suu-kyi

সামরিক জান্তা শাসিত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি অবশেষে মুক্তি পেলেন। শনিবার বিকেলে মুক্তিপ্রাপ্তির খবর জেনে হাজার হাজার মানুষ ইয়াংগুনে তার বাসভবনের সামনে জড়ো হয়।

সু চি যে বাড়িতে গত ১৫ বছর ধরে গৃহবন্দি রয়েছেন, তার বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে। পাশাপাশি মুক্তি পাওয়ার পর সু চি’কে বরণ করে নেওয়ার জন্য তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র (এনএলডি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও প্রচুর নেতা-কর্মী জমায়েত হয়েছেন।

[লিংক]

এর আগে গত শুক্রবার এএফপি’র খবরে বলা হয়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কর্তৃপ সু চি’কে মুক্তি দেবে, তা নিশ্চিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী সু চি অবশ্যই মুক্তি পাবেন। আমরা শুধু তার মুক্তির সময়টির জন্য অপো করছি।’

১৯৯০ সালে এনএলডি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। কিন্তু সামরিক জান্তার সরকার এনডিএল প্রধান সু চি’র হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে তাকে গৃহবন্দি করে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ৬৫ বছর বয়সী মিয়ানমারের এই নেত্রী গত ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই গৃহবন্দি রয়েছেন। গত বছর মিয়ানমারের এই নেত্রীর আটকাদেশের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু এক মার্কিন নাগরিক সু চি’র বাস ভবন সংলগ্ন লেক সাঁতরে পার হয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে নিরাপত্তা ভঙ্গজনিত অজুহাতে গত বছর অগাস্টে তাকে আবারো ১৮ মাসের জন্য গৃহবন্দি করে রাখার আদেশ দেয় সে দেশের আদালত।

গত বৃহস্পতিবার সু চি’র আটকাদেশের বিরুদ্ধে একটি আপিল খারিজ করে দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তবে ওই আটকাদেশের মেয়াদ এরই মধ্যে প্রায় শেষ হয়ে গেছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) এই আটকাদেশের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে।

সু চির আপিল খারিজ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তার আইনজীবী নায়ান উইন বলেছেন, এই (আদালতের) সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল। এই রায়ে আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন, তারা এখনও সু চি’র মুক্তির নিশ্চয়তা পাননি। কিন্তু আইন অনুযায়ী সরকার তার শাস্তির মেয়াদ আর বাড়াতে পারে না।…