প্রমাণহীন ভূতুড়ে ঈশ্বরের দোহায় দিয়ে
আমরা নিষ্ঠুর খেলা খেলিনা
সরলমনা মানুষের জীবন নিয়ে।

ধর্মের নামে,
ধর্ষণ,লুণ্ঠন,হত্যা আমাদের পেশা নয়
ধোঁকাবাজি আমাদের ধর্ম নয়।
আমরা গলিত পূঁজ, গলিত সীসা আর
অলৌকিক অনলে করিনাকো ভয়।

আমরা পৃথিবীতে সৃষ্টি করিনা ত্রাস।
ধর্মের নামে মানুষকে করিনা ঘরছাড়া
করিনা উদ্‌বাস্তুর মুখের অন্ন গ্রাস।

আমরা মানবতার কথা বলি
সত্যের কথা বলি
বিজ্ঞানের কথা বলি
ঘুটঘুটে আঁধারে আলো জ্বালি
সত্যের পথে চলি।
আমরা করো আশ্রয় কেড়ে নিয়ে
খুঁজিনা নিজের আশ্রয়।
আমরা সত্যের কাছে চাই আশ্রয়।
আমাদের কাছে ভণ্ডামীর নেই কোন প্রশ্রয়।

আমরা মিথ্যে ভূতের গল্প ব’লে
মানুষকে দেখাইনা ভয়।
বিজ্ঞানের আলোতে আমরা
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড করতে চাই জয়।

আমরা আজগবি অলৌকিকে বিশ্বাস করিনা
আমরা অবাস্তব স্বর্গের লোভে
নিরীহের সাথে লড়িনা।
আমরা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করিনা।

আমরা জেনে গেছি
পৃথিবী স্থির ও সমতল নয়।
এটা একটা চলন্ত-গোলক।
আমরা অন্ধকারের অতলকূপে
জ্বালাতে চাই জ্ঞানের আলোক ।
আমরা লৌকিক পৃথিবীতে চাই গড়তে
একটি সার্বজনীন স্বর্গলোক।

আমরা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করতে চাই শান্তি
অদৃশ্য ভণ্ডামিতে জগতময়
ছড়াতে চাইনা বিভ্রান্তি।

আমরা জেনে গেছি বিজ্ঞানের বদলৌতে
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নেই কোন আকাশ।
তাই জেনে গেছি সেথায় নেই কোন
বানোয়াট ঈশ্বরের বাস।

আমরা জেনে গেছি আকাশ পৃথিবীর ছাদ নয়
তাই গ্রহ-নক্ষত্রগুলো আকাশের গায়ে লটকানো নয়।
আমরা জেনে গেছি কোন ফুৎকারের
মাধ্যমে আসেনি জীবন।
এ হচ্ছে হাজার বছরের বিবর্তন।

তাই আমরা সাত আসমানের উপর
আর খুঁজিনা কোন অস্তিত্বহীন ঈশ্বর,
যে খুঁটিবিহীন নিশ্ছিদ্র আকাশের উপর
হাস্যকর ভাবে বাঁধিয়াছে ঘর।

আমরা জেনে গেছি মরণের পরে নেই কোন জীবন
আরও যদি থাকে জীবন
তবে মরণের কী প্রয়োজন?
জীবন শেষে
মানুষ যায়না কোন রূপকথার দেশে।
মরণের পরেও কর্মমাঝে
বেঁচে থাকা যায় অনন্তকাল ধ’রে
মানুষের হৃদয় ভ’রে।

ঊর্ধ্বলোকের স্বর্গ-নরক এসব তো সত্যি নয়
এসব ছেলে ভোলানো রূপকথার গল্প মনে হয়।
গল্পের স্বর্গ অথবা নরকে নয়
মানুষ মানুষের কর্মে বেঁচে রয়।
মন্দ লোকেরে সকলে মন্দ কয়।
যে ভালো সকলে তাকে ভালো কয়
তাই মৃত্যুর পরেও সে হয় মৃত্যুঞ্জয়।

সত্যিকারের স্বর্গ-নরক এই মর্ত্যলোকে আছে
শান্তিতে স্বর্গ আর অশান্তিতে নরক
বাস করে সকলের মনের মাঝে।