ফিতার মোবাইলটার চার্জ নেই। তাদের গ্রামে ইলেকট্রিসিটি নেই। নদীর ঐ পাড় ভৈরব থেকে চার্জ দিয়ে আনতে হয়। ইলেকট্রিসিটি দেয়ার প্রতিশ্রুতির হিড়িক শুধু ভোটের সময়ই শোনা যায়। ভোট শেষ। আশ্বাস আর বিশ্বাসও শেষ। ফিতার শ্বশুরবাড়ি ভৈরব থেকে নদীর ঐ পাড়ের চরে। শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর নেই, তবে শাশুড়ি, স্বামী, ভাশুর, জা আর দেবর নিয়ে এক বাড়িতেই বসবাস। ভাত অবশ্য আলাদা। জায়গাটায় গাছ-গাছালি কম। গরমকালে রোদে টেকা দায়, আবার বাতাস ছুটলেও শন শনাশন শব্দের তোড়ে কান পাতা দায়। তখন ঘরের বাইরে নিজেদের মধ্যেই জোরে জোরে কথা বলতে হয়। আর মোবাইলে কথা বলতে হয় ঘরের দরজা বন্ধ করে।
এ গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই অন্তত একটা করে নৌকা আছে। ভৈরব গেলে দল বেঁধে কোন একজনের নৌকা নিয়ে যায়। যাদের নাই তারা হয় গোদারা দিয়ে যায় অথবা অন্যের নৌকায় দাঁড় টানার শ্রম দিয়ে যায়। প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ির নৌকা ভৈরব বাজারে যায়ই।

ফিতা স্বামীকে মনে না করিয়ে দিলে মোবাইল চার্জ করতে নিতে ভুলে যায়। দুয়েকদিন পর পর চার্জ করিয়ে আনে। মনে করিয়ে দেয়ার দায় ফিতার আর চার্জ করে আনার দায়িত্ব বৈঠার।

মোবাইলটা গত পরশু নিয়ে গিয়েছিল। আধ ঘন্টা বসে ফিরে এসেছে। ভৈরবেও ইলেকট্রিসিটি ছিল না। গতকাল বাজারে গেছে, অথচ মোবাইলটা নিয়ে যায়নি। মোবাইল চার্জ করিয়ে আনা নিয়ে প্রায়ই কথা পাল্টাপাল্টি চলে। আজকেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আজকেও চার্জ করা নিয়ে বৈঠার গরিমসি।
স্বামী বৈঠা সংসার করা বলতে শুধু বুঝে টাকা কামাই, বাজার করা আর রাতে বৌকে সঙ্গ দেওয়া। দায়িত্ব বলতেও তাই। আলাদা হবার সময় জমি জিরাত নিয়ে খোঁজ খবর করেনি। বড় ভাই মিঠা আর মা যা বুঝে করে দিয়েছে। প্রত্যেকে পেয়েছে চার গন্ডা করে। ছোট ভাই পৈঠা বিয়ে সাদি করেনি। মা আট গন্ডা জমি নিয়ে তার সাথে খায়।

মায়ের উপরে বৈঠার কোন কথা নেই। অথচ বড় বউ হামকি ধামকি করে। ভাশুর এতে কোন উচ্চবাচ্য করে না। ফিতার বেলায় বৈঠা ছাড় দেয় না।
শাশুড়িও ছেলেদের জোরে জোরদার। জোদ্দার। শাশুড়ি বড় বউয়ের সাথে ম্যাড়ম্যাড়ে আর ফিতার সাথে ঠনঠন করে বাজে। বড়টার সাথে ঝাঁঝালো মনোভাব নেই, গা ছাড়া ভাব। কী করল না করল এ নিয়ে মাতবরী নেই। একটু যেন নরম নরম মনোভাব। শাশুড়ি মিঠার বউয়ের সাথে দজ্জালগিরিতে যায় না। যত প্যাঁচাল ফিতার সাথে। তাকেই শাসন করে, অবশ্য যেটুকুই আদরের আভাস তা আবার ফিতাকেই করে।

বৈঠার মায়ের তালে তাল। সবটাতেই বউকে চুপ থাকতে বলে। আলাদা পাকে খায়, কিন্তু তার সংসারে মায়ের মাতব্বরি চলে।
ভাল মন্দ বাজার করলে মাকে রেখে খায় না। কালকেও একটি কালবাহুস মাছ এনেই মাকে বলেছিল, তোমাদের চাল আমাদের সাথে দিয়ে দেও। আজকের মাছটা ভালই কিনেছি। তুমিই রান্দ। পৈঠা আর তুমি খাইবা।

ফিতার চেয়ে মায়ের হাতের রান্না বৈঠার পছন্দ।

ফিতার রান্নাও খুব স্বাদ। ঝাল একটু বেশি আর ঝোল কম। ফিতা নিজেও জানে যে সে খুব ভাল রাঁধে। এ নিয়ে তার একটু আধটু অহংকারও আছে বৈকি। কিন্তু সে অহংকার দেখানোর মানুষটা বড় বেশি মেজাজী। একজনের অহংকারের সাথে আরেকজনের মেজাজ ঠিক মত যাচ্ছে না বিয়ের পর থেকেই। তবুও চলছে ভিজা লাকরিতে রান্নার মত। ধূঁয়ায় একাকার আর বাঁশের চোঙায় ফুঁ দিতে দিতে ফিতা চোখ লাল করে, মাথা ধরিয়ে রান্না শেষ করার মত আট বছরের বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করছে। এরই মধ্যে তিনটা ছেলেমেয়ে।

ফিতা মৃদু প্রতিবাদ করে শাশুড়িকে বলে, আমিই রান্দি। আপনি ত রোজঐ নিজে আত পুইড়া বাত খান।
ফিতা কথাটা যে শাশুড়িকে ভালবেসে বলেছিল তা নয়। ভাল একটু বাজার করলে ফিতারও তো রাঁধতে ইচ্ছে করে! কিন্তু বৈঠা সেটা আমলেই নেয় না। বৈঠার এত মাতৃপ্রীতি মাঝে মাঝে ফিতার গা জ্বালা করে। শাশুড়িও সুযোগ নেয়। অবশ্য নিজের আর পৈঠার জন্যে শুধু নয়, ঐদিনের সবার ভাতের চালই শাশুড়ি দেয়।
রান্নাবাড়া সেরে মিঠার আর তার ছেলের জন্যে বাটিতে মাছের তরকারীও পাঠায়। মাছটার উপরে সব মাতব্বরী করে । তাই ফিতা একটু আমতা আমতা করে ভিন্ন প্রস্তাবটি দিয়েছিল, কিন্তু বৈঠার এটি নজর এড়ায় না।
বেশ জোরে বাড়ির সবাইকে শুনিয়ে বলে, আমার অ দ একজুনের রান্দা খাইতে খাইতে আর বাল্লাগেনা। এত রানতে মুন চাইলে মায়ের লাহান ঢাহা গিয়া মাইনশের বাসাত কাম কর গিয়া।

কথাটা ফিতার বুকে গিয়ে বিঁধে। বৈঠা এ খোটাটা না দিলেও পারত । মা মায়ের গ্রাম সম্পর্কের এক ভাইয়ের বাসায় কাজ করে। সম্মানের সাথেই থাকে। টাকা পয়সাও ভালই দেয়। ফিতার মোবাইলটা তো মা ই তো কিনে দিয়েছে মেয়ের খবরাখবর রাখার জন্যে। কিনতে কষ্ট হয়েছে। গতবারের ক্ষেতের ঋণ শোধ না করেই মোবাইলটা কিনে দিয়েছে।

ফিতার এভাবেই জীবন যাবে — অন্তত শাশুড়ি বেঁচে থাকা পর্যন্ত তার মাতবরী খাটবে না। এখন আলাদা হলেও বৈঠার কাছে মায়ের কথাই শেষ কথা। বৈঠা নিজেকে চালায় মায়ের বাতাসে আর মা চলে বৈঠার জোরে।
তবে ফিতা কয়দিন যে এভাবে মেনে নিতে পারবে কে জানে! ফিতার মা মোবাইলে তার সংসারে শাশুড়ির ভূমিকা নিয়ে বলে, জিংলায় আনে পাহালের মুখ হাউরি আনে বউয়ের মুখ। কয়দিন আর দৈরয্য দরবি। মুহে মুহে দ কতা আইয়া ঐ পরব।

বৈঠার চোখা কথা শোনার পর মায়ের কথা মনে হল। আর এরই লেজে ধরে মনে এল মোবাইলটায় চার্জ নেই। এতে মনটা বিষিয়ে উঠল।

বৈঠার মোবাইল নিয়ে ঠেকা কম। ফোন আসলে ফিতার আসে। তার মা ঢাকা থেকে ফোন করে। মাসে মাসে দশ বিশ টাকা মা ই ফ্লেক্সি করে পাঠায়। অথচ বৈঠা বিকেলে বাবুয়ানা করতে মোবাইল হাতে নিয়ে পাড়া বেড়ায়। ঐদিন আট টাকা খরচও করে এসেছে। কাকে ফোন করেছে জিজ্ঞেস করার জো নেই। লুটোপুটি লাগাবে। এতে শাশুড়িও এসে যোগ দেবে, মার দ্যাওয়া ফোন লইয়া দেমাগের কী আছে? আমার পোলায় এইডা দরলেই ফছর ফছর শুরু অয়।
মোবাইলটিতে টাকা ভরতে বললে উত্তর পায়, কার মোবাইলে কে ট্যাহা বরব?
অথচ কথা বলার সময় তা মনে থাকে না। কথাও কোন কাজের জন্যে না। আন্দাজে টিপাটিপি।
আজকে ফিতার মায়ের সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। অথচ জো নেই। মোবাইল কালা আর বোবা হয়ে আছে। চার্জ নেই। বৈঠাও যাবে না। ফিতা মাকে তার সংসারের কাইজ্যা কীর্তুনের টুকটাক খবর না বলে পারে না।

আগে পারত, মোবাইলটা থাকার পর থেকে আর পারে না। এজন্যে নিজেও সুযোগ পেলে পাশের বাড়ির রতনকে দিয়ে টাকা ভরায়। বৈঠা জানে না। শাশুড়িও টের পায় না। নিজে সেলাই করে কিছু আয় করে আর গাছের সীম বা লাউ বেচার টাকা। আগে জমত। এখন মোবাইল সব খেয়ে ফেলে। তবে মায়ের সাথে কথা বলে মনটা জুরায়।
মাঝে মাঝে মোবাইল কোম্পানি থেকেও টাকা আসে। ফিতা বুঝতে পারে। পিং পিং শব্দ করে জানান দিয়ে টাকা আসে। বৈঠা বুঝতে পারে না। হঠাৎ পিং পিং শব্দ হলে বকাবকি করে, শালার আন্দাজেই প্যাং প্যাং।
অবশ্য এমনিতে অন্য কথাও আসে। কেউই বুঝতে পারে না। কয়েকটা রতনকে দিয়ে পড়িয়ে দেখেছে। দুই তিনবার বুঝেছে। পোলিও ও ভিটামিন খাওয়ানোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। অন্যগুলোর মাথামুন্ডু কিছুই বুঝেনি। এতে কিছু যায় আসে না! পৃথিবীর সব কি আর লেখাপড়া জানা মানুষও বুঝতে পারে? আর ফিতা তো মাত্র ফাইভ পর্যন্ত পড়া মাইয়া। বৈঠার চেয়ে অবশ্য বেশি। বৈঠা তো মোটে টু পর্যন্ত পড়া।
মায়ের ফোন ছাড়াও আরেকটা ফোন আসে। প্রথম প্রথম ফিতা রাগ করলেও এখন ভালই লাগে। মায়ের কাছ থেকে নম্বরটি নিয়েছে। টঙ্গী বাজারে সেন্ডেলের দোকান।
এক সাথে প্রাইমারী পাস করেছে। লোকটি আরও তিন বছর পড়ে জুতার দোকানে পেটে ভাতে খেটে এ ব্যবসা শিখে নিজেই এখন দোকানের মালিক।
তার ফোন এখন ফিতার জৈ্যষ্ঠের কাঁঠাল পাকা গরমের সংসারে বৈকালিক বৃষ্টির ছোঁয়া । ভ্যাপসা গুমোট করা গরম কাটে।
কথাবার্তা বলতে ফিতার ছেলেমেয়ে, স্বামী। কি রাঁধল, কি খেল এসব। সপ্তাহে একেক দিন মিনিট তিন চার করে কথা বলে।

মা প্রতি সপ্তাহেই কথা বলে। মাঝে মাঝে সপ্তাহে দুই তিনদিনও বলে। কথা না বলে এত দূরে মা কি থাকতে পারত? ফোনে কথা বলতে পারে বলেই না মায়ের মন টিকে। আগে তো দিন চার মাস পরে পরেই মেয়েকে দেখতে আসত। মায়ের তো সম্বল বলতে এই মেয়েই। এখন ফিতার মা একমাত্র মেয়েকে বছরে একবার দেখতে আসে। ঢাকার বাসার লোকও খুশি। আসা যাওয়ার ধকলও সইতে হয় না। টাকাও কিছু বাঁচে। বাকীটা তো মোবাইল কোম্পানীর পেটে যায়।

মোবাইল চার্জ করিয়ে না এনে বৈঠা প্রায়ই ফিতাকে শাস্তি দেয়। রতন চার্জ দিয়ে আনবে না। একদিন এনে দিয়েছিল। বৈঠা ও শাশুড়ি নিজের জিনিস অন্যের হাতে দেওয়া পছন্দ করে না।

মোবাইল চার্জ দিয়ে না এনে দিলে ফিতাই নদী পাড়ি দিয়ে চার্জ করে নিয়ে আসবে। শাশুড়ির তোয়াক্কা করবে না। এ কথায় কাজ হয়। বৈঠা চার্জ করে আনতে যায়।

বৈঠা নিজেও বুঝতে পারেনি এক দিনে এত ঘটনা ঘটবে ! কখন টপ করে পকেট থেকে মোবাইলটা নৌকার দরগার জলে পড়ে গেল। সাথে সাথে বুঝতে পারলেও হতো। চার্জ দিয়ে হাতে নিয়েই আসছিল। একটা ফোন আসে। বৈঠা প্রথমে আমলে নেয় না। হ্যালোও বলে না। ভাবছিল শাশুড়ির ফোন ফিতার জন্যে। পয়সা উঠিয়ে লাভ নেই। বাড়ি গিয়ে ফিতাকে বলবে। দুইবার ধরেনি। তিনবারের মাথায় ট্যাং ট্যাং করলে সবুজ দাগে চাপ দিতেই পুরুষ কণ্ঠ। বৈঠা ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। চুপ করে থাকে। ওপাশ থেকে বলতে থাকে, কয়দিন যাবৎ ফোন বন্ধ কেন। ছেলেমেয়েরা ভাল তো। বৈঠার খবরও জিজ্ঞেস করল। বৈঠার মুখে উঅথবা ইচ্ছে করেই বন্ধ করে দেয়। কি শুনতে কি শুনে ফেলে। অথবা রাগে, ক্ষোভে, বিরক্তিতে হাতটা অবধারিতভাবেই লাল দাগে চলে গিয়েছিল।

বৈঠা বুঝতে পারে কার কণ্ঠ। কিন্তু সম্পর্কটা ফিতার সাথে এমন নয় যে পয়সা খরচ করে নিয়মিত খবরাখবর করতে হবে।

বৈঠা ফিতাকে কীভাবে বিষয়টি জিজ্ঞেস করবে তা মনে মনে ঠিক করতে থাকে। মাকে ভাইকে সামনে নিয়ে না একলা? নাকি ফিতার মাকে খবর দিয়ে এনে? এ কয়দিন মোবাইলটা বন্ধ রাখবে? নাকি ফিতাকে না দিয়ে নিজের কাছেই খোলা রাখবে? কাউকে না বলে মোবাইলটা জন্মের মত বন্ধ করে দিলে হয় না? এমনি ভাবতে ভাবতে নৌকার হাল নিজেই ধরে রেখেছিল।

নৌকা থেকে নেমে সীমের মাচার নীচ দিয়ে আসার সময় অসাবধানতায় সীমের লতার পোঁছ লাগে। পোঁছ লাগা জায়গায় জ্বলনির সাথে সাথে পকেটে হাত দিয়ে দেখে মোবাইলটা নেই। প্রথমে ভাবে ভালই হল — আপদ হারিয়ে গেল। পরে মোবাইলের দামের কথা চিন্তা করে নৌকায় ফিরে যায়।

নৌকায় এসে দরগার জলে পেয়েছে। দেখে চার্জ না থাকলে যেমন সাদা তেমনি অবস্থা। বোবা মোবাইল। বাড়িতে আসার আগে রতনকে দিয়ে চেষ্টা করিয়েও কথা বলাতে পারল না।

ফিতাকে কি বলবে যে আজকেও ইলেকট্রিসিটি ছিল না? চার্জ করা যায়নি? না কি সব সত্যি বলে উল্টা ঝাড়ি দিবে?

সীমের লতার পোঁছ লেগে বৈঠার গলার কাছটা প্রায় এক বিঘৎ লম্বা কালচে হয়ে আছে। বাড়িতে পা দিতেই এ নিয়ে মায়ের প্রশ্নের শেষ নেই। এইডা কেমনে অইল? কৈ গেছিলি? জ্বলতাছেনি?
পোঁছ তো শুকাবে। জ্বলনিও সারবে, কিন্তু বৈঠার অন্তর জ্বলনির কাছে তো সীম লতার পোছ কিছুই না। অন্যদিন হলে মাকে পোছ খাবার আদ্যপ্রান্ত বলত। আজ কিছুই বলেনি। মায়ের কথার কোন উত্তরই দেয়নি। কি উত্তর দেবে?

এখন আর ফোন আসবে না ভেবে আরেক জনের ফোন করার বিষয়টি বৈঠা ফিতার কাছে গোপন করে। এটা বলতে গেলে ফিতা সন্দেহ করবে। ভাববে ইচ্ছে করেই ফোন নষ্ট করে নিয়ে এসেছে। শুধু জলে পড়ার ঘটনা এবং এ চিন্তায় অসাবধানতায় সীম লতার পোছ খাবার কথা বলে সহানুভূতি নেয়। বৈঠা এ সব একলাই ফিতাকে বলে। ফোন জলে পরার ঘটনা শুনে ফিতা তেমন উচ্চবাচ্য করে না। এ নিয়ে বৈঠাকে অনুযোগও দেয় না। শাশুড়ি বা স্বামীর ভয়ে নিঃশব্দে তা মেনে নেয়নি। চিন্তায় পড়ে গেছে। আরেকটা নম্বর থেকে তো আর ফোন করেও তাকে পাবে না। ফিতার মনের পোঁছ আর জ্বলনির খবর বৈঠা বা তার মা কোনদিনই রাখেও না পায়ওনি।