাস করে পুস্তকের বাইরে। তারা খোদায় বিশ্বাস করে। কিন্তু এই বিশ্বাস নিয়ে তারা আসলে কতোটা দার্শনিক? এদের একটা বড় অংশই আসলে খোদায় বিশ্বাসকে তাদের আধ্যাত্মিক সমস্যায় ব্যবহার করে কেবল। খোদায় বিশ্বাস তাদের কাছে কোনও দার্শনিক প্রশ্নের সমাধান হিসেবে আসে না। কিছুটা আসে হয়তো। কিন্তু তাদের খুব বড় দার্শনিক সঙ্কট নেই। অনেক অনেক মানুষেরই নেই। কারণ সেটা তাদের চিন্তাভাবনার বিষয় না। খোদায় বিশ্বাস বরং তাদের আধ্যাত্মিক প্রশ্নের সমাধান। অনিশ্চয়তায় অনুভূতির যে সঙ্কট, খোদায় বিশ্বাস তার সহজ সরল উত্তর। অনুভূতির সঙ্কটের সমাধানের অভাব যেহেতু তাদের ভৌত জীবনে প্রভাব ফেলে, সেই সঙ্কটের সমাধানস্বরূপ বিশ্বাসটা এক অর্থে তাদের একটা জাগতিক সমস্যারও সমাধান বলা চলে।

তারা যেহেতু দার্শনিক প্রশ্নে নিবিষ্ট থাকে না, অনিশ্চয়তাকে খোদায় বিশ্বাস দিয়ে সরলীকরণের দার্শনিক বিপদগুলো তাদের কাছে ধরা দেয় না। তাদের খোদায় বিশ্বাস ফলে অদার্শনিক, জাগতিক এবং বহুলাংশে ব্যক্তিক। ব্যক্তির নিজস্ব লাভক্ষতি ও অনুভূতিতে সে বিশ্বাস সীমাবদ্ধ। তাদের খোদা মূলত তাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তারা সচরাচর ভাবতে বসে না, কোথায় সেই খোদা? বিশ্বসৃষ্টির রহস্য কী? এরা দার্শনিকতায় একেবারেই অনুপস্থিত এমন বলা উদ্দেশ্য নয়। তবে, খোদায় বিশ্বাস তাদের দার্শনিক প্রশ্নের যতোটা না সহায়, তার চেয়ে অনেক বেশি সহায় তাদের আধ্যাত্মিক প্রশ্নের। এদের পরিচয়কে সংক্ষেপে বলা চলে খোদামানা মুসলমান। এদের চেয়ে খোদায় বিশ্বাস নিয়ে দার্শনিক মুসলমানেরা বরং অনেক বেশি শঙ্কায় থাকে।

খোদামানা মুসলমানদের চেয়ে পুস্তকিরা পুরোপুরিই ভিন্ন ধর্মের মুসলমান। পুস্তকি মুসলমানেরা মুখে বলে যে তারা খোদা মানে। সেটা তাদের ঘোষণা। কিন্তু আসলে তারা যা মানে তা হলো পুস্তক। কোরান। সম্ভবত হাদিস ও অন্যান্যও। তাদের আচারাদিতে দেখা যায় এক অর্থে কোরান তাদের খোদার চেয়েও বড়। কারণ তাদের বিশ্বাস নির্ভর করে কোরানের বিশুদ্ধতার উপর। তারা খোদাকে চেনেও কোরানাদি দিয়েই। টেক্সটের মুখে। টেক্সটের বর্ণনায়। কোরান না থাকলে তাদের কাছে আর খোদা থাকে না। পুস্তকের অবর্তমানে তাদের পক্ষে খোদাকে চেনার আর কোনো উপায়ও থাকে না। তাদের বিশ্বাস, কর্ম সবকিছু কোরানচালিত। ফলে তারা যতোটা না খোদায় বিশ্বাসী, তার চেয়ে বেশি তারা কোরানে বিশ্বাসী।

অনেক মুসলমান আবার কোরানের বর্ণনার নির্দিষ্টতা নিয়ে খুব বেশি তোড়জোড় করে না। তারা ভাবে বা বলে যে কোরান একটা টেক্সট। এর নানা অর্থ হতে পারে। উদ্দিষ্ট অর্থ জানা নেই। এভাবে আসলে তারা কোরান মানতে মানতে না মানার একটা পথ তৈরি করে। অন্য দিকে কোরানে কঠোরভাবে বিশ্বাসীরা টেক্সটের অর্থে নির্দিষ্ট হবার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তারা কোরানের বক্তব্যগুলোর কেবলমাত্র একটা অর্থেই প্রায় নিশ্চিতভাবে, নিশ্চিন্তে স্থিত হয়। অর্থাৎ কোরানে কঠোরভাবে বিশ্বাসীরা কেবল কোরানের বিশুদ্ধতায় বিশ্বাস করে না, এর একটা নির্দিষ্ট অর্থে তাদের বিশ্বাসকে স্থিত করে। কোরানের সেই বিশেষ অর্থটিই তাদের মূল বিশ্বাস। তাদের বিশ্বাসের খোদা ওই টেক্সট এবং তার সেই বিশেষ অর্থ দ্বারা নির্দিষ্ট ও সীমাবদ্ধ। মানে তাদের খোদা ঠিক অমুখাপেক্ষী না। তাদের খোদা নিজেও যেন প্রতিদিন কোরান পড়ে, কোরান মেনে চলে। তাদের খোদা পারলে কোরানের ওই অর্থবিশেষকেই প্রতিদিন সেজদা করে। এদের বলা চলে কোরানমানা মুসলমান। এরা প্রায় খোদা-না-মানা মুসলমান।

কোরানে বিশ্বাস করি করি বলেও যারা অর্থের অনির্দিষ্টতাকে সুযোগ দেয়, তারা কোরানের কোনও এক বিশেষ অর্থে নির্দিষ্ট হবার মৌলবাদিতা থেকে পলায়নের সুযোগ নেয়। অনেকক্ষেত্রে তারা এ ব্যাপারে ঠিক নিয়মানুগও থাকে না। অনেকক্ষেত্রে অর্থের অনির্দিষ্টতায় তাদের এই বিশ্বাস, পুস্তকের কর্তৃত্বে বিশ্বাসের চেয়েও বড় হয়ে দেখা দেয়। পুস্তকের কর্তৃত্বকে তারা সামাল দেয় অনির্দিষ্টতার ঢাল দিয়ে। এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রান্তে থাকে খোদামানা মুসলমানেরা। যারা কেবল মুখে কোরানে বিশ্বাস আছে বোলে বোলে কোরানমানা মুসলমানদের প্রকোপ থেকে নিজেদের রক্ষা করে। কিন্তু এরা আসলে কোরান মানে না। মানে মেনে চলে না। চলে কি? তারা কোরান পড়ে না। নিজেদের জাগতিক কোনো সমস্যাই তারা কোরান মেনে সমাধান করে না। কয়েকটা প্রধান প্রথা হয়তো তারা বহন করে চলে। রুকু সেজদা করে। তারপর তাদের জায়নামাজ ভাঁজের সাথে সাথে আধ্যাত্মিকতাও পলায়ন করে।

খোদামানা মুসলমানেরা কোরানে, তাতে যাই লেখা থাকুক, বিশ্বাস আছে বলে যেহেতু ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, সে নিয়ে তাদের আত্মিক বা সামাজিক বিব্রতীর সুযোগ অনেক কম। মৌলবাদী কোরানমানা মুসলমানেরা মাঝে সাঝে তাদের বিব্রত করে যদিও – আচারাদিতে কোরান না মানলে ঠিক মুসলমান হওয়া যায় না – এটা সেটা বুঝিয়ে। আর পুস্তকি নাস্তিকেরাও মাঝে সাঝে তাদের বিব্রত করে এসব বলে টলে যে – খোদা মানো কীভাবে, ধর্মেই বা কীভাবে বিশ্বাস, জানো না যে কোরানে বলা আছে অমুক সমুক তমুক খারাপ খারাপ কথা। তাদেরকে পুস্তকি বানানোর এক বৃথা চেষ্টা! যেন কোরানে সঙ্কট আছে দেখালেই তাদের ধর্ম বা খোদাবিশ্বাস টলে যাবে। কিন্তু বিশ্বাস তাদের টলে কি তাতে? তারা তো কোরানই মানে না। তাদের খোদায় বিশ্বাস কোরানের উপর দাঁড়ায় না। তাদের খোদা বস্তুত কেবলই তাদের নিজ ব্যক্তিত্বের প্রতি মুখাপেক্ষী। তাদের মনে যে খোদার বাস, সে সদা মনধারীর ঘটনঅঘটন নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। তাদের খোদা তাদের মতই কোরান পড়ে না, কোরান মানে না। খোদামানা ব্যক্তির খোদা হলো ব্যক্তির-সাধ-আল্লাদ-মানা খোদা। কোরান টলে গেলে তাদের খোদা তাতে আর টলে কীভাবে? কোরানমানারাও তাই যতই বোঝাক, খোদামানারা তারপরেও কোরান না মেনেই মুসলমান। পুস্তকি যুক্তিবুদ্ধি তাদের ধর্ম না। এরা প্রায় কোরান-না-মানা মুসলমান।

এখন কিঞ্চিৎ পুস্তকি নাস্তিকদের নিয়েও বলা চলে। যারা মুসলমানের বিশ্বাসকে কোরানের যৌক্তিক, ঐতিহাসিক, বৈজ্ঞানিক ও মানবিক সঙ্কট-প্রদর্শনপূর্বক ভড়কানোর চেষ্টা চালায়। এতে কোরানমানা মুসলমানের টলার খানিক আশঙ্কা থাকে। দার্শনিক মুসলমানের বিব্রতীও মাঝে সাঝেই বাড়ে। কিন্তু কোরান-না-মানা মুসলমানের তাতে তো কিছু টলে না। অপুস্তকি মুসলমানের সামনে এই নাস্তিকেরাই বরং বেশি পুস্তকি ঠেকে। কারণ এই নাস্তিকেরা পুস্তকের বাইরে যেতে পারে না। কোরানমানা মুসলমানের মতই বিশ্বাসকে মোকাবেলা তারা করতে জানে কেবল পুস্তক দিয়ে। এবং কোরানমানা মুসলমানদের সাথে তাদের আরও আরও মিল। তারা কোরানাদি অত্যাধিক পাঠ করে। অর্থের অনির্দিষ্টতার বিপক্ষে এদের অবস্থান প্রায় কোরানমানা মুসলমানদেরই সমান। এরাও সর্বদা কোরানের প্রায় একটা নির্দিষ্ট অর্থে স্থিত হবার সাধনা করে। তারাও কোরানমানা মুসলমানদের মতো করেই বলে – ‘কোরানে স্পষ্ট বলা আছে এটা সেটা ওটা!’

কিছু পুস্তকি মুসলমানকে পুস্তকি নাস্তিক বানানো বাদে পুস্তকি নাস্তিকদের এই সকল কর্মকাণ্ড অনিবার্যভাবে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। অধিকাংশ পুস্তকি মুসলমানই দেখা যায় তাদের কথা শোনে না। যেভাবে তারা তাদের অন্যান্য ভিন্ন ভিন্ন অর্থধারী পুস্তকি মুসলমানদের কথাও শোনে না। খোদায় বিশ্বাসের দার্শনিক সমস্যা তাদের ঘাঁটায় না। কারণ, তাদের খোদা দার্শনিক না, পুস্তকি। ফলে দার্শনিকতার সঙ্কটে তাদের খোদা বিচলিত হয় না। অন্যদিকে, তাদের নিজস্ব অর্থে যেহেতু তারা স্থির বা মৌলবাদী হয়ে আছে, ভিন্ন অর্থ বা মূল্যবোধ তাদের ভেতরে জায়গা পায় না। খুনের কথা, নারী নির্যাতনের কথা তাদের টলায় না। কারণ তাদের মূল্যবোধতো তৈরিই হয়ে আছে পুস্তকের সেই বিশেষ অর্থের উপর। সেই বিশেষ অর্থে যদি খুন হয়, তাহলে খুনই মূল্যবোধ। সেই বিশেষ অর্থে নারীর প্রতি বৈষম্য ঘটলে নারীর প্রতি বৈষম্যই নৈতিক। তবে এরা যখন নাস্তিক হয়, তখনও পুস্তকে পুস্তকে অর্থের নির্দিষ্টতাই খুঁজে বেড়ায়। পুস্তকের বিশুদ্ধতার সাথে সাথে প্রথাট্রথা অবান্তর হয়ে পড়ে ছাড়া আর তেমন কিছুর তেমন আর পরিবর্তন হয় কই? এমনকি পুস্তকের বিশুদ্ধতা নাশের পরেও তো পুস্তকের অর্থনির্দিষ্টতার লক্ষ্যে কোনো হেরফের দেখা যায় না। আর খোদায় বিশ্বাস তো আগে থেকেই মূলত ছিল না।

দার্শনিক নাস্তিকেরা পুস্তকের মৌলবাদিতায় নাই। তারা খোদায় বিশ্বাসের দার্শনিক সঙ্কটকে সামনে নিয়ে আসে। তাদের চিন্তারাজ্য পুস্তকে নয়, বরং খোদার অস্তিত্ব সংক্রান্ত দার্শনিক প্রশ্নে বিরাজ করে। কখনো কখনো বৈজ্ঞানিক দার্শনিক প্রশ্নে। তাতে পুস্তকি, কোরানমানা মুসলমানের বিব্রতী কিছুটাও বাড়ে না। কিন্তু দার্শনিক মুসলমানেরা সঙ্কিত হয়। অনেকক্ষেত্রে সেটা প্রমাণের-দায়-কার আলাপে গিয়ে শেষ হয়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দার্শনিকেরা খোদায় বিশ্বাস করার চেয়ে না করাটায় কম সঙ্কট অনুভব করে। অনেকক্ষেত্রে দার্শনিক মুসলমানটি অজ্ঞেয়বাদী হয়ে ওঠে। অবশিষ্ট প্রথাকেও প্রায় বিদায় করে দেয়। তবে এতেও এছাড়া খুব এদিক সেদিক আর হয় না। দার্শনিক মুসলমানকে তো এমনিতেই অনেকটা অজ্ঞেয়বাদী আস্তিক বলা চলে। সদা দ্বিধাগ্রস্ত। না হলে কেনো সদা খুঁজে মরে খোদাকে? নিশ্চয়ই খোদা তার মনের ভেতরে স্থির নাই।

তবে খোদামানা মুসলমানের সামনে এসে দার্শনিক নাস্তিকের যুক্তিও, পুস্তকি নাস্তিকের যুক্তির মতই বিফলে যায়। কারণ খোদামানা মুসলমান তো দার্শনিকও না। তার আধ্যাত্মিক সঙ্কটের জায়গায় তার খোদার বাস। তার কিছু কিছু বিজ্ঞানের বন্ধু মনোবিজ্ঞান, নিউরোবিজ্ঞান আর বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান দিয়ে তাকে মাঝে সাঝে ধন্ধায় ফেলে দেয় বটে। সে যে খোদা মানে, সেটা সে কেনো মানে সেটার নির্বোধ কার্যকারণটা তার সামনে তারা তুলে ধরে। এতে তার চিন্তারাজ্যে কিঞ্চিৎ দুর্যোগ দেখা দেয়। কিন্তু জায়নামাজ ভাঁজ করে তার আধ্যাত্মিকতা যেমন পলায়ন করে, আড্ডা শেষেও জাগতিকতায় সবার চেয়ে দ্রুতই সে প্রবেশ করে। প্রাণী তার বিপরীত লিঙ্গকে দেখলে অনেকক্ষেত্রেই কেনো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা ভিন্নছন্দের অঙ্গ ও বাচনভঙ্গি করে, সেটা জানার পড়েও সেটা করাটা অনেকাংশেই যেমন মানুষের থেমে থাকে না, তেমনি খোদায় বিশ্বাসের নির্বোধ কার্যকারণটা জানার পরেও আধ্যাত্মিক বা আনুভূতিক সঙ্কট দেখামাত্রই খোদায় বিশ্বাস করাটা তাদের আর থেমে থাকে না।

তার নাস্তিক বন্ধুরা মাঝে মাঝেই তার একাগ্র জাগতিকতাকে মনে মনে হিংসা করে। খোদার অস্তিত্ব প্রশ্নে সর্বনিম্ন সময় ব্যয় করার ক্ষমতাটাকেও করে। কিছু আচার প্রথা বাদে খোদা তার মনে কেবল প্রয়োজনের সময়েই আবির্ভূত হয়। অন্যদিকে নাস্তিকের মনে খোদা অকাজের সময়ও উঁকি দেয় এসে। খোদাপ্রশ্নে তর্ক করে দিনের আলোর সর্বোচ্চকাল নাস্তিকেরা মানব মনে খোদার প্রকোপ জারি রাখে। মাঝে মাঝে তাই খোদামানা মুসলমানেরা যেন নাস্তিকের চেয়েও কম কম আস্তিক থাকে। সেই কম কম আস্তিকতাকে নিশ্চিতভাবে পরাস্ত করার জন্য নাস্তিকের যে মোক্ষম উপায় বাকি থাকে, সে হলো খোদা বিষয়ে তর্কও না তোলা, ভাবনাও না ভাবা। কিন্তু সে তো কেবল কদাচিৎই ঘটে। কোরানমানা মুসলমানের জুড়ি যেমন পুস্তকি নাস্তিক (যাদের ভেতর কম্যুনিস্ট নাস্তিকদের ধরা চলে), দার্শনিক মুসলমানের জুড়ি যেমন দার্শনিক নাস্তিক (খোদাপ্রশ্নে যাদের ক্ষান্তি নাই), ব্যবহারিকভাবে-খোদামানা, জাগতিক মুসলমানের কিন্তু তেমন কেবলই-জাগতিক-অপুস্তকি নাস্তিক জুড়িটা নাস্তিককুলেই মেলা ভার।