অষ্টাদশ শতাব্দীর অজ্ঞেয়বাদের বিপরীতে, ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তী সময়কালে ইউরোপীয় দার্শনিকদের চিন্তা-চেতনায় ইহজাগতিকতা ও মানুষের অফুরন্ত সম্ভাবনার সুর বেশ জোর দিয়েই জাগ্রত হয়। উনবিংশ শতাব্দীতে দার্শনিক ফয়েরবাখ, মার্ক্স ও এঙ্গেলস চেতনাকে বস্তু থেকে পৃথক করে দেখার বিভ্রান্তিকে দূর করেন। মার্ক্স (১৮১৮-১৮৮৩) ও এঙ্গেলস (১৮২০-১৮৯৫) বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে দ্বান্দ্বিকতার সমন্বয় করে বস্তুবাদী দর্শনকে পূর্ণতা দান করেন। যে কোন বস্তুগত অবস্থার মধ্যে যে পরিবর্তনের শর্ত বা দ্বন্দ্ব বর্তমান থাকে, তাঁরা এই বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে স্পষ্ট করে তোলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দর্শনের এই অগ্রগতি বিজ্ঞানের দর্শনের পরিপূর্ণ আবির্ভাবের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রেখেছে।

যা হোক আমি মার্ক্স সম্পর্কে পুরনো বাণী বারবার শুনিয়ে আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না। সংক্ষেপে বলা যায় মার্ক্স তার জার্মান দর্শন অনুসারে এমন একটি সমাজ ব্যবস্থার কথা শুনিয়েছিলেন যেখানে সমাজের পুঁজিপতিদের ক্রমাগত শোষণের ফলে শোষিতদের পিঠ যখন দেয়ালে থেকে যাবে তখন বিপ্লবের মাধ্যমে এই শোষিত শ্রেণীই ক্ষমতা দখল করবে এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটবে। (অবশ্য যেটুকু লিখলাম তাতে মার্ক্সবাদের অতি সামান্যই প্রকাশ পায়)।

মার্ক্সের এই দর্শনের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠে মার্ক্সবাদ। এই মার্ক্সবাদ ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। মার্ক্সের দর্শন জার্মানি তথা ইউরোপ ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে। উপমহাদেশেও এর বিস্তৃতি ছিল এবং আজও আছে। মার্ক্স তথা মার্ক্সবাদের সমালোচনা নিয়ে আমি অবশ্য লিখতে আসি নি। মার্ক্সবাদের সমালোচনা করা এই অধমের কলমে সাজে না। আমি লিখতে এসেছি মার্ক্সবাদের ধারক ও বাহক মার্ক্সবাদীদের নিয়ে। অনেক মার্ক্সবাদী দাবী করে তাদের এই মার্ক্সবাদ একটি বিজ্ঞান। মার্ক্সের দর্শনের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি পয়েন্ট পুরোপুরি বিজ্ঞা্নসম্মত উপায়ে প্রতিষ্ঠিত। মার্ক্স তার দর্শনের সবকিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তাদের এই দাবী কতটুকু বিজ্ঞান সম্মত তা বলাই বাহুল্য।

একসময় আমিও তাদের সমর্থন করতাম। মার্ক্সবাদীদের প্রচারণার কারণে একসময় আমিও নিজেও মনে করতাম যে মার্ক্সবাদ বিজ্ঞানেরই একটি অংশ। মার্ক্সবাদীদের সব কথাই শুনতাম আর সত্য বলেও মেনে নিতাম। পরে অবশ্য আমার ভুল ভাঙ্গে। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সিনিয়র নেতাকে সরাসরি জিজ্ঞাসাও করেছিলাম, ‘মার্ক্সবাদ কি আসলেই বিজ্ঞান?’। উত্তরে তারা ‘হ্যাঁ, অবশ্যই’ বললেও ‘কেন ও কি ভাবে?’ এর কোন সন্তোষজনক উত্তর আর দিতে পারে নি। ধর্মবাদীরা যেমন প্রায়ই দাবী করেন তাদের ধর্মগ্রন্থ বিজ্ঞানসম্মত মার্ক্সবাদীদের এ দাবিটা অনেকটা এমনই শুনায়। বিংশ শতাব্দিতে বিজ্ঞানের কদর যখন দর্শন, কলা, সাহিত্য সব কিছু ছাড়িয়ে গেল তখনই শুরু হল যাকে তাকে ধরে বিজ্ঞান বানানোর আজব খেলা। মার্ক্সবাদীদের বোঝানো মুশকিল যে কোনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ হলেই তা বিজ্ঞান হয়ে ওটে না। যেমন আমরা ইতিহাসকে বিজ্ঞান বলব না। বিজ্ঞানের রয়েছে নিজস্ব প্রক্রিয়া-বিশ্লেষণ পদ্ধতি। আর কার্ল মার্ক্স যেভাবে মানব সমাজ সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন ওটা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে যাচাই-বাছাই অসম্ভব, তাই কোনো অবস্থাতেই মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান বলা যায় না। আর বিজ্ঞান নয় বলে তার গুরুত্ব এতটুকুও কমে যায় না। মার্ক্সবাদীদের মত করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনুসারীরা তাদের রাজনৈতিক দর্শনকেও যদি বিজ্ঞান বলতে থাকেন কেমন হবে ভেবে দেখা যেতে পারে।

মার্ক্সবাদ অনুসারে শ্রেণীবৈষম্যবিহীন যে সমাজ ব্যবস্থার কথা বলা হয় সেটা দেখে হিন্দুধর্মের সেই সত্যযুগ কিংবা ইসলামের খিলাফতের শাসন ব্যবস্থার কথাই বারবার মাথায় চলে আসে। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের দ্বারা শ্রেণীব্যবস্থার বিলোপ হওয়ার পর উদয় হওয়া সমাজের পরিবর্তনের সেখানেই সমাপ্তি ঘটে যাওয়াটাকে কিভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক দাবি করা যায় এর সদুত্তর তাদের কাছে কখনোই আর পাই নি। মার্ক্সবাদ যদি বিজ্ঞান হত তবে দেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সংখ্যা এত বেশি কেন আর এদের মতের পার্থক্যও এমন আকাশ পাতাল কেন? এদের ‘বিজ্ঞান’কে যদি বিজ্ঞান বলে মেনে নিই তবে একবার কল্পনা করুন, পদার্থবিজ্ঞান তাহলে কেমন বিজ্ঞান হত? বিশ্বের পদার্থবিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে যেত, কোন পক্ষের দাবি থাকত ‘নিউটন পদার্থবিজ্ঞানের জনক। তার তত্ত্বে যে সন্দেহ প্রকাশ করবে সে প্রকৃত পদার্থবিজ্ঞানী নয়’। আবার কারো দাবি থাকত, ‘নিউটনের দাবি প্রাগৈতিহাসিক, এটা মোটেও আধুনিককালে বিজ্ঞান বলে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না’। উত্তরাধুনিককালে আবার হকিংবাদী পদার্থবিজ্ঞানীদের আরেক গ্রুপের উদয় হত।
আমাদের আজকের এই দেশি মার্ক্সবাদীদের কার্যকলাপ যে প্রথম শ্রেণীর জোকারকেও হার মানায় তা আমি আমার এই পোস্টসহ পরবর্তী লেখা সমুহে আপনাদের দেখাব। শুরুতে আমি মার্ক্সের একটি অমর উক্তি তুলে ধরছি।

“ধর্ম হল নিপীড়িত জীবের দীর্ঘশ্বাস, হৃদয়হীন জগতের হৃদয়, ঠিক যেমন সেটা হল আত্মাবিহীন পরিবেশের আত্মা। ধর্ম হল জনগণের জন্য আফিম। মানুষের মায়াময় সুখ হিসেবে ধর্মকে লোপ করাটা হল মানুষের প্রকৃত সুখের দাবী করা। বিদ্যমান হালচাল সম্বন্ধে মোহ পরিত্যাগের দাবিটা হল যে – হালচালে মোহ আবশ্যক, সেটাকে পরিত্যাগের দাবি। তাই ধর্মের সমালোচনা হল ধর্ম যার জ্যোতির্মণ্ডল সেই অশ্রু উপত্যকার (এই পার্থিব জীবনের) সমালোচনার সুত্রপাত।“

সেই ঊনবিংশ শতাব্দীতে মার্ক্স এই উক্তিটি করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলতে পেরেছিলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে জনগণের প্রকৃত সুখীজীবন কায়েম না হলে এই সমাজ, ধর্মভীরু মানুষদের কুসংস্কার ও মায়ার জাল (যেমন ইহকাল তো কিছুই নয়, পরকালেই না প্রকৃত সুখ) হতে কখনোই মুক্তি পাবে না। এরপর পৃথিবী এগিয়ে গেছে বহুদুর। বিজ্ঞান ও দর্শনের অসামান্য উন্নতি সাধিত হয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর এই মার্ক্সীয় দর্শনকে মার্ক্সবাদীরাও অনেকদুর টেনে নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তারা কতদূর পেরেছেন, সেটা আমাদের আজকের এই মার্ক্সবাদীদের ধ্বজভঙ্গ অবস্থা দেখেই টের পাওয়া যায়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে করা মার্ক্সের সেই উক্তিটিকে আজ মার্ক্সবাদীরা কিরকম বিবর্তিত করেছেন শুনুন। মার্ক্স বলেছিলেন ধর্ম জনগণের জন্য আফিম। আর আমাদের মার্ক্সবাদীরা বলেন, “না না, মার্ক্স সরাসরি এমন ধর্মের বিরুদ্ধে কোন কথাই বলেননি। তিনি তো শুধু বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, এই পুঁজিবাদীরা ধর্মকে আফিমের মত করে ব্যবহার করে; তাদের পুঁজিবাদী স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে”। আজ যেখানে অনেকেই মনে করেন ধর্ম সম্পর্কে করা মার্ক্সের এই উক্তি নিতান্তই নিরীহদর্শন। অস্ট্রেলিয়ান সাহিত্যিক ফিলিপ অ্যাডামস এর মতে,

“মার্ক্স ভুল ছিলেন। ধর্ম মানুষের মাদকাসক্তি নয়। মাদক মানুষকে তন্দ্রাচ্ছন্নতা, অসাড়তা আর বোধহীনতা দেয়। কিন্তু প্রায়শই ধর্ম এমন এক ভীতিকর উদ্দীপক এর নাম, যা জাগ্রত করে মানুষের পশুত্ত্ব কে। সবচে ভালো যখন, তখন তা আত্মা কে তুলে আনে আর উঁচু করে কিছু মসজিদ, মন্দির কিংবা চার্চ এর চুড়া। সবচে মন্দ যখন তখন সভ্যতা কে পরিনত করে গোরস্থানে”।

আমার কাছে মনে হয়, ধর্ম আফিমস্বরুপ নয়, ধর্মকে তুলনা করা যায় LSD . (LSD-25 নামেও পরিচিত এই মাদকদ্রব্যটির পুরো নাম হল Lysergic Acid Diethylamide. যা ব্যবহারে মানুষ কখন কি করে আর কোথায় থাকে কোন হুঁশ থাকে না। মানুষ ভাবে একটা আর করে আরেকটা। এমনও দেখা গেছে যে LSD এর প্রভাবে সিঁড়ি মনে করে এক ব্যক্তি সাত তলার ছাদের কার্নিশ থেকে পা বাড়িয়ে দিয়েছেন) এর সাথে। আর সেখানে এই মার্ক্সবাদীদের চিন্তার অগ্রগতি দেখুন।
এই দলটি তাদের এক সমাবেশের প্রচারপত্রে শিরোনাম দিয়েছিল এরকম,

“পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে একত্রিত হন”

জানেনই তো, দেশের ধর্মভীরু সমাজের একটা বড় অংশেরই এলার্জি আছে ওই মৌলবাদ শব্দটির প্রতি। তাদের মাথায় সর্বদাই চিন্তা থাকে যে, মৌলবাদ মানেই এখানে ধর্মবিদ্বেষি কোন আইটেম থাকবে। যা হোক উনারা এই লিফলেটের শিরোনাম দেখলেই প্রশ্ন করে উঠতেন, ‘রাখেন আপনাদের আন্দোলন, আগে কন এই মৌলবাদ বলতে আপনারা কি বুঝাইতেছেন?’। মৌলবাদের মূল সংজ্ঞা উনারা দিয়ে দিতে পারতেন। কোন ব্যবস্থার মৌলিক বিধি-বিধানকে সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর অবিকলভাবে প্রয়োগ করতে চাওয়ার মানসিকতাই হল মৌলবাদ। কিন্তু না, এর জন্য উনারা প্রচার স্থগিত করে এক জরুরি মিটিংএর আয়োজন করেন। মৌলবাদের সংজ্ঞা কি দেয়া উচিত তার উপর। সুদীর্ঘ আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হল প্রশ্নকর্তাদের মৌলবাদ বলতে বোঝানো হবে, যারা ধর্মের অপব্যবহার করে তারা হল মৌলবাদী আর ওদের কাজকারবার হল মৌলবাদ। এই সমাজতন্ত্রীরা নিজেরাও জানেন যে মার্ক্সবাদীরাও মৌলবাদী হতে পারে। মৌলবাদ কাকে বলে, এ নিয়ে যথেষ্ট জানাশোনা থাকলেও এই নেতারা সাধারণ জনতার কাছে চেপে যান, পাছে তাদের পার্টির উপর যদি ধর্মবিরোধী ট্যাগ লেগে যায়।

এরাই হল আমাদের আজকের মার্ক্সবাদী। যারা নিজেদের বাম রাজনীতির আদর্শের একমাত্র ধারক দাবি করেন। এই দাবি অবশ্য অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দলগুলোও করে থাকে। (যেমনটা এদেশের প্রতিটি ইসলামী দল নিজেদের প্রকৃত ইসলামের ঝাণ্ডাধারী দাবি করে, আর বাকিদলগুলোর গায়ে ইহুদি-নাসারা, নাস্তিক-কমিউনিস্টদের এজেন্টের তকমা লাগিয়ে দেয়)।

বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যখন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তখন তার তহবিল গঠন করা হয় সদস্যবৃন্দসহ অন্যান্য সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে। সবার মধ্যেই বিশ্বাস থাকে স্রষ্টার দরবারে যে দান করা হয় সেই দান কয়েকগুন হয়ে আবার আখেরাতে ফিরে নিজের হাতে ফিরে আসে। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও জোর গলায় প্রচার চালায়, যে যত বেশি দান করতে পেরেছে সে তত বেশি ধার্মিক এবং স্রষ্টার নিকট প্রিয় পাত্র বলে গণ্য হয়। একই সংস্কৃতি এই সমাজতন্ত্রীদের মধ্যেও দেখা যায়। যেকোন সভা-সমাবেশের ফান্ডে যে নেতা বা কর্মী যতবেশি ‘কন্ট্রিবিউশন’ করতে পারে, দলের প্রতি তার আনুগত্য তত বেশি বলে বিবেচিত হয়। তার নাম বেশ জোরের সাথেই ঘোষণা করা হয়, সবাই করতালির মাধ্যমে সেই একনিষ্ঠ বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। দলের উঁচু পর্যায়ের পদোন্নতি লাভের সম্ভাবনাও অনেক বেশি বেড়ে যায়। আর আমরা যারা কোনমতে দিন পার করে দিই, যৎসামান্য পকেটমানি থেকেও কিছু পরিমান অর্থ বাঁচিয়ে ওই ফান্ডে দান করি তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত’।

আসলেই। সত্যিই এখন মনে হয় আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত, কি মনে করে যে ওই দলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত যে ওদের ফান্ডে অকারণে অর্থ ঢেলেছিলাম, লজ্জা হওয়া উচিত এই মনে করে যে, রাজপথে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও শ্লোগান দিয়েছিলাম, ‘. . . . জিন্দাবাদ’। যেখানে তাদের বার বার বুঝিয়েছি ‘জিন্দাবাদ’ কতটা বিতর্কিত একটি শব্দ, আমাদের এখানে অন্য কোন শ্লোগান ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু কে শুনে কার কথা। যদিও কোন জনসভায় শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করে ‘জিন্দাবাদ পার্টি’ বলে।

এই হল আমাদের আজকের সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ঝান্ডাধারীদের মস্তিস্কের অবস্থা। মার্ক্সের আদর্শকে নাকি ইনারাই বহন করে চলেছেন। আর ইনারাই কিনা আজও দিবাস্বপ্ন দেখেন দেশের সকল শোষিতদের ঐক্যবদ্ধ করে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটানোর। আর সেটাও কিনা আগামী দশকেই।

তথ্যসূত্রঃ
 ডা. মনিরুল ইসলামঃ বিজ্ঞানের মৌলবাদী ব্যবহার
 আকাশ মালিকঃ যে সত্য বলা হয়নি
 কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসঃ ধর্ম প্রসঙ্গে
 Karl Marx: Contribution to the Critique of Hegel’s Philosophy of Right