আমাদের ফরিদ ভাইয়ের মত একটা ডিসক্লেমার দিতে হবে এই পোস্টের আগে। এটি একটি রসময় পোস্ট। কাচ্চা বাচ্চাদের প্রবেশ নিষেধ। কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্করাই এটি পাঠ করবেন। আর যেহেতু এটি একটি রসময় পোস্ট, সেহেতু এটি খুব বেশি সিরিয়াসলি না নিলে কিংবা এর অন্তর্নিহিত কোন তাৎপর্য খোঁজার চেষ্টা না করাই ভাল হবে।
:line:

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মরহুম বিন লাদেন চমৎকার একটি ইসলামী জীবন অনুসরণ করেছেন। যেখানে তিনি তার বিপ্লবী আদর্শে বলিয়ান উম্মতদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্ররোচিত করেছেন, নাইন- ইলেভেনের মত আরো ঘটনা পুনর্বার ঘটানোর ডাক দিয়েছেন, কাফির নাসারাদের সমূলে ধ্বংস করে ইসলামী সাম্যবাদের পতাকা তুলে ধরার হাক ডাক পেরেছেন, সেখানে সেই বিপ্লবের অসংবাদিত নেতা লাদেন ইসলামাবাদের মাত্র ৬০ মেইল দূরে সামরিক বাহিনীর অভয়ারণ্য বলে খ্যাত এবোটাবাদের একটি দূর্গতুল্য প্রাসাদে তিন স্ত্রী এবং এগারোজন সন্তান সন্ততি নিয়ে নিরাপদে জীবন যাপন করতেন, কাফির নাসারাদের বানানো কোকা-কোলা / পেপসি চুক চুক করে পান করতেন, শখ করে দূর্গের বাইরে মারিজুয়ানা বা গঞ্জিকার বাগান করতেন, এবং গভীর রাতে কম্পিউটারে বসে বসে পর্নোগ্রাফি দেখতেন। চমৎকার একজন ইসলামী নেতার মতোই কাজ কারবার।

বিন লাদেন সংক্রান্ত সর্বশেষ চাঞ্চল্যকর খররটি হল, যে বিন লাদেন মেয়েদের সম্মান করে শরিয়া মোতাবেক চলাফেরা, হিজাব পরা, পর্দানসীন থাকাকে পশ্চিমা ধাচের অশালীন চলাফেরার চেয়ে অনেক উৎকৃষ্ট বলে মনে করতেন, সেই লাদেন পশ্চিমা মেয়েদের পর্নোগ্রাফি তার কম্পিউটারে সংগ্রহ করে রাখতেন, এবং সম্ভবত উৎসাহের সাথে সেগুলো তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেন। এ খবরটি প্রকাশিত হয়েছে রয়টার, সিএনএন, ইয়াহু নিউজ, ফক্স নিউজ, এবিসি নিউজ, গার্ডিয়ানহাফিংটন পোস্ট সহ বহু নিউজ মিডিয়াতেই। এরকম একটি নিউজ –

যদিও হলফ করে বলার উপায় নেই যে, বিন লাদেনই সেই পর্নোগুলো দেখতেন, কিন্তু তার পরেও যখন তার পার্সোনাল কম্পিউটারেই রকমারী ধরণের ঢালাও পর্নের সংগ্রহ আবিস্কৃত হয়েছে, এবং সেই কম্পিউটারটি সুরক্ষিত ছিলো কেবল বিন লাদেনের নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্যই, তখন মন থেকে জোরালো একটা সন্দেহের তীর প্রক্ষিপ্ত হয় বৈকি! যাহা হাঁসের মত প্যাক প্যাক করে আর যার হাসের মত পালক আছে – তাহা শেষ পর্যন্ত হাঁসই!

আমি পর্নোবিরোধি কেউ না। কে নিশিরাত জেগে পর্নোগ্রাফি দেখছে আর না দেখছে সেটা আমার বিবেচ্য ছিলো না কখনোই, এই লেখার মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির বিলুপ্তির কোন পিটিশনও হাজির করছি না আমি, যার ইচ্ছে হয় দেখুক, আমার কী বলার আছে! কিন্তু আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুটি হল – যে বিন লাদেন পাশ্চাত্যে অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফি, হোমোসেক্সুয়ালিটি আর পতিতাবৃত্তি সহ বহুকিছুতে সোচ্চার, সকল ধরণের ‘পশ্চিমা বেলেল্লাপনার’ বিরুদ্ধেই তার নিরঙ্কুষ জিহাদ, সেই নীতি নৈতিকতার চূড়ামনি বিধ্বংসী জিহাদী নেতা লাদেন বসে বসে পর্নোগ্রাফি দেখতেন – ব্যাপারটা অভিনব না? সর্ষের মধ্যেই যখন ভুত থাকে, তখন আর কী বা বেশি বলার থাকে।

আমি ফেসবুকে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার পর আমার ফেসবুক বন্ধু নিপুন সরকার একটি মজাদার মন্তব্য করেছেন –

“এইগুলা হয় কাফির ইউএছদের প্রপাগান্ডা নয় এইগুলা ১০০% শরিয়তি হালাল পর্ণ… 🙂 “


ছবি – ওসামা বিন লাদেনের হালাল পর্ন?

তারপর থেকেই আমি ভাবছি, ওসামার দেখা এই ১০০% শরিয়তি হালাল পর্নোর তালিকা কেমন হতে পারে? নিউয়র্ক পোস্ট একটা মজার তালিকা করতে চেষ্টা করেছে, তালিকাটা এরকমের –

* তালিব্যানাস (Talibuns)
* ডেব্বি ডাস এবোটাবাদ (Debbie Does Abbotabad)
* ওরআল কায়দা (Oral Qaeda)
* নো ফতোয়া চিক্স (No Fatwa Chicks)
* ৯ ১/২’র শেখরা (9 1/2 Sheiks)
* আই ই ডিডিডি (IE-DDD)
* সুইসাইড বোম্বশেলস ৬ (Suicide Bombshells 6)
* বিহাইন্ড দা গ্রিণ বুর্কা (Behind the Green Burqa)
* সহস্র আরব এক রজনীতে (1000 Arabians in One Night)
* ওয়েপন অব ম্যাস শিডাকশন (Weapons of Mass Seduction)
ইত্যাদি।

বিল মার আমার প্রিয় একজন কমেডিয়ান। আমি এইচ বি ও চ্যানেল দেখিই মুলতঃ বিল মারের শুক্রবারের ‘রিয়েল টাইম উইথ বিল মার’ দেখার জন্য। গত শুক্রবার ছিলো বিল মারের জন্য পয়মন্ত একটি দিন। লাদেনের কম্পিউটারে পর্ন পাওয়া নিয়ে মজার কিছু রসিকতা করলেন বিল মার শুরুতেই। তারপর শো শেষও করলেন তার বিখ্যাত ‘নিউ রুল’-এ লাদেনকে নিয়ে এসে। বিল মারের ‘নিউ রুল’ এ লাদেনের হালাল পর্নের তালিকাটি এরকম –

* ডিপ গোট (deep goat)
* র‍্যাডিকাল জিজলাম (Radical Jizzlam)
* বেয়ারলি ভিজিবল (Barely visible)
* সেভেটি টু ভার্জিন এণ্ড ওয়ান ভেরি একসটেড রান জেরোমি (72 Vergin and one very exhausted run Jeremy )
* ইয়েন্টল (Yentl)

ইউটিউব থেকে বিলমারের নিউরুলের লাদেন সংক্রান্ত অংশটুকু এখানে তুলে দেয়া হল –

httpv://www.youtube.com/watch?v=xonDwYQ_-AU

বলাই বাহুল্য নিউইয়র্ক পোস্ট আর বিল মারের তালিকাটি বানানো, লাদেনের কম্পিউটারে পর্নো পাওয়া যাওয়ার খবরটি সঠিক হলেও ‘হালাল পর্নের’ তালিকাটি নয়; এটা স্রেফ রসিকতা। এটা বলতেই হল, কারণ আমাদের ইসলামী ভায়েরা আবার রসিকতা বুঝতে পারেন না। দেখা যাবে, তারা আরেক সাইটে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়ছেন – একটা বানোয়াট বানানো মিথ্যা পর্ণের তালিকা দিয়ে ইসলামের ইমেজ নষ্ট করতে চাচ্ছেন বদ্ধমনা অভিজিৎ রায়।

না ইসলামের ইমেজ নষ্টের জন্য অভিজিৎ রায়কে লাগে না। ইসলামের ‘অবিসংবাদিত নেতা’ বিন লাদেনের বিবিধ কাজ কর্মই ইমেজ ধূলিস্ম্যাৎ করার জন্য যথেষ্ট। 🙂 শুধু পর্নোগ্রাফি নয়, বিন লাদেনের দূর্গ থেকে এভেনার মত বিভিন্ন ‘সেক্সুয়াল স্টিমুলেটর’ও পাওয়া গেছে। তার চেয়েও মজার ব্যাপার হল, নিজে আয়েশ করে বাহারি ধরণের পর্নো দেখলেও তার মৃত্যুর পরে তার স্ত্রীরা যেন কোনক্রমেই পুনর্বার বিয়ে না করতে পারেন – এ নিয়ে একটি উইল করে গেছেন ‘মহানুভব লাদেন’। অবশ্য এগুলো কোনটাই আমার কাছে খুব একটা বিস্ময়কর কিছু মনে হয়নি। কাগজে কলমে মৌলানারা তোতাপাখির মত ‘ইসলামে পর্নোগ্রাফি হারাম’ জাতীয় বুলি আউরালেও কিংবা বোরখা আর হিজাবের জয়গান গাইলেও আরব বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোই সবচেয়ে ‘সেক্স স্টার্ভড’ জাতি সেটা অনেক আগে থেকেই মুখে মুখে প্রচলিত ছিল। হিন্দি নাচ গানের সেন্সুয়াল ভিডিওর জমজমাট ব্যাবসা নাকি আরবেই। মধ্যপ্রাচ্যের ‘বেলি ড্যান্সিং’ কিংবা পাকিস্তানের মুজরার কথাও কমবেশি সবাই জানে। শুধু তাই নয়, সৌদি বাদশাহদের হারেম পোষা থেকে শুরু করে, দেশ বিদেশ থেকে সুন্দরী নারী ভাড়া করে নিয়ে এসে শেখদের পার্থিব লালসায় ব্যবহারের খবর প্রায়ই পত্রপত্রিকায় পাওয়া যায় (ইরোটিক এবং পর্নোগ্রাফিক আরব কালচার নিয়ে অনেক গবেষণাও হয়েছে, দেখুন এখানে)। আর এর মধ্যে পাওয়া গেছে আরো এককাঠি সরেস খবর। সম্প্রতি গুগলের বদৌলতে পর্নোওয়েবসাইট কারা বেশি পরিভ্রমণ করে এ সংক্রান্ত জরিপ চালানো হয়েছে, আর এ থেকে বেরিয়ে এসেছে এক মজাদার তথ্য। ২০০৬ সালে করা এ জরিপে পাওয়া ফলাফলে কারা বেশি পর্নসাইট ভ্রমণ করেন জানেন? পাঠকেরা হয়তো অবাক হবেন – ইসলামী শরিয়া সমৃদ্ধ পাকিস্তানীরা। শুধু ২০০৬ সালের নয়, ২০০৪ সালের পর থেকেই পাকিস্তানীরা এ ব্যাপারে শীর্ষে, এবং গত বছরের জরিপেও একই ফলাফল বেরিয়ে এসেছে (২০১০ সালের রিপোর্টের ফলাফল দেখুন এখানে) । জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানীরা কেবল হিউম্যান সেক্সেই আগ্রহী নয়, সেই সাথে ‘horse sex’, ‘donkey sex’, ‘camel sex’ প্রভৃতি সার্চেও তালিকার প্রথমে। শুধু পশুমেহনে পাকিদের আসক্তি থাকলেও না হয় কথা ছিল, সেই সাথে তার আগ্রহী ‘rape sex’, child sex এবং ‘rape video’ দর্শনেও (সাধু সাবধান  :-s )।  এই দেশটাকে পাকিস্তান না ডেকে পর্ণিস্তান ডাকলেই তো হয় ( ইন ফ্যাকট ফক্সে এ সংক্রান্ত একটি নিউজ হেডিং ছিল –No. 1 Nation in Sexy Web Searches? Call it Pornistan) । আরো আছে – ২০০৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী যৌনতাসন্ধানী বুভুক্ষু প্রথম দশটি দেশের ছয়টিই ইসলামী দেশগুলোর দখলে। সেগুলো হচ্ছে: মিসর (দ্বিতীয়), ইরান (চতুর্থ), মরক্কো (পঞ্চম), সৌদি আরব (সপ্তম) এবং তুরস্ক (অষ্টম)। অমুসলিম দেশ চারটে হচ্ছে: ভিয়েতনাম (তৃতীয়), ভারত (ছয়), ফিলিপাইন (নবম) এবং পোল্যান্ড (দশম)। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, প্রথম আটটি দেশের ছ’টিই মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। কি চমৎকার ইসলামী নিয়মানুবর্তিতা, আর ইসলামী রক্ষাকবচ!। দ্য ডেইলি বিস্টের কলামিস্ট আসরা নোমানী ‘Bin Laden’s porn and Muslim hypocrisy on sex’ শীর্ষক প্রবন্ধে এজন্যই লিখেছেন –

“Some of the Muslim societies that are the most repressive toward women…also have some of the highest rates of pornography usage in the world.”

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেরোরিজম বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিন ফেয়ার বলেছেন, ‘লাদেনের বাসায় পর্ন পাওয়ায় অবাক হইনি মোটেই। জিহাদীরা পর্নো ভালবাসে এটা তো জানা কথাই। সাধে কি তাদের জন্য পরকালে বাহাত্তুরটা হুর পরীর লোভ দেখানো হয়েছে নাকি!’। রজার সিম্পসনের উদ্ধৃতি দিয়েই  বলতে হয় – ‘the greater the repression the greater the revolution’. আগামী বিশ্বের সেক্সুয়াল রিভলুশন সম্ভবতঃ ইসলামী বিশ্বেই শুরু হবে, আর মরহুম বিন লাদেন হলেন সেই বিপ্লবের পথিকৃত। আমার তো তাই মনে হচ্ছে।

অথচ পর্নগ্রাফি নাকি হারাম ইসলামে! এক মুখে পর্নোকে হারাম বলা হয়, অথচ ইসলামের জিহাদীদের নেতাই বসে বসে সোৎসাহে পর্ন দেখেন। হারামের কথাই যখন এলো, কী হারাম নয় কেউ কি বলতে পারেন? সেদিন আমাদের সৈকত চৌধুরীর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে ধর্মকারীর একটি পোস্টে গিয়ে  একটা মজার এবং তাৎপর্যপূর্ণ লেখা পড়লাম, শিরোনাম –এ জীবন রাখিয়া কী লাভ!, সেখানেই পেলাম অমূল্য এই ছবিটি  –

ছবি -ইসলামে যে কি হারাম নয়, কেউ বলতে পারে?

উপরের ছবিটি নিজেই অর্থবহ, যাকে ইংরেজীতে বলে সেলফ-এক্সপ্লেনেটরি। তাই ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের খুব বেশি দরকার নেই। আমার অবশ্য বেশি পছন্দ অস্ট্রেলিয়ান কৌতুকাভিনেতা জিম জেফ্রিসের নান্দনিক ব্যাখ্যাটাই।  জিহাদী মুসলিমেরা এতো ক্ষ্যাপা কেন, এ বিষয়ে কমেডিয়ান জিম জেফ্রিসের মজার একটা ভিডিও আছে নেটে। তিনি সেই ভিডিওতে কৌতুক করে (ইংরেজীতে) বলেছিলেন:

‘ভাই আমি আর যাই হই মুসলিম হৈতে পারুম না। আরে মুসলিম হৈলে আমি তো আর বেকন আর বিয়ার খাইতে পারুম না, ভাবা যায়? আর শালার এই দুইটা জিনিসই হৈল গিয়া পৃথিবীর সব চাইতে তামান্দারি দুইখান জিনিস। তুমি যদি আমার থেইকা বেকন আর বিয়ার কাইড়া নাও, আমি শালা গিয়া বিল্ডিং এর উপর উইড়া গিয়া শালার বিল্ডিং উড়ায় দিমু’।

জিম জেফ্রিসের ভিডিওটি ইউটিউব থেকে এম্বেড করে দেওয়া হল –

httpv://www.youtube.com/watch?v=VEfL11huQxY

অবশ্য সেক্স ম্যানিয়্যাক জীব কেবল ইসলামেই আছে তা মনে করলে বেজায় ভুল হবে। সব ধর্মেই সেটা কমে বেশি আছে বলাই বাহুল্য। পরলোকগত সাইবাবার সেক্স স্ক্যান্ডাল পত্রপত্রিকায় এসেছে। ‘ভগবান রজনীশের’ যৌনউন্মত্ততার কথাও সর্বজন বিদিত ছিল।  চার্চের বিভিন্ন পাদ্রী প্রায়ই শিশু যৌন নিপীড়ণ এবং ব্যাভিচারের কারণে নিত্যদিনই পত্রপত্রিকার শিরোনাম হন, তা তো আমরা এখনও হর-হামেশাই দেখছি। আসলে যেখানেই মাত্রাতিরিক্ত  বাধা্র প্রাচীর তুলে দিয়ে যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে, সেখানেই তৈরি হয়েছে নানা ধরনের আসক্তি এবং আস্ফালন।  আমরা নাফরমান নাস্তিকেরা অবশ্য মনে করি যৌনতা বিবর্তনেরই ফসল। যৌনতাকে পাপ, ব্যাভিচার, পশ্চিমের বেলাল্লাপনা বলে কৃত্রিম উপায়ে যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, যায় না দমন করা কেবল হিজাব কিংবা বুরকার বুলি কপচিয়ে, সেটা মরহুম ওসামা বিন লাদেন লুকিয়ে লুকিয়ে পর্ন দেখে এবং অন্যান্য (অ)কাজ কুকাজের মাধ্যমেই পূনর্বার প্রমাণ করে দিলেন, নয় কি?