আমরা যখন কোন মহাপুরুষ বা সাধু সন্যাসীর কথা মনে করি তখন ধরে নেই যে তার জীবন হবে পুত পবিত্র ও সমস্ত রকম কলুষমুক্ত। এ যাবত ইসলামের যত পুস্তক আর নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সেখানে মোহাম্মদের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একজন মহা সত্যবাদী, আদর্শবান, ন্যয়পরায়নতার প্রতিমূর্তি হিসাবে। ছোটকাল থেকে এভাবে পড়তে পড়তে আমাদের ধারনাও ঠিক তাই হয়েছিল যে মোহাম্মদের মত মহান ও আদর্শবান মানুষ দুনিয়াতে আগে ছিল না , আর কোন দিনে জন্ম গ্রহনও করবে না। এক তরফা প্রোপাগান্ডার এটাই হলো মাজেজা। কিন্তু যখন পরে জানতে পারলাম মোহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেছিল তখন কেমন যেন একটু খটকা লাগল। এটা কোন ধরনের পয়গম্বর যে ৫১ বছর বয়েসে তার নাতনীর বয়েসের একটা দুধের বাচ্চাকে বিয়ে করতে পারে ? আইয়ামে জাহিলিয়াত এর যুগেও আরবরা সম্ভবত: এ ধরনের কাজকে নিদারুন গর্হিত ও জঘণ্য কাজ বলেই মনে করত। আজকের যুগে এ ধরনের অসভ্য ও বর্বর কাজ করার কথা তো কেউ কল্পনাতেও আনে না। আর সেই কাজটাই কিনা করল সারা জাহানের ত্রাণকর্তা মহাপুরুষ আল্লাহর প্রেরিত পয়গম্বর মহানবী মোহাম্মদ ? আর তা করতে কি মহা অভিনয়টাই না তাকে করতে হলো ।

ভলুম-০৯, বই- ৮৭, হাদিস নং-১৪০
আয়েশা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী বললেন, তোমাকে বিয়ে করার আগে আমি স্বপ্নে তোমাকে দুই বার দেখেছি।এক ফিরিস্তা সিল্কে মোড়ানো একটা বস্তু এনে আমাকে বলল- এটা খুলুন ও গ্রহন করুন , এটা আপনার জন্য। আমি মনে মনে বললাম- যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় এটা অবশ্যই ঘটবে। তখন আমি সিল্কের আবরন উন্মোচন করলাম ও তোমাকে তার ভিতর দেখলাম। আমি আবার বললাম যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় তাহলে এটা অবশ্যই ঘটবে।

ভাগ্য ভাল তবুও মোহাম্মদ সেটা স্বপ্নে দেখেছিলেন, নইলে আল্রাহ তো সরাসরি কোরানের আয়াত ও নাজিল করতে পারতেন আয়েশাকে বিয়ের ব্যপারে।

স্বপ্নে এটা দেখার পর, নবীজি হযরত আবু বকরের নিকট গেলেন ও তার স্বপ্নের কথা সেই সাথে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্চের কথা জানালেন।

সহি বুখারি, ভলুম-৭, বই- ৬২, হাদিস নং-১৮
উরসা থেকে বর্নিত- নবী আবু বকরকে তার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্ছের কথা জানালেন। আবু বকর বললেন- আমি তোমার ভাই , এটা কিভাবে সম্ভব? নবী উত্তর দিলেন- আল্লার ধর্ম ও কিতাব মোতাবেক আমি তোমার ভাই, রক্ত সম্পর্কিত ভাই না, তাই আয়শাকে আমি বিয়ে করতে পারি।

একটা দুধের শিশুকে বিয়ে করার জন্য কি সুন্দর যুক্তি উপস্থাপন করছেন মহানবী। পৃথিবীর কোন অসভ্য ও বর্বর মানুষটাও কি এ ধরনের যুক্তি তুলে ধরতে পারে কোন শিশুর পিতার কাছে ? উল্লেখ্য , মহানবীর বয়স তখন ৫১ আর আবু বকরের বয়স তখন ৫৩, প্রায় সমবয়সি তারা। তাছাড়া তারা সব সময় একসাথে চলা ফেরা করেন, কাজকর্ম করেন, মেলা মেশা করেন। তারা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মত।ধর্মের কথা বাদ দিলেও , কোন লোক কি তার সমবয়সী ঘনিষ্ঠ বন্দুর কাছে তার শিশু কন্যাকে বিয়ে করার কথা মুখ ফুটে বলতে পারে ? কিন্তু মোহাম্মদ পেরেছিলেন। মোহাম্মদ জানতেন সরাসরি বিয়ের কথা বললে আবু বকর রাজি না ও হতে পারেন, তাই তাকে চাতুরীর আশ্রয় নিতে হলো, বলতে হলো স্বপ্নের কথা, তিনি জানতেন সহজ সরল সাদা সিদা প্রকৃতির মানুষ আবু বকরকে স্বপ্নের তথা আল্লাহর ইচ্ছার কথা বললে তিনি আর কিছুতেই না করতে পারবেন না। শিশু অবস্থা থেকেই আয়েশা দেখেতে সুন্দরী ছিলেন। কাজে অকাজে মোহাম্মদ প্রায়ই আবু বকরের বাড়ীতে যাতায়াত করতেন ও আয়েশাকে দেখতেন। তখন্ থেকেই তার মনে আয়েশার প্রতি আকর্ষন বোধ করতে থাকেন বোঝা যায়। একটা প্রৌঢ় লোক বন্ধুত্বের সূত্র ধরে তার প্রায় সমবয়সী বন্ধুর বাড়ীতে অহরহ যাচ্ছেন অথচ তার বাচ্চা মেয়েটার প্রতি নবী ভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে তাকাচ্ছেন যা কিনা ভীষণ সমালোচনার যোগ্য। আর কি আশ্চর্য সকল মুসলমানরা বিষয়টিকে অতি সাধারন ঘটনার মতই দেখে আর ভাবে – সেটাই স্বাভাবিক ঘটনা।

সহি বুখারি, ভলুম-৭, বই -৬২, হাদিস নং- ৬৫
আয়েশা হতে বর্নিত- মহানবী তাকে ছয় বছর বয়েসে বিয়ে করেন, নয় বছর বছর বযেসে তাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। হিসাম জানিয়েছিল- আমি জেনেছি আয়েশা মহানবীর মূত্যুর আগ পর্যন্ত নয় বছর যাবত বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করেছিলেন।

ছয় বছর বয়েসে অবশ্যই একটা মেয়ে স্বামীর ঘর করার মত উপযুক্ত নয় বিবেচনায় আয়শাকে তিন বছর পর্যন্ত পিতামাতার ঘরে থাকতে হয়। নয় বছর বয়েসে তিনি স্বামীর ঘর করতে যান। কিন্তু নয় বছর বয়সও কি স্বামীর ঘর করার মত উপযুক্ত বয়স নাকি ? খালি ঘর করা তো নয় আরও বিশেষ বিষয়ও তো আছে যা বলা বাহুল্য দৈহিক মিলন। নয় বছর বয়েসে কি একটা মেয়ে দৈহিক মিলনের জন্য উপযুক্ত হয় নাকি ? তা ছাড়া তখন মোহাম্মদের বয়স ৫৪ বছর তিনি কি ভাবে একটা ৯ বছর বয়েসের মেয়ের সাথে দৈহিক মিলন করার মানসিকতা রাখেন যেখানে তার চাইতে ঢের বড় একটা কন্যা সন্তান ফাতিমা আছেন। এরকম একটা পিতা তার সন্তানের সামনে কিভাবে একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে এক সাথে শয়ন করতে পারেন ? এটা কি কোন সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের কাজ ?

একটা সাইটে দেখলাম শিশু আয়শাকে বিয়ে করার পিছনে ইসলামপন্থীরা কিছু যুক্তির অবতারনা করেছেন। তাদের যুক্তি- মহানবী তাকে বিয়ে করেছিলেন হাদিস সংকলনের উদ্দেশ্যে। মানুষ যখন উন্মাদ , অন্ধ বিশ্বাসী ও বধির হয় তখন কু যুক্তিকেও তারা যুক্তি হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালায়, তা সে আদৌ মানুষ গ্রহন করুক বা না করুক। ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, আবু বকর তার মেয়েকে লেখা পড়া শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ করেছিলেন্। কিন্ত মাত্র ছয় বছর বয়েসে কি তিনি মহাপন্তিত মহিলা হয়ে গিয়েছিলেন নাকি ? আয়েশা কিছু হাদিস সংকলন পরবর্তীতে করেছেন ঠিকই , কিন্তু তা অন্যান্য সাহাবাদের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। যদি আয়েশা কোন হাদিস সংকলন না ও করতেন তাহলে কি ইসলামের প্রচারে কোন হের ফের হতো ? বরং দেখা যায়- আয়েশা হাদিস সংকলন করাতে বরং ইদানিং ইসলামের বেশ ক্ষতি হচ্ছে। নারী সম্পর্কিত তার একটা হাদিস যেখানে নারীদেরকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হয়েছে বর্তমানে অনেক ইসলামী পন্ডিত তাকে বাতিল বলে গন্য করার তালে আছে। এক মহা ইসলামি পন্ডিতের সাথে ইদানিং হালকা আলোচনা করার সুযোগ হয়েছিল্। তাকে যখন বুখারী শরিফের নানা হাদিস উল্লেখ করে তার ব্যখ্যা জানতে চাচ্ছিলাম তো তিনি সরাসরি বলে বসলেন তিনি হাদিস শরিফ মানেন না। কারনটা সহজেই বোধগম্য- কারন হাদিসে এমন অনেক বিষয় আছে যা আধুনিক যুগে মানা মানে বর্তমান জগতের সব সভ্য নিয়ম কানুন ও মানবিকতাকে অস্বীকার করা। সুতরাং সোজা রাস্তা হচ্ছে- হাদিসকে অস্বীকার করা। তার এ অস্বীকারের বিষয় অন্য একজন ইসলামি পন্ডিতের কাছে তুলে ধরতেই তিনি তাকে অমুসলিম হিসাবে আখ্যায়িত করলেন। তো এখন বুঝুন ঠেলা।

ইসলামপন্থিরা সব সময় প্রচার করে-ইসলাম পূর্ববর্তী যুগ মানে আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগে আরবরা নারী শিশুকে জীবন্ত কবর দিত, পরস্পর মারামারি কাটাকাটি করত, মদ জুয়ায় আসক্ত ছিল, নারীদের কোন সম্মান ছিল না ইত্যাদি। বিষয়টি যে কতটা মিথ্যে তা কিন্তু নবীর জীবন দেখেই বোঝা যায়। তার প্রথম বিবি খাদিজা ছিলেন তখনকার আরবের অন্যতম ধনাঢ্য মহিলা যিনি তার নিজের ব্যবসা নিজেই চালাতেন। সমাজে নারীদের সম্মান না থাকলে সেটা কি সম্ভব হতো ? এই ধনাঢ্য মহিলাটি যদি মোহাম্মদকে চাকরি না দিতেন, তাকে বিয়ে করে তার আর্থিক নিরাপত্তা বিধান না করতেন, তাহলে মোহাম্মদকে আর ইসলাম প্রচার করতে হতো না , সারা জীবন উট দুম্বা পালন করেই কাটাতে হতো। অথচ সেই মোহাম্মদ ইসলাম প্রচার করার পর কতটা অকৃতজ্ঞ যে , নারীদেরকে তিনি আল্লাহর বানীর নাম করে চার দেয়ালে আটকে ফেললেন। বলা হয়- নারী শিশুকে জীবন্ত পুড়ে মারা হতো। কিন্তু হাদিসের কোন ঘটনা বা আরবর ইতিহাসে আমরা এরকম কোন ঘটনাই আমরা দেখি না , কেন ? তাছাড়া এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীর সব দেশে সব সময়ই কম বেশী হয়ে আসছে, এখনো হচ্ছে। ওটা খুব সাধারন ঘটনা সর্বকালের জন্য। মারামারি কাটাকাটি ? আমরা তো বরং দেখি ইসলাম প্রচারের পর থেকেই তা ব্যপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা আজো থামা তো দুরের কথা নতুন করে মাত্রা পেযেছে আত্মঘাতী বিমান বা বোমা হামলার মাধ্যমে। যাকে ইসলামের স্বর্নযুগ বলা হয়- সেই যুগের চারজন খলিফার মধ্যে এক আবু বকর ছাড়া বাকিগুলোই কিন্ত নিহত হয়েছে ঘাতকের হাতে তথা মুসলমানদেরই হাতে। যদিও মুসলমানরা প্রচার চালায় তারা নিহত হয়েছেন মুনাফিকদের হাতে, কিন্তু আসলে ওরা মুনাফিক ছিল না। কারন আমরা দেখেছি পরবর্তীতে সেই মোনাফেকরা ক্ষমতায় এসেই ইসলামের ঝান্ডা চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিয়েছে ও অনেক দেশ দখল করে এক বিশাল সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। মুসলমানরা কি রকম নিমকহারাম যে, যখন খলিফাদের হত্যার কথা বলা হয় তখন তারা বলে হত্যাকারীরা মুনাফিক আর যখন ইসলামের বিজয়ের ইতিহাস নিয়ে কথা হয় তখন সেই মুনাফিকরা হয়ে যায় মহান মুসলিম বীর। ঠিক তেমনি একটা প্রোপাগান্ডা তারা চালায় বিশ্বখ্যাত নোবেল জয়ী পদার্থবিদ আব্দুস সালামকে নিয়ে। আব্দুস সালাম কিন্ত ধর্মীয় বিশ্বাসে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের যাদেরকে শিয়া বা সুন্নি কোন শ্রেনীর মুসলমানরাই মুসলমান হিসাবে গন্য করে না , বরং তাদেরকে অমুসলিম হিসাবে ঘোষনা ও তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে ফেলার চক্রান্ত আটে। অথচ যেই তিনি বিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার পেলেন্ ওমনি মুসলমানরা সবাই মাতম তুলল এই প্রচারে যে- মুসলমানরাও পারে ও তাকে নিয়ে মহা মাতামাতি শুরু করে দিল। মদ ও জুয়া ? ইসলাম প্রচারের পর মদ ও জুয়ার প্রকোপ কমেছে বলে তো শোনা যায় না । সৌদি আরবে মানুষ প্রকাশ্যে মদ পান ও জুয়া খেলে না , কিন্তু ওরা যে মদ খেয়ে কি পরিমান অসভ্যতা করতে পারে তা দেখতে চাইলে ব্যাংকক চলে যান দেখতে পাবেন। বাইরে যখন ওরকম মদ খায় তাহলে তারা তাদের ঘরের ভিতর খায় না, একথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারে ? ব্যাংককের পতিতাদের কাছে যদি জিজ্ঞেস করেন সব চাইতে অসভ্য ও বিকৃত রুচির খদ্দের কারা , তারা এক বাক্যে বলে দিবে- আরব রা। স্বয়ং নবীর দেশে জন্মগ্রহন করা ও ইসলামী ঝান্ডার একমাত্র দাবিদার দেশের লোকদেরই এই অবস্থা। তাহলে তো দেখি আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগ আসলে শুরু হয়েছে মোহাম্মদের ইসলাম প্রচার করার পর খেকেই। কারন ইসলাম পূর্ববর্তী আমলে আরবের গোত্ররা অন্তত কয়েকটি নীতি মেনে চলেত- তা হলো – নির্দিষ্ট কয়টি মাসকে পবিত্র মাস মনে করে যুদ্ধ বিগ্রহ করত না, কাবা শরিফকে পবিত্র স্থান মনে করত, কারো সাথে মৈত্রী চুক্তি হলে তার বরখেলাপ করত না, কেউ বিপদে আশ্রয় চাইলে আশ্রয় দিত ( স্বয়ং মোহাম্মদ সেরকম সুযোগ নিয়ে মদিনাতে আশ্রয় নেন ও পরে নিজেই আশ্রয়দাতার ঘর দখল করেন), পালিত পূত্র/কন্যাকে আপন পুত্র/কন্যার ন্যয় গণ্য করত ইত্যাদি। অথচ এই মোহাম্মদ নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যে তার পালিত পূত্র জায়িদের স্ত্রী জয়নবকে আল্লাহর বানীর নামে তালাক দিতে বাধ্য করে পরে তাকে বিয়ে করেন এবং পালিত পূত্র/কন্যা ও পিতা-মাতা সম্পর্কের মত একটা মহান মানবীয় সম্পর্ককে কলুষিত করেন। কোন পুরুষ মানুষ কি পারে একটা বাচ্ছা মেয়েকে পালিত কন্যা হিসাবে লালন পালন করে পরে যখন সে যৌবনবতী হয় তার সাথে যৌন লালসা পোষণ করতে ? যদি কেউ তা করে তাকে স্বাভাবিক মানুষ বলা যায় কি ?তাকে তো সবাই নরপশু , বদমাইস, অসভ্য আর লম্পট বলে গালি তো দেবেই সেই সাথে তাকে সবাই বয়কটও করবে । অথচ কি অবলীলায় আমাদের মহানবী সেই ঘটনাটা ঘটালেন আর তার সেই ঘটনাকে সঠিক প্রমান করতে আজকের তথাকথিত ব্রেইন ওয়াশড ইসলামী পন্ডিতদের কি প্রানপাত প্রচেষ্টা ! তো আইয়ামে জাহিলিয়াত কি ইসলামের আগে না পরে আমরা অবলোকন করছি ???

ইসলাম পন্থিরা নানা যায়গাতে প্রচার চালান মোহাম্মদ নাকি প্রতিটি বিয়েই করেছিলেন কোন না কোন উপযুক্ত কারনে , যেমন- গোত্র গত মিলন, অসহায় বিধবাদের আশ্রয়দান ইত্যাদি কারনে। এখন প্রশ্ন হলো- মহানবী আয়শার মত একটা দুধের বাচ্চাকে কেন বুড়ো বয়েসে বিয়ে করলেন , কি উদ্দেশ্যে? অনেক আগেই তো আবু বকর মোহাম্মদের দাস হয়ে গেছেন, মোহাম্মদ যা বলে তাই চোখ বুজে বিশ্বাস করে, কাউকে খুন করতে বললেও খুন করে চলে আসে। তার সাথে কোন গোত্রগত সমস্যাও নেই , তাহলে ? তিনি তার পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নাবকে কেন বিয়ে করেছিলেন সে কি আশ্রয়হীনা ছিল? হযরত ওমরের মেয়ে হাফসাকে কেন বিয়ে করেছিলেন , সেও কি আশ্রয়হীনা ছিল? এছাড়া মোহাম্মদ যে সব বিধবাদের বিয়ে করেছিলেন আশ্রয় দান করতে , তার তো বহু সাহাবা ছিল যারা তার কথায় জান দিয়ে দিত অকাতরে , উনি তো তাদেরকে বলতে পারতেন সেসব বিধবাদের বিয়ে করার জন্য।তাহলেই তাদের আশ্রয় হয়ে যেত। নিজেকেই একের পর এক বিয়ে করে আশ্রয়হীন নারীদেরকে আশ্রয় দিতে হচ্ছে , এটা খুব ঠুনকো অজুহাত মনে হয়। কোন কোন নারী নাকি তাদেরকে বিয়ে করার জন্য মোহাম্মদকে অনুরোধ করেছিল। তো অনুরোধ করলেই আল্লাহর নবীকে বিয়ে করতে হবে নাকি ? দেখা যাচ্ছে, উনি একটার পর একটা বিয়ে করে গেছেন, আল্লাহ কি ওনাকে দুনিয়াতে খালি বিয়ে করতেই পাঠিয়েছিলেন ? এমন ধরনের পরিস্থিতিতে কেউ যদি মোহাম্মদকে যৌন বিকার গ্রস্থ এক অস্বাভাবিক চরিত্রের মানুষ বলে অভিযোগ করে , সেটা কি খুব অন্যায় হবে ? এ রকম প্রশ্ন করলে কি তাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলা যাবে ? সমস্যাটা কিন্তু আসলে সেখানে নয়। সেই আমলে বহু বিবাহ নি: সন্দেহে খারাপ কোন কাজ ছিল না, কিন্তু বলা হচ্ছে মোহাম্মদ হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানব, তাকে অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। তাহলে বর্তমানে কোন একজন খাটি ইমানদার বান্দা যদি এই্ আদর্শ অনুসরণ করে একের পর এক বিয়ে করতে থাকে , তাকে কি একজন ভাল মানুষ বলা হবে নাকি লম্পট বা বদমাশ বলা হবে ?