লিখেছেনঃ যিনাতুল ইসলাম

জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ তে নারীর মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ লক্ষ্যে উল্লেখ আছে  “স্থানীয় বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোন ধর্মের কোন অনুশাসনের ভুল ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারী স্বার্থের পরিপন্থী এবং প্রচলিত আইন বিরোধী কোন বক্তব্য প্রদান বা অনুরূপ কাজ বা উদ্যোগ গ্রহণ না করা।” এমতাবস্থায় আমার লেখাটি কতটা গৃহীত হবে জাতীয় পর্যায়ে সে ব্যাপারে সন্দিহান। তারপরও চেষ্টা করলাম।

বেশ কয়েকদিন ধরেই তর্কের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে সরকার ও ইসলামি ঐক্য জোট, চারদলীয় জোটের মধ্যে, এমনকি সাধারণ আড্ডায়, রাজনৈতিক কথোপকথনে – জাতীয় নারী নীতিমালা ২০১১ না কুরআন। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ পড়ে সত্যিই মনে হলো নারীদের মুমূর্ষু অবস্থা। যখন কষ্ট পাচ্ছি নারীর অসহায়ত্বের কথা ভেবে তখনই অন্যদিকে মনে হচ্ছে এতো বাংলাদেশের মতো মুসলিম রাষ্ট্রে অবধারিত। নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ কুরআন-এর পরিপন্থী কিনা সে বিষয়ে তর্কের আগে এটা নির্ধারণের বিষয় যে বাংলাদেশকে আমরা একটি মুসলিম রাষ্ট্র বলবো কি না।

বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র। এখানে প্রায় ৮৩% জনগণই মুসলিম। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রসঙ্গ টানলে বলতে হয় তাও মুসলিম রাষ্ট্রের সংবিধান। কারণ সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ আছে “সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” এর কথা। উপরন্তু ২(ক) তে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে শুধুমাত্র ইসলামের উল্লেখ আছে। অপরদিকে সংবিধানে কুরআনের পরিপন্থী বিষয়গুলিরও অন্তর্ভুক্তি দেখা যায়; যেমন নারীর সমঅধিকার ও বৈষম্যহীনতার ক্ষেত্রে। যাই হোক, বাংলাদেশ যে একটি মুসলিম রাষ্ট্র তা এখানকার জনগণের (ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী) আধিক্য ও সংবিধানের আলোকে প্রমাণিত। সুতরাং সে অনুসারে সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল নীতি ও আইন ইসলাম পরিপন্থী বা কুরআন পরিপন্থী হওয়া যাবে না।

এখন জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১-এর প্রসঙ্গে। নীতিমালায় সংবিধানের নারী অধিকার বিষয়ক সামঞ্জস্যতা থাকলেও দু’টি গুরুতর ত্র“টি বিদ্যমান Ñ এই নীতিমালা ১. সংবিধান পরিপন্থী এবং ২. কুরআন পরিপন্থী।

প্রথম ক্ষেত্রে অর্থাৎ সংবিধান প্রসঙ্গে যখন কথা হচ্ছে তখন প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন সংবিধান নিজেই স্ববিরোধী। একদিকে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও পূর্ণ আস্থার কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ কুরআনের ওপর পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপনের কথা বলা হচ্ছে অন্যদিকে ২৮নং অনুচ্ছেদে নারীর রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি জীবনে সমঅধিকারের উল্লেখ আছে। যেখানে কুরআনে পরিষ্কারভাবেই বলা আছে উল্টো কথা। দ্বিতীয় পয়েন্ট আলোচনা করার সময় তা আরও স্পষ্ট হবে।

দ্বিতীয় পয়েন্টে প্রথমেই আসি কুরআনের কথায়। কুরআনের সুরা বাকারায় উল্লেখ আছে “তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র। সুতরাং যেভাবে ইচ্ছা তোমরা তোমাদের শসক্ষেত্রে যাও।” (সুরা বাকারা, আয়াত ২২৩)। অর্থাৎ নারীর পারিবারিক জীবনে অধিকার পুরুষের মর্জির ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ এর ১৬.১, ১৬.২, ১৬.৩, ১৬.৪, ১৬.৮, ১৬.১২ লক্ষ্যসমূহ সরাসরি কুরআন পরিপন্থী। এই লক্ষ্যসমূহে বলা হয়েছে নারীর সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নিরাপত্তা, অধিকার, সমঅধিকার ও মানবাধিকার সংরক্ষণের কথা। কুরআন অনুসারে নারীকে (শস্যক্ষেত্র) যেখানে ইচ্ছা ব্যবহার বা ভোগ করার অধিকার পুরুষের থাকে তাহলে কীভাবে সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সমঅধিকার সংরক্ষণ ও নিশ্চিত করা সম্ভব সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। অপরদিকে কুরআন যদি মানতে হয় যা সংবিধানের প্রথমেই বলা আছে, তাহলে নীতিমালার এই লক্ষ্যসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা যায় কীভাবে। শুধু তাই নয়, এতে করে নীতিমালাটি সংবিধান পরিপন্থীও কি হয় না? জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত মানবাধিকারের সংজ্ঞা হলো, “মানবাধিকার হলো মানুষের জন্মগত অধিকার ও অনস্বীকার্য চাহিদা যা তার প্রাকৃতিক ও জ্ঞানসম্পন্ন বিকাশে যৌক্তিক চাহিদাকে পূরণ করে” (ইসলাম, ২০০৬)। এই সংজ্ঞা ও সুরা বাকারায় উল্লেখিত আয়াতকে মিলাতে গেলে পুরুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা যতটা সহজ হয় নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ততটাই অসম্ভব। অর্থাৎ সিডও সনদে স্বাক্ষর করার পূর্বে তা ইসলামের পরিপন্থী হচ্ছিল কিনা ভেবে দেখা দরকার ছিল। সিডও সনদ অনুসারে নারী উন্নয়ন নীতিমালা যথার্থ কিন্তু উভয়েই নারীর মানবাধিকারের প্রশ্নে ইসলাম ও বাংলাদেশের সংবিধানের বিপক্ষে যায়।

“আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততির সম্বন্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন: এক পুত্রের সঙ্গে দুই কন্যার সমান” (সূরা নিসা, আয়াত ১১) অথবা সাক্ষ্য প্রদান সংক্রান্ত, “…তোমাদের পছন্দমত দু’জন পুরুষ স্বাক্ষী রাখতে। দু’জন পুরুষ সাক্ষীর অভাবে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী সাক্ষী যা তোমরা পছন্দ কর…।” (সুরা বাকারা, আয়াত ২৮২)। এই দুই ক্ষেত্রেই প্রমাণিত হয় ‘১টি ছেলে = ২টি মেয়ে’ এই সূত্র। তো সূত্রানুসারে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১-এর কন্য শিশুর উন্নয়ন সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা ১৮.৪ নির্ধারণ করা যায় কীভাবে? তা কি কুরআন পরিপন্থী হয় না? অর্থাৎ এই ধর্মীয় আইনটি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার ও বৈষম্য বিলোপের প্রশ্নের ক্ষেত্রে অসংগতিপূর্ণ।

জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১-এর কুরআনের প্রেক্ষিতে যৌক্তিকতা ও যথার্থতার প্রশ্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াত “…আপোষ মীমাংসা করতে চাইলে স্বামীরাই তাদের পুনঃগ্রহণে অধিক হকদার। নারীর যেমন পুরুষের উপর ন্যায়সংগত অধিকার পুরুষেরও তেমনি নারীর উপর। তবে নারীর উপর পুরুষের মর্যাদা বেশি…” (সুরা বাকারা, আয়াত ২২৮)। আপোষ বলতে এখানে তালাকের ব্যাপারে বোঝানো হয়েছে। এবং “পুরুষ-নারীর কর্থা আল্লাহই তাদের একজনকে অন্যের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। কারণ পুরুষ তাদের জন্য অর্থ ব্যয় করে। সুতরাং সতী নারীরা তাদের অনুগত হবে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে আল্লাহ যা হেফাজত করতে বলেছেন তা হেফাজত করবে; তাদের অবাধ্যতার আশংকা করলে সদুপদেশ দাও, বিছানা ভিন্ন কর এবং তাদের মার দাও।” (সুরা নিসা, আয়াত: ৩৪)। এই দুটি আয়াতের প্রেক্ষিতে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ এর ১৬.১, ১৬.২, ১৬.৩, ১৬.৪, ১৬.৫, ১৬.৬, ১৬.৭, ১৬.৮, ১৬.৯, ১৬.১০, ১৬.১১, ১৬.১২, ১৬.১৩, ১৬.১৪, ১৬.১৫, ১৬.২০, ১৬.২২, ১৭.১, ১৯.১, ১৯.২, ১৯.২, ১৯.৪, ১৯.৮, ১৯.৯, ১৯.১০, ১৯.১১, ২১.১, ২২.১, ২২.৩, ২৩.১, ২৩.২, ২৩.৩, ২৩.৪, ২৩.৭, ২৪.২, ২৪.৩, ২৫.১, ২৫.২, ২৬.৪, ৩০.২, ৩০.৩, ৩১.১, ৩২.১, ৩২.২, ৩২.৩, ৩২.৫, ৩২.৯, ৩৩.১, ৩৩.২, ৩৩.৩, ৩৩.৪, ৩৩.৫, ৩৪.৬, ৩৪.৯, ৩.৬২, ৩৬.৩ ইত্যাদি লক্ষ্যসমূহ অর্জন আদৌ কতটা সম্ভব সে বিষয়ে প্রশ্ন একাধিক। এই লক্ষ্যসমূহের মূল কথা হলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নারীর সমঅধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, সেই সাথে বর্ধিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। পুরুষের মর্যাদা নারীর ওপর বেশি হলে এবং পুরুষ নারীর কর্তা যদি হয়ে থাকে তাহলে তার অংশগ্রহণ পুরুষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। সংবিধানে যখন দেশকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় সেখানে উন্নয়ন নীতিমালাটি পুরুষের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হলে বর্তমান তর্কের খপ্পরে পড়তো না। আর যখন নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল এবং মর্যাদা পুরুষের বেশি তখন নারী ও পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণের প্রসঙ্গটি প্রশ্নবিদ্ধ করারও সুযোগ থেকে যায় অর্থাৎ পুরুষ নারীকে সমঅধিকার দিতে প্রস্তুত বা চায় কিনা সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। যখন তখন নীতিমালায় পুরুষের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে এহেন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ স্বাভাবিকভাবেই কুরআন পরিপন্থী। শুধুমাত্র সমঅধিকার ও বৈষম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে নয় নির্যাতনের প্রশ্নেও কতটুকু পর্যন্ত পারিবারিক নির্যাতন এই নীতিমালা বহির্ভূত তা স্পষ্ট নয়। কুরআন অনুসারে পুরুষ নারীকে প্রহার করার অধিকার রাখে শারীরিক ও মানসিক উভয় পদ্ধতিতেই (“বিছানা ভিন্ন করা ও তাদের মার দেয়া” এই দুই পদ্ধতি)।

সুতরাং পারিবারিক জীবনে নির্যাতন নারীর জন্য কুরআন অনুসারে বৈধ। নীতিমালাটিতে নির্যাতন রোধকল্পে যে লক্ষ্যমাত্রাগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে তা কুরআনের বৈধতাকে কতটুকু ধারণ করবে তা মোটেই পরিষ্কার নয়। আর যদি কোন প্রকার নির্যাতনই নীতিমালা সহ্য না করে তাহলে তা কুরআন পরিপন্থী হবে বৈকি। ডঐঙ এর সংজ্ঞানুসারে শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে পড়ে কোন ক্ষতিকর অস্ত্রদ্বারা আঘাত, শরীরে ঝাঁকুনি দেয়া, জোরে ধাক্কা দেয়া, দম বন্ধ করা, প্রহার, কামড়, আগুন ধরিয়ে দেয়া, মারের মাধ্যমে কাউকে অসুস্থ করা ইত্যাদি (আজম ও রহমান, ২০০৭)। এই সবগুলির মধ্যে প্রহারের কথা কুরআনে উল্লেখ আছে এবং তাকে বৈধ করা হয়েছে। নারী নীতিমালা সিডও সনদের আলোকে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে চায় তাহলে প্রহার অবৈধ এবং নারী নীতিমালা কুরআনের আলোকে তৈরি করতে হয় তাহলে প্রহারকে বৈধ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে নারী নির্যাতনের কোন পরিধি ও কোন সংজ্ঞাকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে নেবে তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

কুরআন, সংবিধান, সিডও সনদ ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-এ চারটির মধ্যে সমন্বয় ঘটানো অসম্ভব। কুরআনকে মানতে গেলে সংবিধানথেকে নারী ও পুরুষের সমঅধিকার বিষয়টি বাদ দিতে হবে নতুবা সংবিধান থেকে আল্লাহর বিধানের ওপর আস্থার প্রসঙ্গটি মুছে দিতে হবে। সংবিধান ও সিডও সনদের মধ্যে সামঞ্জস্যতাও তখনই আনা সম্ভব। অন্যদিকে সিডও সনদ ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ এর মধ্যে সংশ্লেষ তো রয়েছে কিন্তু তা সংবিধান ও কুরআনকে সহযাত্রী হিসেবে প্রথম গড়মিল ধরা পড়ে আল্লাহর বিধানের ওপর আস্থা রাখার বিষয়টিতে (সংবিধানের ক্ষেত্রে) এবং নারী-পুরুষ সমঅধিকার, নারীর বর্ধিত অংশগ্রহণ নারীকে প্রহার তথা নির্যাতন যা সবই পুরুষের সিদ্ধান্ত ও মর্জির ওপর নির্ভরশীল (কুরআন অনুসারে)। এই আলোচনাটি শুধু কুরআনের বিশেষ সংবেদনশীল আয়াতের প্রেক্ষিতে করা হয়েছে। পুরো কুরআনকে ধরলেও দেখা যায় প্রায় সব আয়াতই পুরুষকে উদ্দেশ্য করে বর্ণিত। সুতরাং কুরআন গ্রন্থটিই যখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে সেখানে জাতীয় নারী নীতিমালা ২০১১ নারীকে পুরুষের সমকক্ষ হিসেবে প্রণীত হবার সাহস বাংলাদেশের মত মুসলিম রাষ্ট্রে (আলোচনার প্রথমেই প্রমাণিত) পায় কীভাবে? সবশেষে আমার প্রশ্ন তাহলে কি নারীরা শোষিত হবে এটাই তাদের জন্মগত অধিকার নাকি তাদের শোষণমুক্ত নির্যাতনমুক্ত মানুষের পরিবারে স্বাগতম জানানোর জন্য অন্য কোন সমাজ কাঠামোর প্রবর্তন আবশ্যক? হয়ত অবশ্যম্ভাবী।

তথ্যসূত্র:

  1. 1. ১.             জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১, http://www.mowca.gov.bd/

২.             ইসলাম আশরাফুল এ. কে. এম. (২০০১),আল কোরানের বাংলা অনুবাদ, বিশ্ব সাহিত্য ভবন, বাংলাবাজার, ঢাকা, বাংলাদেশ

৩.            Constitution of the Peoples Republic of Bangladesh, International Relations and Security Network, www.isn.ethz.ch

৪.             আযম গোলাম মো. ও রহমান মাহফুজুর মোহাম্মদ (২০০৭), স্ত্রীর প্রতি সহিংসতার প্রভাব: অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষিত, উন্নয়ন সমীক্ষা, সংখ্যা-২৪, বিআইডিএস, ঢাকা, বাংলাদেশ

প্রভাষক, অর্থনীতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়