স্ত্রী পালিত স্বামী।
পেশা কি? আমি আপনার পেশা জানতে চেয়েছি।
বললাম তো স্ত্রীপালিত স্বামী।
লোকটি এবার ঠোঁট দুটো লম্বা করে গালে ভাঁজ তুলে বলল, এটা আবার পেশা নাকি?
যদি কিছু মনে না করেন, আপনার স্ত্রী কি করেন? আমি সবিনয়ে জানতে চাইলাম।
শুধু উপরের পাটির আটটি দাঁত বের করে ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে লোকটি তাৎক্ষণিক উত্তর দিলেন, গৃহিণী।
আমিও ত্বরিতভাবে তেমনি পরবর্তী প্রশ্ন করলাম, গৃহিণীর পুংলিঙ্গ কী?
তথ্য সংগ্রাহক দম্ভের সাথে জানালেন, ঘরজামাই। তবে পেশা হিসেবে কখনো ঘরজামাই লিখিনি, শুনিনি।
আমি ঘরজামাই না। আমি তো আর শ্বশুর বাড়ি থাকি না।
তবে, তবে গৃহস্বামী লিখি। লোকটি আমতা আমতা করে বলে।
আমি তো ঘরের মালিক নই।

লোকটি নিশ্চয়ই আজ তার লক্ষিত ফরম পূরণ করতে পারবে না। এরই প্রকাশ তার কণ্ঠে, কি সব কথাবার্তা শুরু করলেন?
আমি অত্যন্ত স্বাভাবিক কণ্ঠে অথচ গুরুত্বের সাথে বললাম, আমি আসলে হাউজ হাজব্যান্ড। আপনার স্ত্রী হাউজ ওয়াইফ মানে তার পেশা গৃহিণী। আর আমি হাউজ হাজব্যান্ড এর বাংলা বলেছি। স্ত্রীপালিত স্বামী পছন্দ না হলে গৃহপালিত স্বামীও বলতে পারেন।

আমি কিন্তু ইয়ার্কি করতে আসিনি। রাগের আভাস তার কণ্ঠে।
আমিও কিন্তু ইয়ার্কি করছি না। আমি স্বজ্ঞানে, স্ব- ইচ্ছায়, স্বহস্তে আমার পেশা স্ত্রীপালিত স্বামী লিখতে চাচ্ছি।

এ নিয়ে আর সময় ব্যয়ে অপারগ লোকটি অগত্যা প্রস্তাব দিল, আচ্ছা, ব্যবসা বা ঠিকাদারী লিখি।
লোকটি দেখেছে যদি কোন পুরুষ কোন কিছু না করে তবে সে নিজে বা তাদের স্ত্রীরা বা পরিবারের অন্য কেউও অনায়াসে বলে দেয়, এই ব্যবসা পাতি করে বা কন্ট্রাকটারী করে।
আমি একটু রাগত সুরে বললাম, কেন? আমি তো দুটোর একটাও করি না।

লোকটি সমাধানের সুরে বললেন, এটা তো আর কেউ যাচাই করতে আসবে না,এ রকম কেস লাখেও এক আধটি পাওয়া যায় না। কাজেই আমাদের গবেষণায় এর কোন প্রভাব ফেলবে না। অথচ আপনার পেশার ঘরটি সহজেই পূরণ করা হবে।

পরিসংখ্যান তো ভুল হবে। তাছাড়া আমার আইডেনটিটি ঠিক হবে না।

আচ্ছা মানুষের পাল্লায় পড়লাম দেখছি।
আমি হা হা শব্দ করে হেসে উঠতেই লোকটি খটখট করে আমার পেশার ঘরে স্ত্রী পালিত স্বামী লিখে তথ্য সংগ্রহের জন্যে পরের প্রশ্ন করল।

আমি নিজে স্ত্রী পালিত স্বামী বলতে বিব্রত না হলেও তথ্য সংগ্রাহক কেন বিব্রত হলেন তা আমি বুঝি। এমন বিব্রতকর অবস্থায় আমি অনেককেই পরতে দেখি। অহরহই দেখি। আমার ভাই বোনদেরও এ অবস্থায় পরতে হয় বলে আমাকে অনুযোগ দেয়।
আমার পরিবাবের লোকজন আমার পেশা বলতে লাগলে বলে, এই লেখে টেখে।
আমি লেখক নই। বই পড়ি। পত্র-পত্রিকা পড়ি। মাঝে মাঝে লিখে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি। এখন পর্যন্ত আমি কোন স্বাধীন এবং মৌলিক কোন লেখা লিখিনি। এতেই আমার ভাইবোন সান্ত্বনা খোঁজার সুযোগ পেয়েছে। বলে বেড়ায় — আমি লিখি। উঠতি বুদ্ধিজীবী জাতীয় আর কি।

আজকে সন্ধ্যায় আমার বড় ভাই ঘরে ঢুকে আমাকে দেখেই তার অস্বস্থি। তুমি তো বাসায়ই আছো?
আমি যে বাসায়ই থাকব তা জেনেও অহেতুক খোঁচা দেওয়া। তুমি বলা থেকেই বুঝি স্বাভাবিক সম্বোধন এটি নয়। আসলে নিজের হতাশার বহিঃপ্রকাশ।
ছোটবেলা যাকে হাতে কলমে পড়িয়েছে। বিকেলে সাইকেলে করে সারা পাড়া ঘুরিয়েছে। ভাল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর খুশিতে নিজের এক আলমারী বইয়ের স্বত্ব দিয়ে দিয়েছিল। পাশ করার পর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করতেও কম উৎসাসিত করেনি। সেই ভাই বিয়ে সাদি করে, চাকরি বাকরি ছেড়ে দিয়ে স্ত্রীর পয়সায় খায়। শক্ত সামর্থ, শিক্ষিত ছোট ভাইয়ের কোন আয় রোজগারে অনীহা।

গুলশান থেকে অফিস ছুটির পর ঝিকাতলা আসতে গাড়ির যে তীব্র স্রোত তা সাঁতরিয়ে পাড়ি দেওয়া তো সময় সাপেক্ষ বটেই। আজকাল যারা ঢাকায় আছে তারা বিষয়টি নিয়ে একমত হলেও আমার বড় ভাই তা মানতে চাচ্ছে না, যদিও সে ঢাকারই বাসিন্দা। তার ধারণা আমার স্ত্রী অন্য কোথাও অহেতুক আটকে আছে। আর আমি তা মেনে নিচ্ছি। তার জন্যে অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছে, কারণ তাকে ছাড়া আমি এ বিষয়ে কিছুই করতে পারছি না। আর্থিক লেনদেনে ভূমিকা রাখার মত আমার সামর্থ নেই। আর আমি সাধারণত এ সব বিষয়ে থাকতেও চাই না।

কিছুক্ষণ পরপরই উসখুস করছেন আর একটা দুইটা মন্তব্য করছেন। এরই মধ্যে দুইবার চা খাওয়া হয়ে গেছে।
মুড়ি চানাচূর, পেঁয়াজ মরিচ,ধনে পাতা আর টমেটো দিয়ে মাখা সাথে তার প্রিয় চা খেতে দিলে কতক্ষণ অপেক্ষাটা ভুলে থাকেন। আবার শুরু হয় কথাবার্তা, মন্তব্য ও অস্বস্থি।

আমার বড় বাচ্চার সাথে বড় ভাই এটা সেটা বলতে বলতে আমি রান্না ঘরে গিয়ে মুড়ি ও চায়ের কথা বলে এসেছিলাম। চায়ের কাপে প্রথম চুমুক দিয়েই কথা শুরু করলেন, মায়ের জায়গাটায় এপার্টমেন্ট করব। তবে কোন রিয়েল এস্টেটকে দিয়ে নয়। আমি করব। তুই সাথে থাকবি। আর চার ভাইবোনে সমান টাকা দিব এবং সমান ভাগ পাব। তুই একটু বেশি পাবি। কারণ আমি আর তুই স্বেচ্ছাশ্রম দেব। আমার লাভ হল, এর থেকে ব্যবসাটা শিখে নেওয়া। কয়েক মাস পরেই তো এল পি আর এ যাব। আর…

আর আমাকে কাজে লাগানো। আমি বড় ভাইয়ের বাক্য শেষ করলাম।

কাপটা টেবিলে রেখে নীচের ঠোঁটটা উপরের পাটির দাঁত দিয়ে ভিজিয়ে বললেন, অসুবিধা আছে? লেখাপড়া শিখে তো ঘরে বসে আছিস। ইট, বালি, লোহা আর সিমেন্টের কোয়ালিটি আর হিসেবপত্র তো ভালই বুঝিস।
আমি বরাবরের মতই বললাম,আমার এসব ভাল্লাগেনা।
এপার্টমেন্টের ভাগ বেশি দেওয়া ছাড়াও তোকে না হয় হাত খরচের জন্যে মাসিক একটা বেতন ধরে দিব।
চাকরি? তা করতে চাইলে এ কাজ কেন?
ঘর থেকেও বের হলি আর স্বাধীনভাবে নিজের কাজ করলি।

আমি বুঝে গেছি। তিন ভাইবোন মিলে আগে আলোচনা করেই এসেছে। মাবাবা হারা ছোট ভাইটির গতি করতে এসেছে। এখন আমি একটা ভাগ বেশি চাইলেও দিতে রাজি হবে। সব ভাই বোনই চায় আমি কিছু একটা করি।
বড়ভাই আর কিছু না বলে চুপ করে রইলেন। আর মিনিট খানিক পরে ঠোঁট কামড়ে শ্বাস ফেললেন।

আমি ঘরে থাকি বলে আমার আত্মীয় -স্বজন মনে করে আমার বুদ্ধি সুদ্ধি লোপ পেয়েছে। আমি ভীতু এবং স্ত্রৈণ তো বটেই। আমার যৌক্তিক জ্ঞান লোপ পেয়েছে। আমি আরও কত কি? আমার পেশার কারণেই আমার প্রতি তাদের এ দৃষ্টিভঙ্গি। আমার আচরণ তাদের কাছে অস্বাভাবিক লাগে।
আমি কিন্তু দিব্যি আছি। স্ত্রীর টাকায় মন ভরে বাজার করি। রাঁধুনী রাঁধে। আরেকজন গৃহকর্মী আছে যে বাসা পরিস্কার রাখে আর বাচ্চাদের যত্ন করে। আমিও করি। আমার স্ত্রীর সংরক্ষিত বুকের দুধ বাচ্চাকে সময় মত নিজে খাওয়াই বা আয়াকে মনে করিয়ে দেই।

বিকেলে বড় বাচ্চাকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাই। গৃহকর্মীদের দিয়ে বাড়ির কাজ করাই। স্ত্রী বাড়ি ফিরলে তার সাথে বসে চা খাই। মাঝে মাঝে মিলে মিশে চা করি। তবে বেশির ভাগ আমিই ভার নেই। দেরীতে ফিরলে আমি আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলি। সে এসে তার মত খায়। সাধারণত রাতে এক সাথে খাই তবে এক সাথে টিভি দেখা হয় না সিনেমা ছাড়া। তার আর প্রিয় চ্যানেল এক নয়। এতে কারো প্রতি কেউ অভিযোগ করি না। আমি বড় বাচ্চার পড়া দেখলেও সে আবার বাচ্চা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে বেশি পছন্দ করে। আমি আমার টিভি চ্যানেল, পড়া, লেখা নিয়ে ব্যস্ত। মাঝে মাঝে একসাথে টিভিতে বা সিডিতে সিনেমা দেখি। যে কোন একজন সিডি নিয়ে আসি। সিনেমা দেখার পছন্দ আবার এক।

বড় ভাই অস্থিরতার সাথে দ্বিতীয় কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন, তুমি কেন যে কিছুই করলে না? লেখা পড়া তো ভালভাবেই শেষ করেছিলে।
তোমার বৌয়ের মতই।
আমার বৌ তো মেয়েমানুষ। তার সাথে তোমার তুলনা চলে ?
আমার উত্তর শুনে বড় ভাই বিব্রত। পাল্টা বাক্যটি তার রাগের ও বিব্রত হবারই বহিঃপ্রকাশ।

আমার পুরুষ আত্মীয় ও বন্ধুরা মনে করে আমি পুরুষ জন্মের কলংক। তাদের মর্যাদায় আঘাত করেছি। আর নারী আত্মীয়রা আমাকে মনে করে, আহা বেচারী! বউয়ের রোজগারে চলে।
নিজেদের দিকে তাকায় না যে তারাও অন্যের আয়েই চলে। নারী বন্ধুদের কেউ কেউ অবশ্য আমাদের দাম্পত্য সম্পর্ককে ঈর্ষা করে। আমি তাদের চোখ দেখলে বুঝি।

আমার স্ত্রীর আয়ে আমার আধিপত্য নিয়ে তার নিজের মাথা ব্যথা নেই। তার ভূমিকা আশেপাশের স্বামীদের মতই। আর আমার চাহিদার মধ্যে লাগাম থাকে না শুধু বই কেনার সময়। আর কত বইই বা একজন মানুষ পড়তে পারে। কাজেই বইয়ের বাজেট খুব একটা লাগে না। বছরে কয়েক হাজার টাকার বই কিনলেই পড়ে শেষ করতে পারি না। সাথে তো ইন্টারনেট আর পত্র পত্রিকা রয়েছেই।

ঐদিন আমার স্ত্রীই বলে গেল, আমার সময় নেই। তুমি আমাদের বিয়ে বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তোমার জন্যে একটা পাঞ্জাবী আর আমার জন্যে তোমার যা মন চায় কিনে এনো।
আমি যথারীতি ঐদিন নামকরা একটা শপিং মল থেকে একটা চমৎকার পাঞ্জাবী সাথে আমার স্ত্রীর জন্যেও একটা রূপার কানের দুল নিয়ে কাউন্টারে টাকা দিতে যেতেই দেখি আমাদের এক পারিবারিক নারী বন্ধু। উচচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ভালই তো সব নিয়ন্ত্রণ করেন।
আমার তার কথাবার্তা বেশ অশালীন মনে হল। উনি নিজেও স্বামীর টাকায় কেনাকাটা করতে এসেছেন।
আমিও মাথা ইতিবাচকভাবে দুলিয়ে তার সাথে একমত হয়ে বললাম, ঠিক আপনারই মত। এবার নিজে হেসে পরিবেশটাকে হালকা করে বললাম, দুজনেই গৃহপালিত জীব।
উনি লজ্জা পেলেও সপ্রতিভ ভাব বজায় রেখে বললেন, আমি কিন্তু সে অর্থে বলিনি। গিন্নি আপনার পছন্দে পরেন। আমি কিন্তু আমার পছন্দে আমারটা কিনি।
পাঞ্জাবীটা কিন্তু আমি আমার পছন্দেই কিনেছি। বলে আবারও হা হা শব্দ করে হেসে উঠলাম।
পারিবারিক নারী বন্ধুটি নিজের কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাব ঢাকতে আমার সাথে হাসিতে যোগ দেওয়া ছাড়া আর পথ পায়নি।

বড় ভাই তৃতীয় কাপ চা শেষ করার পর আমার স্ত্রী অফিসের গাড়িতে বাসায় ঢুকে। ঢুকেই বড় ভাইকে, কতক্ষণ হল এসেছেন বলতে বলতে পাশে সোফায় বসল।
অনেকক্ষণই হল। যাও। ফ্রেস হয়ে এসো।
অসুবিধা নেই। আপনার সাথে কথা বলি।
বাচ্চার লেখাপড়া, আমার স্ত্রীর চাকরি আর আমার শাশুড়ির খবরাখবর নিলেন। আমার স্ত্রীও বড় ভাইয়ের ছেলেমেয়ে ও জায়ের খবর নিলেন। জাকে নিয়ে আসলেন না বলে অনুযোগও করা হল।
এরপর বড় ভাই এপার্টমেন্ট নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করলেন। পুঁজি কত লাগবে এবং টাকাটা দুই বছরের কখন কত করে লাগবে এর হিসেবও দিলেন।
নকশাটা বড় ভাই নিজেই করবেন। কোন এক ছুটির দিন উনার বাসায় সব ভাই বোন খেয়েদেয়ে নকশাটা চূড়ান্ত করে দিয়ে আসতে হবে।
তবে টাকার হিসেবটা দুইতিন লাখ এদিক ওদিক হতে পারে। জিনিস পত্রের দামের উপর নির্ভর করবে। সপ্তাহ দুয়েক সময় নিয়ে জানালেই হবে। নিজেরা করলে অনেক লাভ। নিজে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ডেভলপারকে দিতে চান না।
বড় ভাই করলে অন্য কোন ভাইবোনেরই আপত্তি নেই। সবাই জানে নিজে বরং একটু বেশিই খরচ করবেন। উনি সব সময়ই ভাই বোনদের জন্যে দিল দরিয়া। নিজেরা করতে পারলে ভালই হবে বলে আমার স্ত্রীও সায় দিল। তবে আলগোছে বলে ফেলল, আমার হাতে তো টাকা পয়সা নেই। আমি তো গত সপ্তাহে একটা এপার্টমেন্ট বুকিং দিয়ে এসেছি। আপনাকে নিয়েই দিতাম। অফিসের কয়েকজনে একসাথেই দিয়েছি বলে আর আপনাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি।

বড় ভাই অবাক হলেন না। বরং খুশি হয়েই বললেন। ঠিক আছে, একটা দিয়েছ,ঐটা হোক।
এবার আমাকে জড়িত করার বিষয়টি তুললেন। পূঁজি কম হলেও আমি খেটে পুষিয়ে দিতে পারব বলে মত দিলেন।
আমার স্ত্রী বলল, এ তো তার ব্যাপার। ও যদি করতে চায় তো করবে। আমাকে আগে জানালে আমি বুকিং দিতাম না। আর ও নিজেই তো আমার সাথে গিয়ে যৌথনামে বুকিং দিয়েছে।
বড়ভাই হাল ছাড়তে আসেননি। বললেন, ঠিক আছে, তোমাদের টাকা দেওয়া লাগবে না। তোমার পালিত স্বামীটিকে বল শুধু আমার সাথে থাকতে।
স্বল্পবাক বড় ভাইয়ের মুখে সরাসরি পালিত শব্দটি শুনে আমার স্ত্রী ও আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এপার্টমেন্টের সাথে আমাকে সাকার করতে বড়ভাইয়ের আকুতি ও আক্রমনাত্মক মনোভাব কি আমাকে আমার পালিত হওয়া থেকে বিচ্যুত করতে পারবে?