সৌজন্য : দৈনিক সমকাল/ কালস্রোত।
সৌজন্য : দৈনিক সমকাল/ কালস্রোত।

 

বিভিন্ন কারণেই মিউটেশন ঘটতে পারে উলেল্গখযোগ্য হচ্ছে : কোষ বিভাজনের সময় ডিএনএ যদি তার প্রতিলিপি হুবহু নকল তৈরি করতে না পারে। প্রাকৃতিকভাবেই এই ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া বাহ্যিক কিছু প্রভাবকের দ্বারা মিউটেশন হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বা উচ্চমাত্রার বিকিরণের ফলে অনেক সময় জীবের ডিএনএ’র সিকোয়েন্সে পরিবর্তন আসতে পারে অথবা ডিএনএ’র গঠন ভেঙে যেতে পারে। প্রকৃতির তীব্র বিরূপ পরিবেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিএনএ ভেঙে গেলে জীবকোষের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় অনেক সময় ডিএনএ মেরামত হয়, কিন্তু পুরোপুরি মেরামত হয় না বা ভেঙে যাওয়া ডিএনএ হুবহু আগের মতো হয় না, কিছুটা পরিবর্তন থাকে। ডিএনএ সিকোয়েন্সে বা ডিএনএ’র গঠনের এই পরিবর্তনকে মিউটেশন বলে।

শুধু জীবের জননকোষে (শুক্র অথবা ডিম্বতে) ‘মিয়োসিস’ প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজনের সময় যে মিউটেশন ঘটে তা পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত হয়। মিউটেশন হলে জীবদেহের অ্যামাইনো এসিডের বদল ঘটে এবং প্রোটিনের কাজের ক্ষমতার পরিবর্তন হয়ে যায়। উল্লেখ্য, অনেক অ্যামাইনো এসিড নিয়ে গঠিত জটিল জৈবযৌগই প্রোটিন। জীবদেহে কিছু প্রোটিন কোষ ও কলা গঠন এবং কিছু প্রোটিন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। মিউটেশনের ফলে প্রোটিনের কার্যকারিতা বদল হয়ে গেলে যেমন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াও বদল হয়ে যায়, তেমনি কোষকলার গঠনেও পরিবর্তন চলে আসে। এভাবে ক্রোমোসোম বা জেনেটিক মিউটেশনের ফলে একই প্রজাতির বিভিন্ন জীবে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগত বিভিন্নতা দেখা দেয়। ঠিক কতখানি প্রোটিনের কাজ করার ক্ষমতা বদল হলো, তা নির্ভর করে মিউটেশনের ফলে কী পরিমাণ অ্যামাইনো এসিডের বদল হলো তার ওপর।

মিউটেশন বা পরিব্যাপ্তি নিয়ে একটি প্রচলিত সাবেকি ধারণা হলো, ‘বেশিরভাগ মিউটেশনই ক্ষতিকর’। কিন্তু আধুনিক গবেষণায় জানা গেছে, বেশিরভাগ মিউটেশনই নিরপেক্ষ অথবা নীরব। পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধটি পাঠ করুন দৈনিক সমকালের কালস্রোত পাতা থেকে

 

আপডেটঃ পুরো লেখাটির পিডিএফ রাখা আছে এখানে  :pdf: