ভেবে দেখলাম অনেকের কাছে আমার ঋণ
জড় এবং জীব, মানুষ গাছ আর বাতাস
ঋণ হয়ে আছে পানির কাছে, কাদার কাছে
এমনকি লেজ খসা একটা টিকটিকির কাছেও।
জর্জরিত ক্লান্ত চোখে দূর আকাশে শান্তি খুঁজি
অনন্তে নাকি ঝাঁক ঝাঁক ভালবাসার কুঁড়েঘর
তারার সাথে কথা বলতে যখন মন বাড়াই
নক্ষত্রও বলে বসে ওঁর কাছে আমি নাকি ঋণী।
গাছকে জিজ্ঞেস করলে সে দমকা হাওয়া মারে
অনর্গল বেকুব বেকুব প্রতিধ্বনিতে গাল পাড়ে
লক্ষ বছরের ঝরা মরা লুসি নিশ্চুপ হয়ে রয়;
আর আরডিকে শুধালে সেও সাপচোখে চায়।
আমার ভাবনাগুলো ক্রমশ জটিল থেকে স্বচ্ছ হচ্ছে
অস্তিত্ব বদলাচ্ছে অদ্ভুত থেকে ভুত কিম্বা অন্যে
সাগর নয়, আকাশ নাকি এখন সীমাহীন আশ্রয়;
অতএব বায়বীয় ঋণ আমি শুধবনা, সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঋণ বাড়ল সাইফুর রহমান, সৈকত চৌধুরী এবং আফরোজা আলমের কাছে। উৎসাহিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ
({[ যাক বাবা আপাতত বাঁচা গেছে। মাহফুজ ভাইকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছেনা ]})
@কাজী রহমান,
চিন্তা কইরেন না, আশে পাশে আছি। ইমোগুলো ফিরে এলে হাজারটা ফুল দিয়ে বরণ করে নিবো, কোনো প্রকার কৃপণতা করবো না; কথা দিলাম।
সাইফুল ইসলামকে সাইফুর রহমানে বিবর্তন করার হেতুটা বলুন।
ঋণ যত বাড়ুক তাতে তো আপনার কোন অসুবিধা নাই, কারণ, কবিতার শেষ চরণে উল্লেখ করেছেন- অতএব বায়বীয় ঋণ আমি শুধবনা, সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
@মাহফুজ,
ইসলামকে রহমান বিবর্তনের ব্যাপারটা, ঐ যে; টিকটিকির মত আমার ভাবুক ভুল (সাইফুল ভাই, ক্ষমা চাই)। কবিতা লিখিয়েদের কিছু অ্যাডভানটেজ আছে না?
মুক্তমনারা আশেপাশে থাকলে “কইলজাডা হাত্তির মত হইয়া যায়”, আশেপাশে থাকবার জন্য ধন্যবাদ।
মানুষের ঋণ তো অবশ্যই শুধবো, শুধবনা শুধু গায়েবি ঋণ।
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
ভালো লেগেছে। :rose2:
ভালো লাগল। শেষের লাইনটা এই প্যারায় বেশী ভালো লেগেছে। মাহফুজ ভাই মনে হয় মজা করার জন্য আবল তাবল বকতেছেন, তাই না মাহফুজ ভাই? 🙂
কাজী রহমানকে স্বাগতম জানাই মুক্তমনায়। ভালো থাকবেন।
@ কাজী রহমান,
ভালো লাগলো কবিতাটি। কিন্তু লেজখসা টিকটিকির কাছে কিভাবে ঋণী এটাই বুঝতে পারলাম না। একটু ব্যাখ্যা করে বলবেন কি?
@মাহফুজ,
আমার ভাবনাগুলো যখন জটিল থেকে স্বচ্ছ হতে থাকে লেজ খসা ঐ টিকটিকিটা ঠিক তখনি ঠিক ঠিক ঠিক বলে নিয়মিত চামচামি করতে থাকে। আমাকে ওর খাবার নির্বাচিত না করবার জন্য কৃতজ্ঞতা দাবি করতে থাকে। ঠিক ঐ সময়টাতেই বেচারার লেজটা খসে পড়ে। কি আর করা কবিতার ভাবে; কোন ফাঁকে যেন, এ ভাবেই টিকটিকিটা ঢুকে যায়। ব্যাখ্যা পছন্দ না হলে বলবেন। চেষ্টা করবো সাম পারসেন্ট ভাবের ভাব ঘুচাতে। ঠিক আছে? 🙂
@কাজী রহমান,
কবি নিজেই যখন এমন সুন্দরতর আধিভৌতিক ব্যাখ্যা দাড় করাচ্ছেন, তখন না মেনে কি উপায় আছে বলুন। :laugh:
আচ্ছা বলুন তো, টিকটিকি আগে নাকি মানুষ আগে এসেছিল? আমরা তো জানি মানুষ হচ্ছে প্রাইমেট বর্গের স্তন্যপায়ী প্রাণী। প্রাইমেট বলতে বানর, হনুমান, গরিলা, লেমুর, শিম্পাণ্জি সবাইকে বুঝায়। মানুষ এ গোষ্ঠির সেরা সৃষ্টি বলে অনেকে প্রাইমেটের অর্থ করেছেন পরমপ্রাণী। এখন আপনাকে বলতে হবে এই পরমপ্রাণীর লেজটি কবে বা কিভাবে খসে গিয়েছিল?
@মাহফুজ,
আরে ভাই, কবিরা যদি পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটি করে ফেলতে পারে তাহলে ভাবের একটা টিকটিকির অনুপ্রবেশ আর লেজ খসে গেলে কিই বা এমন আসে যায়। মানবসৃষ্ট গডের ধর্মঋণ বায়বীয় বিধায় তা পরিশোধ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষনায় কোথায় সাধুবাদ দেবেন না একটা টিকটিকি নিয়ে পড়লেন। মূল ভাবটা ঠিক আছে তো? আপনার প্রশ্নের ধরন দেখেই বোঝা গেছে মাইঙ্কা চিপায় ফাইসাইয়া দেওনের ধান্দা করছেন। এত কবি ও কবিতা ভাব সাব ধরলাম তাও ছাড় দিলেন না। অতিথিদের সাথে একি ব্যবহার। প্রাইমেট বর্গের স্তন্যপায়ী প্রাণী আর তার লেজ আমি ভাব দিয়ে খসিয়েছি। ঠিক আছে? বাইজান, আমার পুত্রার খোঁজে আছি, পিঠা পুলি পাঠাইয়া দিমু, খাইয়া যদি একটু ভাব ভাব ভা-আব আসে, তাহইলেই চইল্ব (খাইছে, কই আইলাম)। 😉
@কাজী রহমান,
এতক্ষণ তো আপন ভেবেই বাতচিত করছিলাম। এভাবে নিজেকে অতিথি ভাববেন, কল্পনাতেও আসে নি।
যাহোক, পিঠা (কেক) খাওয়ানোর সাধ্যি আমার নাই। তার চেয়ে কফি পান করুন। (ইমো দেয়া সম্ভব হচ্ছে না)। কি আর করা আপাতত হাওয়া (বাতাস) খান। আর পারলে, ঋণ করে হলেও ঘি খান, কামে দিবো।
@মাহফুজ,
আপন ভাববার জন্য ধন্যবাদ। বাতাস খাওয়ার সাথে বেশ একটা মুক্ত মুক্ত ভাব আছে, ওইটা খাওয়া যায়, ঘি কেন ভাই?… ওহ, বুজলাম, টিকটিকির লেজ ভাজার জন্যে? তথাস্ত।
@কাজী রহমান, আমারও একই প্রশ্ন ছিল। উত্তর পছন্দ হয়েছে। :clap
@শ্রাবণ আকাশ,
ধন্যবাদ। যাই বলেন, ভাবের টিকটিকিটা কিন্তু আমাকে বেশ ভোগালো। পরের বার অনেক সতর্ক থাকতে হবে আমার। ভাবছি এবার একটা রোমান্টিক কবিতা পাঠাবো, কি বলেন?