প্রায় এরকম কিছুই লেখা থাকে বাসের/ লঞ্চের ভিতর, ‘নিজ দায়িত্বে মালামাল রাখুন, চুরি বা হারানো গেলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়’। বাংলাদেশ নামক জাহাজের আমরা যারা যাত্রী তাদের জন্যও বোধ করি এই সতর্ক বানীটি হবে ‘আপনাদের জীবন ও মালামাল নিজ দায়িত্বে রক্ষা করুন, খুন বা লুট হলে সরকার কোনভাবেই দায়ী নয়’। আমার বিবেচনায় এটি শতভাগ প্রযোজ্য, পাঠক আপনারা কী বলেন? একটু ভাবুন,ভেবে দেখুন। আপনাদের বিবেচনায়ও যদি আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন তবে আসুন ব্যাপরটি একটু খতিয়ে দেখি। এখানে বলা হয়েছে যে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার দায়-দায়িত্ব সরকারের নয়, যার যার তারতার। যেহেতু সরকার বলা হয়েছে, সেহেতু বর্তমান সরকার তো বটেই পূর্বতন সরকারগুলোকেও বুঝায়। তা সে নির্বাচিত অনির্বাচিত যা ই হউক। অনির্বাচিত হলে তো জনগণ কিছু বলতেই পারে না কারণ তারা তখন সেই পথ বন্ধ করেই লাটি বা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় বসেন। আর ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে জনগণের তখন কিছু বলার আইনী অধিকার থাকে যা রাষ্ট্রের সংবিধান জনগণকে দিয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত হলেও প্রতিটা সরকারই জনগণের প্রাপ্য সেই নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন আংশিক বা পুরোপুরিভাবে। শুধু বঞ্চিতই নয়, নির্যাতন এমনকি হত্যাও করেন। এবং নির্যাতনেরও আবার কম বেশী মাত্রা আছে, যে বা যারা যত বেশী দূর্বল তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা তত বেশী। অথচ সবল যাতে দূর্বলের ওপর অত্যাচার করতে না পারে তার জন্যইতো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। নইলে তো এটা জঙ্গল, জঙ্গলেই না জংলী আইন চলে যে জোর যার মুল্লুক তার। আমরা রাষ্ট্র বানিয়েছি এবং তা পরিচালনার জন্য সরকার নির্বাচন করি। তা এই জন্য যে যাতে সবল দূর্বলের ওপর অত্যাচার করতে না পারে তার সহায় সম্বল কেড়ে নিতে না পার। এক কথায় ‘সরকার দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ করবে। এই কাজটি আগের সরকারগুলোও করেনি বর্তমান সরকারও করছে না, তবে বর্তমান সরকার আগের সরকারগুলোর সঙ্গে এই কাজটিতে একটা বিরাট পার্থক্য তৈরী করেছে। তা হলো আগের সরকারগুলো জনমতের কিছুটা হলেও তোয়াক্কা করতেন কিন্তু বর্তমান সরকারটি পাগলা কুত্তার মতো বেপরোয়া। পাগলা কুত্তাকে কী করতে হয় তা কি এখানে উল্লেখ করার প্রয়োজন আছে?

যারা আমার সাথে একমত নন, যারা এখনও এই সরকার সামনে ভালো কিছু করে কীনা সেই আশায় বসে আছেন। ভাবছেন না হলে আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে ফেলে দিবেন আর জনস্বার্থ রক্ষাকারী পছন্দের একটি সরকার পেয়ে বসিয়ে ফেরবেন, তা হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠ হলেও না। কারণ যে সর্ষে দিয়ে ভুত তাড়াবেন মনে করছেন সেই সর্ষের মধ্যেই ভূত আছে। তার মানে এই যে নির্বাচনী ব্যবস্থাটাই ভূতুরে বা প্রকৃত অর্থে একটি প্রহসনের নাটক বৈ আর কিছুই নয়। দীর্ঘ নির্বাচনী অভিজ্ঞতা আপনাদের আছে বিধায় আপনারা নিজেরাই তা বুঝতে পারবেন। এটা মনে করে বুর্জোয়া গণতন্ত্রের এই বুনিয়াদী ফাঁকিবাজি নিয়ে এই পরিসরে বিশদ আলোচনায় গেলাম না। তবে এইটুকু বলে রাখা ভাল যে, অন্য যে জোটটি পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসার জন্য মুখিয়ে আছে, তাকে আনলেও জনগণের র্দূদশা প্রতিবারের মতোই আরও বাড়বে বৈ কমবে না এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ।

পূর্ববর্তী সরকারের গণবিরোধী শত কাজের মাঝে প্রধান যে কাজগুলি তার কয়েকটি হলো কানসার্টের কৃষকদের বিদ্যুতের দাবী মিছিলে গুলি করে হত্যা, বকেয়া বেতন ভাতার দাবীতে আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের হত্যা, ফুলবাড়ির জনগণের খোলামুখ কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরতদের গুলি করে হত্যা, জঙ্গিদের বোমাবাজি স্বত্তেও এদের উপস্থিতি অস্বীকার, আদমজী জুট মিল বন্ধ করা, বিদেশী কোম্পানীগুলোকে গ্যাস ও কয়লা পাচারের সুযোগ দেয়ার চেষ্টা, র্যা ব গঠন ও ক্রস ফায়ার দিয়ে নির্বিচারে হত্যা ইত্যাদি। তবে গণরোষে ও আন্দোলনের চাপে চার দলীয় জোট সরকার কানসার্টের কৃষকদের ক্ষতিপূরন ও দাবী মানা চুক্তি, ফুলবাড়ির জনগণের সঙ্গে এশিয়া এনার্জি কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের চুক্তি, গ্যাস ও কয়লা রপ্তানী প্রক্রিয়া বাতিল এবং জঙ্গিদের শাস্তি প্রদানে বাধ্য হয়। বর্তমান সরকার ৫০ বছরের মজুদ না রেখে কোন গ্যাস কয়লা রপ্তানী হবে না, ক্রস ফায়ার বন্ধ, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, ঘরে ঘরে একজনকে করে চাকুরী ও বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার নির্বাচনী অঙ্গীকার করেই ক্ষমতায় আসেন। এসে প্রথম থেকেই জনগণের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেন। যে প্রভুদের নিকট (মার্কিন-ভারত অক্ষ শক্তি) দাসখত দিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছেন তাদের প্রধান দাবীগুলো হলো গ্যাস পাচারে সহায়তা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বন্দর দিয়ে দিতে হবে বা গভীর সমূদ্র বন্দর নির্মানের নামে মার্কিন সৈন্যঘাটি বসাতে দিতে হবে, দক্ষিন এশিয় টাস্কফোর্স গঠন ও টিফা চুক্তি সই করতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সমূদ্র সীমা নির্দ্ধারণে সহায়তা করতে হবে ভারতকে, এশিয়ান হাইওয়ের নামে ট্রানজিট বা করিডোর দিতে হবে ভারতকে, টিপাইমুখ বাধঁ নির্মানেও সহায়তা করতে হবে ইত্যাদি।
ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেও ক্রসফায়ার নিয়ে প্রধান মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বিভ্রন্তিমূলক বক্তব্য দিতে থাকেন অথচ ক্রস ফায়ার চলতেই থাকে। তৃতীয় পক্ষের নিকট গ্যাস বিক্রির অনুমুতি অর্থাৎ গ্যাস রপ্তানী তথা পাচারের আনুষ্ঠানিক অনুমুতিও ৬ মাসের মধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন। করিডোরের চুক্তিও এরই মধ্যে সেরে ফেলেছেন। এদিকে জনমতের চাপে ক্রসফায়ার বন্ধ করে এখন শুরু করেছেন গুম হত্যা। মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হলেও সরকার হত্যার দায়টা অন্ততঃ স্বীকার করতো। গুম হত্যার ফলে এখন সেই দায়ও আর তাদের নিতে হয় না। ক্রসফায়ারের প্রতিবাদী মানবাধিকারবাদীরাও এখন চুপ। আমাকেও দুটো প্রতিবাদী প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়নি ছাত্রলীগের ছেলেরা। গ্যাস পাচার প্রতিরোধের কর্মসূচী অনুযায়ী প্রতিবাদী মিছিলে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদকে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়া হয়। সাভারে নিরস্ত্র শ্রমিকদের মিছিলে পুলিশের আগে আগে ঝাপিয়ে পড়েছে যুব লীগের সশস্ত্র গুন্ডারা। গার্মেন্টস মালিকদের পোষা গুন্ডা যারা জুট ব্যাবসায়ীর পরিচয়ে পরিচিত তাদের সঙ্গে একত্রে পুলিশ আন্দোরনরত শ্রমিকদের ওপর লাঠি, গুলি, টিয়ার গ্যাস নিয়ে হামলে পড়ছে। ফ্যাসিবাদ আর কাকে বলে? ভিন্নমত, প্রতিবাদ এবার তারা ফ্যাসীবাদী কায়দায় স্তব্দ করতে চাইছে। তবে আশার কথা এই, এইবার কাঁচপুরে শ্রমিকরা শুধু মার খায়নি পাল্টা মার দেয়া ও শুরু করেছে।
২০-০৪-১০ তারিখের আমার দেশ পত্রিকার রিপোর্ট ‘এবার পুলিশের বিরুদ্ধে মালিকের হয়ে কাজ করার অভিযোগ : কাঁচপুরে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ : ওসিসহ আহত ৫০ আটক ১৬
এবার পুলিশের বিরুদ্ধে মালিকপক্ষের হয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে গতকাল শ্রমিকরা কাঁচপুরে আবার রাস্তায় নেমে এলে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালালে শ্রমিকরা ওই অভিযোগ করেন। এর আগে গত সপ্তাহে শনিবার শ্রমিকরা দাবি-দাওয়া আদায়ে রাস্তায় নেমে এলে স্থানীয় সন্ত্রাসী জিয়াউর রহমান জিয়া (৩০) মালিকপক্ষের হয়ে সহযোগীদের নিয়ে তাদের বাধা দেয় ও কয়েকজনকে মারধর করে। ওই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জিয়াকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গতকালও শ্রমিকদের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে’।

সরকারের উঁচা উঁচা চাইয়েরা বলতে শুরু করেছে, এটা কি মামার বাড়ীর আব্দার নাকি, কোন হলেই আপনারা ফোঁস করে উঠবেন, প্রতিবাদে ফেঁটে পড়বেন, রাস্তায় নেমে যাবেন, মিটিং-মিছিল করবেন, গাড়ী ভাংচুর করবেন আর আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখব? না তা দেখবেন কেন? শুধু মে দিবসের দিনে বড় বড় বিবৃতি দিবেন ‘আপনারা শ্রমিক বান্ধব সরকার’। আপনারা হলেন সেই ‘মালিক শ্রেণীর বান্ধব সরকার’ যারা আই এলও কনভেনশান পর্যন্ত মানেন না। এই সরকারের মন্ত্রীদেরও অনেকেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, ইতিমধ্যেই বানিজ্যমন্ত্রী নিজেই বিনা টেন্ডারে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের কাজ। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই এতদিন যাবত জনগনকে এভাবে কষ্ট দিয়েছেন আপনারা। জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা বলছেন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির জন্য মানুষকে কষ্ট দেয়া এইগুলো ইচ্ছাকৃত। কৃষক বাজারে ফসল এনে বিক্রি করতে পারে না, রাস্তায় ঢেলে দিয়ে খালি হাতে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ী ফেরে। বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে উপোষ দিয়ে দিন কাটায়। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মুনাফার নামে লুটপাট চালায়। এসবের বেলায় জনগনকে নানান অংক বুঝাচ্ছেন, বলছেন সরকারের কিছু করার নেই, ধৈর্য্য ধরুন, সরকার চেষ্টা করছে ইত্যাদি। মানে কী দাঁড়ালো? বখাটে, সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে মেয়েরা যখন আত্মহত্যা করে, মেয়ের ইজ্জত বাঁচাতে না পেরে বাপ যখন আত্মহত্যা করে, জেলের মাছ যখন লুট হয়, কৃষক যখন জঠর জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে, শ্রমিকরা যখন অপমানিত হয়, নির্যাতিত হয় তখন আপনাদের ভাষ্য ‘আপনাদের জীবন ও মালামাল নিজ দায়িত্বে রক্ষা করুন, খুন বা লুট হলে সরকার কোনভাবেই দায়ী নয়’। কিন্তু জনগণের সম্পদ লুটপাটকারী দেশী বিদেশী বন্ধুদের রক্ষায়, মালিক শ্রেণীর বন্ধুদের লুটের মাল রক্ষায়তো আপনারা এই কথা তো তাদের শুনান না, নিষ্ক্রয় বসে থাকেন না, বরং পুলিশ লেলিয়ে দেন।

আজ ১লা মে দৈনিক সমকাল লিড নিউজ ছেপেছে ‘শ্রমিকরা ভালো নেই -দেশের শ্রমিকরা ভালো নেই। মূল্যস্ফীতির অব্যাহত ঊর্ধ্বগতির কশাঘাতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শ্রমিকরাই। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, টাকার মান কমছে_ এ দুইয়ে মিলে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে নাভিশ্বাস উঠেছে তাদের। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে যেখানে শ্রমের মূল্য বাড়ার কথা, সেখানে মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত হিসাবে শ্রমের মূল্য কমছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বাড়া এবং মূল্যস্ফীতির কারণে গত এক বছরে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্রমিকদের প্রকৃত আয় না বাড়ায় চাহিদা ও বাস্তবতার মাঝখানে অমানবিক আপসের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এতে কমে যাচ্ছে শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের দৈনন্দিন মাথাপিছু খাদ্য গ্রহণ ও অন্যান্য চাহিদা মেটানোর প্রয়োজনীয়তা। অপুষ্টি আশঙ্কাজনকভাবে বিস্তার লাভ করছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শ্রমিক পরিবারের ওপর’।
আমার দেশ ছেপেছে, ভালো নেই শ্রমজীবী মানুষ – ‘কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, সবই কপালের ফের’—ক্ষোভের সঙ্গে বাক্যটি উচ্চারণ করে লিফটম্যান আবদুল বারী বললেন, মালিকরা সব শুষে নিচ্ছে। ভালো থাকি কি করে? বিদ্যার দৌড় চলনসই হলেও ঢাকার একটি হাইরাইজ ভবনের লিফটম্যান আবদুল বারী। তার মতে, উনিশ শতকে অবিভক্ত ভারতে স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে সমাজের কুলীনরা আমজনতার সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন। কিন্তু আমজনতা কিছু ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু পায়নি। পহেলা মে আসুক বা নাই আসুক, শ্রমিক শ্রেণীর ভাগ্যের চাকা ঘুরবে না। পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ফুটপাতে যে শিশুটি না খেয়ে ঘুমিয়ে থাকে, তার ক্ষুধার প্রকৃত কারণ খাদ্যের অভাব নাকি টাকার অভাব? তিনি বলেন,এখন দলীয় শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ। শ্রমিকদের কথা এখন কেউ বলে না। কেউ ভাবেও না। আমরা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই পাই না।

ভোটের নির্বাচন যে ভাওতাবাজির গণতন্ত্র এটা তাদের নিকট দিন দিনই স্পষ্ট হচ্ছে। অনেক মূল্য দিয়ে এই অভিজ্ঞতা মানুষ অর্জন করছে যে ভোটের নির্বাচন দিয়ে যে সরকার গঠিত হয় তা দিয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না, তাদের চরতি অবস্থার আরও অবনতি বৈ ভালো হবে না, এমনকি বাঁচতেও পারবে না। তারা যেমন পেশী শক্তি ব্যবহার করে বা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে তাদের সঙ্গেও সেই ভাষাই ব্যবহার করতে হবে, যাতে তাদের বোধগম্য হয়। দেশী একটা প্রবাদ আছে ‘আইট্টা কলার দেবতাকে নাকি বাংলা কলা দিয়ে পুঁজা দিলে তুষ্ট হয় না’। ০১-০৫-১০