সূচনা পর্ব
আজ অক্টোবর মাসের প্রায় শেষ । এত দিন পরে তাও আবার অক্টেবরের এই শেষ সময়ে তোমাকে লিখতে বসার কী কারণ সেটা নিয়ে কৌতুহল থাকতেই পারে । দীর্ঘ এই স্মৃতি পরিভ্রমনের আগে সেটাই সংক্ষেপে বলে নেই । কয়েক দিন আগে এক সকালে রোজকার মতই আগুন-হলদে পথ পাড়ি দিয়ে অফিসে যাচ্ছিলাম । সে রাস্তাটুকু নাতিদীর্ঘ না হলেও দীর্ঘ তো বটেই। খাড়া পাহাড়ের খাদ বেয়ে দুই পাশের ঘন গাছের সারির মাঝখান দিয়ে তা নেমে গেছে দেড় দুই কিলোমিটার । হঠাৎ ডাইনে তাকিয়ে দেখি কোথাও এক চিলতে পাথর কিংবা মাটি নেই; শুধু হলুদ আর হলুদ । সামনে তাকাতেই গাছ থেকে গাছে অদ্ভুত আলোর এক ভয়ঙ্কর রূপে চোখ আটকে গেলো । একটু বামে তাকাতেই দেখি নীচে পাহাড়ের একবারে খাড়ায় যে গাছটা ড্রইং রুমে সাজিয়ে রাখা সুন্দর টবের মত রংগীন পাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো তার ওপর সকালের নরম রোদ পড়ে যেনো এক অলৌকিক আলো ছড়াচ্ছে । আরও দূরে লেকের ওই পাড়ের পাহাড়ে যেনো আলো আর রংয়ের পরীরা খেলছে । এই সময়ে অনেক কিছুই মনে হতে পারতো; প্রিয় কোন কবিতার লাইন, অনেক পেছনে ফেলে আসা বিমুর্ত কোনো ল্যান্ডস্কেপ, কিংবা অতি প্রিয় কারও কণ্ঠে রবীঠাকুরের গান কিংবা আরও অনেক কিছুই । কিন্তু আমার সে সব কিছুই মনে আসে নি ,এক মাত্র তোমাকে ছাড়া । আর কেনো জানি না, আমার তখনি এটাও মনে হলো এই তো সময় – এখনি – এই মুহুর্তেই । হয়তো প্রশ্ন করবে , ঠিক দশটি বছর লেগে গেলো? এর যথার্থ উত্তর আমার কাছে নেই । তবে আমি প্রতিক্ষায় ছিলাম এই মুহুর্তটির জন্যে অনেক দিন থেকেই । আমার প্রবাস জীবনের ঠিক দশম বছর পূর্তির এই দিনটাতেই আমি সেটা পেয়ে যাব, তা হয়তো কিছুটা কাকতালীয়ও হতে পারে । তবে আরও কিছু ঘটনাও বেশ কিছুদিন হলো আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিলো ।

সেই ছোট বেলা থেকেই মনে হতো অনেক কিছু তো আমিও বলতে পারি, আমিও জানি । এই যেমন সাধারণ অনেক পযর্বেক্ষন । রবীন্দ্র নাথ লিখলেন: জল পড়ে, পাতা নড়ে । অনন্ত কাল থেকেই তো বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার সাথেই পাতা নড়ে উঠছিলো । সবাই দেখেছে । সবার সামনেই দুলে উঠেছে পত্রপল্লব । নাড়িয়ে দিয়ে ভিজিয়ে দিয়ে মনের একান্তকে দুলিয়ে দিয়েই ঝর ঝর করে পড়েছে বৃষ্টি । কিন্ত যেমনি রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, অমনি পাতার সেই শ্বাশত নড়ন সবাইকে জানান দিয়েই দুলে উঠলো চাক্ষুষে । এতদিনের সেই আবাহমান প্রকৃতি নতুন মাত্রায় আমাদের সামনে প্রতিভাত হলো আরও নতুন করে । সেই থেকে বৃষ্টির জল আর নড়ে ওঠা পাতার শিহরনের সাথে রবীন্দ্রনাথও মনের গহনে শিহরণ তুললেন । অনেক দিনের রবীন্দ্রনাথ নিত্য দিনের হয়ে ধরা দিলেন ।

বাড়ির বাইরে পুকুরের চাতাল জুড়ে ঘন পাতার বিশাল গাছ । একহারা মাথায় দাঁড়িয়ে তো ছিলোই অনেক বছর । আরও অনেক গাছেদের ভিড়ে প্রায় হারিয়েই যাচ্ছিলো । কিংবা টিকে ছিলে আরও অনেকের মতোই অবহেলা -অবজ্ঞায় । ঠিক যেমনটি থাকে অনেক মানুষও অনেক মানুষের ভিড়ে । নামহীন , আকর্ষনহীন একে বারে প্রতিদিন দেখা আটপৌরে মাঝারি মাপের । না থাকলেও কারো ক্ষতি নেই, বরং অস্তিস্ত্বের বাড়তি বিড়ম্বনায় আশাহত অনেকেই । পুকুর পাড়ের সেই গাছটিও ছিলো এতোদিন তেমনি । দুঃসহ গ্রীষ্মের গরমের পর আষাঢ় যখন আসলো আকাশ জুড়ে । অজানা সেই গাছে থোক থোক সাদা ফুল অনেকের কাছে তখনও নিতান্তই সাধারণ । কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যখন গাইলেন, ‘ বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছো দান ’ । তারপর থেকেই সাধারণ সেই কদম ফুল হয়ে উঠলো অসাধারণ । আষাঢ়ের কোনো বাদল দিনে প্রেমের মহার্ঘ্য উপহার । সেই সাথে তাবৎ প্রেমিক-প্রেমিকার একান্ত গহনে ঠাঁই রবীন্দ্রনাথেরও ।

তোমার অতি প্রিয় একটি গান , যা আমারও প্রিয় ‘এমন দিনে তারে বলা যায় , এমন ঘন ঘোর বরষায়’- রবীন্দ্রনাথের লেখা। সেই থেকে আরেক মাত্রা পেলো মেঘ । আরেক তানে বেজে উঠলো হৃদয় খচিত দুঃখ আর নির্জনতা খচিত একাকিত্ব । চারদিক অন্ধকারে ঢেকে দিয়ে দিগন্ত কালো করে নেমে আসে মেঘ । প্রকৃতি থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মানুষ । একে বারে নিভৃত নির্জনে আপন গহনে আকণ্ঠ ডুবে থাকে সবাই । মুখোমুখি বসে থাকা আপন জনও কেমন বৃষ্টির সাথে সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । এক বিরহী ব্যথায় হৃদয় তন্ত্রীতে বেজে চলে বেহাগের সানাই । বৃষ্টিতে যেনো কষ্টগুলো আরও কঠিন ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে । মেঘ তো হচ্ছিলো মেঘদূতের কাল থেকেই । কিন্তু মেঘের ভেতর লুকিয়ে থাকা এ ব্যথার অনুভূতি শুধু রবীন্দ্রনাথই জাগিয়ে তুললেন সাধারণের কাছে । নিজেও আসন করে নিলেন বা-ালীর হৃদয়ে । মেঘ হয়ে উঠলো ব্যথা আর একাকিত্বের প্রতীক । নিভৃত নির্জনে নিজেকে চেনা আর এফোঁড় – ওফোঁড় করে নিংড়ে দেখার মহেন্দ্রক্ষন যে বৃষ্টি বিবিক্ত বর্ষা – সে কথাও জানান দিয়ে গেলেন আমাদের প্রতিদিনের রবীন্দ্রনাথই ।

এই যে রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে অতি কথন ,ভাবছো এতো সবের মানে কি? মানে তো নিশ্চয়ই একটি আছে। প্রকৃতির অনেক কিছুই আমরা দেখি না ,দেখেও বুঝি না ,আমাদের চিরায়ত সংস্কার-শিক্ষা-বিশ্বাস এসবও অনেক কিছু প্রকৃতির কাছ থেকে পাঠ নিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো জলে পড়ে পাতা নড়ে উঠার স্বাভাবিক সৌন্দর্যটা দেখতেও অপেক্ষা করতে হয় সহস্রাধিক বছর । যেমনটি হয়েছে আরও অনেক ক্ষেত্রেই ।

তুমি হয়তো জানো ‘হোমো সেপিয়ানস’ নামে আমাদের যে মানবজাতি তার উৎস কালো মানুষের আবাসস্থল আফ্রিকায় আজ থেকে দুই লক্ষ বছর আগে । পৃথিবী আর সৌরমন্ডলের বয়স তার চেয়েও অনেক অনেক প্রাচীন । অথচ মানুষ প্রথম যেদিন বুঝলো যে, এই সৌরমন্ডল একটি নিয়মের আবর্তে চলছে আর সেই নিয়মকে জানা এবং বোঝা সম্ভব , সেটাও আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে । তা হলে এই এক লক্ষ সাতানব্বই হাজার পাঁচ শ’ বছর পৃথিবীর তথাকথিত বুদ্ধিমান মানব জাতি এই সাধারণ ধারণাটুকুও ধারণ করতে পারে নাই; সৌরজগৎ-কে জানা সেটা তো আরও অনেক অনেক পরে । তা হলে মানুষের এই না চেনা কিংবা না জানা বিষয়গুলো- যাকে অজ্ঞতা বললে একটু কঠিন শোনায়- তাকে এক অলৌকিক শক্তি প্রভাবিত বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। যা আজও হচ্ছে । আর আমরা একে বলছি ঈশ্বর । সম্প্রতি সেই অলৌকিক ঈশ্বর ভাবনাকে এক প্রচন্ড আঘাতে যিনি নাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর নাম ষ্টিফেন হকিং তাঁর ‘গ্র্যান্ড ডিজাইন’ নামক বইয়ে । তুমি শুনলে খুশী হবে প্রচন্ড সাহসী এই বিকলাঙ্গ মানূষটি ঈশ্বর নিয়ে এই মহা তামাশাকে পদার্থ বিজ্ঞান আর সৌরবিজ্ঞানের মাধ্যমে একেবারে বাতিল করে দিয়েছেন । যে প্রকৃতিকে তথাকথিত ঈশ্বরের দান এবং সৃষ্টি বলে ঈশ্বর ব্যবসায়ীরা বলে আসছিলো এতদিন তাদের আবার নতুন কোন বিষয় খুঁজে বেড়াতে হবে । পরে এ নিয়ে বিশদ বলবো । আজ শুধু এইটুকুই জেনে রাখো,যে তুমি -আমি -আমরা তথাকথিত ঈশ্বরের নামে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের বেড়ায় নিজেদের পৃথক করে রেখে এসেছি এতোদিন,আস্তে আস্তে তার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতা হচ্ছে । তাই তোমাকেই তো জানাবো সবার আগে এই খবরটা ।

আজ আরও কয়েকটি বিষাদের সরণির প্রবেশ মুখে তোমাকে ঘুরিয়ে আনি । পরে হয়তো তোমারই সুবিধে হবে আমাকে বুঝতে । এই দীর্ঘ দশ বছরের পরিবর্তিত আমি-কে সহজ হবে আবার দশ বছর আগে ফিরিয়ে নিতে । মানুষ প্রতি দিন বদলায় , প্রতি মুহুর্তে বদলায় । যে মানুষটি ঘর থেকে বের হয়ে আবার ঘরে ঢুকে সে মানুষটি কি একই মানুষ ? দীর্ঘ দশ বছর আগের আমাকে যদি আবার সেই রকম ভাবেই দেখতে চাও সেটাও সম্ভব নয় । এই দশ বছরে কতটা বদলে গেছে পৃথিবী ! মানুষ বদলে গেছে;মানুষের বিশ্বাস বদলে গেছে !

অক্ষের চারপাশে পৃথিবীর সাথে ঘুরে ঘুরে মানুষও থোকা থোকা দলা দলা গোষ্ঠীর বলয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । এক পাশে শুভ আর সৌন্দর্য, মানবতা আর সহানভূতি,বিজ্ঞান আর প্রগতি । অন্য দিকে অন্ধকারে ফিরে যাবার পেছন যাত্রা, অশুভ কুপমন্ডুকতা , আর আত্মঘাতি লোলুপ ঈশ্বর বিশ্বাস । মাঝখানে দাঁড়িয়ে কোন দৈত্যকায় পরাক্রমশালী মহাশক্তি । এভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছি আমরা । আমি এই শীতার্দ্র উত্তর মেরুর দেশ কানাডার এক পাহাড় ঘেরা শহর হ্যামিলটনে, তুমি অনেক অনেক দূরে তৃতীয় বিশ্বের কোন এক অজ্ঞাত -অখ্যাত মফস্বল শহরতলিতে । মাঝে মাঝে ভাবি, এক সময়কার আমাদের সেই সমান্তরাল ভাবনাগুলো- যা একই সমতলে চলতো পাশাপাশি, সেটা কি আরও বেড়ে গেছে দূরত্বে ? মাঝের দশটি বছরের এই বদলে যাওয়া পৃথিবীতে কতটুকু বদলে গেছি আমরা! কতটুকু বদলাতে পেরেছি আমরা !

সেদিন খুব কৌতুহলে অযোধ্যার রামমন্দির- বাবরি মসজিদ নিয়ে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় পড়ছিলাম। কেন বিশ্বের তাবৎ সংবাদ থাকতে এটা নিয়ে আমার ঔৎসুক্য? আর কেউ না জানুক তুমি তো তা জানো। বাবরি মসজিদ যেদিন ভাঙ্গা হলো,তার পরের কয়েকটা দিন হিন্দু-মুসলমান মৌলবাদীদের যে তান্ডব সারা ভারত আর বাংলাদেশ জুড়ে, তার সাথে আমাদের অনেক কিছুই বদলে গেছে । আমাদের মত হাজারো সাধারণ মানুষের জীবনের মোড় এমন অনেক ঘটনায় বদলে যায় নিমিষেই । অসহায় নিশ্চুপ-নিস্তব্ধ আমরা কালের সাক্ষী হয়ে থাকি । কিছুই করার থাকে না আমাদের । ঘটনা ঘটে যায়। ঘটানো হয় একবার বারবার । রাজনীতি সমাজনীতি এসবের মারপ্যাঁচে ভিন্ন ভিন্ন ধারাবাহিকতায় নতুন ঘটনার প্লট খোঁজা হয় । কিন্তু আমরা বহুদূরের সূর্যের মত তার উত্তাপে জ্বলে যাই। ধরতে পারি না, কিছুই করতে পারি না। শুধু নিঃশেষ হই । অসহায়ের মত ইতিহাসের কাছে আত্মসমর্পন করি ।

কিন্তু ইতিহাস কি সঠিক ভাবেই সে সব লিখে রাখে ? নাকি, অযোধ্যার রামমন্দির- বাবরি মসজিদের বিচারকেদের মতো পৌরাণিক কাহিনীকেও ইতিহাসের অংশ বলে রায় দিয়ে মৌলবাদীদের কাছে আত্মবিক্রি করে দেয়। রামায়নের রচয়িতা বাল্মিকী । রবীন্দ্রনাথ রামকে পৌরানিক কাহিনী বলেছেন। সুনীতিকুমার চট্রোপাধ্যায়ের মত ঐতিহাসিকও রামায়নকে কবির কল্পনা ও আদ্যন্ত কাল্পনিক কাহিনী বলেই উল্লেখ করে বলেছেন , রামচন্দ্র কোন ঐতিহাসিক পুরুষ নন, তার কালও নির্ণয় করা যায় না । অথচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারক পৌরাণিক রামের জন্ম স্থানও নির্ধারণ করে দিলেন । ইতিহাস আর পুরাণের মধ্যে কী পার্থক্য থাকলো? প্রকারান্তরে ভারতের হিন্দু মৌলবাদীদের কাছেই হেরে গেল ইতিহাস। অবমাননা করা হলো হিন্দু পুরাণকেও। ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতকে আরও একধাপ নিচে ছুঁড়ে দেয়া হলো আবারও।

তুমি হয়তো বলবে এসব তো হচ্ছেই সারা পৃথিবী জুড়ে ,আমেরিকা থেকে ইউরোপ, আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা থেকে এশিয়া। ধর্মকে রাজনীতির মোড়কে একের বিরুদ্ধে অন্যেকে ব্যবহারের হাতিয়ার করা হচ্ছে সর্বত্র। এটা কি নিভে যাবার আগে জ্বলে উঠা শেষ ফুৎকার? মানুষ কি সেই সর্বনাশা আগুনে জ্বলে পুড়ে আবার সোনা হয়ে উঠবে ? মানুষ কি জলহীন শুকনো আগুনমুখা নদী সাঁতরে উঠে আসবে সুবর্ণ গাঁয়ে ? নাকি, বিচ্ছিন্ন হতে হতে আমাদের মত ছিটকে পড়বে দুই মহাদেশে ?

সেদিন তুমি ছিলে নির্ভয় , নির্ভার, অবিচল। পলাতক আমি পালিয়েছিলাম যেদিন উপদ্রুত রানওয়ে ধরে। পেছনে ফিরে দেখার সময়ও ছিল না আমার । এই জলবিহীন নদীর উপাখ্যান আমার পলাতক জীবনের লিমেরিক ,সেদিন যা তোমাকে বলা হয় নি – সে না বলা কথারই দূরন্ত এক সুনামি ।

বলবে, এই দশ বছরে এতটুকুও বদলাও নি তুমি ।

যে বদলাবার সে কয়েকদিনেই বদলে যায়। একেবারে খোল নলচে সমেত বদলায়। আর পাথর বদলায় সহস্র বছরে । দৃষ্টির আড়ালে কনা কনা বদলায় । ঘষে ঘষে বদলায় জলে রোদে বাতাসে । তুমিতো জানোই আমি এক বিবর্ত পাথর সেই বহুকাল থেকেই । আমার পরিবর্তন কি সম্ভব এই দশকের নিমিষে?