“বিশ্বাস” শব্দটিকে আমার কাছে
ঠিক প্রগতিশীল মনে হয় না
জাগতিক গতিশীলতার সাথে তুলনা করলে
শব্দটিকে বেশ বেমানান বলেই ধারণা হয়,
শব্দটা অনেকটা ভেজা বারুদের মতন
যেখানে সম্ভবনাময়ী বারুদকে নিষ্ক্রিয় করা
আর্দ্রতা হল ““বিশ্বাস”” নামক শব্দটি।

“বিশ্বাস” হল সেই কীট যা ফসলকে
মাথা উঁচু করার আগেই গলধঃকরণ করে
“বিশ্বাস” হল সেই ক্লীব, যার
চক্রান্তে আক্রান্ত হয় গোটা সাম্রাজ্য
“বিশ্বাস” হল বেওয়ারিশ মায়ানেকড়ে
যার থাবায় গতিশীল ছায়াপথ
সহসা আক্রান্ত মেঘের মত থমকে দাঁড়ায়।

“বিশ্বাস” স্বপ্নের মত সুন্দর নবজাতকের মধ্যে
সৃষ্টি করে অশ্লীল পারমাণবিক বিকিরণ
“বিশ্বাস” মহান নিয়মহীনতাকে পরিণত করে
গৌণ বিধিবদ্ধতায়, সমস্ত কিছুকে বাধ্য করে
প্রচন্ড একমুখী হতে।
“বিশ্বাস” মাথা উচু করাকে ঘৃণা করে
ঘৃণা করে মানবিক ঐশ্বর্যকে।

“বিশ্বাস” ঘাসফড়িঙের সবুজ রঙে বিশ্বাসী নয়
“বিশ্বাস” স্বপ্নসুন্দর পায়রায় বিশ্বাসী নয়
“বিশ্বাস” মানবতায় বিশ্বাসী নয়
“বিশ্বাস” গতিময়তায় বিশ্বাসী নয়
“বিশ্বাস” চায় স্থবিরতা
“বিশ্বাস” শুধুমাত্র বিশ্বাস করে বিশ্বাসে।

তাই এ সভা দাবী করছে,
কলঙ্কিত এ শব্দকে অভিধান থেকে তুলে নেয়া হোক
বিশ্বাসের স্থান দখল করুক ‘অ’বিশ্বাস
জেগে উঠুক সংশয়
প্রতিষ্ঠিত হোক মানবিক সার্বভৌমত্ব।।