এতদিন জেনে এসেছি বিজ্ঞান সকল কিছুর বিজ্ঞাসম্মতভাবে ব্যাখ্যা করে , এখানে বিশ্বাসের কোন স্থান নেই। কিন্তু…..

কয়েকদিন আগে কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড বা সিএমবি (CMB) আবিষ্কারক দুজনের একজন , নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী আর্নো পেন্জিয়াসের সাক্ষাৎকার পড়ে দ্বীধায় পড়ে গেলাম। তিনি বলেছেন-

“বেশিরভাগ পদার্থবিজ্ঞানী ব্যাখ্যা ছাড়াই এই মহাবিশ্বের বর্ণনা দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। এবং বিজ্ঞান কোন কিছুর ব্যাখ্যা দেয় না , শুধু বর্ণনাই দেয়।

এটার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন – “কেউ একজন জিজ্ঞাসা করল , ‘কোন এক কোম্পানির সকল সেক্রেটারিই মহিলা কেন’? আপনি উত্তরে বলতে পারেন , ‘কোম্পানির শুরু থেকেই এমনটাই হয়ে আসছে।’ এটা ব্যাখ্যা না দিয়েই পার পাওয়ার একটি পন্থা।”

এটা পড়ে চিন্তা জাগল , আসলেই কি তাই? বিজ্ঞান কি কোনই ব্যাখ্যা দেয় না? মনে পড়ল নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার সেই বিখ্যাত গল্পটির কথা। যার ফলশ্রুতিতে আমরা থিওরী অফ গ্রাভিটি বা মহাকর্ষ সুত্রটি জানতে পেরেছি। এই সুত্র কি আপেল মাথায় কেন পড়ল বা মাথায় না পড়ে কেন আকাশে উড়ে গেল না , তার ব্যাখ্যা নয় কি? যতই চিন্তা করি ততই মাথা গুলিয়ে যায়। দুটি মহাজাগতিক বস্তু পরস্পরকে আকর্শন করে , এটা তো বর্ণনা। নিউটনের আগেও আপেল মাথায় পড়ত এবং এখনো পড়ে। সকলেই দৈনন্দিন জীবণে এটা দেখছে।

কেন আপেল মাথায় পড়ে? কেন দুটি মহাজাগতিক বস্তু পরস্পরকে আকর্শন করে বা আকর্ষন না করে কেন পরস্পরকে বিকর্শন করে না? এর জবাব কি নিউটন বা অন্য কোন বিজ্ঞানী দিয়েছেন? নিউটনের সুত্র থেকে জানতে পারি আকর্শনের পরিমানটা নির্ভুলভাবে। ব্যাখ্যাটা কি জানতে পারি?