বিচ্ছিন্ন ভাবনা

আকাশ মালিক

কিছু এলোমেলো প্রশ্ন, কিছু এলোমেলো ভাবনার কোন সঠিক উত্তর না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ব্লগের দ্বারস্থ হলাম। পৃথিবীতে ইসলামের নামে কোটি কোটি নিরপরাধ নারী পুরুষ শিশুকে খুন করা হয়েছে, তলোয়ার দিয়ে গলা কাটা হয়েছে, আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, আমরা সে সকল ঘটনা স্বচক্ষে দেখি নাই তবে বই কেতাব পড়ে অবগত হয়েছি। সঙ্গত কারণেই অন্যান্য ধর্ম এখানে আলোচ্য নয়। আমরা কি কোনদিন নিজেকে প্রশ্ন করেছি ১৪শো বছর পূর্বে সত্যই কি ইসলামের কোন স্বর্ণালি যুগ ছিল, যেখানে মারামারি কাটাকাটি, নারী নির্যাতন, অবৈধ ক্ষমতা দখল, খুন, অনাচার, অবিচার অত্যাচার ছিলনা। সত্যই কি মুহাম্মদের কোরান হাদিস চষে মক্কা মদীনার কোন লোক বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক হতে পেরেছিলেন? আমরা কি জানতে পেরেছি মানুষের গলা কেটে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার উৎস কোথায়? পরিবারে ভাই বোনের মধ্যে অসম সম্পত্তি বণ্টনে কলহের উৎস কোথায়? ফতোয়ার মাধ্যমে নারীকে বেত্রাঘাত করা, নারী নির্যাতন, স্বামী কর্তৃক স্ত্রী ধর্ষণ এর উৎস কোথায়? এই নির্দিষ্ট প্রশ্নের সব সময়েই একটা উত্তর দেয়া হয় আর তা হলো- ‘কোরানের ভুল ব্যাখ্যা’। বর্তমান বিশ্বে আমাদের চোখের সামনে বিগত কয়েক বছরে যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করলাম, রাশিয়ার বসলান স্কুল থেকে আমেরিকার টুইন টাওয়ার পুড়তে আমরা দেখেছি, দেখেছি ভারতের মুম্বাইএর রক্ত, বাংলাদেশের ৬৪জেলার রক্ত, আমরা এসব ঘটনার কারণ বা উৎস খুঁজেছি। এখানে আমরা সাধারণত দুই প্রকার উত্তর দেখতে পাই যথা- (১) এর উৎস মুসলমানের ধর্ম গ্রন্থ কোরান।(২) জগতের সকল প্রকার সমস্যার মূলে রয়েছে আমেরিকা, বৃটেন এবং ইসরায়েল।
আমাদের কেউকেউ দাবী করেন ৯/১১ এর আগে, ইরাক যুদ্ধের আগে, বা আফগান যুদ্ধের আগে মুসলমান কোন সন্ত্রাসী দুনিয়ায় ছিলনা। মুসলমান নামের সকল সন্ত্রাসী আমেরিকার সৃষ্টি, নতুবা এরা মুসলমান নামধারী অমুসলিম আমেরিকার এজেন্ট। অন্যদিকে কেউকেউ ইতিহাস ঘেঁটে প্রমাণ করেন ইসলাম জন্মের পর থেকে জগৎটাকে, অমুসলিম তো দূরের কথা, নিজেদেরকেই একটা দিনের জন্যেও শান্তিতে থাকতে দেয় নাই। আমরা এসকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি, তর্ক করেছি, একমত হয়নি, আজও আমরা বহুধারায় বিভক্ত আছি।

ইদানিং মুক্তমনায় গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বিতর্কে শ্রদ্ধেয় পাঠকবৃন্দের মন্তব্যসমুহ থেকে তিনটি মন্তব্য সামনে রেখে কিছু ভিডিও চিত্র তুলে দেয়া হলো। অনেকেই এর আগে এই ছবিগুলো হয়তো দেখেছেন, আবার অনেকেই হয়তো বলবেন এরকম খন্ডচিত্র একটি সমাজ বা জাতি বা দেশ রিপ্রেজেন্ট করেনা। তবুও ছবিগুলোর উপর আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করে দেখা আমাদের মাঝে ভিন্নধারার চিন্তা বা ভিন্ন ভাবনার প্রশ্ন জাগে কি না। প্রথমে পাঠক তিনজনের মন্তব্য পড়ে নিই-

আমেরিকা ( এবং পশ্চিম) যখনই দরকার পড়েছে ইসলামকে ব্যবহার করেছে নিজের স্বার্থে একথাটা তো কারও অজানা থাকার কথা নয়। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যগুলো এখানে খুব বড় ভূমিকা পালন করে।

সবচাইতে বড় সমস্যা হলো- আমেরিকার অধিকাংশ মানুষই জানে না ইসলাম কি বস্তু।
ইসলাম সম্পর্কে বিরাট অজ্ঞতার সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী মোল্লা সৌদি পেট্রো ডলারের ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে আমেরিকা তথা পশ্চিমা সমাজকে ধ্বংশ করার নীল নকশা এটেছে। পশ্চিমারা তা এখনও বুঝতে পারছে না ।

ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে যারা জঙ্গী খোঁজ করেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন ।
ষষ্ঠ শতাব্দিতে আরবে ইসলাম ও মুহাম্মদ যা কিছু করেছে, তা তদকালীন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে করেছে ।

এই ছিল আমেরিকার গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বিতর্কে মুক্তমনার সুহৃদ তিনজন পাঠকের তাতক্ষণিক সংক্ষিপ্ত মন্তব্য। এবার ভিডিও চিত্রগুলো দেখুন। এখানে আমরা একটা প্রশ্নেরই উত্তর আশা করতে পারি- ‘সারা বিশ্ব জুড়ে যে সন্ত্রাস চলছে এর সাথে মুসলমান জঙ্গীবাদের সম্পৃক্ততা আছে কি না, অথবা মুসলিম জঙ্গীবাদের উৎস কোথায়, পশ্চিমে না আমেরিকায় না কোরানে না অন্য কোথাও’?

Islam: What the West Needs to Know

Radical Islam’s War Against the West

The lions of Luton

Islamic revolution in Britain

Islam Is Coming You British Kuffars Will Be Muslims