আজিকে মহত্বের লজ্জায়,
কেন লুকিয়ে আছ নিভৃতে নিরালায়।
নিজের সম্ভ্রম লুটিয়ে দানবের তরে,
স্বাধীনতা এনে দিয়েছ পরাধীন জাতিরে।
দীর্ঘ নয়টি মাস অহর্নিশি-
কাটিয়েছ নারকীয় যাতনায়।

তোমাদের দেহ মনের প্রতিটি কোষে কোষে-
অতি যন্ত্রনায় ধারন করেছিলে;
দানবের ধাড়ালো নখ দাঁতের বিষাক্ত আঁচড়।
তোমরা জীবনের পারে দাঁড়িয়ে দেখেছ মৃত্যুর বিভীষিকা,
মৃত্যুর পারে দাঁড়িয়ে দেখেছ দুর্বিষহ জীবন।
প্রতি মুহুর্তে মরতে মরতে বেঁচেছ,
বাঁচতে বাঁচতে মরেছ।

প্রতি ক্ষণে ক্ষণে পেয়েছ দানবের ঘৃণ্য স্পর্শ,
মৃত্যুর ভয়াল পরশ।
তোমরা বেঁচে ছিলে জীবন্মৃত হয়ে।
তোমাদের আত্মত্যাগে স্বাধীন হলো দেশ,
বিনিময়ে তোমরা পেলে চরম ঘৃণা,অবহেলা,অপমান।
এই কী ছিলো তোমাদের পাওনা,যোগ্য প্রতিদান!
তাই বুঝি নিয়েছ স্বদেশে নীরব-নির্বাসন,
নিজভূমে হয়েছ পরবাসী;
অভিমানে হারিয়ে গেছ তেপান্তরের মাঠে?
আজি বেরিয়ে এসো অভিমান ভেঙে-
বীরাঙ্গনা বেশে লাল-সবুজের পতাকা হাতে।
বেরিয়ে এসো সকলের সন্মুখে।
ক্ষমা করো আজিকে,ক্ষমা করো এই কৃতঘ্ন জাতিকে।