পাঠকেরা হয়তো স্মরণ করতে পারবেন যে, ২০০৯ সালে মুক্তমনার পক্ষ থেকে খুব বড় করে ডারউইন দিবস পালন করা হয়েছিলো। সেই বছরটি ছিলো ডারউইনের জন্মের দ্বিশতবার্ষিকী আর তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘অরিজিন অব স্পিশিজ’ প্রকাশের দেড়শত বছর। সে বছরের ডারউইন দিবসের পৃষ্ঠাটি রাখা আছে এখানে

আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, প্রতি বছরের মতো এ বছরও আমরা ১২ই ফেব্রুয়ারি মুক্তমনার পক্ষ থেকে ডারউইন দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি। দিনটি আমরা উদযাপন করি মূলতঃ অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের বিপরীতে বিজ্ঞান, যুক্তি এবং মানবতাবোধের পতাকা উর্ধ্বে তুলে ধরতে। জীববিজ্ঞানী চার্ল ডারউইনের জন্মবার্ষিকীতে ওই দিন বিশ্বজনীনভাবেই ডারউইন ডে পালন করা হয়। অনেকেই হয়তো জানেন, ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো এল্টোর মানবতাবাদী সম্প্রদায় ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম ডারউইন ডে পালন করা শুরু করে এবং এর পর থেকে এটি প্রতি বছর উদযাপিত হতে থাকে বিরামহীনভাবে। বিখ্যাত সংশয়বাদী এবং জীববিজ্ঞানী প্রফেসর মাসিমো পিগলিউকা ১৯৯৬ সালে ইউনিভার্সিটি অব টেনেসিতে ডারউইন দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যা বছর বছর ব্যাপকতর হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হচ্ছে www.darwinday.org. আগ্রহীরা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য এখানে নিবন্ধিকৃত হতে পারেন। তবে বাংলায় ডারউইন দিবস উদযাপন এবং এর প্রসারের প্রাথমিক কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে মুক্তমনার। আমরা বিগত প্রায় চার বছর ধরে নিয়মনিষ্ঠভাবে প্রতিবছর কখনো ছোট কখনো বা বড় আকারে ডারউইন দিবস পালন করে চলেছি।

ডারউইন দিবস উপলক্ষে মুক্তমনা লেখক এবং পাঠকদের কাছ থেকে এই দিন দিবসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ লেখা আহবান করা হচ্ছে। ডারউইন দিবসের জন্য বাংলায় লেখা প্রবন্ধ মুক্তমনায় ([email protected] -এই ঠিকানায়) পাঠাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রবন্ধ পাঠানোর শেষ তারিখ ১১ই ফেব্রুয়ারী। ব্লগ সদস্যরা যদি চান তাদের লেখা এডমিনের কাছে না পাঠিয়ে ১২ই ফেব্রুয়ারি ব্লগে পোস্ট করে দিতে পারেন। বলা বাহুল্য ১২ই ফেব্রুয়ারি ব্লগে এই দি্বসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ লেখাই কেবল প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে।

সবাইকে ডারউইন দিবসের শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ।

মুক্তমনা মডারেশন টিম