সেদিন হারিয়েছিলাম আমি
গভীর মৃত রাতে।

হারিয়েছিলাম এক অদ্ভূত অনুভূতিতে,
যে অনুভূতির আঘাতে আমি হয়েছিলাম সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।

যে অনুভূতি ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরিত করছিল আমাকে,
সুপারনোভা মহাবিস্ফোরণের মত
আমার হৃদয় ছিটকে পড়ছিল যেন চতুর্দিকে;
আবার পরমুহূর্তে এক প্রচন্ড চাপে
সেই একই হৃদয় পরিণত হচ্ছিল অন্ধকার এক কৃষ্ণগহ্বরে।

সেই রাতেই যেন লক্ষ কোটি বছর কেটে গিয়েছিল আমার,
‘পরিণত নক্ষত্র’ ‘শ্বেত বামন’ হয়ে পরিণতি লাভ করছিলাম ‘নিউট্রন নক্ষত্রে’;
নক্ষত্রের জন্ম মৃত্যু আমার মধ্যে হচ্ছিল অনুরণিত, বারংবার।

সরল কণিকা থেকে প্রচন্ড আবেগে পরিণত হচ্ছিলাম
ভারী কোন মৌলে,
আবার নিউট্রনীয় আবেগে
হৃদয় পরমাণুর ভাঙ্গনও হচ্ছিল অবিরত।

এক প্রচন্ড শক্তি ভালোবাসার রূপ ধরে
ক্রমাগত হচ্ছিল নির্গত, ভেতর থেকে;
মহাকর্ষীয় টানের সাথে সেই শক্তির
প্রচন্ড সংঘর্ষে আমি পড়ছিলাম ভেঙ্গে।

আকাশের অসখ্য তারার সাথে
একাত্ম হয়েছিলাম সেই রাতে আমি,
যেন পুরো আকাশভর্তি তারা হঠাৎ খসে পড়ে
সরাসরি হয়েছিল পতিত, আমার হৃদয়ে!

(জানুয়ারি ২৮’১১)
(জীবনান্দের ‘হাওয়ার রাত’ ও বিমান নাথের ‘নক্ষত্রের গান’ দ্বারা অনুপ্রাণিত)