১৯৫৭ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে এক ধনাঢ্য পরিবারে ওসামা বিন লাদেনের জন্ম। তার বাবার নাম মোহাম্মদ বিন আওয়াদ বিন লাদেন। তিনি ছিলেন সৌদি প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের একজন। ওসামা ছিলেন মোহাম্মদ বিন লাদেনের একমাত্র ছেলে। ওসামার মা হামিদা আল আত্তাস মোহাম্মদ বিন লাদেনের দশম স্ত্রী ছিলেন। ওসামার জন্মের পর তার মা মোহাম্মদ আল আত্তাসকে বিয়ে করেন। নতুন পরিবারে ওসামার ছিলো ৩ সৎ ভাই ও এক বোন। সৌদির কিং আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতি ও ব্যবসা প্রশাসনে ডিগ্রি নেয়া ওসামা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থাতেই ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে মুসলিম শরিয়া আইন, কোরআন ও জিহাদ ছিলো তার আগ্রহের মূল কেন্দ্রবিন্দু। ছাত্র অবস্থাতেই তাই তিনি জড়িয়ে পড়েন উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের সাথে। ১৯৭৯ সালে ওসামা সর্বপ্রথম ধর্মীয় সংগঠন আবদুল্লাহ আজ্জামে যোগ দেন। কিন্তু তিনি হয়তো আরো উচ্চাভিলাষ থেকেই জিহাদকে সামরিক রূপ দেয়ার উদ্দেশ্যে গঠন করেন নতুন সংগঠন মাক্তাব আল খিদমাহ। এরপর তিনি ১৯৮৮ সালের দিকে নতুন সংগঠন আল-কায়দাকে সংগঠিত করতে থাকেন। একসময় এ সংগঠনই হয়ে উঠে বিশ্ব সন্ত্রাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম। মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে আল কায়দাকে। ১৯৯৩ সালে সোমালিয়ায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিযুক্ত মার্কিন মেরিন সেনাদের ওপর হামলা, ১৯৯৮ সালে নাইরোবিতে মার্কিন দূতাবাসে হামলা এছাড়াও সংগঠনটি সবচেয়ে পরিচিত হয়ে উঠে কেনিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলা ও ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে ভয়ানকতম সন্ত্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে। এছাড়াও বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকে আল কায়দার বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মযজ্ঞ। ওসামা বিন লাদেন হয়ে উঠেন বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের একজন। তিনি সকল মুসলিমকে আমেরিকা ও ইসরাইলের ইহুদিদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আহ্বান জানান। ব্যক্তিগতভাবে উগ্র ধর্মীয় পন্থায় বিশ্বাসী ওসামা মনে করতেন মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন তালেবান রাষ্ট্র আফগানিস্তানই বিশ্বের একমাত্র মুসলিম রাষ্ট্র। ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিয়ের মাধ্যমে মোট ৫টি বিয়ে করা ওসামার বিন লাদেন এর ছেলেমেয়ের সংখ্যা নিয়ে মতান্তর থাকলেও ধারণা করা হয়, তার ছেলে মেয়ের সংখ্যা ২৩ জন। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর আমেরিকা তাকে ধরতে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এর মধ্যে তালেবান বিরোধী আফগান যুদ্ধে মার্কিনীরা একাধিকবার তাকে হত্যার চেষ্টা চালালেও প্রতিবার তিনি বেঁচে যান। এমনকি তিনি ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা বের করাও দুঃসাধ্য হয়ে উঠে মার্কিন বাহিনীর কাছে। তবে এতদিন ধারণা করা হতো, ওসামা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যবর্তী পাহাড়ি কোন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।

একটি রিপোর্টের মাধ্যমে লাদেনের দূর্গের একটি চিত্র পাওয়া যায় । যেখানে লাদেন ও তার সঙ্গীরা থাকতেন। যেটা আফগানিস্তানে অবস্থিত। তোরা বোরা পাহাড় যেখানে একসাখে ১০০০জন যোদ্ধার খাকতে পারেন। সাথে অত্যাধনিক অশ্ত্র সজ্জও রয়েছে।

আমেরিকা সহ সারা বিশ্ব যখন সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনে মুখরিত যখন আরব বিশ্বের সরকার বিরোধী আন্দোলন চরমে তখন এমনি সময়ে পাকিস্তানে জোড়া খুন করে ধরা পরেন ৩৬ বছর বয়সি সিআইএ গোয়েন্দা রেইমন্ড এলেন ডেভিস।
রাশিয়ার গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে ডেভিস খুব গোপনীয় মিশনে এসেছিল যার উদ্দেশ্য ছিল আল-কায়দাকে “নিউক্লিয়ার ম্যাটেরিয়ালস” দেবার জন্য। এসভিআর (রাশিয়ান গোয়েন্দা) এর রিপোর্টে আরো বলা হয় রেইমন্ড এলেন ডেভিস একজন সামরিক যোদ্ধা এবং তিনি আফগানিস্তান যুদ্ধের ইউএস’ টিএফ ৩৭৩ ব্লাক অপারেশন ইউনিটের একজন সক্রিয় সদস্য।
রেইমন্ড এলেন ডেভিস ধরা পড়ার সাথে সাথে সারা বিশ্বে তোলপার শুরু হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে আমেরিকা মরিয়া হয়ে পরে রেইমন্ড ডেভিসকে মুক্ত করবার জন্য। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ব্লাড মানি ক্ষতিপূরন দিয়ে পাকিস্তান থেকে ডেভিসকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।
এরি মধ্যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর প্রধানকে পরবর্তী ২(দুই) বছরের জন্য বর্ধিত করা হয়। আইএসআই এর এক সূত্র থেকে পাপ্ত একটি দলিল বদলে দেয় আল-কায়দার চিত্র সেখানে উল্লেখ রয়েছে ওসামা বিন লাদেন ইউএসজি এর পাবলিক অফিসিয়াল।
যেখানে বলা হচ্ছে উসামা/ওসামা বিন লাদেন= টিম ওসমান ইউএস গভর্মেন্ট পাবলিক অফিসিয়াল।

আর ডেভিস এর হিসাব কষা শেষ হতে না হতেই আরেক হিসাব কষতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে। যেখানে আল-কায়দাকে সমৃদ্ধ করার জন্য গোপন নিউক্লিয়ার ম্যাটেরিয়ালস পাঠাচ্ছে আমেরিকা সেখানে এই আমেরিকাই আল-কায়দা প্রধানকে এক নাটকী মৃত্যু দন্ড দিচ্ছে পাকিস্তানের মাটিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা করেন যে মার্কিন সেনাদের একটি বিশেষ দলের হামলায় ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে নিহত হয়েছেন এবং তার লাশ সাগরে ফেলা দেয়া হয়েছে। এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ২০০৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, বিন লাদেন বেশ কয়েক বছর আগেই নিহত হয়েছেন। ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে সন্ত্রাসী হামলায় বেনজির ভুট্টোকে হত্যার একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর তিনি বলেছিলেন, ওসামা বিন লাদেন এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন । ওই সাক্ষাৎকারে বেনজির ভুট্টো আরো বলেছিলেন, ওমর শেখ নামের এক ব্যক্তি বিন লাদেনকে হত্যা করেছে। লাদেন হত্যাকারীদের কারো সাথে পাকিস্তান সরকারের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “হত্যাকারীদের একজন নিরাপত্তা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ওমর শেখের সাথে তার সম্পর্ক বা যোগাযোগ রয়েছে। ” যার ঠিক দু মাস পর বেনজির ভুট্টো ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর এক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন।
ইরানের গোয়েন্দামন্ত্রী হেইদার মুসলেহি বলেছেন, মার্কিন অভিযানের অনেক আগেই বিন লাদেন রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে তার কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে। বিন লাদেনকে হত্যার মার্কিন দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেন পাকিস্তানে পহেলা মে’র অভিযানে বিন লাদেন নিহত হয়ে থাকলে তার মৃতদেহের ছবি কেন প্রকাশ করা হলো না এবং কেনইবা তার লাশ সাগরে ফেলে দেয়া হলো? তিনি বলেন, ইরান জুনদুল্লাহ গোষ্ঠীর প্রধান আব্দুল মালেক রিগিকে গ্রেফতারের পর তাকে মিডিয়ার সামনে এনেছে এবং তার সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান গণজাগরণ থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি সরিয়ে নিতেই বিন লাদেনকে হত্যার খবর প্রচার করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকটসহ অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে ঢাকা দেয়াও মার্কিন সরকারের উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত পহেলা মে আল কায়েদা নেতা বিন লাদেনকে হত্যার দাবি করলেও তার মৃতদেহের কোন ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেনি ।
এদিকে ২০১১ এর মে তে বিন লাদেনের মৃত্যুর ঘটনায় সারা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়েছে সাথে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক এক নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিভিন্ন সুত্রের মতে লাদেন অনেক আগেই মারা গিয়েছেন বলে তারা মৃত লাদেনের ছবি যে ধোকা দেবার জন্য সিআইএ কর্তৃক বানানো তা প্রমান করার চেষ্ঠা করেছেন বিভিন্ন ভাবে।

লাদেন বেঁচে আছে কি মারা গেছে সেটা বড় কথা নয়। গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো বর্তমানে সারা বিশ্ব এখন কি ক্ষতিপূরণ দিতে যাচ্ছে আমেরিকা ঘোষিত তথাকথিত লাদেন হত্যাকান্ডের জন্যে।
ইতিমধ্যে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে আল-কায়েদা। আল-কায়েদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ওসামার রক্ত বৃথা যাবে না। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের উপর অভিশাপ নেমে এলো। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের উপর হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও আল-কায়েদা দাবি করেছে। পাকিস্তানের উপর দিয়ে প্রতিশোধের ঝড় বইতে পারে এমন ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নির্দেশে ওসামার রক্তের ধারা জন্ম পরম্পরায় প্রবাহিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা এ অভিশাপ থেকে রেহাই পাবে না। এমনকি তারা দেশের ভেতরে ও বাইরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের সুখ দুঃখে পরিণত হবে এবং রক্ত চোখের জলে মিশে যাবে। যেখানে ওসামাকে হত্যা করা হয়েছে সেখান থেকেই বিদ্রোহ-বিক্ষোভ শুরু করতে আমরা পাকিস্তানি মুসলমানদের আহ্বান জানাচ্ছি।”
ওসাম বিন লাদেনকে হত্যা করতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে মার্কিন কমাণ্ডো বাহিনীর অভিযানের প্রতিবাদে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা বলেছে, এ ধরনের হামলার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মার্কিন বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, ফলে বিন লাদেনের মতো আরো অনেক সন্ত্রাসীর উত্থান ঘটবে।
পাকিস্তানের এবোটাবাদে যেখানে বিন লাদেনকে হত্যার দাবি করা হয়েছে সেখানে শত শত মানুষ মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ করে। জুমার নামাজের পর অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে ‘যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস হোক’ বলে শ্লোগান দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা বিন লাদেনকে হত্যার পর তার মৃতদেহ সাগরে নিক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানান। পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায়ও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের কথিত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মার্কিন পতাকায় আগুন দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধান ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামীর ডাকে রাজধানী ইসলামাবাদ ও করাচিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। দলটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সেনা অভিযান চালিয়ে দেশটির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব লংঘন করেছে। এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তির বিরুদ্ধে জামায়াত নেতারা ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এদিকে ইয়েমিনি বংসদ্ভুদ আমেরিকান নাগরিক আনোয়ার আল-আওলাকি আল-কায়দার প্রধান হিসাবে এখন দায়িত্ব কাধে নিয়েছেন।

একটি সূত্র থেকে জানা যায় বর্তমানে আল-কায়দা বাংলাদেশ সহ মোট ৪৫টি দেশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আল-কায়দা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের হেড মাস্টার। আর এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটি অন্যান্য সংগঠনকে মদদ দিচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। তারা “জিহাদ” এর নামে বিভিন্ন সংগঠন তৈরি করছে আর এর কার্যক্রম অবাধে চালাচ্ছে। ইসলামকে বিক্রিত করে সারা বিশ্বে এক বিশ্ব যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটানোর চেষ্ঠা করছে। এই রকম অনেক জঙ্গি সংগঠন এই যুদ্ধের নাম দিতে চাচ্ছে মুসলিম ভার্সেস নন মুসলিম। বাংলাদেশে আল-কায়দা হরকতুল জিহাদ, হিজবুত-তাহিরি, হিজবুত তাওহিদ, খিলাফত আন্দোলন, লস্কর-ই-তাইবা সহ নানা উগ্র ইসলামিক সংগঠনের মাধম্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় বর্তমানে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনী বছর দশেক ধরে জিহাদি কার্যকলাপের সাথে নিজেকে জড়িত রেখেছেন। ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে তিনি আফগানিস্তান, পেলেইস্তাইন, কাশমির সহ নানা দেশে বহু যুবকদের জিহাদি প্রশিক্ষনের জন্য পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয় বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য তিনি আইএসআই এর মদদে এবং আর্থিক সহযোগিতায় ইসলামের নামে বর্তমান সরকারকে চাপের মুখে রাখার চেষ্ঠা করছেন। রছরের পর বছর ধরে মুফতি ফজলুল হক আমিনী পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই)এর সাথে যোগাযোগ রক্ষার পাশা পাশি আল-কায়দা, হিজবুত-তাহিরি, হিজবুত তাওহিদ ও লস্কর-ই-তাইবার সাখে গোপন সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। আর তাই এখন প্রয়োজন সম্মিলিত ঐক্যজোট । সম্ভাব্য বিশ্ব যুদ্ধ থেকে আল-কায়দা তথা সিআইএ এবং আইএসআইএর নগ্নতা বন্ধ করা অতিব জরুরী। আর এতে দেরি হলে আমাদের মানব সম্প্রদায় বিলুপ্ত হতে বেশি সময় লাগবেনা।