তোমাকে উৎ সর্গ করে

বেঁচে থাকি মৃতদের মত করে
ঘাসেরাও আজ বাতাসে করে শনশন আওয়াজ
চারিদিকে এখন যেন কেউকেটা কেউ
সাপেদের চেতনায় ছড়ায় দীঘশ্বাস

মোহে পুড়ি সেই নাগিন সাপিনীর
নীলাভ দংশনে থরথর কাঁপে আমার শোনিত-হাড়
রক্তে আজো উঠে চিরস্থায়ী জাগরণ
আমি গাঢ় চুম্বনে রক্তাভ করি তোমার অপলক থিরথির চঞ্চু

অসংখ্যবার তোমার মন্দিরে প্রবেশ করি
তোমার বেদিতে রাখি রক্ত-পুষ্পের দল
তোমার জাগ্রত দেহে আমার কম্পন
তুমি কখনো টের পাও কি?

তুমি কখনো পাও কি টের যখন
তোমার জায়নামাজে লাগে
জাহান্নামের লেলিহান স্পর্শ
আর তুমি আমাকে ছেড়ে দূর তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
কিংবা মধ্যযুগীয় দাসীদের মত
নীরবে আর সরবে সমর্পিত হও
এক উত্থিত শিশ্নের সামনে হও নতজানু

আমি তোমাকে দেবী বানাই
তার কাছে তুমি শুধুই দাসী
তবু কেন যাও?-চূড়ান্ত ক্ষরণের কালে কেন হও এত বিলাসী!!

কত কাছাকাছি থাকি যেন

কত কাছাকাছি থাকি যেন
হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি তাকে
কত কাছাকাছি থাকি যেন
ওষ্ঠে চাইলেই রাখতে পারি আমার ঠোঁট
কত কাছাকাছি থাকি যেন
তার নীলাভ ধমনীর কম্পন
মুঠোয় ভরে রাখতে পারি কয়েক সেকেন্ড

আমরা এত কাছাকাছি থাকি যে
সারিবদ্ধ কপোতেরাও জানে না এর বিধি কী
কোথায় তৈরী হয়েছে এই জাগতিক উষ্ণতার নিয়ম

তবু কী যেন রয়ে যায়-কোলাহলে ভাসি না আমরা কেউ
একসাথে আজকাল আর করি না শিকার
আমরা লিপ্ত হইনা কোন মগ্ন আলোচনায়
আমাদের উৎসুক দেহ বেয়ে বেয়ে নামে না হিম-শীতল-বৃষ্টি
তবু কতকাল ।

তবু কতকাল ব্যর্থ হয়েছে

তাকে বুঝিয়েছিলাম বিবর্তনের সেই সর্পিল চোরা-পথে
আমি আছি চিরদিন-অন্ততঃ যতদিন বেঁচে আছি
হেঁটে যাব তার সাথে অহর্নিশি অহর্নিশি

তবুও কথা থেকে যায়-এত আশ্বাস!
আমি কী পেয়েছি তারে জীবনের সহজ উপায়ে?
অথবা পাইনি তারে কখনো
সে কখনো আসে নি ।