এক সমকামীর করুণ কাহিনি

আকাশ মালিক।

সুপরিচিত বিখ্যাত সমকামী কিছু ব্যক্তিত্বের নাম স্ম্বরণে রেখে গল্পটি শুরু করা যাক, যেমন- Alexander the Great, James Baldwin, Lance Bass, Boy George, Julius Caesar, Alan Cumming, Leonardo Da Vinci, Neil Patrick Harris, Elton John, George Michael, Socrates, Rufus Wainwright প্রমুখ। এমন নয় যে, এই বিখ্যাত মানুষজনকে সকলেই সব সময় সুনজরে দেখেছেন বা দেখছেন। তারা সকলেই সমকামী ছিলেন কি না তা নিয়েও অনেক তর্ক হয়েছে এবং হচ্ছে বিশেষ করে লিওনার্দ দ্যা ভিঞ্চিকে নিয়ে।। এর কারণ সমকামিতা এবং প্রাণীজগত সম্মন্ধে মানুষের এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই।

একটি ফেইসবুকে সুদানের নাগরিক আলী তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা বর্ণনা করেছেন এভাবে-
‘আমার মনে হয় আমি জীবনের শেষ প্রান্থে, মৃত্যুর মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়ে গেছি। এক অন্ধকার বদ্ধঘরে আমি বন্দী। বুঝি পালিয়ে যাওয়ার আর কোন পথই আমার খোলা নেই। আমাকে দেখলে পৃথিবীর মানুষ ঘৃণায় মুখ লুকায়, দরজায় খিল দেয়, কারণ আমি সমকামী। আমার অপরাধ, আমি আমার মতো থাকতে চাই, তাদের মতো নয়।
বৎসরের অন্যান্য দিনের মত সেদিনও সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, বরং বলতে গেলে ঐ দিনটি তুলনামূলকভাবে আমাদের জন্যে একটি বিশেষ দিন ছিল, কারণ ঐ দিনই আমরা গ্রাজুয়েশন ফাইন্যাল পরীক্ষা শেষ করে একটি উৎসবের আয়োজন করেছিলাম। উৎসব হবে আমার ঘনিষ্ট বন্ধু স্টিভেনের ঘরে। সে আমাদের পুরো দলটাকেই (Freedom LGBT group) নিমন্ত্রণ করলো। আমাদের দলের সকলেই সমকামী, আমরা একে ওপরের বন্ধু। আমরা বিশ্বাস করি একদিন জগতের মানুষ বুঝতে পারবে আমরাও যে তাদের মতই মানুষ, আমাদেরও আছে তাদের মত আশা- আকাঙ্ক্ষা‌, আবেগ-অনুভুতি, সপ্ন-ভালবাসা, আর একদিন এই মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র আমাদেরকে গ্রহণ করে নিবে। আমরা ১২জন ছাত্র-ছাত্রী (১০ ছেলে ও ২ মেয়ে) স্টিভেনের ঘরে জড়ো হলাম। স্টিভেন তার সাধ্যানুযায়ী খাবার সহ ড্রিংক, ফল-ফুল ইত্যাদি ঘরে এনে রেখেছিল। কেউ ড্রিংক হাতে, কেউ মিউজিকের সাথে নৃত্যরত, আবার অনেকেই ফাইন্যাল পরীক্ষা, ইউনিভার্সিটি ও নিজনিজ বিষয়াদি নিয়ে হাসি-খুশি আলোচনায় যখন মূখরিত করে তুলেছেন ঘরটিকে, ঠিক তখনই সুদানি পুলিশের একদল লোক আমাদের ঘরে ঢুকলো। ঘরে ঢুকেই শক্ত ছড়ি দিয়ে তারা আমাদেরকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকলো। আঘাতের চোটে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে গেল। কারো হাতে বেড়ী, কারো পায়ে বেড়ী পরায়ে উলটো করে টেনে হেচড়ে পুলিশ আমাদেরকে তাদের বড় একটি ভ্যানে নিয়ে তুললো। আমি জানি এর শেষ কোথায়। আমার দেশে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। গাড়ি ছুটে চলেছে, আমরা জানিনা আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি অপরিচিত যায়গায় এসে গাড়ি থামলো। দরজা খোলা হল, দেখলাম দরজার সামনে ছড়ি হাতে একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক একজন করে গাড়ি থেকে নামানো হলো। বিরাট একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে এক একজনকে ভিন্ন ভিন্ন রুমে নিয়ে টর্চার করা শুরু হলো। কখনো শক্ত লাঠি কখনো লোহার রড দিয়ে হাতের পায়ের নখ, এমন কি আমার পুরুষাঙ্গেও আঘাত করা হলো। আমি অকপটে তাদের কাছে স্বীকার করে নিলাম যে আমি সমকামী। দুই দিন তারা আমাকে কোন প্রকার খাদ্য এমন কি পানীয় কিছু দেয় নাই। আমি অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়ি। তৃতীয় দিনে অপরিচিত একজন লোক এসে আমাকে এমন একটি যায়গায় নিয়ে আসে, যেখান থেকে আমি জীবনের শেষ কথাগুলো লেখার সুযোগ পেয়েছি। এখানে আসার কিছুক্ষণ পরেই আমার মা আমাকে দেখতে আসেন। তিনি বললেন প্রচুর টাকা ঘুষ দিয়ে আমাকে দেখার ব্যবস্তা করেছেন, কিন্তু তিনি চান না আমি জেল থেকে মুক্তি পাই। কারণ আমার বাবা ও ভাই চেষ্টা চালাচ্ছেন আমাকে মুক্ত করার যাতে তারা নিজ হাতে আমাকে জবেহ করতে পারেন। আমি জানিনা আমার বন্ধু-বান্ধবীদের কী হয়েছে বা তারা কোথায় কী অবস্থায় আছে। আমি এখন প্রহর গুনছি সেই দিনের যেদিন আমাকে কৌর্টের নির্দেশে মাটিতে পুতে পাথর মেরে হত্যা করা হবে। আমি শুধু আমার ব্যথাটুকু দুনিয়ার মানুষকে জানিয়ে দিলাম এই আশায় যে, আমার এই লেখা হয়তো একদিন সমকামিদের মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে সহায়ক হতে পারে’।

উপরের কাহিনিটির শেষ পরিণতি জানার বা সত্যতা যাচাইয়ের কোন উপায় নেই, কারণ ফেইসবুক থেকে শুধু লেখাটুকুই কপি করেছিলাম কোন তথ্যসুত্র বা লিংক সেইভ করা হয়নি। তবে এখানে আপনাদেরকে একটি বাস্তব ঘটনার সাক্ষী বানাবো। দেখুন আরেকটি করুণ কাহিনি-

httpv://www.youtube.com/watch?v=iukUiMegits&feature=related

httpv://www.youtube.com/watch?v=6NunmhkPKnw&feature=related

httpv://www.youtube.com/watch?v=iEGgFW2ze2c&feature=related

httpv://www.youtube.com/watch?v=M6M5HQIXpfg&feature=related

httpv://www.youtube.com/watch?v=GN7aXXF_xDI&feature=related

httpv://www.youtube.com/watch?v=qH5yO79mb-Y&feature=related

এবার আমার একটি পছন্দের গান-

httpv://www.youtube.com/watch?v=l6k0KO53yiY