নষ্টের সভ্যতা


ঘাস ফড়িংয়ের মতন লাফিয়ে চলি আমি
আজকাল গতি বড্ড কমে গেছে
সম্ভাবনা কচ্ছপের বেগে ধাববান
ইতিহাস বলে, জয় আমার সুনিশ্চিৎ!
কিন্তু এই শহরের অলিগলি জানে,
ভূমিকম্পের মতন স্বভাব আমার;
সবকিছু এলোমেলো করে কেটে পড়ি চুপিসারে
-সবার অলক্ষ্যে!

কেউ কি ভূমিকম্পের ঠিকানা দিতে পারো?
আমি পত্র লিখতাম বন্ধুত্বের।
ঠিকানাহীন আমি সংসার ভাঙ্গনের
স্বপ্ন গাঁথি নারীর রেশমী চুলে,
আপিমের চাষ করি তার উর্বর জমিতে
-বড় বেশি বেরশিক!

তুমি বাঁচবে বহুদিন- একবার এক
জ্যোতিষি হাত দেখে বলেছিল।
আমি হিমালয়ের ওপর থেকে লাফ
দিয়েছিলাম সেইদিনই
-নীচে নামতে যে আমার ভালোলাগে!
ঈশ্বরের হাত এসে আমাকে লুফে নিল
-আমি মরে গেলাম!


আমার হাতে চিমটি কেটে দেখ
রক্তের কোন গন্ধ নেই এখানে।
ভালোবাসার নেশা পান করিয়ে দাও, দেখবে
লেফট্-রাই্ট করতে করতে দিব্যি বের
হয়ে আসছি নারীর গভীর থেকে।
মাইরি বলছি, আমি মরে গেছি কবে!
কমলা সুন্দরীর বিছনায় গিয়ে প্রেমে
পড়েছি তার বার বছরের মেয়ের!
কমলার চুপসে যাওয়া স্তনে মানচিত্র
এঁকেছি বালিকার ফুটন্ত দেহের।
এ-সবই ইতিহাস হয়েছে আজ।

আজ কেবলি আষ্ফালন করি আমার
শুকিয়ে যাওয়া বৌয়ের গায়ে পা উঠিয়ে-
মাগি তুই এত তাড়াতাড়িই বুড়িয়ে গেলি!
আর, যুবতী বেশ্যার কাপড় খোলার তাড়া
দেখে জীহ্বার রস খসিয়ে বলি, হাঁপানিটা
আজ হঠাতই বেড়ে গেছে, হাঁপাতে হাঁপাতে কেটে পড়ি…!
আমি পুরুষ, আমি মানুষ, আমি আবার আসি
এ সভ্যতা আমার পৈতৃক সম্পত্তি; নারী আমার
অবসর, আমার বাগানের বৃক্ষ
আমি পুরুষ, আমি মানুষ
আমার জন্যই নারীর চাষ!