দ্বীনের নবী মোহাম্মদ যার জীবন আদর্শ সারা জাহানের সব মানুষের জন্য সব সময় অনুকরনীয়,এহেন দ্বীনের নবী মাত্র ২৫ বছর বয়েসে ৪০ বছর বয়েসের বিবি খাদিজাকে বিয়ে করেন নিজের দারিদ্র থেকে রেহাই পেতে।বলাই বাহুল্য, একটা টগবগে তরুনের জন্য বিশেষ করে রিপু তাড়িত আরবীয় মানুষের জন্য তা অত্যন্ত বেমানান কারন সেই তখনকার সময়। এমনকি বর্তমান সময়েও আরবদের রিপু তাড়নার তীব্রতা সবিশেষ লক্ষ্যনীয় তাদের জীবন আচরনে।কিন্তু উপায় নেই। মোহাম্মদ অন্য আরবদের মত শৌর্য বীর্যের অধিকারী নয়, তারপর আবার সহায় সম্বলহীন এক এতিম। দুইবার বিবাহিতা প্রায় প্রৌঢ় খাদিজার ব্যবসায়ে খাদেমের কাজ করতে আসা তরুন মোহাম্মদের প্রতি নজর পড়ে খাদিজার, বিয়ের লোভনীয় প্রস্তাব পেশ করে সে এই আশায় যে হত দরিদ্র এতিম মোহাম্মদের কাছে আর্থিক সচ্ছলতা পাওয়ার এর চাইতে ভাল কোন বিকল্প নেই সেই কঠিন আরব দেশে। বলাই বাহুল্য, খাদিজার অনুমান শত ভাগ সত্য ছিল।প্রায় প্রৌঢ় কালে জোয়ান স্বামী, এর চাইতে বেশী কি চাওয়ার থাকতে পারে একটা নারীর কাছে।বিষয়টি এভাবেও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যে, মোহাম্মদ এতই উদার ও মহান হৃদয় ব্যাক্তি ছিলেন যে তার কাছে খাদিজার বয়স কোন বাধা হয়ে দাড়ায়নি। এখন কেমন উদার ও মহান ছিলেন তার একটু ব্যখ্যা করা যেতে পারে।

প্রথমেই আমরা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নজীর নিয়ে আলোচনা করতে পারি।যদি আমরা মোহাম্মদের জীবনকে পুংখানুপুংখ রূপে বিচার করি তাহলে দেখব অন্য যে কোন মানুষের চেয়ে তিনি খাদিজার কাছেই সব চেয়ে বেশী ঋণী। কারন খাদিজাকে বিয়ে করার পরই তার দারিদ্র ঘোচে, খাদিজা তার পুরো ব্যবসার দায়িত্ব মোহাম্মদের ওপর অর্পন করে। আর মোহাম্মদের নবুয়ত্বের প্রথম বিশ্বাসী ব্যাক্তি হলেন খাদিজা যা তাকে আল্লাহর পয়গম্বর হতে উৎসাহিত করে। হাদিসে বর্নিত আছে- হেরা গুহায় জিব্রাইল ফিরিস্তা মোহাম্মদকে আল্লাহর ওহী শুনিয়ে যাওয়ার পর মোহাম্মদ মনে করেছিলেন কোন অশুভ আ ত্মা বা ভুত বা প্রেত তাকে আশ্রয় করেছে। এমন অবস্থায় একমাত্র খাদিজাই মোহাম্মদকে আশ্বস্ত করে যে ভুত বা প্রেত নয় বরং আল্লাহর শুভ দৃষ্টি তার ওপর পতিত হয়েছে। বিষয়টি আরও নিশ্চিত করার জন্য সে মোহাম্মদকে তার চাচাত ভাই নওফেলের কাছে নিয়ে যায় ও নওফেল তাকে নিশ্চিত করে যে যে ফিরিস্তা আগে নবীদের কাছে আসত সেই ফিরিস্তাই মোহাম্মদের কাছে এসেছিল। এর পর থেকেই মোহাম্মদের নবুয়ত্ব শুরু ও ইসলামের পত্তন ঘটে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে- বিবি খাদিজা যদি মোহাম্মদকে সেই রাতের বেলা আশ্বস্ত না করত বা তাকে নওফেলের কাছে নিয়ে না যেতো তাহলে মোহাম্মদকে ভুতে পাওয়া রোগী হয়েই সারা জীবন থাকতে হতো ( কারন এর পর থেকেই মোহাম্মদকে প্রায়ই ভুতে পেত ও এ ঘটনাকে তিনি আল্লাহর ওহি আসার ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতেন), নবী হওয়া আর হয়ে উঠত না, মানব জাতিও ইসলাম নামের অমানবিক ও বর্বর ধর্ম থেকে চিরতরে রেহাই পেত।এভাবে বিচার করলে মোহাম্মদের সব চাইতে বেশী কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত খাদিজার প্রতি, পক্ষান্তরে খাদিজা মোহাম্মদকে নবী হিসাবে বিশ্বাস করে ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করার কারনে মানব সভ্যতার জন্য সীমাহীন ক্ষতির জন্য দায়ী। অথচ আমরা দেখি খাদিজার প্রতি মোহাম্মদ ন্যুনতম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন নি, বরং যত প্রকারে পারা যায় খাদিজাকে অসম্মান ও অমর্যাদা করেছেন পরোক্ষভাবে। কারন খাদিজার অর্থের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থেকে সরাসরি তাকে অমর্যাদা করার সাহস ও শক্তি কোনটাই তার খাদিজা বেঁচে থাকতে ছিল না। কিভাবে মোহাম্মদ খাদিজাকে অসম্মান করেছে তার কিছু বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।

খাদিজা মোহাম্মদকে ভালবেসে বিয়ে করে তার সব সম্পদ মোহাম্মদকে বিলিয়ে দিয়েছিল।খাদিজা মোহাম্মদের নবুয়ত্বের প্রথম বিশ্বাসী ও সমর্থনকারী।খাদিজা বেঁচে থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ মক্কাতেই সমস্ত সময় কাটিয়েছেন ও সে সময়ে তার কোন প্রভাব প্রতিপত্তি সেখানে একেবারেই প্রতিষ্ঠিত হয় নি।খাদিজা ও মোহাম্মদের চাচা আবু তালিব মারা যাওয়ার পর মক্কাতে থাকাটা যখন মোহাম্মদের জন্য নিরাপদ বা সুখকর স্থান হিসাবে আর ছিল না তখন তিনি তার দল বল সহ মদিনাতে প্রবাসী হন ও সেখানে বিভিন্ন কারনে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়।এর পরেই তার ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে শুরু হয় নারী লিপ্সা যার ফলশ্রুতিতে তিনি শুরু করেন একের পর এক বিয়ে।মদিনাতে হিজরতের পর থেকে তিনি মোট তের বছরের মত বেঁচে ছিলেন আর এ সময়কালে তিনি বিয়ে করেন মোট ১২ টা, গড়ে প্রতি বছর একটি করে।ইসলামিষ্টরা তার এ সব বিয়ে করার নানা কারন প্রদর্শন করে থাকে , কিন্তু তার এ এক ডজন বিয়ে কখনই খাদিজার প্রতি মোহাম্মদের মর্যাদা প্রদর্শন বা ভালবাসা প্রদর্শনের নমুনা হতে পারে কি না তা বিচার্য।দ্বীন দুনিয়ার শেষ ও শ্রেষ্ট নবী যার জীবনাদর্শ জগতের শেষ দিন পর্যন্ত সবাইতে অনুসরন করার কথা বলা হয়েছে, তিনি প্রৌঢ় বয়েসে ( ৫১ বছরের পর) একের পর এক শিশু ( ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেন, আয়শার বয়স যখন ৯ বছর তখন মোহাম্মদ তার সাথে স্বামী স্ত্রীর মত সংসার শুরু করেন) থেকে যুবতী বয়েসের এক ডজন নারীকে বিয়ে করে তাদের সাথে পালা ক্রমে রাত কাটাচ্ছেন, এটা আর যাই হোক কোন মহান মানুষের কর্ম হতে পারে না , একই সাথে এটা হতে পারে না মোহাম্মদের খাদিজার প্রতি সম্মান বা কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন।যদি ধরে নেয়া হয় যে , বহুবিবাহ বা শিশু বিবাহ সেই আরব সমাজের ঐতিহ্য ছিল, সেকারনে মোহাম্মদের এসব কর্মকান্ডকে নিন্দনীয় বলা যাবে না , তাহলে প্রশ্ন হলো- তার জীবনাদর্শ কিভাবে সকল সময়ের জন্য সব মানুষের জন্য আদর্শ হয় ? একজন মানুষের আচার আচরন সকল সময়ের জন্য অনুসরনীয় হতে পারে যদি তার আচার আচরন সকল যুগের ঐতিহ্যের পরীক্ষায় পাশ করে তাহলে। বর্তমান ঐতিহ্য হলো- এক স্বামী ও এক স্ত্রী এবং শিশু বিয়ে করে তাদেরকে বলৎকার না করা।শুধু তাই নয়, শিশু বিয়ে করা বর্তমানে প্রতিটি সভ্য দেশে একটি মারাত্মক দন্ডনীয় অপরাধ, আর শিশুকে বিয়ে করে তাকে বলৎকার করা তো প্রায় মৃত্যু দন্ডতূল্য অপরাধ। বর্তমান এ ঐতিহ্য যদি আদর্শ না হয় তাহলে বলতে হবে- সর্বকালীন আদর্শ ঐতিহ্য হলো- বহু বিবাহ ও শিশু বিয়ে করে তাদেরকে বলৎকার করা আর যেটা স্বয়ং নবী তার জীবনে বাস্তবায়ন করে গেছেন।মোহাম্মদের এহেন কর্মকান্ডের খারাপ পরিনতি বিবেচনা করে ইদানিং কিছু ইসলামী পন্ডিত উঠে পড়ে লেগে গেছে তার এসব বিয়ের জন্য অতীব জরুরী কিছু কারন ছিল। আর শিশু আয়শাকে বিয়ে করার বিষয় যে কোনভাবেই যুক্তি সিদ্ধ করা যায় না তা উপলব্ধি করে ইদানিং কেউ কেউ আয়শার বয়স বেশী ( যেমন বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৭ ) প্রমান করার জন্য নানা রকম আজগুবি তথ্য ও ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছে, আর বলা বাহুল্য তার কোনটাই ধোপে টিকছে না। বরং এ ধরনের প্রচেষ্টা যতই করা হচ্ছে- মোহাম্মদের আসল চরিত্র ক্রমশ: ফুটে উঠছে। নিম্নে মোহাম্মদের স্ত্রীদের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হলো-

(১)খাদিজা- বয়স্ক বিধবা, এতিম ও হত দরিদ্র মোহাম্মদ দারিদ্র থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধনী ব্যবসায়ী বিধবা খাদিজাকে মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
(২)সওদা- বয়স্ক বিধবা মহিলা। খাদিজা মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদের যে বাচ্চা কাচ্চা ছিল তা দেখা শোনা করার জন্য কেউ ছিল না। মূলত: সেকারনেই মোহাম্মদ সওদাকে বিয়ে করেন। কারন মোহাম্মদ তখনও মক্কাতে বাস করতেন ও তখনও মোহাম্মদের এমন কোন প্রভাব প্রতিপত্তি মক্কাতে ছিল না যাতে তিনি বংশীয় একজন যুবতী নারীকে বিয়ে করতে পারতেন।
(৩)আয়েশা বিনতে আবু বকর- আবু বকরের মেয়ে। ৬ বছরের বাচ্চা আয়শাকে মোহাম্মদ তার ৫১ বছর বয়েসে বিয়ে করেন নানা রকম ছলা কলার মাধ্যমে। প্রৌঢ় মোহাম্মদ যখন আয়শাকে বিয়ে করেন তখনও আয়শা পুতুল নিয়ে খেলা করত আর সে বুঝতেই পারেনি কোন ফাকে মোহাম্মদের সাথে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার বয়স যখন ৯ বছর তখন তাকে সাজিয়ে গুজিয়ে হঠাৎ একদিন মোহাম্মদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, আয়শা তার পুতুলকে সাথে নিয়ে মোহাম্মদের ঘরে ঢোকে।
(৪)হাফসা বিনতে ওমর- ওমরের মেয়ে। সে যখন বিধবা হয় , ওমর তখন প্রথমে আবু বকরের নিকট তাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু আবু বকর তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে মোহাম্মদের নিকট প্রস্তাব করলে মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
(৫)উম্মে সালামা- বিধবা
(৬)উম্মে হাবিবা- বিধবা
(৭)জয়নাব বিনতে জাহস- পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী। একদিন অকস্মাৎ জায়েদের বাড়ীতে গিয়ে হাজির হন মোহাম্মদ তখন সে বাড়ীতে ছিল না। তখন ঘরের মধ্যে স্বল্প বসনে থাকা সুন্দরী বউ জয়নবের প্রতি মোহাম্মদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আর মোহাম্মদের মধ্যে তার জন্য কামভাব জেগে ওঠে। অত:পর আল্লাহর কাছ থেকে ওহি এনে মোহাম্মদ জায়েদকে তার বউকে তালাক দিতে বাধ্য করে ও পরে মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
(৮)জয়নাব বিনতে খুজাইমা- তালাকপ্রাপ্তা
(৯)জুরাইয়া বিনতে হারিথ-বিধবা
(১০)সাফিয়া- বিধবা ইহুদী রমনী, খায়বার দখলের পর সব পুরুষকে হত্যা করে তাদের সর্দারের স্ত্রীকে ভাগে পান মোহাম্মদ। পরে বিয়ে করেন।বিশেষ বিষয় হলো- যেদিন মোহাম্মদ ও তার দলবল সাফিয়ার স্বামী সহ সকল আত্মীয় স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যা করেন সেদিনই রাতে তিনি সাফিয়ার সাথে রাত কাটান। একজন অতি বড় নির্লজ্জ লম্পটও এ রকম কাজ করতে দুবার ভাববে।
(১১)রায়হানা বিনতে জায়েদ- বিধবা, বানু কুরাইজা গোত্রের লোকদেরকে পরাজিত করার পর তাকে গণিমতের মাল হিসাবে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেছিলেন কি না তা নিয়ে মতভেদ আছে।
(১২)মায়মুনা বিনতে হারিথ-
(১৩)মারিয়াম- মিশরের বাদশার কাছ থেকে দাসী হিসাবে উপঢৌকন পান ও এর সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌন সঙ্গম করতেন।

উপরোক্ত তালিকাতে দেখা যায়- খাদিজা ও সওদাকে মোহাম্মদ অতি প্রয়োজনে বিয়ে করেছিলেন যা দৃষ্টি কটু নয়। খাদিজা মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদ একাকী হয়ে পড়েন, তার সন্তানদের দেখা শোনা করার জন্য কেউ ছিল না , এমন অবস্থায় অন্য একজনকে বিয়ে করে সংসার সামলানো একান্ত আবশ্যক ছিল। কিন্তু এর পর অকস্মাৎ কথা বার্তা নেই ৬ বছরের আয়শার প্রতি নজর পড়ে প্রৌঢ় মোহাম্মদের( ৫১ বছর)। কারন সেই বাচ্চা বয়েসেই আয়শা বেশ দেখতে সুন্দরী ছিল। আর তাই লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে তার খায়েশ জাগে শিশু মেয়েটিকে বিয়ে করার। নানা রকম ভনিতা করে অবশেষে তিনি আবুবকরের কাছে তার মনের বাসনা প্রকাশ করেন। নিমরাজি আবুবকর দিশা না পেয়ে মোহাম্মদের আবদার মেনে নিয়ে প্রৌঢ় মোহাম্মদের সাথে তার শিশু মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দেন। বর্তমানে কিছু কিছু ইসলামী পন্ডিত আছে যারা প্রমান করার চেষ্টা করে যে আবু বকরই মোহাম্মদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এ বিয়ে দেয়ার জন্য চাপা চাপি করে। বিষয়টি যে ডাহা মিথ্যা তা দেখা যাবে নিচের হাদিসে-

উর্সা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী আবু বকরকে তার কন্যা আয়শাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন।আবু বকর বললেন- কিন্তু আমি তো তোমার ভাই হই। নবী বললেন-তুমি তো আমার ধর্ম সম্পর্কিত ভাই, তাই আয়শাকে বিয়ে করাতে আমার কোন বাধা নেই। সহি বুখারী, ০৭:১৮

অথচ এই মোহাম্মদ ছিলেন আবু বকরের প্রায় সমবয়সী, মাত্র দুই বছরের ছোট। তারা ছিলেন পরস্পরের বন্ধু বা সাথী। তার মানে মোহাম্মদ যখন আবু বকরের বাড়ী যেতেন আয়শা তাকে চাচা বলে সম্বোধন করতেন। আর খোদ মোহাম্মদের নিজের মেয়ে ফাতিমার বয়স তখন ছিল বার বছর। কারন ফাতিমা আয়শার চেয়ে ছয় বছরের বড় ছিল। যার নিজের বার বছরের একটা মেয়ে ঘরে আছে , আরও আছে বয়সী একটা বউ সওদা, সেই ব্যাক্তি কোন কান্ডজ্ঞানে তার বন্ধুর শিশু মেয়েকে বিয়ে করতে চায়, আর তা কোন সভ্য সমাজে গ্রাহ্য হতে পারে কি না তা গবেষণার বিষয়। যে শিশু মেয়েটি একদা মোহাম্মদকে চাচা বলে সম্বোধন করত তাকে স্বয়ং মোহাম্মদ কিভাবে বিয়ে করতে পারে তা সত্যি বোঝা অতীব দুরুহ। তাও আবার সেই লোক যেন তেন কোন ব্যাক্তি নন, তিনি হলেন – আল্লাহ প্রেরিত শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ যার জীবনাদর্শ ও আচার আচরন দুনিয়া শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত সব মানুষের জন্য বিনা প্রশ্নে অনুকরনীয় আদর্শ।

এখানে স্পষ্ট যে, মোহাম্মদের দাসানুদাস আবু বকর সরাসরি মোহাম্মদকে প্রত্যাখ্যান করতে না পেরে অন্য রাস্তার আশ্রয় নেয়। কিন্তু মোহাম্মদ তাতেও দমবার পাত্র নয়, অতি দ্রুত উছিলা বের করে ফেলেন অনেকটা দুর্জনের যেমন ছলের অভাব হয় না এ কায়দায়। এভাবে আয়শার বিয়ের ব্যপারটিকে ধামা চাপা দিতে না পেরে অবশেষে ইসলামী পন্ডিতরা এখন নানা রকম গোজামিলের মাধ্যমে প্রমানের চেষ্টায় আছে বিয়ে কালীন সময়ে আয়শার বয়স বাড়ানোর, যেমন বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৫ বা ১৬ বা ১৭ এরকম। কিন্তু সহি হাদিসে এ সম্পর্কিত এত হাদিস আছে যে , দুর্বল হাদিস বলে চালিয়ে দিয়েও আয়শার বয়স বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকটি উদাহরন যেমন-

আয়শা হতে বর্নিত- যখন নবী আমাকে বিয়ে করেন তখন আমার বয়স ছয় বছর , আর আমার বয়স যখন নয় বছর তখন আমি স্ত্রী হিসাবে তার গৃহে গমন করি। সহি মুসলিম, বই -০৮, হাদিস-৩৩১০

আয়শা হতে বর্নিত- যখন আল্লাহর নবী তাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছয় বছর, যখন তার বয়স নয় বছর তখন তিনি তার সাথে স্বামী হিসাবে বসবাস শুরু করেন ও তিনি তার সাথে মোট নয় বছর অতিবাহিত করেন( নবীর মৃত্যু পর্যন্ত)। সহি বুখারী, বই -৬২, হাদিস-৬৪

আয়শা থেকে বর্নিত – যখন আল্লাহর নবী তাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল ছয়, তার নয় বছর বয়েসে তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস শুরু করেন। হিসাম বর্ননা করেন- আমি জ্ঞাত আছি যে আয়শা নবীর সাথে নয় বছর ঘর সংসার করেন। সহি বুখারী, বই – ৬২, হাদিস- ৬৫

উর্সা হতে বর্নিত- নবী তার বিয়ের কাবিন নামাতে লিখেছিলেন যে আয়শার বয়স যখন ছয় তখন তিনি তাকে বিয়ে করেন , যখন তার বয়স নয় বছর হয় তখন তার সাথে সংসার শুরু করেন। সহি বুখারী, বই- ৬২, হাদিস-৮৮

হিসামের পিতা হতে বর্নিত- খাদিজা মারা যাওয়ার তিন বছর পর নবী মদিনাতে হিযরত করেন। তার মারা যাওয়ার প্রায় দুই বছর পর নবী আয়শাকে বিয়ে করেন যখন তার বয়স ছিল ছয় বছর আর তার বয়স নয় বছর হলে তার সাথে ঘর সংসার শুরু করেন। সহি বুখারী, বই -৫৮, হাদিস- ২৩৬

আয়শা থেকে বর্নিত- আমার বয়স যখন ছয় কি সাত আল্লাহর নবী তখন আমাকে বিয়ে করেন। আমরা মদিনা গমন করলাম ও কিছু মহিলা আসল। বিশর’র বর্ননা মতে- যখন আমি খেলছিলাম তখন উম রূমান আমার কাছে আসল। তারা আমাকে নিয়ে সজ্জিত করল। অত:পর আমাকে আল্লাহর নবীর নিকট সমর্পন করা হলো আর আমার বয়স তখন নয় বছর। সুনান আবু দাউদ, বই- ৪১, হাদিস-৪৯১৫

আয়শা বর্ননা করেন যে – যখন আল্লাহর নবীর সাথে তার বিয়ে হয় তখন তার বয়স ছিল ছয়, আর যখন তার বয়স নয় বছর তখন নবী তাকে স্ত্রী হিসাবে ঘরে তোলেন আর তখন আয়শা তার সাথে তার খেলার পুতুল গুলিও নিয়ে যান। আর যখন নবী মারা যান তখন তার বয়স আঠার। সহি মুসলিম, বই-০০৮, হাদিস – ৩৩১১

শুধু তাই নয় যখন আয়শার বয়স নয় বছর তখনও যে বিয়ে শাদীর ব্যপারে তার কোন জ্ঞান গম্যি হয় নি তা বোঝা যায় নিচের হাদিসের প্রানবন্ত বর্ননায়-

নবী আমার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন যখন আমার বয়স ছয় বছর ছিল। আমরা মদিনাতে গমন করলাম ও সেখানে হারিথ বিন খারাজের বাড়ীতে অবস্থান করছিলাম। সেখানে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম ও আমার মাথার চুল পড়ে গেল। পরে আবার চুল গজাল। একদিন আমার মা আমার উম রুমান আমার কাছে আসলেন তখন আমি আমার বান্ধবীদের সাথে খেলাধুলা করছিলাম। তিনি আমাকে ডাকলেন , আমি তার কাছে গেলাম কিন্তু তিনি আমার সাথে কি করতে চান তা বুঝতে পারলাম না। তিনি আমার হাত ধরে টেনে দরজার কাছে নিয়ে গেলেন, আমার দম বন্দ হয়ে যাওয়ার যোগাড় হলো, যখন দম স্বাভাবিক হলো, তিনি কিছু পানি নিয়ে আমার মুখ ও মাথা তা দিয়ে ভাল করে ধুয়ে মুছে দিলেন। অত:পর তিনি আমাকে একটা ঘরে নিয়ে গেলেন যেখানে আগে থেকেই কিছু আনসার মহিলা ছিল। তারা আমাকে বললেন- শুভ কামনা ও আল্লাহর রহমত তোমার ওপর বর্ষিত হোক। আমার মা আমাকে তাদের কাছে দিয়ে চলে গেলেন, তারা আমাকে ভালমতো সজ্জিত করল। অপ্রত্যাশিতভাবে দুপুরের আগে আল্লাহর নবী হাজির হলেন ও আমার মা আমাকে তার কাছে হস্তান্তর করলেন, তখন আমার বয়স ছিল নয় বছর। সহি বুখারি, বই -৫৮, হাদিস-২৩৪

ইসলামি পন্ডিতরা বহু গবেষণা করে দুর্বল আর সবল হাদিস বের করে যতই প্রমান করার চেষ্টা করুক না কেন যে আয়শার বয়স ছয় বছর ছিল না যখন তার বিয়ে হয় প্রৌঢ় মোহাম্মদের সাথে , তা হালে পানি পাবে না কারন যতগুলো হাদিস উল্লেখ করা হলো তার সবই সহি হাদিস মানে পরীক্ষিত হাদিস। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেই এসব হাদিসকে সংকলন করা হয়েছে। এখন কেউ এসে হঠাৎ করে বলল এসব দুর্বল হাদিস আর তাই এসব বাদ দিতে হবে- এরকম মামা বাড়ীর আবদার চলবে বলে মনে হয় না।

এ বিষয়ে একজন ইসলামী পন্ডিতের সাথে আলাপ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি বললেন- সেই নয় বছর বয়েসে আয়শার নাকি মাসিক রজস্রাব শুরু হয়। আর তাই তখন মোহাম্মদের সাথে তার ঘর করার বিষয়ে কোন আপত্তি থাকতে পারে না।কোথা থেকে এ পন্ডিত এ তথ্য অবগত হলেন তা অবশ্য জ্ঞাত করেন নি। যদিও আমরা জানি ১৩/১৪ বছর হলো মেয়েদের মাসিক রজস্রাব হওয়ার সাধারন সময়। ব্যাতিক্রম হিসাবে কোন কোন মেয়ের ৭/৮ বছরেও হতে পারে যা নিতান্ত অস্বাভাবিক।এখন আয়েশার ৯ বছরে রজস্রাব হলেও সে মানসিক বা দৈহিক ভাবে একজন ৫৪ বছরের প্রৌঢ়ের সাথে স্ত্রী হিসাবে ঘর করার যোগ্য ছিল কি না তা এসব পন্ডিতদের কাছে গুরুত্বপূর্ন নয় কারন মোহাম্মদের সব কাজ কারবারই তাদের কাছে আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে বিশ্বাস্য। তাই তা আদর্শ ।এমন কি এটাও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন না যে , অন্য সাধারন মানুষরা যা করবে একজন আল্লাহর নবীর পক্ষে তা করা মানানসই কিনা।পুতুল হাতে নিয়ে শিশু আয়শা ৫৪ বছরের প্রৌঢ় মোহাম্মদের ঘরে তার বিছানায় যাচ্ছে স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে তাও তাদের কাছে দৃষ্টি কটু লাগে না। খোদ মোহাম্মদের মনেও এ নিয়ে কোন বিকার নেই। বেশ খুশী ও ফুর্তি নিয়েই তিনি আয়শার সাথে সহবত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।এ হেন নবীর আদর্শ অনুসরন করতে গিয়ে সকল মুমিন মুসলমানের উচিত ৬/৭ বছরের মেয়েকে বিয়ে করা।আয়েশাকে বিয়ে করে মোহাম্মদ প্রমান করতে চেয়েছিলেন যে বন্ধুর কন্যাকেও বিয়ে করা যায়।তাই এখন থেকে মুমিন বান্দাদের উচিত তাদের সমবয়স্ক বন্ধুদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের শিশু মেয়েদেরকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়া কারন সেটাই আদর্শ , স্বয়ং মহানবী তা নিজ জীবনে প্রদর্শন করে গিয়েছেন।মুমিন বান্দারা কতটা মানসিক প্রতি বন্ধি হলে তারা এ বিষয়টাতে বিন্দু মাত্র খারাপ কিছু দেখে না তা বিশেষ বিবেচ্য।

আসলে কথা হলো- দুনিয়াতে এমন কোন সভ্য মানুষ পাওয়া যাবে না যে নয় বছরের একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী হিসাবে ঘর করবে ও তার সাথে যৌনমিলন করবে। বিয়ে করারই প্রশ্ন ওঠে না। যদি কেউ করে তাকে লোকে লম্পট বদমাশ ছাড়া আর কিছু বলবে না। অথচ সেই কাজটিই করেছেন আমাদের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ট নবী মোহাম্মদ যার জীবনাদর্শ ও আচার-আচরন আমাদের সবাইকে দুনিয়ার শেষদিন অবধি অবশ্যই পালন করতে হবে। এর পরে যদি আমরা তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলি সেটা খুব বেশী অন্যায় করা হবে ? যুক্তি হিসাবে বলা হয়- সেই সময়ে শিশু বিয়ে প্রচলিত ছিল তাই নবী খারাপ কিছু করেননি। কিন্তু সে বিয়ে ছিল কম বয়সী ছেলে মেয়ের মধ্যে।যেমন এই ভারতীয় উপমহাদেশেও এক সময় সেটা বহুল প্রচলিত ছিল।কিন্তু একটা প্রৌঢ় মানুষের সাথে তার নাতনীর বয়সী শিশুর বিয়ে সেই তথাকথিত অন্ধকার যুগেও ছিল বিরল। তার চাইতে বড় কথা হলো- আয়শাকে তিনি বিয়ে করলেন কি কারনে ? আয়শা কি অসহায় বিধবা রমনী ছিল, নাকি কোন গো্ত্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের দরকার পড়েছিল ? আবু বকর তো তার দশ বছর আগে থেকেই মোহাম্মদের খাস দাসানুদাস হয়ে গেছে, তার কথায় ওঠে-বসে , এমনকি তার আজগুবি কথাবার্তাকেও ( যেমন মিরাজের কিচ্ছা) সে বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করে। তার কচি বাচ্চাকে বিয়ে করে তো নতুন করে কোন সম্পর্ক স্থাপনের কোন দরকার এখানে অত্যাবশ্যক দেখা যায় না। হয়ত বা যায়, কিন্তু যা আমরা বুঝতে পারছি না, তবে তা হতে পারে একমাত্র দুর্জনের ছল খুজে বের করার যুক্তির মতই যা সভ্য সমাজে গ্রাহ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। নিজের যথেচ্ছ যৌনাজীবন উপভোগ করার জন্য মোহাম্মদ কিভাবে আল্লাহর ওহীকে ব্যবহার করেছেন তার একটা উজ্জ্বল নমূনা নিচের আয়াত টি:

হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, ৩৩: ৫০

উক্ত আয়াতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কারা মোহাম্মদের কাছে হালাল এবং বলা বাহুল্য তার অনুসারীদের জন্যও হালাল।কি উদ্দেশ্যে হালাল? যৌন সঙ্গমের উদ্দেশ্যে। ইসলামে ব্যাভিচারের শাস্তি মৃত্যু দন্ড যা এখনও আরব দেশগুলোতে প্রচলিত। আমরা প্রায়ই সৌদি আরবে ব্যাভিচারের শাস্তি স্বরূপ মাথা কেটে নেয়া বা পাথর ছুড়ে হত্যা করার খবর পত্রিকায় পড়ি।কিন্তু কোরানের উপরোক্ত আয়াত স্পষ্টভাবে ব্যাভিচারকে অনুমোদন করছে। সেটা কেমন ? যেমন -হালাল হলো- স্ত্রী গন, বিয়ের জন্য হালাল হলো- চাচাতো/ফুফাতো/মামাতো/খালাতো/ ভাগ্নি। লক্ষ্যনীয় বাক্যটি হলো- আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন। কাদেরকে বিয়ে করে যৌন সঙ্গম করা যাবে তা কিন্তু খুব পরিস্কার ভাষায় বলা আছে। কিন্তু দাসীদের বেলায় কিন্তু বিয়ে করার বিষয়টি উল্লেখ নেই। তার মানে দাসীদেরকে ( যুদ্ধ লব্ধ বন্দিনী নারী) বিয়ে ছাড়াই উপভোগ করা যাবে।ইসলাম মোতাবেক বিয়ে বহির্ভুত যৌন সঙ্গম হলো ব্যাভিচার যার শাস্তি মৃত্যু দন্ড, অথচ কি অবলীলায় সেই ব্যাভচারকেই আবার মোহাম্মদ আল্লাহর নামে অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন এবং নিজ জীবনে সেটা দেদারসে করছেন। কি আজব কথা , যিনি আল্লাহর নবী, শ্রেষ্ট নবী, সারা জাহানের আদর্শ সকল যুগের জন্য তিনি যখন তখন দাসী বাদীর সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌন আনন্দে মেতে উঠছেন। মারহাবা! আবার তিনি বলছেন – তার এ জীবনাদর্শ সবাইকে কঠোর ভাবে অনুসরন করতে। ঠিক একারনে শোনা যায়- সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়া ফিলিপিনো বা ইন্দোনেশীয় নারীরা যে সৌদি পরিবারে কাজ করে সে পরিবারের প্রায় সকল প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ দ্বারা পর্যায় ক্রমে ধর্ষিতা হয়।অর্থাৎ অবলীলায় বাপ ও পূত্র পর্যায়ক্রমে একই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে যাচ্ছে কোন রকম বিবেকের তাড়না ছাড়াই। বিবেকের তাড়না এখানে হওয়ার কথাও নয় , কারন খোদ মহানবী তো সেটা অনুমোদন দিয়ে গেছেন। এখানে আরও একটা বাক্য লক্ষ্যনীয়- কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। অর্থাৎ যে কোন নারী চাইলেই নবী তাকে বিয়ে করতে পারবেন , আর তার কোন সীমা পরিসীমা নেই। বলা বাহুল্য, মদিনার রাজা মোহাম্মদকে বিয়ে করতে চাওয়া নারীর অভাব থাকার কথা নয় সেই দরিদ্র আরব দেশে, কারন তখন বহু বিবাহ কোন নিন্দনীয় ব্যপার না। সারা জাহানের সর্বশ্রেষ্ট ও সকল যুগের আদর্শ মানব মোহাম্মদ তার অবাধ যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য আল্লাহ ওহীর নামে এটা কি চরম মিথ্যাচার নয় ? তিনি আল্লাহর মূখ দিয়ে বলাচ্ছেন- শুধু তিনি যত ইচ্ছা তত বিয়ে করতে পারবেন অন্য কেউ নয়।তার মানে যেমন খুশী বিয়ে করে যৌন ফুর্তি করবেন। এ ধরনের কথা বার্তাকে কিভাবে মুমিন বান্দারা আল্লাহর বানী মনে করে তা আমি ভেবে সত্যিই অবাক হয়ে যাই। অথচ আমাদের মুমিন মুসলমান ভাইরা এসব জেনে শুনেও তাদের মনে হচ্ছে এটাও মোহাম্মদের কোন মহান কায়কারবার। কি লজ্জার কথা, শরমের কথা। ব্রেইন কতটা ওয়াশড হলে মানুষের এ ধরনের পরিনতি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। শুধু তাই নয়-

আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। কোরান, ৩৩: ৫১

উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলে দিচ্ছেন- মোহাম্মদ যখন খুশী তার যে কোন স্ত্রী বা দাসীর সাথে যৌন সঙ্গম করতে পারেন আর তার জন্য অন্য স্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করতে হবে না, অর্থাৎ সবার সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে না অথচ যা আবার তিনি তার উম্মতদের জন্য উপদেশ দিচ্ছেন। অর্থাৎ তার উম্মতদের জন্য বিধান হলো- তারা চারটি বিয়ে করতে পারে তবে তাদের সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে, যদি তা না পারে তাহলে একটি মাত্র বিয়ে করতে হবে। উক্ত আয়াতে শানে নুযুল হলো- মোহাম্মদ তার এক ডজন স্ত্রী ও এক ডজন দাসীর মধ্যে কাউকে কাউকে বেশী পছন্দ করতেন ও তাদের সাথে যৌন সঙ্গম করতে বেশী আগ্রহী ছিলেন। তার মধ্যে আয়শা ও জয়নব অন্যতম, দাসীদের মধ্যে মরিয়ম। বিশেষ করে জয়নব ছিল আকর্ষণীয় দেহ বল্লরীর অধিকারিনী। যখন তখন মোহাম্মদ তার ঘরে ঢুকে তার সাথে যৌন সঙ্গম করতেন। আর আয়শার সঙ্গ তার বেশী ভাল লাগত। ফলে অধিক সময় তিনি আয়শার সাথে কাটাতেন ও জয়নবের সাথে অধিক যৌন সঙ্গম করতেন। বিষয়টি তার অন্য স্ত্রীরা সহ্য করতে পারে নি। তারাও দাবী করত তাদের সাথেও মোহাম্মদ যেন সমান সময় কাটান। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। আর তাই নিজের খায়েশ মিটানোর জন্য আল্লাহর ওহী নাজিল। সহজ সমাধান ।

অবশ্য এর পরেই নাজিল হয় –
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২

ততদিনে আল্লাহর নবী মোহাম্মদকে নিয়ে তার সাহাবীদের মধ্যেই কানা ঘুষা শুরু হয়ে গেছে যে মোহাম্মদ হলো নারী লিপ্সু। সেকারনেই তিনি একের পর এক বিয়ে করে যাচ্ছেন। সুচতুর মোহাম্মদ তাদের সামনে নিজের ভাব মূর্তি অক্ষুন্ন রাখার উদ্দেশ্যে উক্ত আয়াত নাজিল করেন। তবে দাসীর ব্যপার ভিন্ন, অর্থাৎ বিয়ে করতে না পারলেও যখন ইচ্ছা খুশী যে কোন দাসীর সাথে যৌন মিলন করতে পারবেন সে অপশন উনি রেখে দিলেন।মোহাম্মদের উদ্দেশ্য বৈচিত্রপূর্ন যৌন আনন্দ উপভোগ করা।সে জন্য তার দরকার নিত্য নতুন নারী। তা সে বিয়ে করেই করতে হবে এমন কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই।তাই উক্ত আয়াতে কায়দা করে বলা হচ্ছে- তবে দাসীর ব্যপার ভিন্ন। মোহাম্মদের এসব কর্মকান্ড দেখে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে , তিনি মহানবী হয়েছিলেন কি অগনিত নারীদের সাথে অবাধ যৌন আনন্দ উপভোগ করার জন্য? এতদিন জেনে আসা বিশ্বাস করে আসা মহান ও শ্রেষ্ট মানুষ মোহাম্মদের সাথে এ মোহাম্মদের তো কোন মিল করা যাচ্ছে না।

আলা তাবারি বর্নিত মোহাম্মদের জীবনী তে উল্লেখ আছে এ কাহিনী।একদা মহানবী তার পালিত পূত্র জায়েদের বাড়ীতে গেলেন তার সাথে দেখা করতে। জায়েদ তখন বাড়ীতে ছিল না। ঘরে তার স্ত্রী জয়নাব চামড়া রং করছিল। তার পোশাক ছিল আলু থালু। দরজার ফাক দিয়ে মোহাম্মদের নজর আলু থালু বেশে থাকা জয়নাবের ওপর পড়ল। আকর্ষণীয় দেহ বল্লরীর অধিকারী জয়নাবকে দেখে মোহাম্মদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি হলো ও তিনি মুচকি হাসি উপহার দিলেন।অত:পর তিনি বিড় বিড় করতে করতে চলে গেলেন, জয়নাব শুধু শুনতে পারল- আল্লাহ যে কখন কার মনকে পরিবর্তন করে দেন। এর ফলে জয়নাব বুঝে গেল মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়ে গেছেন।এর পর জায়েদ বাড়ীতে আসার সাথে সাথেই জয়নাব মোহাম্মদের এ প্রেমের খবর খুব গর্বের সাথে অবগত করে।জায়েদ কাল বিলম্ব না করে মোহাম্মদের সকাশে হাজির হয়ে পেশ করে- আমি জয়নাবকে তালাক দিয়ে দিচ্ছি, আপনি তাকে বিয়ে করুন। আহা কি অপরিসীম ভক্তি তার পালক পিতার প্রতি। বোঝাই যায় জায়েদের এ বক্তব্য অতিরঞ্জিত।কারন জায়েদ মোহাম্মদকে আব্বা বলে ডাকত, লোকজনও জায়েদকে জায়েদ বিন মোহাম্মদ বা মোহাম্মদের পূত্র জায়েদ বলে সম্বোধন করত। এ জায়েদ একেবারে বাল্য অবস্থা থেকে মোহাম্মদ ও খাদিজা কে তার আব্বা আম্মা বলে জানত।তারাও তাকে পুত্র স্নেহে লালন পালন করত।অর্থাৎ তাদের মধ্যে স্বাভাবিক পিতা-মাতা ও পূত্রের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল কারন তাদের কোন পূত্র সন্তান ছিল না।জায়েদের মত জয়নাবও মোহাম্মদকে আব্বা বলে সম্বোধন করত। এমতাবস্থায় কোন মানসিকভাবে সুস্থ ব্যাক্তি তার নিজের স্ত্রীকে তার পিতার সাথে বিয়ে দিতে চাইতে পারে না। তাহলে শুধুমাত্র মোহাম্মদকে লাম্পট্য এর অভিযোগ থেকে বাঁচাবার জন্য জায়েদ সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে- বলে মনে হওয়া কি স্বাভাবিক নয়? আরও বলা হয়েছে- মোহাম্মদ শোনা মাত্রই জায়েদকে বলেন- তুমি তোমার স্ত্রীকে নিয়ে সুখে ঘর সংসার কর।অর্থাৎ জোর করে মোহাম্মদকে এখানে মহান ও নিষ্কলুষ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই পরে বলা হয়েছে- জয়নাব কোরাইশ বংশের মেয়ে ও মোহাম্মদের চাচাত বোন আর মোহাম্মদের সাথে তার বিয়ের হওয়ার কথা ছিল। পরে মোহাম্মদ জায়েদের সাথে তার বিয়ে দেন । জায়েদ ছিল একজন দাস যে মোহাম্মদের সাথে বিয়ের আগে থেকেই খুব ছোট বেলা থেকে খাদিজার বাড়ীতে থাকত।দাসের সাথে বিয়ে দেয়ার কারনে জয়নাব সুখী ছিল না। অত:পর মোহাম্মদের সাথে সেই একান্ত সাক্ষাতের পর মোহাম্মদের প্রতি তার দুর্বার প্রেম বৃদ্ধি পায় ও জায়েদের সাথে তার দাম্পত্য জীবন কলহপূর্ন হতে থাকে।এ থেকে রক্ষা পেতেই অবশেষে জায়েদ জয়নাবকে তালাক দেয়। এর পরেই মোহাম্মদ জয়নাবকে মহা সমারোহে বিয়ে করেন। যদি জায়েদের প্রস্তাব সত্যি হয় তাহলে সংলাপটা কেমন হবে ? এরকম হবে –

জায়েদ- আব্বা হুজুর, আপনার পূত্র বধু বলেছে আপনি নাকি তার প্রেমে পড়েছেন। আমি আপনার জন্য সব কিছু উৎসর্গ করতে পারি। তাই আমি আপনার জন্য আমার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাই যাতে আপনি আপনার পূত্র বধুকে বিয়ে করে সুখী হতে পারেন।
মোহাম্মদ- হে পুত্র, আমার পুত্র বধুকে তালাক দিও না। তুমি তার সাথে সুখে ঘর কর।

তার মানে মোহাম্মদকে নিষ্কলুষ প্রমান করতে গিয়ে তার চরিত্রে আরও বেশী কালিমা লিপ্ত করা হয়েছে যা বোঝার বোধ মনে হয় মুমিন বান্দাদের নেই। সেটা কিভাবে? উপরের সংলাপ টি দেখলেই সেটা বোঝা যাবে ভালভাবে।কোন পরিস্থিতে পড়লে স্বয়ং পূত্রকে তার আব্বাজানের কাছে উপরোক্ত কথাগুলো বলতে হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়।সভ্যতার উষা লগ্ন হতে এ পর্যন্ত কোন পূত্র কোন পিতাকে এ ধরনের নৈতিকতা বিরোধী প্রস্তাব দিয়েছে বলে শোনা যায় নি।দুনিয়ায় অনেক আকাম কুকাম ঘটে তবে সেগুলোকে কেউ ভাল বলে না বা তা প্রথা সিদ্ধ বলে না, সেসব ঘটনার নিন্দাই মানুষ করে। যেমন শোনা যায়- পশ্চিমা দেশ সমূহে অনেক সময় পিতা কর্তৃক সৎ কন্যা এমনকি নিজের কন্যা ধর্ষিত হয়। এসব ঘটনা জানাজানি হলে কেউ সেটাকে ভাল বলে না, বরং প্রচন্ড নিন্দা করে যার ফলে অভিযুক্ত লোক এক প্রকার সমাজচ্যুত হয়ে পড়ে।অথচ সেই একই ঘটনা ঘটিয়ে মোহাম্মদ বিগত ১৪০০ বছর ধরে মুমিন বান্দাদের কাছে রয়ে গেছেন চিরকালের সর্বশ্রেষ্ট ও আদর্শ মানুষ। যদি জয়নাব সত্যি সত্যি জায়েদের কাছে মোহাম্মদের প্রেমের কথা বলে থাকে, তাহলে মোহাম্মদ যখন জায়েদের বাড়ীতে দেখা করতে যায় তখন শুধুমাত্র দরজা থেকেই মোহাম্মদ বিদায় নেয়নি। আরও ঘটনা সেখানে ঘটেছে এবং সে ঘটনা শুধু মাত্র একদিন ঘটেছে তা মনে হয় না। কারন শুধুমাত্র মুচকি হাসি দিয়ে দরজা থেকে মোহাম্মদ বিদায় নিলে জয়নাব তার স্বামীর কাছে গর্বের সাথে বলতে পারত না যে – মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়েছেন।বিষয়টি মিথ্যা হলে জয়নাবের জীবনের জন্য তা ভীষণ সমস্যার কারন হতে পারত, নবীর নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার কারনে তার মাথা কাটা যেতেও পারত। তাই প্রেমে পড়ার ব্যপারটিতে জয়নাবকে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হয়েছে।সে নিশ্চয়তা পেতে তাকে মোহাম্মদের সাথে শুধু একবার নয় বেশ কয়েকবার দেখা সাক্ষাত করতে হয়েছে বা তাদের দেখা সাক্ষাত হয়েছে।অবশেষে মোহাম্মদকে তার নিজের মনের কথা অকপটে বলতে হয়েছে জয়নাবের কাছে।আর তার পরেই বিবাহিতা জয়নাব নিশ্চিত ভাবে তার স্বামীর কাছে তালাকের কথা বলতে পেরেছে। সব দিক বিবেচনায় মোহাম্মদই যে এ অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য পুরোপুরি দায়ী – এ সন্দেহ কি অমূলক ?

আমাদের মহানবী তার এ কর্মকান্ডকে জায়েজ করতে গিয়ে তিনি আল্লাহর বানীকে যে ভাবে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছেন, একজন সাধারন বোধ সম্পন্ন মুমিন বান্দা যদি তা মনযোগ দিয়ে খেয়াল করেন তাহলে তার সহজেই সন্দেহ হবে যে ওগুলো কিভাবে আল্লাহর কথা হতে পারে।যেমন-

আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন। কোরান, ৩৩: ০৪

মনে হয় যেন ওগুলো আল্লাহর কথা নয়, বরং মনে হয় মোহাম্মদ তার ব্যক্তিগত যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য অকাতরে বিনা দ্বিধায় আল্লাহর ওহীর নামে বলে দিচ্ছেন- তোমাদের পোষ্য পূত্রদেরকে তোমাদের পূত্র করেন নি। বাক্যটি যে সত্যি সত্যি মোহাম্মদের তা কিন্তু বাক্যটির গঠনের দিকে তাকালেও বোঝা যায়। আল্লাহর কথা হলে এটা হতো এরকম – আমি তোমাদের পোষ্য পূত্রদেরকে তোমাদের পূত্র করিনি।আসলে জয়নাবের সাথে মোহাম্মদের অবৈধ এ প্রেম, যদি সত্য না হতো তাহলে মোহাম্মদ তা গোপন বা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করতেন।কিন্তু ততদিনে মোহাম্মদ মদিনাবাসীর ওপর তার নিরংকুশ আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছেন। তার বিরুদ্ধে সামান্যতম কথা বলারও কেউ নেই। এমতাবস্থায়, মোহাম্মদ তার এ গোপন বাসনা গোপন না করে তা প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা থেকেই আসলে তার এ ওহী নাজিল।আর তার বলি হয়েছে দত্তক সন্তান পালন করার এক মহান কাজ।যারা নি:সন্তান তারা বঞ্চিত হয়েছে সন্তান দত্তক নেয়া থেকে , অনেক এতিম শিশু বঞ্চিত হয়েছে প্রেম ভালবাসা পূর্ন পরিবেশে মানুষ হওয়ার সুযোগ থেকে।বর্তমানে ইসলামি পন্ডিতরা এর সপক্ষে বক্তব্য দিয়ে বলে- সন্তান দত্তক নিলে পরে দত্তক পিতার পৈত্রিক সম্পদের বন্টন নিয়ে সমস্যা হয়।সেকারনেই মোহাম্মদ এ কাজটি করেন।কিন্তু আলোচ্য বিয়ের সাথে কোথাও এ সম্পদ বন্টনের কোন সমস্যা জড়িত নয়।সবার জানা আছে- নবী যখন বিপদে পড়তেন, তখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করতেন।আর সাথে সাথেই আল্লাহ ওহী নাজিল করতেন। এ ওহী নাজেল হয় যখন মোহাম্মদ জয়নাবের সাথে সমস্ত রকম সভ্যতা ও নীতি বিগর্হিত প্রেমে লিপ্ত হন তখন। তা ছাড়া, যে লোক একটা এতিম বাচ্চাকে একেবারে শৈশব থেকে নিজের বাচ্চার মত মানুষ করে যুবকে পরিনত করল, অত:পর এক ঝটকায় তাকে মুখের ওপর বলে দেয়া হলো- সে কেউ না। বিষয়টা কি চরম অমানবিকতা পূর্ন নয়? বরং কোরানের আয়াত যদি বলত- যাদেরকে তুমি পোষ্য করেছ তারা তোমার নিজের সন্তানের মত ও তারা নিজের সন্তানের মতই সকল সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য হবে। তাহলেই তা হতো সত্যিকার আল্লার বানীর মত কথা, মানবিকতা ও সামঞ্জস্যপূর্ন। বলা হচ্ছে- ইসলাম তো সন্তান দত্তক প্রথা নিষিদ্ধ করেছে, তার পর তো এ সমস্যা আর হতে পারে না।কিন্তু প্রশ্ন হলো- মোহাম্মদের প্রশ্ন বিদ্ধ আকাংখার কারনে এ ধরনের একটা মহান কাজ নিষিদ্ধ হবে কেন ?

উক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার পরেও মদিনাবাসী কানুঘুষা করতে থাকে মোহাম্মদের এ হেন অনৈতিক কাজের, যদিও সরাসরি এ নিয়ে মোহাম্মদের সাথে কথা বলার কোন সাহস আর তাদের ছিল না। ফলে আল্লাহও আর দেরী করেন নি , সাথে সাথে জিব্রাইলকে দিয়ে নিচের সূরা পাঠিয়ে দিলেন:

আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে। কোরান, ৩৩: ৩৭

উক্ত আয়াত খুব পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ করছে যে মোহাম্মদ শুধু মাত্র সাধারন মদিনাবাসীর কানাঘুষা বন্দ করার জন্যই আল্লাহর নামে এ সুরা নাজিল করেন।এখানে বলা হচ্ছে- আল্লাহ ও মোহাম্মদ উভয়ের অনুগ্রহ জায়েদের ওপর ছিল ও মোহাম্মদ জায়েদকে তার স্ত্রীকে তার কাছে রাখতে বলেছিলেন।অর্থাৎ মোহাম্মদের কোনই দোষ নেই। কিন্তু আসল বিষয় হল ভিন্ন। মোহাম্মদ লোক নিন্দার ভয়ে তার অন্তরের কথা গোপন করছিল।তার মানে মোহাম্মদের মনের ভিতর ভিন্ন খায়েশ ছিল যা সে লোক নিন্দার ভয়ে প্রকাশ করছিল না। এর সোজা অর্থ – উপরে উপরে মোহাম্মদ জায়েদকে বলছে তার বউকে নিজের কাছে রাখতে , কিন্তু ভিতরে সে পোষণ করছে বদ মতলব- কিভাবে জয়নাবকে তাড়াতাড়ি নিজের করে পাওয়া যায়। আহা , মহানবীর চরিত্র কি ফুলের মত পবিত্র! ভিতরে এমন মতলব পোষণ ও তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ না নিলে জায়েদ তার বউকে পরে তালাক দিত না। কারন নবীর আদেশ অমান্য করার মত সাহস জায়েদ বা জয়নাব কারোরই ছিল না। বলা হয়- জয়নাবই তাদের দাম্পত্য জীবন অশান্তি ময় করে তোলে, তাই জায়েদ তাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়।কিন্তু গোপনে গোপনে মদিনার বাদশাহ মোহাম্মদ যদি জয়নাবকে আশ্বাস ভরষা দিতে থাকে, পরকীয়া প্রেমে উৎসাহ যোগায় জয়নাব কেন জায়েদের জীবনকে সুখী করবে? যাহোক, শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদের খায়েশেরই জয় হলো, কারন স্বয়ং আল্লাহই তাকে তার যাবতীয় খায়েশের সহযোগীতাকারী।এমন সহযোগীতাই করল যে – পরে জয়নাব , মোহাম্মদের সাথে তার বিয়েকে আল্লাহর ঘটকালির বিয়ে বলে অহংকার করত।আল্লাহর নাম করে চালিয়ে দেয়া এসব অনৈতিক কথা বার্তা ও কাজকর্ম আমাদের মুমিন বান্দাদের সামনে তুলে ধরলেও তাদের কোন বিকার নেই, নেই কোন বোধদয়। কারন তাদের বুদ্ধি ও বিদ্যা সব তারা সেই ১৪০০ বছর আগের মোহাম্মদের নিকট বন্দক দিয়ে রেখেছে। যাহোক, জায়েদ জয়নাবকে তালাক দিল ও মহা ধুমধামে মোহাম্মদ ও জয়নাবের বিয়ে হলো।ঘটনা শুধু এখানেই থেমে থাকল না। বিষয়টি চাপিয়ে দেয়া হলো সকল মুমিন বান্দাদের ওপরও।অর্থাৎ কোন মুমিন বান্দাই আর কোন সন্তান দত্তক নিতে পারবে না।

মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১

মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-২