বিকেলের আলোয়

১- পর্ব
-আমাদের একটা বোন হয়েছে- বড়ভাই বলেছিল- খুশিতে আনন্দে বলেছিল-
আমার মনে নেই সঠিক সময়,দিন ক্ষণ। মনে আছে আমাকে নিয়ে মা সেই সময় এক জায়গায় যেত। আমি অস্থির হয়ে যেতাম অপেক্ষা করতে করতে। পরে জানতে পারি ওটা ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল। আমি কত ছোট কতটুকু তা জানিনা।

এর বছর খানেক আগে বড় আপার বাচ্চাটার মৃত্যু হয়। সেই গভীর রাতে মা,বাবা দু’জনে মিলে বাচ্চাকে নিয়ে গেছিলেন এক হাসপাতালে।
সাথে আমিও ছিলাম। সেই বয়সে আমাকেও নিয়ে গেছিলেন। বয়স আন্দাজ করতে পারিনা, চাইও না। বয়স আসলে সময়ের গতি। তাকে আমার মূখ্য মনে হয় না কোনো দিনও।
বাচ্চাটা বেশ ভুগছিল। হাত পা ছুঁড়ে খেলে, আমিও ঝুনঝুনি দিয়ে খেলি। পা মাঝে মাঝে শুয়ে শুয়ে ঠকাস ঠকাস করত। নাদুস নুদুস বাচ্চা। আমাদের সে বাড়িতে কোনো ইলেকট্রিসিটি ছিলনা। ঝড় বিষ্টি হলে হ্যারিকেনের মাথায় কাঁথা-কানি শুকাতো মা। বোন ,দুলাভাই ঢাকায় থাকে। মাঝে মাঝে এসে দেখে যায়।

সেইবারই বোধকরি অনেকদিন অনুপস্থিত ছিল। বড় আপা ঢাকা ইউনিভারসিটিতে পড়ে, একা কী করে বাচ্চা পালবে সম্ভবত সেই কারনেই ওর ছেলেটা মায়ের কাছে থাকে। সবার আদরের, সবার নয়নের মনি এইটুকু বাচ্চা। কি যত্নের কি আদরের সবার!
হঠাৎ কি যে হল। বাচ্চার পায়খানা ভালোই হচ্ছে না। একএক সময় এক অবস্থা।
একদিন গভীর রাতে মা ,বাবা দু’জনে বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতাল গেল।
সারারাত এক ভুতুড়ে যুদ্ধ হচ্ছে। আমি তার মাঝে ঘুমাই। তন্দ্রা আসে, হাই ওঠে।
দেখি ছোট বাচ্চার বুক কি উথাল পাতাল করছে। চেয়ারে বসে আমি ঝিমাই, ঝিমাই, যেনো কাল ঘুমে ধরেছে।
আমাকে কেনো আনা হয়েছে বুঝিনা।
দিব্ব দেখতে পাই বাচ্চাটার মুখ নীল হয়ে যাচ্ছে। যখন সব আশা ভরসার অবসান ঘটিয়ে সে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল, আমি তখনও ঝিমাচ্ছি। ঘোর লাগা চোখ আমার। হাতে কাঁথা,কানি নিয়ে বসে আছি চেয়ারে পা ঝুলিয়ে।
সেই বয়সে চোখের সামনে মৃত্যু দেখিনি। বাচা মরা কী জিনিশ বুঝিনা তখন ভালো করে।
মা বাচ্চাকে নিয়ে বসে আছে। ডাক্তারদের দৌড়া-দৌড়ি, ছোটাছুটি। এক সময় শেষ হয়ে গেল।
এবং কী আশ্চর্য রকমের একটা হাওয়া দরজা দিয়ে এসে জানালা দিয়ে বেরিয়ে গেল।

বাচ্চাকে দেখে ডাক্তারদের মুখ আগেই গম্ভীর ছিল। কয়েকদিন ধরেই সবুজ –সবুজ পায়খানা করত।
সেই বয়ে যাওয়া হাওয়ার মধ্যে কিসের হাহাকার ছিল।
একসময় বিশাল শূণ্যতা নিয়ে বাড়িতে ফিরে এলাম আমরা। বাচ্চা তখনও মায়ের কোলে। নিঃশব্দ মৃত্যু। চারদিক হীমহীম ভাব। পাড়া পড়শিতে ভরে গেল উঠোন। আমাদের বাড়ি আগেকার দিনের জমিদার বাড়ি ছিল হয়তো।
পলেস্তারা খসে যাওয়া বাড়িতে মা বাচ্চা কোলে ঠাই বসে। কেউ বাচ্চা নিতে পারছেনা। শেষ কৃ্ত্য সমাধানের পথ খুঁজে পায়না কেউ। কেউ বাচ্চাটা নিতে পারছেনা। মা আঁকড়ে কোলে নিয়ে আছে।

শেষ পর্যন্ত মাঝি নানা বলে এক বুড়ো মতন মানুষকে ডাকতাম, বড্ড গরিব। দিন আনে দিন খায়। বেড়া বাঁধার কাজ করে। শুনেছি আমার নানাভাই তাকে খুব আদর করতেন। সেই সুবাদে মা’কে মেয়ে ডাকে, আর আসা যাওয়া।

সামনের উঠোনে যে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা চারদিক তা এই মাঝি নানা করেছে। গোসলখানা, বেড়ার অনেক দূরে পায়খানা। যেতে হয় ঝামেলা করে। পায়খানার নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে একফালি সরু খাল। মাঝে মাঝে জোয়ার ভাটা খেলে। তখন উপচে উঠে পানি- সেই বড় বেলগাছ পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়ে।
সাপ খোপের ভয় নেই তা নয়। তবু তা ডিঙ্গিয়ে সাথে একজনকে নিয়ে আমরা পায়খানায় যাই।

মাঝি নানা বাচ্চাটাকে আস্তে করে টেনে নিতেই দেখলাম মা হাহাকার করে কেঁদে উঠল। চারদিকে দোয়া দরুদ, আগরবাতির গন্ধ। মন কেমন করে উঠল, এই এক শিশু কতটা জুড়ে ছিল সবার।
বাইরে ঝাঁঝাঁ রোদ। আমি ঘরের ভেতরে বসে দৃশ্যগুলো দেখছি।
একটা শিশু জন্মেছিল। আজ সে নেই। তার কাঁথা-কানি,তার দুধের শিশি, তখনতো প্লাস্টিকের বোতল ছিলনা।
নৌকোর মতো কাঁচের বোতলে দুধ খাওয়ানো হত। খেলনা, ঝুনঝুনি, সব চৌকিতে রাখা, অথচ শিশুটি নেই।

পুরো বাড়িটা শূণ্য হয়ে গেল।এতোটুকু একরত্তি শিশুটা কতটুকু জায়গা জুড়ে ছিল, অথচ এমন শূণ্যতা কেউ অণূভব করেনি কি অবাক কান্ড! চলে যাবার পর যা ঘটল। কেউ কি ভাবে কোনো দিন যে এমন একটা দিনক্ষণ আসবে , এমন ভাবে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যাবে।
বড় আপা এলো ঢাকা থেকে দুলাভাই সহ। শুনলাম তাদের চাপা কান্না। দুলাভাইকে দেখলাম উঠোনে খোলা আকাশের দিকে শূণ্য চোখে তাকিয়ে আছে।
আমার কেমন যেন লাগতে লাগল। চলে গেলাম সামনে বেশ বুনো জঙ্গুলে গাছ গাছালির ছায়ায়। আতা গাছের ডালে বসে থাকলাম। এমন কতদিনই না বসেছিলাম। মন ভালো না লাগলেই এখানে চলে আসি।
কি বিশাল আতা গাছ! পাশেই বেল গাছ, আরো কতো রকমের গাছ। বিশাল পুরোনো ভাঙ্গা বাড়িটা কেমন আস্তে আস্তে ঝিমাতে লাগল। এমন হলদেটে বিকেলে ঘরে ঢুকলাম।

অনেকদিন ধরেই মা কেমন যেন হয়ে গেছে। মায়ের চেনানো শখের শাক পাতা খুঁজে খুঁজে আনি। রান্না করে খড়ির চুলোয়। তিনি থাকে সব সময় অন্যমনষ্ক।
সামনেই ভট্টাচার্যিদের বাড়ি। বিশাল জায়গা জুড়ে। টিন শেডের বাড়ি। আসলে ওটা ভট্টাচার্যির বাড়ি নয়। ওটা তড়িত বাবুর বাড়ি। পরিবার পরিজন সব নাকি ইন্ডিয়াতে থাকে। আর তিনি এই বিশাল জঙ্গুলে বাগানওয়ালা বাড়িতে একা একা দিন কাটান। ভট্টাচার্যি তাঁর ম্যানেজার।
এই তড়িত বাবুর রান্না ঘরের পেছনে ঘন নেবু গাছ। কাঁচা কাঁচা নেবু ছিঁড়ে আনতাম। গন্ধটা এতো ভালোলাগত। মা রেগে বলত,
–এই কচি নেবু আনার কি দরকার ছিল? এইগুলো কি খাওয়া যায়?
মা জানেনা আমি তাঁকে খুশি করতে নিয়ে আসতাম। ওখানে দুপুরে যেতাম বেশি। আমাকে তড়িত কাকা, আর ভট্টাচার্যি কাকা খুব আদর করতেন।
বাবা প্রায় তড়িত কাকার সাথে দাবা খেলতেন বিকেল বেলায় মাঝে মধ্যে।
তাদের রান্না ঘরের পেছনে নেবুতলায় মন মাতানো গন্ধ ভেসে আসতো। বেশ কটা নেবু তুলে ফ্রকে করে নিয়ে আসতাম মায়ের জন্য। মা বকুনি দিত, এই বকুনিও আমার অনেক আনন্দের লাগত।

হঠাৎ একদিন দেখি মায়ের মাথার মাঝখানের চুল পড়ে গোল মত খালি হয়ে গেছে। ঠিক মাঝ খানে যেখানে সিঁথি কাটতো। অবাক হলাম। পেছনে কোমর ভাঙ্গা চুল, ভয়ানক রুপসি মা আমাদের। আগুনের মত গনগনে ফর্সা
গায়ের রঙ। অথচ আমরা পাঁচ ভাই বোন কেউ মায়ের মত রঙ পেলাম না।

বছর খানেক পরেই মা মেডিকেলে যেত আমাকে নিয়ে। কখনো বা বাবাকে নিয়ে। বাবা ভেসপা চালিয়ে অফিসে যেত। কেন যে মেডিকেল যেত বুঝতাম না। আমাকে একটা চেয়ারে বসিয়ে মা ভেতরে যেত।
এমন করেই যাচ্ছিল দিন। ক্রমশ মা দূর্বল হয়ে পড়ে।
একদিন ঘন বর্ষায় আমাদের বাড়িতে বাবা ডাক্তার নিয়ে এল। বড় ভাই কলেজে, মেজো বোন, মেজো ভাই ও স্কুলে। ডাক্তার এসে কী সব চেক করল। আমাকে সরিয়ে দিল ঘর থেকে।
এর কিছুদিন পরে মা হাসপাতালে গেল। কী অবাক কান্ড! ওদিন আমাকে না নিয়েই হাসপাতালে গেল?
—আমাদের একটা বোন হয়েছে—
বড় ভাই আনন্দে খবর দিয়েছিল। পুরো বাড়ি ঝলমলে হয়ে গেল।
আমি কি বাড়িতে থাকি? কোন আতা গাছে আতা পাকলো তা খুঁজি। কখন আম গাছে আম পাকবে খুঁজে বেড়াই।
ভট্টাচার্যি কাকাদের রান্না ঘরের সামনে একটা গাছ ছিল। তাতে এক রকম ফুল হত। ওটাকে বক ফুল বলে সবাই।
রান্না করে খেতে ভারি সুস্বাদু। মা এলে রান্না করতে বলব। আরো আছে বেলাম্বো গাছ। এই গাছ আর কোথাও পাইনি। টক জাতীয় ফল। লম্বা লম্বা অনেকটা পটলের মত ঝুলে থাকে। নুন দিয়ে খেতে কি যে মজা লাগে।

মা এলো। কোলে করে ফুটফুটে বাচ্চাটা নাকি আমাদের বোন। আমার চাইতে অনেক ছোট বোন।
অবাক বিস্ময়ে হাত পা দেখলাম। একরত্তি শিশু কিন্তু কি ভয়ানক আনন্দ নিয়ে এলো।
কয়েকদিন পর আবিষ্কার করলাম মায়ের তালুতে উঠে যাওয়া চুল একটু একটু করে গজাতে শুরু করেছে।

আমার জন্মের স্মৃতি শুনি, আমি হবার পরে নাকি যে বাবার সাথে যেত দেখতে সে সাইকেলে চেপে যেত।
সেই সময় শীতকালে ঠকঠকিয়ে কাঁপতে কাঁপতে আমাকে , মাকে দেখতে যেত বাবা। সাইকেলের পেছনে মেজোভাই থাকত।

বাবা প্রায় বলে- তোমার মা সু-প্রসবিনী- কথাটার মানে অনেক দিন বুঝিনি।
আমি জন্মেছি যখন তখন বড় আপা স্কুল থেকে এসে প্রায় দেখতো দু’ভাই বোন পায়খানা করে কাঠি দিয়ে এ ওর গায়ে মাখিয়ে দিচ্ছে।
ময়মনসিং এর সেই বাড়িতো আমার স্মৃতিতে নেই। আমি জন্মেছি ডিসেম্বরে। একদম ঠকঠকানি ঠান্ডায়।
বাবা সবার নাম, সন তারিখ লিখে রাখত এক মুসাবিদা খাতায়। আমার জন্ম তারিখ লিখেছে নিশ্চয়।
অথচ আমাদের সবারই মোটামুটি স্কুলে জন্ম তারিখ ১-১২-০০০০ এমন ভাবেই লেখা থাকত। এইটা নাকি সঠিক ভাবে গননা করা যায়।
অদ্ভূত ব্যপার! জানতে চাইনি কোনোদিন। বয়সের দিন তারিখ, সন আমার কাছে এমন বিশেষ কিছু নয়। কিন্তু এর কারনে নানা ভাবে ভুগতে হয়েছে, ভোগায় মানুষকে।

এক্কেবারে পঞ্চম সন্তান হওয়ায় আমার জন্ম একরকম বৈশিষ্টবিহীন বলেই আমার ধারনা। জন্মের জন্য পৃথিবীতে আসা। এমন কোনো আকাঙ্ক্ষিত শিশু ছিলাম না আমি। না ছোটোর আদর না বড় সন্তানের আদর। এমন অভিমান বোধ আমার মাঝে একটা গাছ হয়ে জন্মে শিকড়গুলো যেনো ডালপালা গজাতে লাগল।
জন্মটা অনেকটা ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টানোর মত।
তবু তো আমি এসেছি। এই ধরায় আমার আগমন ঘটেছে ইচ্ছাই হোক, অনিচ্ছাই হোক।
শীতের দিন মটকিতে জমানো ঠান্ডা পানিতে বড় বোন গোসল করত। সবাই করত। একসময় বড় আপার নেউমোনিয়া হয়ে গেল। বাবা মুরগি পালত, রোজ ডিম গুনে রাখত। একটা ডিম এদিক ওদিক হবার জো ছিলনা। মাঝে মাঝে ডিম তরকারি হত। সেটাও বাবার অনুমতি দিলে।
আমার জন্ম এই দেশে। বাকি ভাই বোনেরা দেশের বাড়িতে হয়েছে। তখন ভিসা পাস পোর্ট ঝামেলা ছিল জানিনা।

তবু মাকে বাবা পোয়াতি হলেই দেশে পাঠিয়ে দিত।
দাদির বাড়িতেই জন্মেছে বাকি চার ভাই বোন। মা ছোট বউ ছিল। বড় জা খাবার দাবারের কষ্ট দিত। হেলা ফেলা করে খাবার দিত। দাদির নজরে পড়লে সেটা দাদি নিজেই সামলে নিত।
মাটির বাড়ি। কিন্তু ঝকমকে থাকতো। দাইমা থাকায় সমস্যা হতনা তখনকার দিনে। তবু দাদি নিজেই পাহারা দিত সন্তান প্রসবের সময়। নানা কারনে মুখ ঝামটা লেগেই থাকতো।
–কি জানি কী করে এই কমিনমুড়িরা- পোড়ামুখিরা এদের বিশ্বাস কী? গজগজ করতেই থাকতো মেজাজ গরম হলে।
কারনে অকারনে সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত বসে থাকতো। পাহারা দিত, যেনো সমস্যা না হয়। যেই বাচ্চা হোত, এই শুরু হোত চেঁচামেচি,
-হতচ্ছাড়িরা গেলি কই, পোড়ামুখিরা কি চোখের মাথা খেয়েছে? গরম পানি দিতে এতো দেরি?
-খোয়ারি , হতচ্ছাড়িরা কি নিশ্চয় আড্ডা মারছে-নাহয় একজনের দেখা নেই? দাদি শোরগোল তুলে দিত বাড়িতে।

চার ভাই বোনের পর আমি এলাম। এমন পঞ্চম শিশুর দামই বা কী দুনিয়াতে। এক গাছ যেমন আর এক গাছে ভর করে দাঁড়িয়ে থেকে বাড়তে থাকে। আমিও তেমন করেই বাড়তে থাকলাম।

ছোট বোনের জন্মের খবরে সবাই আনন্দ পেল, আমোদ পেলো। এতোটুকু এক রদ্দি বাচ্চা আবার সংসারটা আলো করে দিলো। বড় আপার সন্তান হারানর কষ্ট কিছু যেন লাঘব হল।
বাবা সরকারি কোয়াটার পেলেও তা না নিয়ে এই ভাঙ্গা জমিদার বাড়িতে থাকার কী রহস্য পরে জেনেছি।
কলোনিতে থাকা বাবার পছন্দ নয়। ওখানে থাকলে অসৎ সঙ্গে সন্তানেরা নষ্ট হবে, এইটাই বাবার ধারনা ছিল।
দূরে তাকিয়ে দেখতাম ঝকমকে লাইট জ্বলে, ফ্যান ঘুরে, আলো যেনো আকাশে গিয়ে আলোময় করে দেয়।
আর আমাদের ঘর হ্যারিকেনের আলোয় মাঝে মাঝে চারদিক আরো অন্ধকার ঘনায়িত হোত।
তবে দখিনের বাতাস বয়ে যেত হু-হু করে।
সবাই খুশি, মেজো ভাই যেনো আরো খুশি । কাউকে ছুঁতে দেয়না। এই বোনটা যেনো দূরে ইলেক্ট্রিক বাতির সব আলো একসাথে এনে ঘর আলোকিত করে দিল।
বড়আপার বাচ্চা হারানর পর এই বাচ্চা হওয়াতে মা বড্ড লজ্জিত থাকত। সেই লজ্জা আস্তে আস্তে কেটে গেল।

( চলবে)