মহানবীর চরিত্র বিশ্লেষনের সময় আমাদের কতকগুলো বিষয় খেয়াল রাখা বিশেষ জরুরী। সেটা হলো –কোন শিষ্য বা মুরিদ যখন তার পীর বা গুরুর জীবনী রচনা করে বা তার কার্যাবলী লিপিবদ্ধ করে তখন সে সর্বদাই তার গুরুর সমালোচনা মূলক বা নেতি বাচক বিষয়গুলো এড়িয়ে তা রচনা করবে।বরং এমন ভাবে তাদের জীবনী লেখা হবে যে – যে গুন তার ছিল না , সেটাও ফুলিয়ে ফাপিয়ে জীবনীতে লেখা হবে। বিষয়টা যে এরকম তার প্রমান পাওয়া যাবে আশে পাশেই। যেমন – একজন আওয়ামী লীগার যদি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী লেখে, দেখা যাবে তাতে মুজিবুর রহমানের কোন দোষ ত্রুটির উল্লেখ নেই, একই কথা খাটে একজন জাতীয়তাবাদী লেখকের জিয়াউর রহমানের জীবনী লেখাতে।এসব জীবনী পড়লে দেখা যাবে- মুজিবুর রহমান বা জিয়াউর রহমান ছিলেন ফুলের মত পবিত্র চরিত্রের অধিকারী ব্যাক্তিত্ব আর ছিলেন ১০০% পারফেক্ট।তেমনি ভাবে মোহাম্মদের কার্যাবলী লিখে রেখে গেছে তার নিবেদিত প্রান শিষ্যরা যেমন- ইমাম বোখারী, মুসলিম , আবু দাউদ এরা। এরা নিশ্চয়ই তাদের রচনায় এমন কিছু লিখবে না যা তাদের গুরুর চরিত্রকে হনন করে বা কালিমালিপ্ত করে।যে সময় তারা এসব বিবরন লিখে রেখে গেছে সেই তখনকার সময়ে মোহাম্মদের কার্যাবলী নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠত না, সে সময়ের ঐতিহ্য অনুযায়ী সেসব ছিল সিদ্ধ ও ন্যয় সম্মত। যেমন তার অসংখ্য বিয়ে, দাসি বাদি দের সাথে যৌন সংসর্গ, শত্রুদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক হুংকার ইত্যাদি এসব। তখন এসব কিছুই ছিল ন্যয় সঙ্গত। আর তাই তারা বিনা দ্বিধায় সেসব সরল মনে লিপিবদ্ধ করে গেছে। যদি তারা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারত হাজার বছর পরে মহানবীর এসব কর্মকান্ডই তাকে নৈতিক মানদন্ডের কাঠগড়ায় দাড় করাবে তাহলে এসব ঘটনাবলী তারা কস্মিনকালেও লিপিবদ্ধ করত না।বিষয়টা মুমিন বান্দাদের যে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে তা বোঝা যায় তাদের কথা বার্তা ও কর্মকান্ডে। একদল কোরান-হাদিস ও সুন্নাহ হুবহু অনুসরন করার পক্ষে, আর এক দল পুরো হাদিস কে বাদ দিয়ে শুধু কোরান অনুসরন করার পক্ষে, এ ছাড়া আর এক দল আছে যারা হাদিসের মধ্যে যে সব স্ববিরোধাত্মক বা সমালোচনামূলক বিষয় আছে সেসবকে দুর্বল হাদিস বলে বাদ দেয়ার পক্ষে।অথচ সহি হাদিস বলে আমরা যা জানি- তা কিন্তু যারা লিপিবদ্ধ করে গেছে তা বহু রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমেই তারা করে গেছে, আর সেকারনেই সেগুলোকে সহি বা পরীক্ষিত বলা হয়। তা করতে গিয়ে হাজার হাজার হাদিস বাদ দিতে হয়েছে।এসব সহী হাদিসকেই মুমিন বান্দারা তের চৌদ্দশ বছর ধরে সত্য বলে বিশ্বাস ও পালন করে এসেছে , কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় নি।বর্তমান যুগে এসে যখন অমুসলিমরা সেসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে, অমনি কিছু মুমিন বান্দা তাদেরকে আর সহি হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকার করছে। অথচ তারা কিসের ভিত্তিতে সহি হিসাবে মেনে নিতে পারছে না , তার কোন যৌক্তিক কারন নেই। তাদের ভাবখানা এরকম যে- সেই কালের ইমাম বোখারী বা ইমাম মুসলিম বা আবু দাউদ এসব নিবেদিত প্রান মুসলমানদের চাইতে এখনকার বান্দারা বেশী ইসলাম বোঝে ও নবীর কার্যাবলী তারা বেশী জানে।কত সহজ সরল ভাষায় তারা এসব হাদিস সংরক্ষন করেছে তার প্রমান নিচের হাদিসটি-

জাবির থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী একজন নারীকে দেখলেন এবং সাথে সাথে তিনি তার অন্যতম স্ত্রী জয়নবের কাছে আসলেন যিনি তখন তার ত্বক রঙ করছিলেন এবং তার সাথে যৌনক্রীড়া করলেন। তারপর তিনি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলেন ও তাদের বললেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল। তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস- ৩২৪০

অত্যন্ত সহজ সরল ও প্রাঞ্জল বর্ননা। কোন রকম প্যাচগোছ বা লুকো ছাপার ব্যপার নেই।আর রূপক হিসেবে ধরার তো প্রশ্নই ওঠে না। রূপকের প্রসঙ্গ আসল একারনে যে , অনেক বিতর্কিত বক্তব্যকে রূপক হিসাবে ধরার একটা প্রবনতা ইদানিং লক্ষ্যনীয়।আর সুবহানআল্লাহ, কি অনুকরনীয় আচরনই না মহানবী আমাদেরকে সহজ সরল ভাষায় শিক্ষা দিচ্ছেন। আর বলা বাহুল্য, এ থেকে মহানবীর নিজের স্বভাব চরিত্রটাও ভাল করে বোঝা যায়। তিনি এমনই মানুষ ছিলেন যে রাস্তায় বের হয়ে কোন যুবতী নারী দেখলেই তার দেহে উত্তেজনার সৃষ্টি হতো আর তা প্রশমনের জন্য তিনি কাল বিলম্ব না করে তার ডজন খানেক স্ত্রীদের একজনের কাছে হাজির হতেন ও তার দেহের উত্তেজনা প্রশমন করতেন।মহানবীর এ ধরনের আচরন বা স্বভাব দেখে যদি বলা হয়, মোহাম্মদ ছিলেন একজন অতি মাত্রায় কামুক ব্যাক্তি, তাহলে কি ভূল বলা হবে ? ঠিক এই প্রশ্নটা করার জন্য হয়ত বহু ইমানদার মুমিন বান্দারা আমার ওপর তেড়ে আসবেন, বলবেন আমি মোহাম্মদের চরিত্রে কালিমা লেপন করছি।কিন্তু আমি কি কালিমা লেপন করলাম আর কিভাবেই বা করলাম এখনও বুঝতে অক্ষম। কারন আমি সহি মুসলিম হাদিসে যা পরিষ্কার ভাষায় বর্ননা করা হয়েছে ঠিক সেটাই বর্ননা করলাম সহজ সরল ভাষায়।তবে মনে হয় মুমিন বান্দাদের একটা ভাল যুক্তি আছে আর তা হলো –যেহেতু মোহাম্মদ রাস্তার ওপর একটা নারী দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন, এর পর তিনি তো উত্তেজিত অবস্থায় উক্ত নারীর ওপর ঝাপিয়ে পড়েন নি, বরং নিজের উত্তেজনা প্রশমন করার জন্য নিজ বিবাহিত স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন ও শরীরটাকে ঠান্ডা করেছেন।যা একটা খুব শালীন আচরন। অন্তত: উক্ত নারীটি ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পেল।কিন্তু এর সাথে সাথে তিনি যে কথা কয়টি বলছেন তা খুব গুরুত্ব পূর্ন।

প্রথমত: তিনি বলছেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল।

তার মানে আমাদের দ্বীনের নবী ,আল্লাহর প্রিয় দোস্ত মোহাম্মদের নিকট স্ত্রী লোক হলো শয়তান।আর এই শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিটি পুরুষ মানুষের কি করনীয় তাও তিনি সুন্দরভাবে বলে দিচ্ছেন-

তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার।

আহা মহানবীর কি মহান উপদেশ!এ থেকে আরও একটা বিষয় খুব পরিস্কার , তা হলো- সেই আরবের লোকগুলোর ও খোদ মোহাম্মদের মানসিক স্তর। যদি আজকের যুগে, মোহাম্মদ এসে হাজির হয়ে, নিজে একাজ করে পরে মানুষকে এ ধরনের উপদেশ দিতেন তাহলে মানুষরা তাকে কি নজরে দেখত? নিশ্চয়ই একজন প্রচন্ড কামুক মানুষ হিসাবেই চিহ্নিত করত আর তাকে আল্লাহর নবী হিসেবে মেনে নেয়া তো দুরের কথা, একটা অতি মাত্রার কামুক মানুষ হিসেবে তারা তাকে পরিত্যাগ করে চলে যেত। শুধু তাই নয় এর পর মোহাম্মদের পক্ষে সমাজে টিকে থাকাই মুস্কিল হতো।তাহলে প্রশ্ন জাগে সেই কালের আরবগুলো তাকে পরিত্যাগ করে নি কেন ? তার উত্তর একটাই- তাদের মন মানসিকতা ও মানসিক স্তর তো তাদের ওস্তাদ মোহাম্মদের মতই ছিল আর তাই তারা এটাকে মোটেও খারাপ কোন কিছু হিসাবে গন্য করেনি।

আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিযে করার জন্য অনুমতি দিলেন। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৩২৪৩

মহানবী আসলেই পুরুষ মানুষদের জন্য মহানই ছিলেন যার প্রমান উপরিউক্ত হাদিস।তিনি সেই আরবদের মন মানসিকতা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারতেন। তিনি বুঝতেন তার সঙ্গী সাথীদেরকে যদি যৌন ফুর্তি থেকে বঞ্চিত করা হয় তাহলে তারা তাকে ত্যাগ করে চলে যাবে। বিশেষ করে তিনি যখন কোন দলের সাথে নিজেই বের হতেন তখন তিনি কোন না কোন স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যেতেন, ফলে তার জন্য কোন সমস্যা হতো না। কিন্তু দলের অন্যরা তো সে সুযোগ পেত না। তাই তাদের সহজ সরল আর্জি – মোহাম্মদের নিকট, তাদের যেন যৌনানন্দ থেকে বঞ্চিত করা না হয়। দয়ার সাগর মহানবী সাহাবীদের দু:খ বুঝতে পারলেন আর সাথে সাথেই নিদান দিলেন- নারী ধর, এক বা দুদিনের জন্য বিয়ে কর, যত পার ফুর্তি কর, তারপর লাথি মেরে বিদায় কর।এটা বলা বাহুল্য, পতিতা বৃত্তিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ আবার প্রচার করা হচ্ছে- ইসলাম পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করেছে।একদিন বা দুদিনের জন্য বিয়ের নামে প্রহসন করে , তাদের সাথে যৌনানন্দ করে পরে তাদেরকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেয়া যদি পতিতাবৃত্তি না হয়, তাহলে পতিতা বৃত্তি কাকে বলে ? আহা , মহানবীর কি অসীম করুনা!আমাদের মহানবী জয়নাবকে পাওয়া ও তার সাথে শারিরীক ভাবে মিলিত হওয়ার জন্য কতটা উতলা ছিল তার প্রমান পাওয়া যায় নিচের হাদিসে:

আনাস বর্নিত: যখন নবী জয়নাবকে বিয়ে করলেন, নবী তার কিছু সাহাবীকে খানাপিনায় দাওয়াত করলেন, তারা আসল ও খাওয়া দাওয়া শেষে বসে গল্প গুজব শুরু করে দিল।নবী উঠে যাওয়ার উপক্রম করলেন কিন্তু লোকজনের তবুও যাওয়ার নাম নেই।তখন তিনি উঠেই পড়লেন, তা দেখে কিছু লোক উঠে চলে গেল কিন্তু কিছু লোক তারপরেও বসে থাকল।অত:পর ফিরে এসে যখন তিনি জয়নবের ঘরে ঢুকলেন , তখন লোকজন উঠে সব চলে গেল।বুখারী, বই-৭৪, হাদিস- ২৫৬

খুব সহজ সরল ভাষায় বর্ননা, কোন রাখ ঢাক নেই।জয়নাবকে যেদিন মোহাম্মদ বিয়ে করেন সেদিন বৌভাত উপলক্ষ্যে তার বিভিন্ন সাহাবীদেরকে খানা পিনায় দাওয়াত করেন।লোকজন এসে খাওয়া দাওয়া করে সবাই চলে না গিয়ে কিছু লোক বসে বসে গল্প গুজব করতে থাকে।লোকজন বসে গল্প গুজব করতে থাকায় মোহাম্মদ জয়নাবের ঘরে ঢুকতে পারছেন না, কারন তার আর তর সইছে না।অনেক ঝড় ঝঞ্ঝার পর তিনি জয়নাবকে তার ফুলশয্যায় পেয়েছেন। আর তাই তিনি বিরক্ত হচ্ছেন।তিনি এমনও ভাব দেখালেন যে তিনি উঠে পড়ছেন কিন্তু তার পরও লোকজনদের হুশ নেই- বোঝাই যাচ্ছে জয়নাবের কাছে যাওয়ার জন্য কি পরিমান ব্যকুল তিনি হয়ে পড়েছিলেন।তবে লোকজনকে দোষ দেয়া যায় না। কারন তারা তো মোহাম্মদের মনের খবর জানত না। অন্য কোন নারী হলে হয়ত তারা বর-বউয়ের মিলনের সুযোগ দিয়ে চলে যেত। কিন্তু তারা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারে নি যে মোহাম্মদ তার পালিত পুত্রবধূ জয়নাবের জন্য আগে থেকেই কেমন উতলা হয়ে আছেন।আমি জানিনা কোন মুমিন বান্দা এটাকে আবার কোন রূপক বলে ব্যখ্যা বা অন্যভাবে ব্যখ্যা করে কি না।যদি কেউ তা করতে চায় তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।তবে একটা ব্যখ্যা থাকতে পারে : বিয়ে করার পর সব স্বামী তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে, মোহাম্মদ যদি সেটা করে থাকেন তাতে অসুবিধা কি হলো।যথার্থ ব্যখ্যা।কিন্তু সমস্যা হলো- ঐ যে জয়নাব তো আর অন্য কোন সাধারন নারী না, সে হলো মোহাম্মদের নিজের পালিত পূত্র জায়েদের প্রাক্তন স্ত্রী,যার সাথে মোহাম্মদ আল্লাহর নির্দেশে পরকীয়া প্রেম শুরু করেন।অথচ মোহাম্মদকে আবার পরকীয়া প্রেমের দায়ে দায়ী করতে চায়না সাচ্চা মুমিন বান্দারা বরং বলতে চায় এটা ছিল মোহাম্মদের একটা বৈপ্লবিক সংস্কার । আসলে যে মোহাম্মদ জয়নাবের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েই কাজ টি করেছেন ও এর পিছনে কোন সংস্কারের পরিকল্পনা ছিল না , বরং ঠেলায় পড়ে পরে ওহীর মাধ্যমে এ ধরনের অসামাজিক ও অনৈতিক রিপুতাড়িত কাজকে জায়েজ করতে হয়েছে তা তাদেরকে কোরান হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝালেও বুঝতে চায় না।আর মোহাম্মদের রতিক্রিয়ায় শক্তিমত্তার প্রমানও পাওয়া যায় নিচের হাদিসে:

কাতাদা বর্নিত: আনাস ইবনে মালিক বলেন, “ নবী দিনে রাতে পালাক্রমে তার স্ত্রীদের সাথে মিলিত হতেন,আর তার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল এগার।আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম- “ নবীর কি এত শক্তি ছিল ?” আনাস উত্তর দিলেন-“ আমরা শুনেছি নবীর শক্তি ছিল ত্রিশজন মানুষের সমান”। বুখারি, বই-০৫, হাদিস-২৬৮

মারহাবা, দ্বীনের নবী!রতিক্রিয়ায় এ বিশ্বজগতে আপনার সমান কেউ নেই, ছিলও না কেউ কোন কালে, সত্যিই আপনি অসাধারন ও অনন্য। আল্লাহ আপনাকে অসীম শক্তি দিয়েছেন।আর সেকারনেই আপনার দরকার ডজনেরও বেশী স্ত্রী, আর ততোধিক দাসী।কারন আপনি যখন তখন উত্তেজিত হয়ে পড়েন আর তখন যে কোন একজন স্ত্রীকে আপনার জন্য রেডি থাকতে হবে। একজন স্ত্রী থাকলে তো সে আপনার কাম যন্ত্রনার সময় মাসিক পিরিয়ডের মধ্যে থাকতে পারে।তাই কাম যন্ত্রনায় মহানবী কষ্ট পাবেন এমন কষ্ট তো পরম করুনাময় আল্লাহ আপনাকে দিতে পারেন না।সুবহানাল্লাহ।এখানে এটাও একটা বড় প্রশ্ন- পালাক্রমে রাত দিন এগার জন স্ত্রীর সাথে সহবত করার পর ধর্ম প্রচারের সময় উনি কখন পেতেন ?

উক্ত হাদিস থেকে পরিস্কার বোঝা যায়, যেমন ছিল তার সাহাবীরা তেমনি ছিলেন মোহাম্মদ। যোগ্য লোকের যোগ্য সাথী। ওস্তাদের সাথে শিষ্যদের যৌনতা নিয়ে এমনতর প্রকাশ্য আলাপ ইতোপূর্বে আর কোন ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে আমরা দেখি নি।আর এখানেই মহানবী মোহাম্মদের মাহাত্ম, তার বিশেষত্ব।যীশু,বুদ্ধ,চৈতন্য এদের জীবনী থেকে জানি কেউ রিপু তাড়নায় তাড়িত হয় নি।যীশু বিয়ে করেন নি, বুদ্ধ ও চৈতন্য বিয়ে করেও স্ত্রী ফেলে রেখে তারা মহত্বের সন্ধানে বের হয়ে পড়েন।আর কৃষ্ণের কথা বলা হয়- তার ছিল ষোল হাজার গোপী বা স্ত্রী। সে তাদের সাথে লীলা করত। কিন্তু এমনতর কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া যায়নি যে কৃষ্ণ বলে সত্যি কেউ কোন কালে ছিল।পৌরাণিক চরিত্র হিসাবে গণ্য করে তাকে আলোচনা থেকে অব্যহতি দেয়া যেতে পারে।ব্যতিক্রম শুধু আমাদের মহানবী।আল্লাহ তাকে ৩০ টা পুরুষের সমকক্ষ করে তৈরী করেছেন।তাই তার ১৩টা স্ত্রী আর সমসংখ্যক দাসী লাগে । আর কিছু অন্ধ বিশ্বাসী প্রমান করার জন্য উঠে পড়ে লাগে তার বহু বিবাহ ছিল অসহায় নারীদেরকে সমাজে সম্মানের সাথে ঠাই দেয়ার জন্য আর কোনটা নাকি ছিল রাজনৈতিক কারনে।দ্বীনের নবীর দয়ার সীমা নাই,তাই বিধবা নারী বিবাহেও তার ক্লান্তি নাই, ভাগ্য ভাল তিনি আরবদেশের সব গুলো বিধবাকে বিয়ে করেননি।খাদিজা মারা যাওয়ার সময় মোহাম্মদের বয়স ছিল পঞ্চাশ, তার মানে বাকী ১২ টা বিয়ে তিনি করেছিলেন বাকী ১৩ বছরের মধ্যে, কারন ৬৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।।আরও বছর দশেক বাঁচলেই সম্ভবত: আরবের সবগুলো বিধবাসহ কিছু নাবালিকাও বিয়ে ফেলতেন আর তখন তার সাহাবীরা বিয়ের জন্য কোন নারী খুজে পেত না, আল্লাহ বিষয়টি বুঝতে পেরেই দ্রুত তাকে দুনিয়া থেকে তুলে নিয়ে যায়।আল্লাহ মোহাম্মদের মনের কথা বুঝতে পেরেছিল মনে হয়, আর এও বোধ হয় বুঝতে পেরেছিল যে- ওহী নাজিলের মাধ্যমে তার বিয়ে করা বন্দ করার বিধান জারী করলেও মোহাম্মদ মনে হয় তা কেয়ার করতেন না , সেই ভয়ে তিনি তাকে তাড়াতাড়ি তার কাছে নিয়ে যান। নিচের আয়াতটি দেখা যাক-

হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। সূরা আততাহরিম ৬৬: ১-২

বিষয়টি কি ? আল্লাহ নবীর জন্য কি হালাল করেছে? আল্লাহ নবীর জন্য দাসী নারীদের সাথে বিয়ে বহির্ভুত যৌনকাজ হালাল করেছে। আল্লাহ নিচের আয়াতের মাধ্যমে তা হালাল করেছে-

হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন——- ।কোরান, ৩৩: ৫০
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন———-। কোরান, ৩৩: ৫২

(Waqidi has informed us that Abu Bakr has narrated that the messenger of Allah (PBUH) had sexual intercourse with Mariyyah in the house of Hafsah. When the messenger came out of the house, Hafsa was sitting at the gate (behind the locked door). She told the prophet, O Messenger of Allah, do you do this in my house and during my turn? The messenger said, control yourself and let me go because I make her haram to me. Hafsa said, I do not accept, unless you swear for me. That Hazrat (his holiness) said, by Allah I will not contact her again. Qasim ibn Muhammad has said that this promise of the Prophet that had forbidden Mariyyah to himself is invalid – it does not become a violation (hormat). [Tabaqat v. 8 p. 223 Publisher Entesharat-e Farhang va Andisheh Tehran 1382 solar h (2003) Translator Dr. Mohammad Mahdavi Damghani])
(Also it is reported that the Prophet had divided his days among his wives. And when it was the turn of Hafsa, he sent her for an errand to the house of her father Omar Khattab. When she took this order and went, the prophet called his slave girl Mariyah the Copt who bore his son Ibrahim, and who was a gift from the king Najashi and had sexual intercourse with her. When Hafsa returned, she found the door locked. So she sat there behind that locked door until the prophet finished the business and came out of the house while pleasure[?] was dripping from his face. When Hafsa found him in that condition she rebuked him saying you did not respect my honor; you sent me out of my house with an excuse so you could sleep with the slave girl. And in the day that was my turn you had intercourse with someone else. Then the Prophet said, be quiet for although she is my slave and halal to me, for your contentment I at this moment make her haram to myself. But Hafsa did not do this and when the Prophet went out of her house she knocked at the wall that separated her room from that of Aisha and told her everything. She also gave the glad tiding about what the Prophet had promised about making Mariyah haram to himself. [Published by Entesharat-e Elmiyyeh Eslami Tehran 1377 lunar H. Tafseer and translation into Farsi by Mohammad Kazem Mo’refi])

কি এমন ঘটনা ঘটল যে হঠাৎ মোহাম্মদ তার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্য দাসীর সাথে যৌন কাজকে হারাম করছেন? গুরুত্বপূর্ন বিষয়।আসলে ঘটনাটা এরকম।মিশরের বাদশা থেকে মোহাম্মদ মারিয়া নামে একটা দাসী উপহার পেয়েছিলেন যে ছিল দারুন যৌনাবেদনময়ী দেহ বল্লরীর অধিকারী।একদিন মোহাম্মদ তার অন্যতম স্ত্রী হাফসা( ওমরের মেয়ে) কে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দেন এই বলে যে – ওমর তাকে দেখা করতে বলেছে ও পরে তার ঘরে মারিয়ার সাথে মিলিত হন।হাফসা বাপের বাড়ী গিয়ে দেখে ওমর বাড়ী নেই, সাথে সাথে সে ফিরে আসে আর এসেই দেখে তার ঘরে তার বিছানায় তার স্বামী প্রবর আল্লাহর নবী শ্রেষ্ট মানুষ মোহাম্মদ তার এক দাসি মারিয়ার সাথে মৌজে ব্যস্ত আছেন ও তা দেখে হাফসা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে।অথচ সেদিন হাফসার সাথে থাকার পালা ছিল মোহাম্মদের। তো খোদ হাফসার ঘরে মারিয়ার সাথে দেহ মিলনের ব্যপারটা অবশ্যই হাফসার সাথে একটা বিশ্বাসঘাতকতার পর্যায়ে পড়ে অথবা কম পক্ষে হাফসার জন্যে ছিল সেটা অসম্মানজনক। আর হাফসা ছিল ওমরের কন্যা ও তার পিতার মতই তেজস্বীনি।মোহাম্মদের সাথে অনেক কথা কাটাকাটি হয়, হাফসা ঘটনাটা অন্য সব সতীনদেরকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।আল্লাহর নবী সম্মান হানির হুমকির মুখে পড়ে যান।তাই অনেক অনুনয় বিনয় করে তিনি হাফসার কাছে এই বলে প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি আর কোন দাসী বাদির সাথে যৌন সংসর্গ করবেন না।কিন্তু এটা ছিল একটা উপস্থিত ছলনা মাত্র।আপাতত হাফসার মুখ বন্দ করার কৌশল। ভিতরে ছিল অন্য কথা। মানুষের রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘ যেমন বার বার মানুষের ওপর হামলে পড়ে, কোনমতেই তাকে ফেরানো যায় না, মোহাম্মদও ইতোমধ্যে সুন্দরী যৌবনবতী মারিয়ার দেহ বল্লরীর স্বাদ পেয়ে গেছেন, তিনি কি অত সহজে তাকে ত্যাগ করবেন? কিন্তু তিনি তো প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছেন হাফসার কাছে। প্রতিজ্ঞাও তো ভঙ্গ করা যায় না।তাহলে তার নবীগিরির ভবিষ্যত খারাপ হতে পারে। আসলে হাফসা কিন্তু এমন কান্ড করেছিল যাতে মোহাম্মদের নবীয়ত্বের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছিল। হাফসা ঘটনাটা তার সব সতীনদেরকে জানিয়ে দিয়েছিল।মোহাম্মদ দেখলেন সমূহ বিপদ।অত্যন্ত প্রখর বুদ্ধির অধিকারী মোহাম্মদ কাল বিলম্ব না করে আর এক অভিনয় শুরু করলেন। কথা নেই বার্তা নেই তিনি সকল স্ত্রীদের কাছ থেকে দুরে দিন যাপন করতে লাগলেন আর হুমকি দিতে থাকলেন যে তিনি তাদের সবাইকে তালাক দিয়ে দেবেন।আর ঠিক সেই মুহুর্তেই অসীম দয়ালু আল্লাহ তার প্রিয় দোস্ত মোহাম্মদের মন ও দেহের জ্বালা জুড়ানোর জন্য জিবরাইল মারফত অতি দ্রুত পাঠিয়ে দেয় উক্ত ৬৬: ১-২ আয়াত। অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় এখানে আল্লাহ বলছেন- দাসীদেরকে তোমার বা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, তাই তুমি এ বিষয়ে তোমার স্ত্রীর কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছ তা পালন করার তোমার দরকার নেই। অর্থৎ তুমি যখন খুশী যেখানে খুশী তোমার দাসীর সাথে সঙ্গম করতে পার, কোন অসুবিধা নেই।আহা, মহানবীর প্রতি দয়াল আল্লাহর কি অপরিসীম করুনা! তার প্রতি আল্লাহর দয়া ও করুনা এতটাই বেশী যে তিনি কোন প্রতিজ্ঞা করলেও তা রক্ষা করার দায় তার নেই। যে কোন সময়ই তিনি তা ভঙ্গ করতে পারেন।উক্ত ৬৬:১-২ আয়াত কিন্তু আরও একটা বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলছে যা অতীব গুরুত্বপূর্ন। তা হলো- স্ত্রীকে খুশী করার কোন দায় স্বামীর নেই।তাই আল্লাহ বলছে- হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? তার মানে ইসলামে নারীদের মর্যাদা দেয়ার ব্যপারে যেসব মনগড়া কথা বার্তা বলা হয় তার কোন ভিত্তি নেই যা আল্লাহর ভাষাতে একদম পরিষ্কার।স্বামী প্রবর যা ইচ্ছে খুশী করে বেড়াবে, দাসী বাদির সাথে স্ত্রীর সামনেই যৌনক্রিড়া করবে, স্ত্রীর বলার কিছু নেই। একজন স্ত্রীকে এর চাইতে আর কোনভাবেই বেশী অপমান করা যায় না। যদি কোন মুমিন বান্দাকে প্রশ্ন করা হয়- ইসলাম নারীকে কিভাবে মর্যাদা দিল? তাদের প্রথম বক্তব্যই হলো- হাদিসে বলা আছে- মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত।আর সেই মায়ের সামনে তার বাপ দাসী বাদী বা অন্য আর ৩ টা স্ত্রীর সাথে রঙ্গ ঢঙ্গ করবে বা সন্তানের সামনেই তার বাপ তার মা কে সামান্য কারনে মারধোর করবে, লাথি উষ্টা মারবে( যা আল্লাহর বিধান, আয়াত: ০৪: ৩৪) , আর তাতে তার মায়ের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে না।এসব মুমিন বান্দাদের বুদ্ধি এতটাই ভোতা যে-
তারা বুঝতে অক্ষম নারীর প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় তার সাথে তার সন্তানের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং তা নির্ধারিত হয় তার স্বামীর সাথে সম্পর্কের ভিত্তিতে।তারা এটাও বুঝতে অক্ষম যে – মা ও সন্তান- এটা সম্পূর্ন ভিন্ন একটা সম্পর্ক। এ সম্পর্ক দিয়ে মা বা সন্তান কারোরই মর্যাদা নির্ধারন করা যায় না।অথচ তোতা পাখীর মত এ উদাহরন তারা আউড়ে চলে অবিরল।

উপরিউক্ত মারিয়া সংক্রান্ত ঘটনা প্রমান করে মোহাম্মদ প্রয়োজনে মিথ্যা বলতেন। মারিয়ার সাথে মৌজ করার জন্য তিনি হাফসাকে মিথ্যা কথা বলে ওমরের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।আহা সত্যবাদী মহানবী মোহাম্মদ! অন্য সাধারন বিষয়ে মিথ্যা বলার হয়ত তার দরকার পড়ত না, কিন্তু তার পরও প্রয়োজন হলে তিনি মিথ্যা বলতেন ও অন্যকে মিথ্যা বলার অনুমতিও দিতেন।যেমন নিচের হাদিস-

জাবির বিন আব্দুল্যা বর্নিত- আল্লাহর নবী বললেন – “ আল্লাহ ও তার নবীকে অবমাননাকারী কা’ব বিন আল আশরাফ কে খুন করার জন্য কে ইচ্ছুক?” এ কথায় মোহাম্মদ বিন মাসলামা উঠে দাড়িয়ে বলল-“ হে আল্লাহর নবী, আপনি কি চান আমি তাকে খুন করি ?” মোহাম্মদের উত্তর-“হ্যা”। মোহাম্মদ বিন মাসলামা তখন বলল-“ তাহলে আমাকে যে কেন একটা মিথ্যা অজুহাত বলার অনুমতি দিন”।নবী বললেন – “ তুমি সেটা বলতে পার”। সহী বুখারী, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯

খুব পরিস্কারভাবে দ্বীনের নবী আল আমীন বলে খ্যাত মোহাম্মদ তার সাগরেদকে একজন মানুষকে খুন করার জন্য মিথ্যা বলার অনুমতি দিচ্ছেন।আর কেন তিনি খুন করার অনুমতি দিচ্ছেন? আর কিভাবে মাসালামা কা’ব- কে খুন করে তার বিস্তারিত বিবরন নিম্নে-

Narrated Jabir Abdullah:
Allah’s messenger said “Who is willing to kill Ka`b bin al-Ashraf who has hurt Allah and His apostle?” Thereupon Maslama got up saying, “O Allah’s messenger! Would you like that I kill him?” The prophet said, “Yes”. Maslama said, “Then allow me to say a (false) thing (i.e. to deceive Ka`b). The prophet said, “You may say it.”
Maslama went to Ka`b and said, “That man (i.e. Muhammad) demands Sadaqa (i.e. Zakat) [taxes] from us, and he has troubled us, and I have come to borrow something from you.” On that, Ka`b said, “By Allah, you will get tired of him!” Maslama said, “Now as we have followed him, we do not want to leave him unless and until we see how his end is going to be. Now we want you to lend us a camel load or two of food.” Ka`b said, “Yes, but you should mortgage something to me.” Maslama and his companion said, “What do you want?” Ka`b replied, “Mortgage your women to me.” They said, “How can we mortgage our women to you and you are the most handsome of the Arabs?” Ka`b said, “Then mortgage your sons to me.” They said, “How can we mortgage our sons to you? Later they would be abused by the people’s saying that so and so has been mortgaged for a camel load of food. That would cause us great disgrace, but we will mortgage our arms to you.”
Maslama and his companion promised Ka`b that Maslama would return to him. He came to Ka`b at night along with Ka`b’s foster brother, Abu Na’ila. Ka`b invited them to come into his fort and then he went down to them. His wife asked him, “Where are you going at this time?” Ka`b replied, None but Maslama and my (foster) brother Abu Na’ila have come.” His wife said, “I hear a voice as if blood is dropping from him.” Ka`b said, “They are none by my brother Maslama and my foster brother Abu Na’ila. A generous man should respond to a call at night even if invited to be killed.”
Maslama went with two men. So Maslama went in together with two men, and said to them, “When Ka`b comes, I will touch his hair and smell it, and when you see that I have got hold of his head, strike him. I will let you smell his head.”
Ka`b bin al-Ashraf came down to them wrapped in his clothes, and diffusing perfume. Maslama said, “I have never smelt a better scent than this.” Ka`b replied, “I have got the best Arab women who know how to use the high class of perfume.” Maslama requested Ka`b “Will you allow me to smell your head?” Ka`b said “yes.” Maslama smelt it and made his companions smell it as well. Then he requested Ka`b again, “Will you let me (smell your head)?” Ka`b said “Yes”. When Maslama got a strong hold of him, he said (to his companions) “Get at him!” So they killed him and went to the prophet and informed him.”সহী বুখারী, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯

এ ঘটনা পড়লে বোঝা যায় মোহাম্মদ তার বিরুদ্ধে সামান্যতম সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন না, ঠিক যেমন পারত না আধুনিক যুগের স্বৈরাচারী একনায়ক শাসকরা- হিটলার, মুসোলিনি, স্টালিন এরা। আমাদের দেশের শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমান বা এরশাদ এরাও ছিল অনেকটা স্বৈরাচারী একনায়ক।এসব স্বৈরাচারী একনায়করা যেমন তাদের সমালোচনাকারীদেরকে জীবনে শেষ করে দিত, আমাদের আল্লাহর নবী ঠিক একই কায়দা অনুসরন করতেন।এ কেমন আল্লাহর নবী যিনি তার বিরুদ্ধে সামান্যতম সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন না ? তার সত্য ধর্ম ইসলাম কি এতই ঠুনকো যে তা সামান্য সমালোচনাতেই উবে যেত? আর তার আল্লাহ কেমন দয়ালু যে সামান্য সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতাও সে মোহাম্মদকে দেয় নি ? আর এ কেমন মহানবী যে তার সমালোচনাকারীকে খুন করতে তাকে প্রয়োজনে মিথ্যা বা প্রতারনার আশ্রয় নিতে হয় ? তিনি নাকি আবার আল আমীন মানে সত্যবাদী? আল্লাহ কি এতই ভীত যে তার সামান্য সমালোচনা করলে তার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে ?

এত সব বিচার বিশ্লেষণ করলে আমাদের মনে প্রশ্ন উদিত হওয়া স্বাভাবিক যে মোহাম্মদের নামে আমরা এতদিন যা শুনেছি তা কি আসলে সত্য নাকি মিথ? বিগত ১৪০০ বছর ধরে তাকে ও তার ইসলাম নিয়ে সত্যিকার অর্থে ব্যাপক কোন গবেষণা হয় নি, তার প্রয়োজনও পড়েনি, যে কারনে তার জীবনের অনেক সত্য জিনিস সাধারন মানুষের নজরে আসেনি, তাই তিনি রয়ে গেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে।মাঝে মাঝে কেউ যদি সামান্য চেষ্টা করেছে, তাকে মোহাম্মদের দেখানো কায়দায় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, যে প্রক্রিয়া আজও বিদ্যমান।আর একারনে মুসলমানদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তারা শত শত বছর পিছিয়ে পড়েছে জ্ঞান- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, দর্শন , রাজনীতি সর্ব ক্ষেত্রেই।পক্ষান্তরে, অমুসলিমরা এগিয়ে গেছে বহুদুর, যা আবার মুসলমানদের মধ্যে একটা হীনমন্যতা বোধের সৃষ্টি করেছে।এ হীনমন্যতা বোধ থেকেই ইসলামের অনুসারী কিছু উগ্র ও অন্ধ মানুষ গোটা সভ্যতাকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিয়ে ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক সভ্যতার সব কিছুই যে শুদ্ধ তা কোনভাবেই বলা যায় না। অনেক কিছুই হয় ত শুদ্ধ নয়, ছিলও না কখনো আগে, কিন্তু মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে সেগুলোকে সংশোধন করে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।তার পর হয়ত এমন একদিন আসবে যখন মানুষ এ নীল গ্রহ ছেড়ে মহাবিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে, সভ্যতাকে ছড়িয়ে দেবে মহাবিশ্বের আনাচে কানাচে। মানুষের বিজয়বার্তা ধ্বনিত হবে বিশ্বের অন্যত্র। এমন বিপুল সম্ভাবনাময় মানব সভ্যতাকে কোন অন্ধ ও বদ্ধ আদর্শ দ্বারা কলুষিত ও ধ্বংস হয়ে যেতে দেয়া যায় না কোন মতেই।আমরা তা হতে দেব না। বিজয় আমাদের হবেই।

মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-২
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-৩