যুক্তি তর্ক আবেগ দিয়ে কেও জিতে থাকে বা টিকে থাকে বলে জানি না। কারন তেমন হলে ধর্মগুলোর মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মরই বেশী টিকে থাকার কথা-বৌদ্ধ ধর্মের ভিত্তি যুক্তি নির্ভর-বিশ্বাস নির্ভর না। তেমন কিন্ত হয় নি। বৌদ্ধদের পিটিয়ে পৌত্তলিক হিন্দু এবং যুদ্ধবাজ মুসলিমরাই টিকে গেছে। সুতরাং মৌলবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াই এ জিততে হলে আমাদের স্ট্রাটেজি দরকার। প্রতিষ্ঠান দরকার। রাজনৈতিক ক্ষমতা দরকার। শুধু যুক্তি বার করে হবে না। যুক্তি দিয়ে মহম্মদকে নীচ এবং মহান-বিড়াল এবং বানর-মহৎ ও ক্ষুদ্র সবকিছুই প্রমান করা যায়। লাভ খুব বেশী হবে না।
আমাদের বাস্তব স্ট্রাটেজিগুলো এরকম হওয়া উচিত
[১] সোশ্যাল নেটোয়ার্কিং এবং প্রতিষ্ঠানের জন্মঃ
নাস্তিকতা এখন টিকে আছে এই সব ব্লগ সাইটে। কেও কেও ইউ টিউবে কিছু প্রচার করেন -এই ছোট্ট মিডিয়ার মধ্যে। নাস্তিকতার প্রচারের ও আমি খুব
একটা পক্ষপাতি না। প্রচার চালাতে হবে বিজ্ঞান মুখী চিন্তার। রাজনীতি, সমাজ, ব্যাক্তিগত জীবন সর্বত্রই যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে বিজ্ঞানের সাহায্য নিতে হয়, সেটাই আমাদের দেখাতে হবে। বিজ্ঞানের দর্শনের মূল হল-এরর বা ভুলের পরিমান কমানো। আর আমরা কেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ঈশ্বরের নাম জপি? কারন সবাই চাই, তাদের সিদ্ধান্তে যেন কম ভুল থাকে, ফলপ্রসূ হয়। কিন্ত আসলেই কি তা হয়? কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের দর্শনই শ্রেষ্ঠ-কারন তার ভিত্তিই হল কিভাবে ভুল কমানো যায়।
কিন্ত এর সাথে সাথে নানান রেজিস্টার্ড সংস্থা গড়তে হবে। যারা সমাজের মধ্যে নানান বিজ্ঞানের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। বিজ্ঞান দিয়ে চাষাবাদ থেকে খেলার মাঠে “পারফর্মান্স” উন্নত হয়-এটা হাতে কলমে করে দেখাতে হবে। বিজ্ঞান একটি চেতনা-যাকে ছড়িয়ে দিতে হবে ব্যাবহারের মাধ্যমে। জ্ঞানের মাধ্যমে নয়। বিবর্তনের জ্ঞান বেড়ে সাধারন মানুষের কোন লাভ নেই-কিন্ত বিবর্তন সে সেই দিনই শিখতে চাইবে যেদিন দেখবে কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে উন্নত গাছ এবং ফলের জন্ম দিতে পারছে। এর জন্যেই সর্বত্র নানান বিজ্ঞানসংস্থা গড়া দরকার।
[২] মেইন স্ট্রিম মিডিয়াতে নাস্তিকতাকে টানাঃ
মেইন স্ট্রিম মিডিয়াতে যাও বা নম নম করে হিন্দু ধর্মের সামান্য সমালোচনা চলে, ইসলামের সমালোচনা করার কেও সাহস রাখে না। সেটা মৌলবাদিদের শক্তির উৎস। আমাদের লেখা কেও শত ইচ্ছা থাকলেও মেইন স্ট্রিমে ছাপাতে সাহস পায় পাবে না। কেবল টিভিতে ইসলাম বা তার নবীর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করার উপায় নেই। হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু “কোমল” সমালোচনা করা যায়-ব্যাস ওই পর্যন্তই। ওর বাইরে ওরা দেবে না। ফলে আমাদের নিজেদেরকে নিজেদের মিডিয়া বানাতে হবে যা মোটেও কর্পরেট সাহায্যে চলবে না। চলবে সমভাবাপন্ন লোকেদের দেওয়া ব্যাবসায়-সাহায্য নিয়ে কোন কিছু বেশী দিন চালানো যায় না। নাস্তিকদের ও ব্যাবসাতে নামতে হবে, যাতে এই সাপোর্টগুলো আনা যায়। অধিকাংশ বাঙালী নাস্তিকই সুখী পড়াশোনা করা চাকুরীজীবি লোক-এটা একটা বিশাল সমস্যা নাস্তিক মিডিয়া করার ক্ষেত্রে। কারন মিডিয়া চলে ব্যাবসা প্রমোট করতে-সেখানে নাস্তিকদের ব্যাবসা না থাকলে এই ধরনের মিডিয়া করা খুব কঠিন। আমি এই জন্যে প্রতিটা নাস্তিককে ব্যাবসায় নামার জন্যে উৎসাহিত করব।
[৩] যারা গ্রামে, ফিল্ডে কাজ করছে, তাদের অর্থনৈতিক সাহয্য দেওয়ার জন্যে অর্গানাইজেশন তৈরী করাঃ
অল্প হলেও দুই বাংলাতে বিজ্ঞান কর্মীরা আছেন। তারা কাজ করছেন। তারা যাতে আরো বেশী করে কাজ করতে পারেন, তার জন্যে আমাদের মতন সচ্ছল নাস্তিকদের উচতি সাহায্য দেওয়া। এটাকে রেগুলারাইজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে হবে। নাস্তিকরা ব্যাবসা না করায়, সেটাও একটা সমস্যা। প্রতিটা ধার্মিক লোক গ্রামে মন্দির মসজিদ বানানোর জন্যে টাকা দিয়ে থাকে। এবার বাড়ি গিয়ে দেখলাম এই ভাবে গুচ্ছ গুচ্ছ বিরাট মন্দির হচ্ছে চারিদিকে। এর পাল্টা জবাবে আমাদের যাদের সামর্থ আছে, তাদের উচিত নিজেদের গ্রামে উন্নত মানের ডিজিটাল এবং সাবেকি লাইব্রেরী করা। এখানেও সেই ব্যাবসার প্রসঙ্গ আসছে। ব্যাবসা না করলে সীমিত অর্থ থেকে এত কিছু করা সম্ভব না চাকুরীজীবি নাস্তিকদের। তাই আমি সবাইকেই বলব ব্যাবসা করা শুরু করতে। ধার্মিক ব্যাবসায়ীরা অতিরিক্ত অর্থ মন্দির মসজিদে ব্যায় করে-আমরা লাইব্রেরী তৈরী করতে ব্যায় করব। মোদ্দাকথা এই নেটওয়ার্কিং টা দরকার। মুসলমানরা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ায়-হিন্দুরাও দাঁড়াচ্ছে-নাস্তিকদের মধ্যেও এই সাপোর্ট সিস্টেমটা বানাতে হবে।
[৪] শিশুদের জন্যে বিজ্ঞান সাহিত্য-প্রিন্ট, কেবল মিডিয়াতে ছড়াতে হবেঃ
শিশুদের মনে বিজ্ঞানকে না ঢোকালে আমাদের আন্দোলন ব্যার্থ হবে। কারন শিশু বয়সেই মানুষ ঠিক করে নেয় সে নাস্তিক না আস্তিক হবে। খুব ভাল বিজ্ঞান সাহিত্য দরকার শিশুদের জন্যে। বাংলায় বাচ্চাদের জন্যে বিজ্ঞান সাহিত্য উঠে গেছে। তাছারা আজকাল কেবল মিডিয়া সব থেকে জনপ্রিয়। বাচ্চাদের জন্যে সেখানে বিজ্ঞানের অনুষ্ঠান দরকার। এগুলি ব্যাবসায়িক ভিত্তিতেই করতে হবে-কারন এর মার্কেট আছে। তাতে এই ধরনের কাজের কর্মক্ষেত্র বাড়বে।
[৫] গ্রীন এবং পিস পার্টি তৈরী করা–
বামপন্থী, দক্ষিন পন্থী সবাই ধার্মিকদের পা চাটা কুকুর। এটাই ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে। শ্রেনীতত্ত্বের মতন আধাবৈজ্ঞানিক হজপজ নিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা বাড়ানো যাবে না। পরিবেশবাদি পার্টি তৈরী করতে হবে। ভোটে জিতে পার্লামেন্টে যেতে হবে, এর মানে নেই-কিন্ত ভোটে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে অংশ নিতে হবে। আমাদের হয়ে কোন বামপন্থী বা বুর্জোয়া পার্টি কথা বলবে না-কারন তারাও ক্ষমতা দখল ছাড়া আর কিছুই বোঝে না।
[৬] জনগণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশ নিতে হবে
আমাদের রাজনৈতিক সিস্টেম ত পার্ফেক্ট না। গণতন্ত্রে অনেক ঘূণ। মানুষের ওপর শোষন বঞ্ছনা এবং অত্যাচার অব্যাহত। শোষিত মানুষের পাশা না দাঁড়ালে বিজ্ঞানের কথা কে শুনবে? কিন্ত তার জন্যে লোকজন যেন লেনিনবাদ, বা হিন্দুত্ববাদ বা ইসলামের মতন ফাসিজমের কবলে না পড়ে-জাতীয়তাবাদি গড্ডালিকা প্রবাহে যেন গা না ভাসায়। আন্তর্জাতিকতাই আগামী দিনের পথ। উন্নততর সেই বৈজ্ঞানিক এবং মানবিক সমাজের রূপরেখা আমাদের রাজনীতির মধ্যে যেন অনুপ্রাণিত হয়।
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতির পথেই উন্নত ডিজিটাল গণতন্ত্র আনা সম্ভব-এবং গণতান্ত্রিক পথেই আমাদের এই দ্বন্দ্বগুলিকে সমাধান করতে হবে। লেনিনবাদের মতন ভুয়ো কিছু তত্ত্ব এবং পার্টির পাল্লায় পড়ে কিছু আদর্শবাদি তরুণ যেন তাদের জীবন নষ্ট না করে। কমিনিউজম আরেক ধরনের মৌলবাদ যা ধর্মীয় মৌলবাদের চেয়েও ভয়ংকর।
মোদ্দা কথা আমাদের আরো প্রতিষ্ঠানিক সক্রিয়তা চাই। নেতা চাই।
বিপ্লব’দা প্রথমে স্যালুট। মুক্তমনায় এই ভক্তের প্রথম মন্তব্য।
অবিশ্বাসী কিম্বা সেকুলারদের জন্য খুব, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু এটা। মৌলবাদ নির্মূলে নাস্তিক’দেরই দায়িত্ব সর্বাগ্রে। আমরা আন্তঃর্জালের নাস্তিক’রা যতই লম্ফ ঝম্ফ করিনা কেন, সমাজে এর ইম্প্যাক্ট এখনও শূণ্যের কোঠায়।
আমাদের সমাজ (আমি বাংলাদেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজ বুঝাচ্ছি) নাস্তিক শব্দটার সাথে পরিচিত হয়, পাড়ার ন্যাংটা মোল্লার শুক্রবারের ওয়াজ আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ক্যাসেটের ওয়াজ শুনে। একটা সাধারণ মেধার মানুষ এক্কেবারে শুরু থেকেই তাই নাস্তিক্যবাদের উপর একটা চরম ঘৃনা নিয়ে বেড়ে ওঠে। অথচ জানেও না নাস্তিক্যবাদ কি? মুক্তচিন্তা কি? তার কাছে নাস্তিক মানেই কাফের, মুনাফিক, ফাছিক, ফাছের নামের কতগুলো ঘৃনাউদ্দীপক শব্দ।
এরকম একটা পরিস্থিতিতে সমাজ’কে ৩৬০ ডিগ্রী ঘোরানো অসম্ভব। একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আপনার লেখায় সেই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অনেক টুকুই ঊঠে এসেছে। আমার নিজস্ব কিছু বক্তব্য ছিল …
১. নাস্তিক’দের খোলস ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে হবে।
হ্যা, নাস্তিকরা এখনও খোলস’বন্দি। তারা জনসম্মূখে নিজেদের নাস্তিক পরিচয় দেবে, নাস্তিক্যবাদ নিয়ে আলোচনা করবে। অফিসে, আড্ডায়, বন্ধুপরিসরে, বাসায়, পরিবারে এই চর্চাটা শুরু করা উচিত। কাছের মানুষ গুলো যখন জানবে, নাস্তিক্যবাদ আসলে সাইদির ওয়াজের কাফের বা ন্যাংটা মোল্লার মুনাফেক না, অন্য কিছু। তারা নাস্তিক্যবাদ সম্পর্কে শ্রদ্ধা করা শুরু করবে।
আমি নিজেই এরকম চর্চায় সফল। অন্তত এখন পর্যন্ত।
২. ডিস্কোর্সের ব্যাবস্থা করা।
ধরুন … জোকার লানায়েক’কে এনে একটা পাব্লিক ডিস্কোর্সের ব্যাবস্থা করা হল, এছলামিক টিভি’তে লাইভ টেলেকাস্ট হচ্ছে … নাস্তিক’রা একটু একটু করে তাকে ল্যাংটা করছে … ব্যাপারটা কিরকম হবে ভেবেছেন … পুরাই কেল্লা ফতে … যদিও নাস্তিকদের কল্লা নিয়ে একটূ সমস্যা হতে পারে … কিন্তু এর ইম্প্যাক্ট চরম হবে। এক ওভারেই খেলা শেষ।
৩. মেইন্সট্রিম মিডিয়াতে মুক্তচিন্তক’দের লেখা, বক্তব্য আসার বিকল্প নেই। লেখায় এবং মন্তব্যে পূর্ণভাবেই এসেছে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আমাদের নাটক সিনেমায় মুক্তচিন্তার চর্চাটা এখনই জরুরী হয়ে উঠেছে। মুক্তচিন্তার নির্মাতারা একটু সাহস করে এগিয়ে আসতে হবে।
৪. সফলতাঃ
মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হচ্ছে, মানুষ সফলতার কথা, সফলদের কথা শুনতে চায়। ব্যার্থতার কথা বা ব্যার্থ’দের কথা শুনে একটু আহা উহু করলেও … সেসব মনের এক কোনায় লুজার হিসেবে ফেলে রেখে দেয়। এটা বাস্তবতা , কিচ্ছু করার নেই, স্ট্রাটেজিক হতে চাইলে বাস্তবতা মেনে চলেই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা উচিত।
এই মূহুর্তে দেশের সফল, অপরিহার্য, জনমানুষের কাছে পরিচিত কিছু মানুষ (যেমনঃ আবুল বারাকাত স্যার, জাফর ইকবাল স্যার, আনু মোহম্মদ, আইনুন নিসাত স্যার) ঘোষনা করে যে তারা নাস্তিক এবং তারা মুক্তচিন্তার প্রসারে নামে … সমাজের রিয়াকশনটাও সেরকম হবে। আমিনী, সাইদীরাও দুই একদিন কল্লার দামটাম ঘোষনা করে চুপ করে যেতে বাধ্য। তাদের’কে হয়তো আমরা ঘোষনা দেয়াতে পারবোনা … তাহলে কেন নিজেরাই না সফল, অপরিহার্য, জনমানুষের কাছে পরিচিত ফিগার হয়ে মানুষের কাছে মুক্ত চিন্তা বয়ে নিয়ে যাই (অতি আবেগী অতিকল্পনা হয়ে গেল বোধহয়)।
পরিশেষেঃ কল্লার দাম উঠবেই। রক্ত ছাড়া কোন আন্দোলন সফল হয়েছে এরকম কোন ইতিহাস আমি জানিনা। এখানেও রক্ত ঝরতে পারে, হুমায়ুন আজাদ স্যার, তসলিমা নাসরিন’ অলরেডি প্রথম ব্যাগ রক্ত সাপ্লাই দিয়েছে … আমাদেরও বাকিটূক দিতে হতেই পারে …
নাদানের নাদান মন্তব্য, ভুলভাল হয়ে থাকলে মার্জনাপ্রার্থী।
১) আমি তৃণমূলের কোন দায়িত্ব নিতে চাচ্ছি না, আন্ডারগ্র্যাডের জন্য বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছে আছে বলে এখন থেকেই আমার সেটার জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে হবে(তাছাড়া কলেজ তো আছেই)। তবে ইন্টারনেটে করা যায়, এমন কাজ করতে রাজি আছি।
২) আচ্ছা মুক্তমনার ব্যানারে কাজ করলেই বা সমস্যা কি? নামটা মোটেই প্রোভোকেটিভ না(নিন্দুকেরা অবশ্য সেমানটিক্স নিয়ে জল ঘোলা করবে, বিভিন্ন ব্লগসাইট ঘুরে তাই মনে হল) আর এই নামেই আমরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
৩) আমার প্রায়ই মনে হয় আমাদের সাইটের কিছু লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করে স্টার ম্যাগাজিনে পাঠানো উচিত। এখন পর্যন্ত্য এটাই ছাত্রদের জন্য একমাত্র ইংরেজি সাপ্তাহিক(জামায়াতিদের “ইয়ুথ ওয়েভ” গোনায় ধরছি না) এবং এর সার্কুলেশনও অনেক বেশি। পত্রিকাটিতে ডঃ বিনয় বর্মণ নামের একজন ইংরেজি অধ্যাপক প্রায়ই দর্শন নিয়ে লিখেন। কিছু কিছু লেখায় তিনি ধর্মকে সরাসরিই আক্রমন করেছেন, দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম। পত্রিকাটা হয়ত আমাদের লেখাগুলো বেশি কাটছাট করবে না।
৪) বিবর্তনের আরকাইভের কাজ দেখি পুরোপুরি থমকে গিয়েছে। এই প্রকল্পটা ওয়ান অফ আ কাইন্ড হওয়ায় এটা সম্পন্ন করা খুবই জরুরী। লেখাগুলো আপলোড না হোক, অন্তত অভিজিতদা ও বন্যাপুর কাছে জমা থাকলেও নিশ্চিন্ত থাকা যায়, পরে সময় করে আপ্লোড করা যাবে। কোনভাবে বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখে জমা রাখতে পারলেই হল(কয়েকটা প্রশ্ন আমার কাছে tautologous মনে হয়েছে, সেগুলোর তালিকা মেইল করে পাঠিয়ে দিব)। ২০ তারিখের মধ্যে কলেজের ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষ করার পর কয়েকদিন অবসর পাব, তখন কয়েকটা লেখা জমা দেওয়ার চেষ্টা করব।
পৃথিবীর মন্তব্যের সাথে অনেকাংশেই একমত।
মুক্তমনার ইতোমধ্যেই একটি পরিচিত তৈরি হয়ে গেছে। আজকে বিভিন্ন ব্লগে বা সাইটে ‘মুক্তমনা লেখক’ বলে যাদের অভিহিত করা হয়, তারা আসলে আমরাই এবং আমাদের মত মুক্তচিন্তকেরাই। গালি দেয়ার জন্যই দিক আর প্রশংসা করার জন্যই দিক, মুক্তমনার ইতোমধ্যেই একটা ব্যপ্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই কারো।
হ্যা, এই ব্যাপারটি করা যেতে পারে। পৃথিবী সহ যারা ইংরেজীতেও লেখালিখি করেন, তারা এই উদ্যোগটি নিতে পারেন। বিনয় বর্মনের লেখার সাথে আমিও পরিচিত। ভদ্রলোক একবার নিজের উদ্যোগেই আমার ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী বইটির চমৎকার একটি রিভিউ করেছিলেন ডেইলী স্টার-এ। সেটা আছে এখানে। তিনি মুক্তমনা লেখকই। এছাড়া শবনম নাদিয়ারও অনেক লেখা স্টার ম্যাগাজিনে প্রায়ই প্রকাশিত হয়।
ঠিক কথা। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। যারা এর আগে ওয়াদা করেছিলেন আর্কাইভের কাজ সম্পন্ন করার ব্যাপারে (এমনকি অনুবাদ দিয়ে হলেও), তাদের আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি।
আমি আজকে পৃথিবীর পাঠানো কয়েকটি লেখার উত্তর আপ্লোড করে দিলাম বিবর্তন আর্কাইভে । নিষ্কৃয় অঙ্গ সংক্তান্ত, প্রজাতির উৎপত্তি পর্যবেক্ষিত হয়নি, আর ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব – এই দাবীগুলোর উত্তর। এ ব্যাপারে অন্যদেরও সহায়তা চাচ্ছি।
@অভিজিৎ,
মুক্তমনাকে নিয়ে মুক্তমনার সদস্যদের সমস্যা থাকবে না, কিন্ত অন্য সংগঠনের থাকবে বা থাকতে পারে। কারন ( ১) মুক্তমনার সংবিধান জন সংগঠনের সংবিধান না বা তা গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সংবিধান ও না (২) মুক্তমনার পরিচালক মন্ডলী ও নমিনেটেড -ইলেক্টেড না এবং সেখানে সব সংগঠনের লোক নেই। (৩) মুক্তমনার ব্যাপারে বাম এবং প্রেগ্রেসিভ ধার্মিকদের আপত্তি আছে। এই ধরনের কাজ করতে গেলে, যেহেতু অনেক সদস্যদের মাঠে কাজ করতে হবে প্রকাশ্যে এবং সেই ক্ষেত্রে মুক্তমনাকে যেহেতু তার মুখপত্র হিসাবে কাজ করতে হবে, সেহেতু এটা সদস্যদের ওপর চাপ হয়ে উঠবে। কারন মুক্তমনাতে ইসলাম তথা ধর্ম বিরোধি কমিনিউজম বিরোধি লেখাগুলোর চাপ মাঠের সদস্যদের বইতে হবে। মুক্তমনাকে এর থেকে মুক্ত রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতি যেকোন গন-সংগঠনের গণ ভিত্তি। নির্বাচন এবং নির্বাচিত একটি সংবিধান ছাড়া সেই বৈধতা আসে না। মুক্তমনা নামেও যদি এই কাজ করতে হয় [ যা আমার মতে স্ট্রাটেজিক দিক দিয়ে ঠিক না-মুক্তমনার নিউক্লিউয়াস হিসাবে কাজ করাই ভাল] , তাহলেও এই গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী করতে হবে বৈধতার জন্যে।
@পৃথিবী,
একটা ভুল হয়েছে। “স্টার” ম্যাগাজিন মূলত সাধারণ পাঠকদের জন্য আর “স্টার ক্যামপাস”(প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয়) ছাত্রদের জন্য। আমি মনে করি স্টার ক্যামপাসের দিকেই আমাদের নজর দেওয়া উচিত। অভিজিতদার সমকামীতা নিয়ে সিরিজটা দিয়ে শুরু করলে কেমন হয়? আমার ইংরেজি ভাল আছে, কয়েকটা পর্ব অনুবাদ করে দেখতে পারি।
হ্যা সব কিছুই করা যায়। কিন্ত তার আগে, সব সংগঠন এবং তার মেম্বারদের অনুমতি দরকার। নইলে বৈধতা পাবে না। আমরা প্রতি বছর একবার করে আমেরিকা, ঢাকা এবং কোলকাতায় মিলিত ও হতে পারি। ইন্টারনেটে ত যেকোনদিনই কনফারেন্স সম্ভব।
মাদ্রাসা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যাবস্থা বন্ধ করে দেয়া উচিত।
দ্বিমত নেই। কিন্ত বাস্তবটা অন্যরকম।
ভারতে http://www.pdsindia.org বলে সইফুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে এই ধরনের রাজনৈতিক পার্টি আছে-এই ওয়েব সাইট এবং অনেক এজেন্ডাই সফিদার সাথে বসে আমরা আস্তে আস্তে বানিয়েছি। কিন্ত এই ভাবে দেখছি হবে না। সফিদা সিপিএমের হয়ে তিন বার নির্বাচিত এম পি, কিন্ত নতুন পার্টির হয়ে ৫০০০ ভোট ও পান নি-যেখানে দরকার ছিল ৩ লাখ ভোটের। প্রচার ভালোই ছিল-লোকে সাহায্যও দিচ্ছিল- কিন্ত আসলেই জনগন এই ধরনের পার্টির জন্যে প্রস্তুত না। সুতরাং আগে গণ সংগঠন করে ভিত বাড়াতে হবে। সেখান থেক আস্তে আস্তে রাজনৈতিক প্রস্তুতি নিতে হবে। আমার [৫] নাম্বার পয়েন্টটা দেখ। তাছারা হবে না।
বিপ্লব’দা
গ্রীন বা পিস পার্টি নিয়ে কিছু কথা বলার ছিল আমার। আমি গত এক বছর ধরে একটি বিষয় নিয়েই কেবল চিন্তা করেছি এবং এখনো করছি, আরো করবো। তা হল রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে। আমার নিজের উপলব্ধি এখন পর্যন্ত যে তৃণমূলে কাজের প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু ব্যাপক আকারে পরিবর্তনের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায় হতে কাজ করতে হবে। এ কারণে আমি সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করি বেশি। আমার মতে আমাদের একটি রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে যারা ভোটের মাধ্যমে পাশ করে সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যাওয়া আর কোন বিকল্প উপায় নেই। আপনি শুধু মাত্র তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে বেশি দূর এগুনো যাবে না। আমি মনে করি তৃণমূল পর্যায়ে নানান সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে অনেকদিন ধরে। কিন্তু সেরকম আশানুরুপ সাফাল্য না আসার একটি কারণ হতে পারে যে সবাই এক সাথে কাজ না করা, আর অন্যটি হল রাষ্ট্রীয় পর্যায় হতে তেমন সাড়া না পাওয়া। তাই আমার মতে পিস পার্টির চিন্তা না করে সরাসরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েও এগুতে পারি আমরা। তবে হ্যা রাজনৈতিক শাখা কে মূল সংগঠনের একটি শাখা হিসেবে রাখা যেতে পারে, যারা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পরিবর্তন (সংবিধান) নিয়ে কাজ করতে পারবে।
আমি আরো এক বছর দেশের বাহিরে থাকবো আমার পিএইচডির কাজের জন্য। তারপর দেশে গেলে সরাসরি কাজে অংশগ্রহন করতে পারবো। এখন বাহির হতে যতভাবে সম্ভব সাহায্য করতে পারি।
প্রচার কাজের জন্য দু’সপ্তাহ কম হয়ে যায় কি? আমার মতে একমাস করতে পারেন। অর্থায়নের জন্য সদস্যদের নিয়মিত মাসিক বা বাৎসরিক চাঁদার কথা চিন্তা করতে পারি। তা ছাড়া ডোনেশান তো থাকছেই।
আরেকটি চিন্তা। সংগঠনটি গ্লোবাল হিসেবে রেজিষ্ট্রাড করা যায় কি না ভেবে দেখতে পারি। ধরুন একটি ইংরেজী নাম নিয়ে ইউসএ তে নন-প্রফিটেবল সংগঠন হিসেবে রেজিস্ট্রি করা হল। তার শাখা হিসেবে বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বাংলায় সংগঠন খোলা হল। কয়েকটি সুবিধে আছে এতে। আন্তর্জাতিকতা লাভ করা যাবে। আন্তর্জাতিক ডোনেশানের চেষ্টা করা যাবে। প্রয়োজন পড়লে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে। চিন্তা করে দেখতে পারেন।
আমাদের যোগাযোগ কি ব্লগেই চলবে নাকি ফেইসবুক অথবা গুগলগ্রুপে হবে। আগে যোগাযোগের এই ব্যাবস্থাটি করা হোক। রেডিওটক মাসে একটি বা দু’তিন মাসে একটি করা হোক। আপাতত এই।
@স্বাধীন,
ফেসবুকে ওর্গানাইজ করা খুব সোজা। ফেসবুকে অনেক গুলো বড় গ্রুপই আমরা চালাই। সুতরাং লোকের অভাব, টাকার অভাব হবে না।
“South Asian Organization for Science and Rationalism” এ জাতীয় নাম হলেই মনে হয় ভাল হয়। নামের মধ্যেই ধর্মীয় কিছু জড়ানো ঠিক হবে না। তাতে শুরুতেই অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।
আর সংগ ঠনের নাম ঠিক করা উচিত। সবাই সাজেশন দিক।
আমার পছন্দ
” South Asian Organization for Science and Rationalism”
ba
” Grand Alliance Against Religious Fundamentalism”
” আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সংঘ”
” আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মঞ্চ”
আরো সাজেশন আসুক।
@বিপ্লব পাল,
আমি ইংরেজী নাম এবং জেনেরাল নামের পক্ষপাতি। তাই
International Organization for Science and Rationalism
অথবা শুধু
Organization for Science and Rationalism
আমি এই আন্দোলনকে শুধু দেশের গণ্ডীর মাঝেই বেধে রাখতে আগ্রহী নই। পৃথিবী যে কোন অঞ্চলে এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী, যদি সম্ভব হয়। এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করি।
@স্বাধীন,
সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শাখার নাম হতে পারে
Organization for Science and Rationalism : Bangladesh
এবং পশ্চিম বঙ্গেও সেভাবে নামকরণ হতে পারে।
@স্বাধীন,
আন্তর্জাতিক অনেক সংগঠন আছে। দক্ষিন এশীয়দের জন্যে নেই।
তাছারা ফোকাসটা বাংলায় রাখলেই ক্ষতি কি?
সবাই রাজী থাকলে আগামী রবিবার আমেরিকান টাইম 10AM, Indian Time, 7-30PM, Bangladesh time 7PM [19th June] আমরা প্রথম সভা ডাকতে পারি।
যেখানে ৬ জন মুখ্য আহ্ববায়ক ইন্টারনেট রেডিওতে আলোচনা করবেন এবং বাকিরা সোপকাস্ট সফটোওয়ারের মাধ্যমে সেগুলো শুনতে পাবেন এবং টেক্সট দিয়ে উত্তর দিতে পারবেন। সেখানেই একটি এডহক কমিটি হোক। আগামী দুই সপ্তাহ তার প্রচার চলুক।
সংগঠন করা এবং সেটাকে টেকানোর জন্যে কিছু আইন আছে। বাংলার সব বিজ্ঞান সংগঠন গুলোকে একটি ছাতার তলায় আনাই যায়-কিন্ত তার জন্যে গনতান্ত্রিক পদ্ধতি নিতে হবে সবাইকে নিয়ে। ধাপগুলো নিম্নরূপ
[১] সব সংগঠন থেকে একজন করে নিয়ে একটি এড হক কমিটি হোক সংবিধান রচনা করার জন্যে। এডহক কমিটিতে একজন আহ্বায়ক থাকুক এবং সবার কিছু দ্বায়িত্ব থাকুক। যেমন এমন করা যেতেই পারে
এডহক আহ্ববায়ক কমিটিঃ
A. অভিজিত রায় (সম্পাদক)
B. রায়হান বা শিক্ষানবীশ ( ফেসবুকের গ্রুপগুলোর সাথে যোগাযোগের দ্বায়িত্বে)
C. রনদীপম বা আতিক বাংলার ব্লগ লেখকদের সাথে যোগাযোগের দ্বায়িত্বে
D. বিপ্লব দাস পশ্চিম বঙ্গের বিজ্ঞান সংস্থাগুলির সাথে যোগাযোগের দ্বায়িত্ব
E. অনন্ত বা পৃথিবী, বাংলাদেশের বিজ্ঞান সংস্থাগুলির সাথে যোগাযোগের দ্বায়িত্বে।
[২] জুলাই মাসের মধ্যে, সেই কমিটি সংবিধান প্রনয়ন করুক এবং সেটা মেম্বার দের নিয়ে পাশ হক। এগুলো ইন্টারনেটেই করা সম্ভব।
[৩] আগষ্ট মাসে নির্বাচন হোক, স্থায়ী কমিটির জন্যে। নির্বাচনের পরে বৈধ একটি প্যানেল কাজ শুরু করুক। ভোট নেওয়া হোক ইন্টারনেটে।
এর পরে রেজিস্ট্রেশন , ব্যাঙ্ক একাউন্টের কাজ শুরু হোক।
জন সংগঠন গড়ে তোলার এটাই পদ্ধতি-যার ইন্টারনেট ভার্সন আমাদের বার করতে হবে। কারন সময় বদলাচ্ছে।
আরেকটি বিষয়, মুক্তমনা ইতোমধ্যে বাংলায় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ প্রচারে অগ্রগামী এবং অন্যতম প্রধান প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। কাজেই আমি অভিজিৎদাকেই অনুরোধ করব এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে। একদম শুরুতেই গনতান্ত্রিক হওয়াটা মুশকিল। শুরুতেই ৫ জনের একটি প্রস্ততি কমিটি করে দিন।
একটা ব্যাঙ্ক একাউটন্ট খোলা হোক। কিছু অর্থ জমা করা হোক। সবাই মুক্তমনার পাতাতেই কমিটমেন্ট করুন, সুনির্দিষ্ট ভাবে (টাকা বা কাজের ব্যাপারে)। ৫ জনের কমিটি অন্যান্য সংগঠনের সাথে আলোচনা শুরু করুক এবং মাস শেষে একটা রিপোর্ট মুক্তমনায় পোষ্ট করুক।
অভিদা, জুলাই মাস কি সংগঠন শুরু করার জন্য ভালো? একটা মিলাদের আয়োজন হোক 😀
আরেকটা বিষয়ও আমরা বিবেচনায় নিতে পারি।
মুক্তচিন্তা এবং বিজ্ঞানমনষ্কতা ছড়াতে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে আঞ্চলিকভাবে ইতোমধ্যে কাজ করছে। যেমন–
১। বিজ্ঞান চেতনা পরিষদ
২। চিন্তা (সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশদের)
৩। শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ (যেখান থেকে মুক্তান্বেষা বের হয়, মুক্তমনার সহযোগী প্রতিষ্ঠান)
৪। আসিফের ডিসকাশন প্রজেক্ট
৫। এথিস্ট বাংলাদেশের ফেইসবুক গ্রুপ এ সদস্যসংখ্যা প্রায় তিন হাজার।
ইত্যাদি। তাছাড়া অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠনের আদর্শ বিজ্ঞান মনষ্কতার সাথে মেলে। আমি নিশ্চিত খুজলে সারা দেশে ৩০ থেকে ৫০ টা এরকম সংগঠন পাওয়া যাবে।
হুট করে কিছু শুরু করার চেয়ে এ ধরনের সংগঠনগুলোকে একটা প্লাটফর্মের আওতায় আনলে শুরুতেই আমরা একটা শক্তি পেয়ে যাব। এদের সাথে ৬ মাস বা এক বছর মেয়াদী একটা আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। তার পর সবার মতামতের ভিত্তিতে একটা সংবিধান দাড় করানো যেতে পারে।
এতে করে একেবারে শুন্য থেকে সংগঠন দাড় করানোর ঝামেলা থাকবে না। তাছাড়া এরকম সব সংগঠনের একটা ছোট প্রভাব বলয় আছে।
গত বছর যেমন ডারউইন দিবস পালিত হয়েছে, তেমনি দিবস গুলো পালন দিয়ে কাজ শুরু করা যেতে পারে।
দ্বিতীয় বিষয় হল অর্থ সংস্থান। এর জন্য প্রথমেই বিদেশে অবস্থিত মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশিয় সদস্যরা চাদা দিয়ে সংগঠনের নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু বড় প্রজেক্টের জন্য বেশি টাকা দরকার। যেমন পাব্লিকশেন, মেলা, বক্তৃতামালার আয়োজন, স্কুল পাঠচক্র, মাল্টিমিডিয়া সিডি প্রকাশ ইত্যাদি।
তবে এখন বোধহয় প্রশ্ন হল, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে?
@বকলম,
কথা হচ্ছে এই সংগুঠনগুলো অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে একটা জায়গায় এসেছে। তারা কেন হঠাৎ করে অন্য কাওকে মুরুব্বি মানবে ? আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা হচ্ছে নীজেদেরকে আগে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে না পারলে অন্যরা আপনার কথা শুনবেনা।
আমার কাছে এসব ব্যাপারে ব্যাক্তির গুরুত্ত্ব সবচেয়ে বেশী। উদ্যোগতা ছাড়া কিছুই হয় না। আর উদ্যোগতাকে হতে হয় নাছোড় বান্দা টাইপের। তার ত্যাগ, আত্মবিশ্বাস অন্যদের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়।
রাজনীতিতেও দেখা যায় অনেক ভাল লোক অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি না, কারন তার সদিচ্ছার ব্যাপারে আমরা সন্দেহমুক্ত হইনা যতক্ষন না আমরা দেখি সে তার বিশ্বাসের পক্ষে জেল খাটছে, রাজপথে পিটুনি খাচ্ছে।
তো আমার মনে হয় এধরনের উদ্যোগের সফলতার জন্য উদ্যোগতার ভূমিকাটাই প্রধান। আর পার্টটাইম উদ্যোগতাদিয়ে একাজ হবে না। দরকার নিবেদিত প্রান ও ফুলটাইম উদ্যোগতা।
তবে একক ব্যাক্তি বা যৌথ উদ্যোগে পাঠাগার গড়ে তোলা যেতে পারে। প্রথমে একটা পাঠাগারের কাজে হাত দিয়ে দেখা যায়। পরে ধীরে ধীরে বাড়ানো যেতে পারে এর সংখ্যা। একসময় এই পাঠাগার গুলোকেই বিজ্ঞান চেতনা উন্নয়নের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যাবে।
তহবিল গঠনের কাজও শুরু করে দেয়া যায়। কিন্তু তার আগে একজন ফুলটাইম সংগঠক আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।ঐ ফুলটাইম সংগঠকের চলার গতি আমাদেরকেই করতে হবে।
বিপ্লব দা আছি আপনাদের সাথে। আমার একটা সমস্যার কথা বলি, আমার মা যখন আমাদের দুই ভাইয়ের সামনে এসে বলতেন কেউ একজন আমার বাজারটা করে দাও তখন আমি ভাবতাম এটা আমাকে বলা হয়নি। কিন্তু যখন মা আমাকে বলতেন যাও বাজার করে নিয়ে এসো, তখন সাথে সাথে সেটা করতাম।
তাই কে কি করতে চায় সেটা না ভেবে যারা যারা করতে চায়, তাদের একটা তালিকা প্রনয়ন করা হোক। পরে আলোচনা সাপেক্ষে দপ্তর বন্টন করা যাবে।
ঢাকাতে ভয়ংকর আগুন?
কেও এই ব্যাপারে আপডেট করুন অন্য ব্লগে।
আমার মনে হয় বাংলাদেশে এমন কিছু করতে গেলে ধর্মের কথা ভূলেও
সামনে আনা যাবেনা।
মানুষের সেন্টিমেন্টে সামান্যতম আঘাত করলে কোন কাজই এগুবেনা।
এ ব্যাপারে স্কুল,কলেজের আগ্রহী ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষকদের নিয়ে
বেশ আধুনিক চমকপ্রদ বিজ্ঞান ক্লাব শুরু করা যেতে পারে।
কেন্দ্র থেকে তাদের মোটিভেশনের জন্য দেশের বিভিন্ন বিভাগের
ভাল বিজ্ঞানীদের এর সাথে যুক্ত করা যেতে পারে।
মাঝে মাঝে বিজ্ঞান সম্মেলন,আবিস্কার প্রতিযোগীতার আয়োজন করা যেতে
পারে।
মিডিয়াতেও ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।
এভাবে মনে হয় আগানো যেতে পারে।
@লাইজু নাহার,
বিজ্ঞানে ত ধর্ম লাগে না। তাহলে ধর্মের কথা আসবেই বা কেন? আমি সেটাই ত বুঝি না।
তবে ধর্ম যদি ্ফেসবুক বন্ধ করে, কলেজে বিবর্তন পড়ানো বন্ধ করে, তাহলেত ধর্মর সাথে সংঘর্ষ ছাড়া উপায় নেই।
আমাদের দেশে বিজ্ঞানচেতনার এই দুরবস্থার জন্য আমি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনেকাংশে দায়ী করব।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংস্কৃতিক সংগঠনের তুলনায় বিজ্ঞান সংগঠনের সংখ্যা হাতেগোনা। অথচ উদ্যোগটা প্রথমে এসব জায়গা থেকেই আসা উচিত ছিল।
ভাবতে অবাক লাগে, দেশের সর্বপ্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও এবং জাফর ইকবালের মতো ব্যক্তিত্ব থাকার পরেও আমাদের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্টিত কোন বিজ্ঞান সংগঠন নেই।হাতেগোনা দু’একটা যাও একসময় ছিল,কর্মী সদস্যদের স্পৃহার অভাবে সেগুলোও হারিয়ে গেছে।আধ্যাত্বিক নেতার নামে নামকরণের কারণেই হয়তো। :-/ আমাদের দেশের ভাল ছাত্ররা মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পেয়েই বিজ্ঞানের প্রতি তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করে।এদের মধ্যে গোড়ামীর পরিমাণও বেশি।
@সিদ্ধার্থ,
এটা ্ভারতের জন্যেও সত্য। আসলে জ্ঞান যখন জীবনে জারক রস না হয়ে, শুধু একটা চাকরী পাওয়ার সওয়ার হয়ে ওঠে-সেখানে জ্ঞানের সিঁড়ি বেয়ে উপলদ্ধির ছাদের মুক্ত আকাশকে দেখা যায় না। আমার আই আই টি জীবনের অনেক বন্ধুই অনেক কিছু করেছে-কিন্ত বৃহত্তর সামাজিক দ্বায়িত্ববোধ কারুর মধ্যেই দেখিনি। যারা এই দ্বায়িত্ববোধ অনুভব করেছে, তারা আবার চাকরী ছেরে শুধু সমাজসেবাই করছে। এই দুই এক্সট্রিমে আমাদের অবস্থান।
সংগঠনের একটা মূল ভিত্তি হল উদ্দেশ্য আদর্শের প্রতি অকুন্ঠ আনুগত্য। মৌলবাদ সেদিক থেকে এগিয়ে। ধর্ম সংগঠিত কারন ধর্মীয় অনুশাসন বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে হবে। কিন্তু মুক্ত মনাদের সমস্যা হল আমরা কোন কিছুকে বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে পারিনা। আমারা যে কোন কিছুকে প্রশ্ন করি। স্যাটিসফাইড না হওয়া পর্যন্ত তা মেনে নিইনা। ফলে আমাদের মধ্যে ঐক্য একটি দুরহ ব্যাপার। আমাদের কাছে চূড়ান্ত সত্য বলে কিছু নেই। যেকারনে নাস্তিকদের সংখ্যা পৃথিবীর প্রায় এক চতুর্থাংশ হওয়া সত্বেও তাদের কোন ভ্যাটিকান বা মক্কা নেই।
স্বাধীনচেতা হওয়া ভালো কিন্তু আমার মনে হয় মাঝে মাঝে স্বাধীনচেতা মানুষেরা দলবদ্ধভাবে কিছু করতে পারেনা।
তখন মাঝে মাঝে মনে হয় স্বর্গের মুলোর মত কিছু একটা থাকা বোধহয় সাংগঠিনিক কর্মততপরতার জন্য ভালো।
@বকলম,
আগের যুগে এমন ছিল। এখন আমরা এত বেশী স্যোশাল নেটওয়ার্কিং করি, গণতান্ত্রিক উপায় মেনেই এক হতে পারি। মূল ভিত্তি হচ্ছে সংগঠনের একটি সংবিধান। সেই সংবিধান সবাই মেনে নিলে এবং গণতান্ত্রিক উপায় এ তা চললে, এই সমস্যা হয় না।
কেও কি এই সংবিধান লিখতে রাজী আছে? সবাই মিলে কাঁটা ছেঁড়া করতে পারি।
আসুন আমরা বিপ্লবদার উত্থাপিত প্রস্তাবনা গুলো নিয়ে আলোচনা করি। প্রস্তাবনা গুলোর দুর্বলতা, গ্রহনযোগ্যতা বা প্রায়োগিক দিক দিয়ে কী কী সমস্যা হতেপারে সেগুলোও আলোচনা হতে পারে।
খামোখা মার্ক্সস বাদ লেলিন বাদ নাস্তিকতা আলোচলা করে কী হবে? এসব তো কম হলোনা।
@নিদ্রালু,
আমিও সেটাই চাইছি। আলোচনা নয়, সবার পার্টিসিপেশন চাইছি। অংশগ্রহণ চাই। সবাই বলুক-সে কি করতে পারে। তার আইডিয়া কি।
তবে একটি প্রগ্রেসিভ সমাজ পরিবর্তনকারী আইডিয়াকে কিভাবে রাজনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, সেই শিক্ষাটাও লেনিন জীবন পড়লেই সব থেকে ভাল পাওয়া যায়-আমি লেনিনের বিরোধি হওয়া সত্ত্বেও বারবার বলবো জনসংগঠন তৈরী করার শিক্ষাটা লেনিনের কাছ থেকেই নিতে!
@বিপ্লব পাল,
আমিতো আমার জীবনে যা করেছি সেটা ইসলামী রাজনীতি। সেখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা খুব সংক্ষেপে শেয়ার করছি। আশা করি এটা কেউ খারাপ ভাবে নিবেন না। সংগঠন তৈরী করতে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী এমন মানুষের দরকার, এক্ষেত্রে মুক্তমনার কেউ এগিয়ে আসতে পারেন। তারপর দরকার সংগঠনের ব্যানার ও সুনির্দিষ্ট কর্মসুচি। এরপর আসবে কর্মীসংগ্রহের কর্মসুচি, প্রাথমিকভাবে স্যোশাল নেটওয়ারকিং সাইটগুল কাজে লাগানো যায়। কর্মীদের এলাকা ভিত্তিক ভাগ করে দেয়া। তারপর কর্মীদের লক্ষ্যউদ্দেশ্যের প্রতি সচেতন করে তুলতে কর্মী গঠন প্রোগ্রাম করতে হবে।
আমার মতে মুক্তমনা এখন যেটি করতে পারে সেগুল হল। কাজ করতে আগ্রহীদের তালিকা করা। সবাইকে নিয়ে একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করা।
@আনাস,
সংগঠন করতে হবে,সদস্য বানাতে হবে সবই বুঝলাম। তবে তার আগে কি ইস্যু নিয়ে কার্যক্রম ঠিক করবেন সেটার একটা শক্ত ভিত্তী দরকার নয় কি?
নিশ্চয়ই নাস্তিকতা নামের কোন ধর্ম প্রচারে এই সংগঠন নামবে না। বিজ্ঞান শিক্ষা বিষয়ক সংগঠন আমাদের দেশে কম হলেও আছে, নুতন কিছু নয়।
আসল চ্যালেঞ্জ যা আমি দেখি তা বিপ্লব আগেই বলেছেন। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া। তবে এর অভাব কিছুটা হয়ত মেটানো যায় জাকির নায়েকের পীস টিভি টাইপের ট্রুথ টিভি জাতীয় কোন টিভি চ্যানেল করা গেলে। ব্যাপক মাত্রায় মার্কেটিং ছাড়া গনসচেততা আসবে না। ইন্টারনেটের আওতা ব্যাপক আমেদের দেশে খুবই শ্রেনী সীমিত।
@আদিল মাহমুদ,
যে পথে নতুন মুভমেন্ট হবে সেটি প্রচলিত পথ থেকে ভিন্ন হবে অনেকভাবেই। যেমন প্রথাগত রাজপথের আন্দোলন মুক্তপথিকদের কতটা উপযোগী হবে সেটা ভাবতে হবে। সব কিছু নিয়েই একটা বড় আলোচনা অনুষ্ঠান অবশ্যই প্রত্যেকের অংশগ্রহনে আয়োজন করতে হবে। সেখানেই একটা পথ বেরিয়ে আসবে বলে আমার মনে হয়। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলর পৃষ্ঠপোষকতার আশা করা ঠিক বলে মনে করি না। ঘটা করে শক্তিশালি কোন ইস্যু নিয়ে এখনি দল করবে মুক্তমনা সেটাতো আর না। তাই সাংগঠনিক নেটওয়ার্কটা আগে গড়ে তুলার উদ্যোগ নিলে একটা ধাপ আগাবে। তারপর ট্রুথ টিভিও করা যাবে। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন চ্যানেলের চাঙ্ক ভাড়া নিয়ে অথবা স্যাটালাইটের চাঙ্ক ভাড়া করে টিভি দাড় করানো যায়। বেশ কয়েকবছর আগে একটা ধর্মভিত্তিক টিভি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরে সেটা নিয়ে আর আগাইনি চিন্তার পরিবর্তন আসার ফলে। আমার মনে হয়, মিডিয়ার ব্যাপারে অনেক অভিজ্ঞদের মতামত পেতে হলেও সেরকম একটা মুখোমুখি প্রোগ্রাম এর আয়োজন করতে হবে মুক্তপথিকদের নিয়ে।
@আনাস,
খুব ভাল। আরেকজন সহযাত্রী পাওয়া গেল। আমরাও ত এমন চেষ্টা করছি।
@বিপ্লব পাল,
আমি তড়িঘড়ি করে কিছু চিন্তা করতে পারছিনা। আমি খুব বেশী লোকের উপর ভরশা করতে পারছি না। ইরতিশাদ সাহেবের নিচের লিংকের
নিবন্ধটি আমার কাছে এই মূহুর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিজ্ঞান শিখেও এমনকি বিজ্ঞান শিক্ষক হয়েও আসলে কতটা বিজ্ঞানমনষ্ক সেটা ভাবার দরকার আছে। (প্রিভিওতে লিঙ্কটি দেখা যাচ্ছে না। নিবন্ধটি “বিজ্ঞান সংঘাত নাকি সমন্বয়” তে প্রকাশিত)
মাত্র কিছুদিন আগের একটা গল্প বলার লোভ সংবরণ করতে পারছি না। দেখুন একজন জীববিজ্ঞানের শিক্ষক কী বলেনঃ
সম্ভবতঃ জুলাই ২০০৯। আমার শহরেরই এক বন্ধুর সাথে বেড়াতে এসেছেন তারই এক বন্ধু। ধারণা করি, আমার বন্ধুটির কাছে শুনেছেন, আমি মুক্তমনার পাঠক। তাই আমাকে বিনা পয়সায় মুগ্ধ করার চেষ্টা করলেন। গল্প শুরু করলেন – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন পড়াতে গিয়েছিলেন Fullbright -ফেলোশীপ নিয়ে। একটি topic ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিবর্তন নিয়ে বক্তব্য যেই শুরু করেছেন – অমনি এক তব্লীগের ছাত্র দাঁড়িয়ে বাধা দিল, “ইসলাম বিবর্তন বিশ্বাস করে না। কাজেই এই সব হারাম জিনিষ নিয়ে আলাপ করবেন না।”
আমি কতটা মুগ্ধ হলাম দেখার জন্য আমার দিকে ভাল করে তাকালেন। আমি বললাম, “আপনি নিজে কোনটা বিশ্বাস করেন? কোরান? নাকি বিবর্তন? নাকি দুটোই?”
ভদ্রলোকের চেহারা তখন দেখার মত। আমি বললাম, “যে জিনিষটা নিজে বিশ্বাস করেন না, সেটি পড়ান কিভাবে?”
আমার মনে হয় এটি একটি বিচ্চিন্ন ঘটনা নয়। আমরা বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলি বটে, বিজ্ঞান মনষ্ক খুব একটা নই। জনাব ইরতিশাদ সাহেব এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
বিপ্লব পালের উদ্দেশ্যের প্রতি আমি সাধুবাদ জানাই। তবে মন্থর গতিতে অগ্রসর হওয়া যেতে পারে। যেমন দেশে যখন যাই, তখন কিছু সাধারণ শ্লোগান নিয়ে কাজ শুরু করতে পারি। প্রত্যেকে পাঁচ-দশটা টি-শার্ট নিজেদের মধ্যে উপহার হিসেবে দিতে পারি, যার মধ্যে লেখা থাকতে পারে, “এসো বিজ্ঞান হৃদয়ে ধারণ করি, বিজ্ঞান মনষ্ক হই” ইত্যাদি। রথও দেখা হল, কলাও বেঁচা হল।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
বিজ্ঞান ওভাবে হৃদয়ে ধারন করলে, বিজ্ঞান আর নামাজে বা পূজোতে পার্থক্য থাকবে না!
বিজ্ঞানকে ধারণ করার একটাই পথ। ব্যাবহার কর। আজকের বিশ্ব সমাজের সামনে বড় বড় চ্যালেঞ্জ-যার সমাধানে বিজ্ঞান ছারা কিছু বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ এবং ভারতে জল, পরিবেশ, বিদ্যুত-কত সমস্যা-এর সমাধানে মন্দির মসজিদ না খুলে, গ্রামে গ্রামে বিজ্ঞানকেন্দ্র খোলা হৌক। যারা সৌর বিদ্যুত আনবে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যাবস্থা করবে।
জীবনের সাথে বিজ্ঞানকে না জরালে কি লাভ টিশার্ট জরিয়ে?
@আদিল মাহমুদ,
আমিও টিভি চ্যানেল খোলার পক্ষপাতী। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনেটের পরিবর্তে টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে মতামত প্রচার করা সবচেয়ে কার্য্যকরি উপায় বলে আমার মনে হয়। কিন্তু মুশকিল হলো বাংলাদেশ সরকার সেই টিভি চ্যানেল প্রচারিত হতে দিবে কি?
@ব্রাইট স্মাইল্,
বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করলে কেন দেবে না। বিজ্ঞানের চোখ দিয়েই ধর্মকে দেখাতে হবে। মহম্মদ বা কৃষ্ণকে গালিগালাজ করাটা কোন পথ বা সমাধান না। বরং ধর্মগুলোকে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের চোখে দেখা অনেক বেশী দরকার।
সেই ক্ষেত্রে যদি বিরোধিতা হয় হবে-কারন কোন বৈজ্ঞানিক সত্যকে ওই ভাবে আটকানো যায় না।
@আনাস,
ফেসবুক আর লাইভ রেডিওর জন্যে অনলাইন অনুষ্টান আয়োজন করা খুব সহজ এখন। আমরাই করি। এইভাবে সমভাবাপন্ন লোকেদের আনা যায়। তাছারা স্থানীয় স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে বকৃত্ত্বা ডিসকাসন প্রেজেক্টের মতন করতে হবে।
নাস্তিকতা প্রচার করার চেয়ে আমিও বলব সত্য প্রচারে ব্রতী হওয়া উচিত। এ কাজটা ইন্টারনেটের কল্যানে ইতোমধ্যেই ব্যাপক মাত্রায় শুরু হয়েছে, হয়ত তেমনভাবে সংগঠিত হতে পারছে না।
এর প্রভাব যেকোন জনপ্রিয় বাংলা সাইটে গেলেই লক্ষ্য করা যায়। একজন সেদিন আরেক ব্লগে বিস্ময় প্রকাশ করলেন যে আমাদের দেশেই এত নাস্তিক কিভাবে এলো? ওনার ধারনা ছিল আমাদের দেশে অন্তত নাস্তিক গুটি কয়েক। মানুষ ধীরে ধীরে হলেও সত্য জানছে। একদিনে বা ৫০ বছরেও হয়ত কোন আকাশ ছোঁয়া পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে না। তবে ৫০০ বছর পরের পৃথিবীতে আল্লাহতালার সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া প্রথাগত ধর্মগুলি খুবই সমস্যায় পড়বে ষ্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
আমাদের অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাধা ছিল মুক্তকন্ঠ রোধ করা, মুদ্রার কেবল একটি দিকই প্রচার করা। ইন্টারনেট সফলভাবেই এই বাধা ভেঙ্গে দিতে পারছে। মানুষের মনে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। ঘটা করে হয়ত অনেকে নাস্তিক ঘোষনা দিচ্ছেন না, তার তেমন দরকারও আমি দেখি না কিন্তু তাদের মনের যুক্তিবাদী অংশ সত্যের মুখোমুখি হচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
আজ থেকে ২০,০০০ বছর আগে আদিম মানবদের মধ্যে ধর্ম বা ঈশ্বর কি ছিল? আপনার শিশুটি কি মুসলমান হয়ে জন্মায়?
৩০০০ বছর আগে ভারতে প্রবল ভাবে নাস্তিকতা ছিল। ভারতীয় দর্শনে নাস্তিকদের ৬ টা ভাগ,
হেটারোডক্স ঃ জ়ৈন, বৌদ্ধ এবং চার্বাক
অর্থডক্সঃ সাংখ্য, অদ্বৈত এবং মিমাংসা
এরা রাজনৈতিক ক্ষমতাও ভোগ করেছে।
এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। কেন সেই শিশুটি ঈশ্বরের ভক্ত হল?
এর কারন রাষ্ট্র। রাষ্ট্র চালানোর জন্যে বা রাষ্ট্রের শোষক শ্রেনীর শোষন অব্যাহত রাখতে ধর্ম দারুন জিনিস। রাষ্ট্র চাইবে, তার নাগরিক যেন ধর্মভীরু হয়-কারন তাতেই রাজনৈতিক সুবিধা।
স্টালিন ১৯২৮ -৩৪ সব পাদ্রীদের মেরেফেলেছিলেন বা তাড়িয়েছিলেন। ১৯৪২ সাকে নাজিরা যখন মস্কোর ১৭ মাইল দূরে, আবার মস্কোতে
গীর্জাগুলো খুলতে বলনেন-কারন লোকেরা মস্কো ছেড়ে পালাচ্ছিল-স্টালিনের নির্দেশেই আবার লোকের মনে ‘বল’ যোগাতে ধর্মীয় পার্থনা শুরু হল।
একে কি বলবেন?
@বিপ্লব পাল,
প্রথম বাক্য দিয়েই তো গোলমালে ফেলে দিলেন 😀 ।
– ধর্মীয় মতবাদে তো বলে যে মানুষের সৃষ্টিই হয়েছে ধর্ম সাথে নিয়ে। আদি মানব আদম একজন খোদাই পয়গম্বর। তিনিও মুসলমান ছিলেন বলে জানা যায়।
যদিও আধুনিক বিজ্ঞান ও নৃতত্ত্ব বলে যে মানব সভ্যতার বিকাশ হয়েছে ধীরে ধীরে। এই বিকাশেরই এক পর্যায়ে ধর্মের উতপত্তি। সভ্যতার বিকাশ যে একদিনে হয়নি এটা বুঝতে বিবর্তনতত্ত্বের গভীর জ্ঞানও আসলে দরকার হয় না। নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে দেখলেই পষ্ট বোঝা যায়। গুহমানব বলে যাদের জানা যায় তাদের জীবন যাত্রার ক্রমবিকাশ পর্যবেক্ষন করলেই বোঝা যায়।
তবে ঠিক কত হাজার বছর আগে ধর্মের উতপত্তি হয় তা মনে হয় জানা যায় না।
আপনি মনে হয় যা বলতে চাচ্ছেন যে মানুষের দূর্বলতা বা অসহায়তা থেকেই ঈশ্বর বা ধর্মের উতপত্তি। এই আর্গুমেন্ট অস্বীকার করা যায় না। ব্যাক্তিজীবনেও দেখা যায়। জীবনে কোন গভীর সংকটে পড়লে ঘোর অবিশ্বাসী মানুষও রাতারাতি কঠিন ধার্মিক হয়ে যেতে পারেন। দুশ্চিন্তাহীন সূখী মানুষ ধার্মিক হবেন তেমন সম্ভাবনা কমই বলা যায়। পৌত্রিকভাবে ধার্মিক হলেও খুব বেশী মাথা ঘামান না। কানাডাতেও সব উপমহাদেশীয় মহল্লায় দেখা যায় একদল তবলীগি বাংলাদেশী এবং পাকিস্তানী। এদের অনেকেই দেশে ধর্মকর্মের তেমন ধার ধারতেন না। আধা বুড়া বা বুড়া বয়সে বিদেশে এসে নিজের পেশায় কাজ পাবার কোন আশা দেখেন না। ভূগতে থাকেন সীমাহীন হতাশায়। অত:পর ধর্মের কাছে মানসিক শান্তি খোজার চেষ্টা। আমেরিকার জেলগুলিতে কালো বর্ণের লোকদের বড় মাত্রায় ইসলাম গ্রহনের কারনও মনে হয় একই।
তবে রাষ্ট্রগুলি বিশেষ আমাদের মত দেশগুলির নেতারাও চায় যে জনগণ ধর্মকর্ম পালন করুক, তাতে তাদের দূর্ভাগ্যের জন্য নিজেদের দোষ না দিয়ে আল্লাহ ভগবানের কাঁধে দায় চাপিয়ে দেওয়া যাবে।
ষ্ট্যালিনের নির্দেশেই যে গীর্জা খোলা হয়েছিল তা অবশ্য জানতাম না।
@আদিল মাহমুদ,
আমার মনে হয় রাষ্ট্রও ধর্মের সামনে কিছুটা অসহায়। গড্ডালিকা প্রবাহের মত জনগণের ধর্মীয় উৎসাহে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সায় দিয়ে যেতে হয়।
@রৌরব,
আমিও এতে পুরো একমত।
সেটাই আমি গতদিন এখানে মালিক ভাই এবং ব্রাইট স্মাইলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ওনারা প্রধানত সরকার বা রাজনৈতিক দলকে দায়ী করতে চান।
@আদিল মাহমুদ,
পড়লাম, ওই এন্ট্রিটি আগে পড়া হয়নি। পরস্পরের পিঠ চাপড়ানোর মত শোনালেও বলছি, আপনার সাথে আমি একমত। politics is the art of the possible — আওয়ামী লীগের মত দলের ধর্ম-ঘেঁষা হয়ে পড়াটা প্রমাণ করে আমাদের দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাটা কি।
@রৌরব,
কিন্তু যে সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার আর্দশে বিশ্বাসী এবং জনগনও সেই আর্দশ সমর্থন করে সরকারকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করল সেই সরকার বা রাষ্ট্র কি কারনে ধর্মের সামনে অসহায় হয়ে যায়? সেটাকি শুধু জনগনের সমর্থন আদায়ের জন্য? জনগনের সমর্থন আছে বলেইতো আজকে তারা ক্ষমতায় আছে। জনগনের সমর্থনে ক্ষমতায় যাওয়া সরকার যখন আদর্শ বিচ্যুত হয় তখন সে সরকার যে কোন কারনে দুর্বল তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
তার কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ লোকের ধর্মনিরপেক্ষতা “ধর্মেও আছি জিরাফেও আছি” ধরনের ধর্মনিরপেক্ষতা, আসল জিনিস নয়। আর তাছাড়া আওয়ামী লীগ অত বেশি ভোটে জিতে আসেনি কিন্তু।
যাই হোক, এ বিষয়টা মূল লেখার প্রসঙ্গ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অন্য কোথাও হয়ত এ ব্যাপারে দীর্ঘতর আলোচনার সুযোগ আসবে।
মানুষ সচতেন, শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনষ্ক হলে এমনিতেই নাস্তকি হয়ে উঠবে।
@Bokameye,
নাস্তিক হলেই সব সমস্যার শেষ না কি?
স্টালিন পলপট ও নাস্তিক ছিলেন!!!!
বিজ্ঞান চেতনার উন্মেষ চাই।
আর বিজ্ঞান মনস্ক হবে কি করে? জাকির নায়েক দেখে??? এই মেটেরিয়ালটা কে দেবে??? আকাশ থেকে বৃষ্টি হবে?
হায় হায় একটা মন্তব্য করে দেখালাম লগইন না করেই বোতাম টিপে দিয়েছি। প্লীজ মডারেটর মাইন্ড খাইয়েন না । এইযাত্রা পার করে দেন।
খুবভাল লেখা বিপ্লবদা। আমার মনেহয় অদুর ভবিষ্যতে আর্ন্তঃজালই মেইন মিডিয়া হয়ে যাবে সুরতাং এই ব্যাপারে চিন্তা না করলেও চলবে।
কিছুদিন ধরে আরোএকটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করছিলাম।
আমাদের টিভি মিডিয়াতে বিজ্ঞান ভিত্তিক অনুষ্ঠান একেবারেই অনুপস্থিত। খালি খবর, নাটক আর টক শো। পশ্চিম বঙ্গের কীখবর সেটা তেমন বলতে পারবনা তবে বাংলাদেশের টিভি মিডিয়াতে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বেশী অনুষ্ঠান প্রচার করে মনেহয় :-/ ইসলামিক টিভি (মহাবিজ্ঞানী জাকির নায়েকের বিজ্ঞান বক্তৃতা)।
যাহোক আমি গত পরশু ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যালেনে মেইল দিয়েছিলাম জানতে চেয়ে যে ওনাদের কিছু প্রগাম (আর্থ ইনভেস্টিগেটেড, ন্যাকেড সায়েন্স ) ইত্যাদি বাংলায় ডাবিং করে যদি বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে চালাতে চাই তাহলে কী করতে হবে। এইমাত্র দেখালাম আমার মেইলের রিপ্লাই দিয়েছে।
ওরা নিজেদের ডিটেইলস দিয়ে আমার কাছে তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছে
• The broadcaster on which the programme would air
• The rights required – Free, Pay, Cable, Satellite etc
• We would also need your company details
আমিতো এখন মাইনকা চিপায়। আমারত না আছে কোম্পানী না আছে কোন চ্যানেল দেখাবে তার ঠিকানা। মুক্তমনা সাইট বা কোন ব্যক্তি কী এই ব্যাপারে কোন সাহায্য করতে পারেন?
আমার আরোও একটা প্রস্তাব আছে। আর্ন্তঃজালেই ছড়িয়ে রয়েছে অনেক সায়েন্স ভিডিও তার অনেকগুলোই হয়ত রাইট ফ্রি। ওইগুলোকে কী বাংলায় ডাবিং করে
মুক্তমনার নামে ইউটিউবে আপলোড করাযায়? অথবা ডিভিডি করে বাজার জাতও করা যেতেপারে। যেহেতু বিপ্লবদা ব্যবসায় নামতে বলেছেন 😎 ।
@নিদ্রালু,
খুব ভাল খবর দিলে। এই জন্যেই স্যোশাল নেটোয়ার্কিং দরকার। বন্যা এরকম একটা উদ্যোগ নিয়েছে। তুমি ওর সাথে যোগাযোগ কর। এটা আমি ভীষন ভাবে চাইছি। যদি ভিডিও ফুটেজ পাও্য়া যায়, বাংলা ডাবিং কোন ব্যাপার না। বিজ্ঞান প্রসারের জন্যে নন প্রফিট না খুলে ফর প্রফিট কোম্পানী খোলা বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গে খুব দরকার, যারা এই উদ্যোগ গুলো পেশাদারি ভাবে নেবে।
@বিপ্লব পাল,
ভিডিও ফুটেজ তো পাওয়া যায় খুব সহজেই। র্যাপিড শেয়ারেই সব আছে, এইচ ডি ভার্শনও পাওয়া যায়। তবে আমি জানতে চাচ্ছি রাইটের ব্যাপারে। যে ফুটেজ গুলো আছে আমার কাছে তার সবগুলোতে ন্যাটজিওর লোগো আছে। সেগুলো ডাবিং করে ইউটিউবে আপলোড করে মুক্তমনায় লিংক রেখে দেয়া যেতে পারে। আমি জানিনা ন্যাট-জিও কতৃপক্ষ দৌড়ানী দেবে কিনা। তবে ইউ টিউবে অনেকেই সেগুলো আপলোড করে দেখি।
আর আমি ন্যাট-জিওর রিজিওনাল ডিরেক্টরের সাথে অরো বিস্তারিত পত্রালাপ করে দেখি ঠিক কতদুর পাত্তাদেয়।
বন্যা আপার সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম টা বলবেন?
[email protected] এই ঠিকানায় আমাকে পাওয়া যাবে।
@নিদ্রালু,
কেবল টিভিতে দেখাতে গেলে সত্ত্ব চাই। বন্যাও এই ব্লগ পড়ছে ত। তুমি এই কাজে এগোলে খুব ভাল হয়।
@নিদ্রালু, আপনাকে ইমেইল করলাম। আমি আসলে এই থ্রেডটা ফলো করছিলাম না। আমি আসলে ভিডিওর ব্যাপার স্যাপার কম বুঝি, ইমেইল এ আপনার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করে নিচ্ছি।
ভাল লেখা বিপ্ল’দা। আসলেই প্রয়োজন এই কাজগুলো। মুক্তমনা থেকেই কিন্তু আমরা এই আন্দোলন শুরু করতে পারি। মুক্তমনাকে ঘিরেই যাবতীয় যজ্ঞ চালাতে পারি। আমি আছি সাথে।
আমিও তাই মনে করি। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমুখী চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটলে মানুষ গনহারে ধর্মত্যাগ না করলেও অন্তত উদার হবে। নাস্তিকতা ধার্মিকের কাছে একটা ডগমার মতই, আপনি নাস্তিকতা প্রচার করলে জনসাধারণের কাছে সেটা অনেকটা ধর্মপ্রচারের মতই ঠেকবে। সবাই তো আর দর্শনশাস্ত্রের খোজ-খবর রাখে না।
উপমহাদেশে কি সেন্টার ফর ইনকোয়ারী এর কার্যক্রম বিস্তার করা যায়? আমার মনে হয় আলাদা একটা সংগঠণ প্রতিষ্ঠা করার চেয়ে এটা হয়ত অর্থনৈতিকভাবে feasible হবে। বাংলাদেশে এমনিতে বিজ্ঞান-চেতনা পরিষদ আছে, কিন্তু সেটা খুব একটা সুবিধা করতে পারছে বলে মনে হয় না।
যাই হোক, আমি মনে করি মাঠপর্যায়ের আন্দোলনের অনুপস্থিতিতে আন্তঃর্জালই বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার আন্দোলনের অগ্রপথিক হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ব্লগগুলোতে প্রায়ই মুক্তমনার নাম চলে আসে। ব্লগগুলোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে মুক্তমনার দর্শনার্থী সংখ্যাও বাড়তে থাকবে। তখন হয়ত মাঠপর্যায়ে আন্দোলন করার মত যথেষ্ট শক্তি আহরণ করা যাবে।
@পৃথিবী,
বিজ্ঞান চেতনা পরিষদকে টাকা প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করতে হবে। সেই রকম একটা আম্ব্রেলা সংগঠনের দাবি আমি তুলেছি।
ব্লগে এ ধরনের লেখা পড়তে মজা লাগলেও বাস্তবে এর হাফ আনাও কখনও বাস্তবায়িত হবে না গ্রীন এবং পিস পার্টির ইউরোপে দুটা একটা আসন বাগাতে পারলেও বাংলাদেশে খালি। ধর্মের ভিত্তি ঈশ্বরের উপর আস্থা অনাস্থা ছাড়াও আরেকটা জিনিসের উপর নির্ভর করে সেটা হচ্ছে cultural identity একটি মুসলমান ঘরে জন্ম নিলে আপনার জীবনের আচার ব্যবহার খাদ্যাভাস যেরকম থাকবে সেরকমটা একটা হিন্দু ঘরে জন্ম নিলে হবে না যেমন দুর্গা পূজার সময় আসলে ভগবানে বিশ্বাস করুক অথবা না করুক একজন বাঙালি হিন্দুর কাছে তার একটা আলাদা আবেদন থাকবে তেমনি একজন বাঙালি মুসলমান রোজা ঠিকমতো রাখুক বা না রাখুক ঈদের দিন জামাতে দাঁড়িয়ে নামাজের পর পরস্পর কুলাকুলি অথবা ফিরনি সেমাই অথবা গরু কোরবানির সময়ের আনন্দ একজন হিন্দু বাঙালি পুরাপুরি উপলব্ধি সম্ভব না , দক্ষিণ এশীয়াতে ধর্ম একজন মানুষের cultural identity গড়ে দেয় পৌত্তলিক হিন্দু এবং যুদ্ধবাজ মুসলমান টাইপের গালি ব্যবহার করে একটা বিকল্প একটা কিছু খারা করার চিন্তা একটা বিগ ফ্যানটাসি বলেই মনে হল। আমার পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের সমাজ প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই বললাম হয়তো পশ্চিম বঙ্গে এটা করা সম্ভব, তবে বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা ভাবনা সারাদেশে পাঠাগার বানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ভালো লেগেছে মুক্তমনা এরকম কোন পরিকল্পনা করে যদি তহবিল গঠন করে তাহলে অবশ্যই সাথে আছি ।
@কালো ওঝা,
আজকে আপনি যে ইন্টারনেটে লিখছেন, ১৯৫০ সালে কেও যদি বলত ইন্টারনেট আসবে, তার সম্মন্ধেও সবাই লিখত বাস্তবে কিন্ত হবে না।
আজকের প্রতিটি বাস্তবতাই অতীতে কোন না কোন দিন স্বপ্ন ছিল। কালচারাল আইডেন্ডিটি বাজে জিনিস। আপনি যেটা লিখলেন, সমাজ বিজ্ঞানে সেটাকে বলে সোশ্যাল ইউটিলিটির তত্ত্ব। অর্থাৎ হিন্দু বা মুসলিম বলে পরিচয় দিলে সমাজ গ্রহন করে বেশী-কিন্ত সেটার বিকল্প হিসাবেই নাস্তিক সমাজ গড়তে হবে-যেখানে নাস্তিকরা তাদের প্রয়োজনে সাহায্য পাবে। নাস্তিক হওয়ার এই মুহুর্তে সামাজিক ইউটিলিটি শুন্য, বা নেগেটিভ-সেটাই নাস্তিকতার পথে বড় বাধা।
প্রতিটা নাস্তিক ব্যবসায় নামলে ৫০% নাস্তিক আবার আস্তিকে পরিনত হবার সম্ভাবনা বেশী।
@ব্রাইট স্মাইল,
জীবনে অনিশ্চয়তার মধ্যে না থাকলে, নাস্তিক হওয়া সোজা। কিন্ত কঠিন পরিস্থিতিই আসল পরীক্ষা।
তাছারা আমার জানা সব সি ই ও [আমেরিকাতে] প্রায় নাস্তিক। তাই সহমত নই। সিদ্ধান্ত তারাই ভাল নিয়ে থাকে, যে সিদ্ধান্তে যুক্তি বেশী থাকে।
বাহ বেশ ভাল কিছু পয়েন্ট বলেছ। এটা ঠিক নাস্তিকতার প্রভাব এখনো অনেকটাই ইন্টারনেট কেন্দ্রিক। মেইনস্ট্রীম মিডিয়ায় না ঢুকলে এটা কখনোই সত্যিকারের মুভমেন্ট হয়ে উঠবে না। সাথে সাথে জড়িত হতে হবে দেশের এবং গ্লোবাল অর্থনীতির সাথেও। ভিক্টর স্টেঙ্গর তার ‘নিউ এথিজম’ বইয়ে বলেছেন – It seems future of atheism depends on two factors – education and economics. আসলে অর্থনৈতিক স্টেবিলিটি থাকলে যে ধর্মীয় প্রভাব কমতে শুরু করে তা ইউরোপের দেশগুলোই তো প্রমাণ। অপরদিকে জীবনের যদি নিরাপত্তা না থাকে, অনিশ্চয়তা যদি পদে পদে বিরাজ করে – সে সমাজ থেকে সবার প্রথমেই যে জিনিসটা উবে যাবে তা হল নাস্তিকতা। তবে শুধু অর্থনৈতিক স্টেবিলিটি দিয়েই হয় না, সাথে শিক্ষারও গুরুত্ব আছে। শুধু অর্থনীতি দিয়েই যদি সমস্যা সমাধান করা যেত তবে তেলের উপর ভাসতে থাকা আরব দেশগুলোই সবার আগে নাস্তিক হয়ে উঠতো।
তবে আমি আশাবাদী। ধর্মপ্রধান রাষ্ট্রগুলোতে রাষ্ট্রীয়ভাবে তথ্য নিয়ন্ত্রণ করা হত। এখন ইন্টারনেটের প্রসারে সেই বাধা চলে যেতে শুরু করেছে। সাধারন মানুষের মধ্যে সংশয়বাদ জাগছে, কারন ধর্মগ্রন্থের ক্রিটিকাল বিশ্লেষণ এখন আর দুর্লভ নয়। সেজন্যই ব্লগ সাইট আর ওয়েবসাইটগুলোতে এখন এত বেশি মুক্তচিন্তার লেখা চোখে পড়ে। এ ধরনের টেকনোলজিকে আরো সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে প্রেরণাদায়ক কিছু বেরিয়ে আসবে নিঃসন্দেহে।
ঠিক, এইটাই আসল কথা।
@বিপ্লব পাল,
এটা যেন আমারই কথা, আপনার লেখা থেকে বেরিয়েছে শুধু। একটু বাকি রয়ে গেল। লেলিনবাদের সাথে “মার্ক্সবাদ” শব্দটি কেন জুড়ে দিলেন না?
কথাটি উলটো হয়ে গেল নাকি? – ধর্মীয় মৌলবাদ কমুনিউজমের চেয়েও ভয়ংকর।
কমুনিজমের শেষ আছে। আমাদের বাবা-ঠাকুরদাদের আমলে শুরু। আমাদের আমলে প্রায় শেষ। মৌলবাদের শেষ কবে কে জানে?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
লেনিন মার্ক্সবাদ বুঝতেই পারেন নি ( এটি শুধু আমার কথা না)-এবং লেনিনবাদই অগণতান্ত্রিক কমিনিউজমের নাটের গুরু। মার্ক্সবাদ এবং লেনিনবাদ একজিনিস না, অনেক ক্ষেত্রেই ১৮০ ডিগ্রি আলাদা। এটা অধিকাংশ লোকে বোঝে না বলেই এই ভুলটা হয়। মার্ক্স দর্শন গভীর ভাবে বুঝতেন–তার কিছু সিদ্ধান্তে ভুল ছিল ঠিকই-কিন্ত বিশ্লেষন ঠিকই ছিল। সেটা বুঝতে আপনাকে দর্শনের আরো অনেক গভীরে যেতে হবে। দর্শন শাস্ত্রে লেনিনের সেই ট্রেনিংটাই ছিল না। এটা তার লেখা পড়লেই বোঝা যায়।
না। কথাটা খুবই ঠিক আছে। মুসলীমদেশে অমুসলিমদের ওপর অত্যচার বা ডিসক্রিমিনেশন কোন সময় ছিল-কোন সময় ছিল না। কিন্ত কমিনিউস্ট দেশে কমিনিউজমের শত্রু সন্দেহে কোটি কোটি লোককে মেরেছে। আরো অনেক লোকে মারা গেছে দুর্ভিক্ষে। হিটলার বাদ দিলে গত শতাব্দির সব থেকে বড় গণহত্যাগুলির মধ্যে অধিকাংশই কমিনিউজমের দান।
@বিপ্লব পাল,
নতুন করে মার্ক্সবাদ বোঝার আগ্রহ মোটেই নেই। যা বুঝি তাই যথেষ্ট। মার্ক্সবাদ বুঝাতে বুঝাতে মুখে ফেনা তুলত এক তুখোর ছাত্র, আমরা বলতাম হাফেজ ভাই। লেখা পড়া ছেড়েই দিল শেষে। বছর পাঁচেক পরে হঠাত একদিন দেখা (সম্ভবত ১৯৭৩)। বললাম, “ডিগ্রীটা কেন complete করলেন না!” হাফেজ ভাইএর উত্তর, “আপনারা হবেন শিক্ষক, আমরা হব, administrator.”
অনেক দিন আর খোজ পাইনি। পরে শুনেছি, পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি করতে গিয়ে খুন হয়েছেন। আমাদের কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। মা ছিলেন ময়মনসিংহের এক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ। বাবা ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য। ১৯৫৭সালে তাঁর লেখা একটি পুস্তিকায় প্রথম পড়েছিলাম মাঝখানে বিশাল একটি দেশ দ্বারা বিভক্ত পাকিস্তান একটি বিকলাংগ দেশ। এটা টিকবে না।
হাফিজ ভাইএর কোন কথা বা কাজে কেউ কোনদিন কষ্ট পেয়েছে এমন কেউ বলতে পারেনি। মার্ক্সবাদ করা ছাড়া আর কোন দোষ ছিল না। মার্ক্সবাদের কথা হলেই হাফেজ ভাইএর কথা মনে পড়ে। কষ্ট হয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমার অভিমত সেই বোঝা নিয়ে মার্ক্সবাদ= লেনিনবাদ লেখা উচিত হয় নি।
সেই শহীদের জন্যে গর্বিত হন। যে মানুষকে ভালোবেসে প্রাণ দিতে পারে, তার থেকে বড় মানুষ আর কে আছে?
মার্ক্সবাদ করা ছাড়া আর কোন দোষ ছিল না। মার্ক্সবাদের কথা হলেই হাফেজ ভাইএর কথা মনে পড়ে। কষ্ট হয়।
>>
মৃত্যু অনিবার্য নিয়তি। মৃত্যুর জন্যে তাই দুঃখ করতে নেই। বরং মানুষের কাজের জন্যে প্রাণ দিয়েছেন, সেটা ভেবে গর্বিত হওয়াই ভাল। সেই সৌভাগ্য কজনের হয়?
@বিপ্লব পাল,
আমার অভিমত সেই বোঝা নিয়ে মার্ক্সবাদ= লেনিনবাদ লেখা উচিত হয় নি।
পাবলিক-কে কি শেখাবেন , আগে নিজেরা শিখুন আর বুঝুন | দেখুন , মাত্র তিন জনেই কি শুরু করে দিলেন ! মিঃ সরকার যা বলেছেন তাতে আমি কিছুই ভুল দেখছি না | ত্ত্ত্ব আর তথ্যের যাতাকলে সাধারণ পাবলিকের ঘুম হারাম-প্রান যায় |আপনারা করবেন সংগ্রাম? ডিম না মুরগি , লেনিন – না মার্ক্স এই নিয়েই দিস্তা দিস্তা কাগজ নস্ট |
আপনাদের বাস্তব স্ট্রাটেজিগুলো দীঘজীবি হঊক |
@ক্রমশঃ
নাস্তিকদের বড় বাধা আতলামি | কিন্তু নাস্তিক হতে কি বড় আতেল হতে হয়? ঈশ্বর নাই-এটা বুঝতে সাধারণ বুদ্বিই যথেস্ট | ধর্মের বড় সুবিধে ,সহজ-সরল ভাবে আম-পাবলিকের সাথে প্রতারণা করতে পারে |আতলামির ঘ্যান ঘ্যানানি-প্যান প্যানানি নাই | আর আমরা নাস্তিকরা বিজ্ঞান-যুক্তিবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়া পানি ঘুলা করি | সব কিছু কানের পাশ দিয়া যায়, এন্টেনাতে আটকায় না |আর খালি ঘুম আসে | এই যেমন ঘুম আইতাছে আমার — যাই | শুভ রাত্রি, নাস্তিক যুক্ত ধরাধামে মরতে পারলেই খুশি |
@ব্যবাকানন্দ,
গভীরতার কোন বিকল্প নেই।
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লব’দা
আপনি এই কথাটি প্রায়ই বলেন “প্রকৃত মার্ক্সবাদ”। আমি নিজে জানতে আগ্রহী এই বিষয়ে। একদিন সময় করে কি বিস্তারিত লেখা দিবেন দয়া করে, অথবা এই বিষয়ে কোন রেফারেন্স?
আপনি দেখে থাকবেন হয়তো যে আমি আমার লেখা শুরুই করেছিলাম মার্ক্সের দর্শন নিয়ে। যদিও পুরোপুরি জানা হয়ে উঠেনি, কিন্তু এখনো সেই আগ্রহ আছে। আমি কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে নেই। আমি আসলেই আর বিস্তারিত জানতে আগ্রহী। আমার সেই স্বল্প জ্ঞানে মনে হয়ে ছিল, যে মার্ক্স ইতিহাস বিশ্লেষন যা করেছিলেন সেটুকু ঠিক ছিল, কিন্তু সমাধান হিসেবে সাম্যবাদ (ইস্তেহারের কথা বলছি) যা দিয়েছিলেন সেটা প্রকৃত সমাধান নয়। যা হোক, আমার বোঝায় ভুল থাকতে পারে স্বল্প জ্ঞানের জন্য। আপনার লেখায় বুঝি যে প্রকৃত মার্ক্সবাদ বলতে আপনার নিজস্ব একটি ধারণা রয়েছে। আমি ধারণাটুকু এবং তার স্বপক্ষে যুক্তিগুলো জানতে আগ্রহী। তাড়াহুড়া নেই। সময় নিয়ে লিখুন। হয়তো আমার মতে অনেকেই উপকৃত হবে। অগ্রীম ধন্যবাদ রইল। লেনিনবাদ নিয়ে বেশি কথা খরচ নাও করতে পারেন। তবে লেখার প্রয়োজনে তা আনতেও পারেন। একটি পূর্ণাঙ্গ লেখা হিসেবে লেখেন। অল্প কথায় বলতে গেলে অনেক সময় হীতে বিপরীত হতে পারে। দরকার হলে একটি বই এর বা অন্তত জার্নাল টাইপ এর মত করে কাভার করতে পারেন। অনেক অযাচিত উপদেশ দিয়ে গেলাম 😥 , ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, প্লিজ।
@স্বাধীন,
ওই ইস্তাহার দেওয়ার এক দশক বাদে মার্কস নিজে বলে ছিলেন আমি আর মার্কসবাদি নেই। কারন সাম্যবাদ আর বা যেকোন সামাজিক অবস্থানই
মার্কসের মতে সমাজ বিবর্তনের ফল-যা শুরু হয় উৎপাদনের পদ্ধতির পরিবর্তনে। সেই অর্থে মার্কসবাদ মানলে প্রযুক্তির পরিবর্তন ছারা সমাজের পরিবর্তন সম্ভব না-এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে যে সমাজ বিবর্তন আসবে তাই আস্তে আস্তে সমাজতন্ত্র থেকে কমিনিউজমে যাওয়া উচিত।
অর্থাৎ আন্দোলন করে সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব-এমনটা মূল মার্কসবাদি বক্তব্য হতে পারে না-অথচ মার্কস কমিনিউস্ট ম্যানিফেস্টোতে সেটাই করেছিলেন। সেই জন্যেই নিজের ভুলটা বুঝেছিলেন পরবর্তী জীবনে।
কি আর করা যাবে! তখন সব লেট! লোকে মার্কসবাদ বলতে বোঝে মিছিল, আন্দোলন-চলছে না চলবে না। কিন্ত বাস্তব হচ্ছে তার সমাজ বিবর্তনের তত্ত্বে কোথাও লেখা নেই আন্দোলন করে সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব। সমাজ পরিবর্তন একমাত্র উৎপাদন শক্তির পরিবর্তনেই আসে। যার জন্যে আমি নাস্তিকদের ব্যাবসা করতে বলছি-যাতে তারা উৎপাদন শক্তিগুলির দখল নিতে পারে। কারন তাছারা ওই পরিবর্তনটা আসবে না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কমিউনিস্ট ইশতেহার পড়ে মনে হয়েছে totalitarian মনোভংগিটা কমিউনিজমের একেবারে গোড়া থেকেই ছিল।
@অভিজিৎ,
আসলে আমাদের একটা অর্গানাইজেশন করা উচিত যারা ফান্ড রেইজ করবে বিজ্ঞান চিন্তা প্রসারের জন্যে। আপাতত ভারত, বাংলাদেশ, আমেরিকাতে একটা করে শাখা থাকলেই চলবে। ভারত এবং বাংলাদেশে প্রজেক্ট কিছু নিতে হবে যা একই সাথে ব্যাবহারিক এবং বিজ্ঞান চিন্তার প্রসারে কাজে আসে।
বিজ্ঞান প্রচারে বাংলা বিজ্ঞান সংঘ বানাতে হবে-এবং তার জন্যে টাকা তুলতে হবে। এই কাজটাই স্যার আশুতোষ করেছেন ১৮৯০ সালে। তাহলে এখন আমরা পারবো না কেন? এখন ত স্যোশাল নেটওয়ার্কিং এর জন্যে একাজ অনেক সোজা।
বিজ্ঞান প্রসার এবং উদ্ভাবনা ভিত্তিক প্রজেক্টে গুগুল, গেটস ফাউন্ডেশন, সোরস ফাউন্ডেশন টাকা দিয়ে থাকে-আমাদের অনেক বন্ধু বান্ধবই ভালকাজে নিশ্চয় এগিয়ে আসবে-মৌলবাদ সমস্যা এটাত প্রায় সবাই মানে। এবং তার উত্তর বিজ্ঞান এটাও সবাইকে মানতে হবে। হিন্দুধর্ম দিয়ে মুসলমানদের সাথে দাঙ্গা বাধানো যায়, কিন্ত ইসলামিক মৌলবাদের সাথে যুদ্ধ করা যায় না। বিজ্ঞানের প্রসার ছারা আরত কোন গতি নেই।
@বিপ্লব পাল,
সহমত।