Accused pakistani cricketers
পাকিস্তান দেশটি এখন বর্তমান পৃথিবীর অপার বিষ্ময়! সোজা কথায় এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি! সমস্ত কুকীর্তিতেই তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ান। সন্ত্রাস, কালোটাকা, মাফিয়রাজ, দুর্নীতি, হোমমেড পর্ণ, মাদক পাচার-পৃথিবীয় যাবতীয় যতকিছু আবর্জনা আছে-সব কিছুরই এখন চ্যাম্পিয়ান পাকিস্তান। সেদিন ই পড়ছিলাম ইন্টারনেট পর্নের উৎপাদনে পাকিস্তান আমেরিকা এবং ইউরোপকে হারাচ্ছে! বেনিয়মটাই এখানে নিয়ম। তাদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এককালে মিঃ ১০% ছিলেন-সামরিক খাতে আসা সব টাকা ভাগাভাগি হয় সেনা অফিসারদের মধ্যে-তাদের সেনা অফিসাররদের প্রায় প্রত্যেকেই কোটিপতি।

ভারতের গর্ভ থেকে যার জন্ম, সেই দেশটার এমন দুর্গতি কেন হল, সেই বিশ্লেষন দরকার। এমন নয়, ভারতে সন্ত্রাসী নেই বা কালোটাকার সমস্যা নেই-খুব ভাল মাত্রায় আছে। কিন্ত সেটা এখনো ব্যাতিক্রমই-নিয়ম না। ভারতের আজাহারুদ্দিন, মনোজ প্রভাকর এবং অজয় জাদেজাদের নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল বেটিং কেলেঙ্কারির জন্যে। সেটা একদশক আগের ঘটনা। তারপরে সৌরভের জমানাতে এবং পরে ধোনির নেতৃত্বে এই ধরনের বেটিং করার সাহস কারুর হয় নি। কারন ভারতীয় বোর্ড আজাহার, জাদেজার মতন আজীবন নির্বাসনে পাঠাত। অবশ্য তাতে এদের ক্ষতি হয় নি। আজাহার এখন এম পি।
আর জাদেজা একজন জনপ্রিয় ধারাভাস্যকার। মানুষের স্মৃতি দুর্বল। কিন্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটে বেটিং বন্ধ হয় নি-যা এখন জানা যাচ্ছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে বেটিংটা ব্রেকফাস্টের ডিমের মতন জনপ্রিয়।

সালমন বাট, মহম্মদ আমির এবং মহম্মদ আসিফ-প্রশ্নাতীত ভাবে যে তিনজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার অভিযুক্ত-তাদেরকে পাকিস্তানি বোর্ড বাঁচাতে চাইছে। অনুমান করি শর্ষের মধ্যেই আছে ভুত। যদিও পাকিস্তানে এদের প্রতি ক্ষোভ বিশাল -কিন্ত এই তিন পাকিরত্নের প্রতি পাকবোর্ডের স্নেহসুলভ আচরনে খুব ভাল ভাবেই প্রমানিত, বেটিং থেকে আসা টাকার একটি অংশ বোর্ডের কর্তাদের পকেটেও যেত। আবার সেই টাকার একটা অংশ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের পকেটে যেতে কি না জানি না-কিন্ত গেলেও কেও অবাক হবার কথা না। এ এমন দেশ, যেখানে সবই সম্ভব।

ঘৃণা এবং ধর্ম যখন একটা দেশের রাষ্ট্রীয় ভিত্তি হয়-সেই দেশটার কি হাল হতে পারে-পাকিস্তান তার উজ্জ্বল উদাহরণ। বি এন পির আমলে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত , ঘৃণা ও ধর্মকে হাল করে বাংলাদেশকেও পাকিস্তান বানানোর একটা পাঁয়তারা ছিল। সৌভাগ্যের কথা, বাংলাদেশের সুশীল জনগণ বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা থেকে আটকেছেন।

পাকিস্তান ক্রিকেটে দুর্নীতি বরাবরই ছিল। ওয়াসিম ভাই থেকে মালিক ভাই-কেওই যে খুব ক্লীন তা নন। ইমরান খানের পরে পাকিস্তান ক্রিকেটে সেভাবে আর কোন নেতা উঠে আসে নি-যিনি পাক ক্রিকেটের এই অসৎ যাত্রাকে আটকাতে পারবেন। সব থেকে বড় কথা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ধর্ম নিরপেক্ষ আচরন ও ইদানিং উঠে গিয়েছিল। ক্রিকেটারদের নাকি নামাজ পড়ার ধুম ও বেড়েছিল-বেড়েছিল তবলীগ হবার জিগিরও। আর ধর্মযে চোরেদের বর্ম সেটা বোধ হয় আমরা জানি। নিজেদের বেটিং অপরাধ ঢাকতেই ওরা ড্রেসিং রুমে ধর্মের আমদানি করে। এটা আমার মত।

যাইহোক আফ্রিদির জন্যে আগাম শুভকামনা রইল। কালকে ইংল্যান্ডের সাথে হারলেও, আশা করি তারা ঘুরে দাঁড়াবেন।