নীরবতা ভেঙে গেলে
বৈশাখের এই অবিন্যস্ত মধ্যদুপুরে ঝিলিক মেরে ওঠে রোদউদভ্রান্তি,
কিছু হাওয়া চূর্ণ করে বুকপকেটে জমে যায় নীলতিমিদের সমুদ্রপ্রথা;
ধূসর পাহাড়যাত্রীদের তীর্থঅনুভব।
সায়ানোব্যাকটেরিয়া রঙা নীলবইগুলোর প্রথমপাতা থেকে উঁকি দেয়
বেদনাচিহ্ন, কারো চুলের সিঁথির মতো টানটান হরফেরা চেয়ে থাকে,
নিঃসঙ্গ কচ্ছপের অনিয়ন্ত্রিত জলটান।

দূরের বিমর্ষ ব্যালকনি আরামচেয়ার
ওকসবুজ আকুলতায় নুয়ে পড়ে কিছুটা;
ভাল-দঅরের মেয়েটির নাকের ‘পরে আবেগঘন হতে থাকে ঘাম।
হঠাৎ বৃষ্টিতে বিছানা ভিজে যাবে জেনেও খুলে রাখতে ইচ্ছে হয় জানলা
যেইসব রেইনবো লোরিকীটের পালক থেকে ঝরে পড়ে সময়শূন্যতা-
বয়েসের দ্বিধা, তাদের বৃত্তচক্রে শ্লথ হয়ে আসে ঘড়ির ঘণ্টার কাঁটা।

নীরবতা ভেঙে গেলে
স্মৃতির উত্তল কাচে
খতিয়ে দেখি
প্রপঞ্চ ঘড়ির ডানাগুলো,
আমাদের সমস্ত দ্বিধা।
নিরীক্ষণ করি
মিমিকজনিত দায়বদ্ধতা,
ওপাশের অস্ফুট ঘরে
কারো রেখে যাওয়া রঙঘনত্ব।