হঠাৎ সেদিন ইচ্ছে হল, পথের ওপর টুল পেতে
হলদে রঙের বালতি মাথায় গামছা পরে স্কুল যেতে।
ওমনি আমি ভড়কি দিয়ে আড়াই বোতল জল খেয়ে
হড়বড়িয়ে পালিয়ে গেলুম গোসল ঘরের কল বেয়ে।

যেই সেখানে বসবো বলে মোড়ার পানে পা বাড়াই,
ওমনি আবার ইচ্ছে হল, স্টিম-রোলারে গা মাড়াই।
যেমনি ভাবা, তেমনি গেলুম বেলঘোরিয়া, বাস ধরে,
গিয়েই খেলুম পেপসি কোলা, শিশির ভেতর ঘাস ভরে।

তারপরেতেই চার পা তুলে দিলুম বিকট গান গেয়ে
“রাবন মামা ঢেকুঁড় তোলেন দশ মুখে দশ পান খেয়ে”।
গান শেষ হতেই কনুই তুলে নাচের ঢঙ্গে লাফ মেরে
“হাপুশ হুপুশ” দশ-বারো বার নিলুম আমি হাঁপ ছেড়ে।

তাতেই লোকে দেখে আমার এসব কান্ড-কারখানা
দৌড়ে এসে বঁড়শি দিয়ে ধরল আমার ঘাড় খানা,
সবাই মিলে “পাগল” বলে এইসা আমায় মার দিল,
গাত্রে হ’ল বেজায় ব্যাথা, কমল ওজন চার কিলো।

তাইতো আমি ঠিক করেছি, আর কখনও ভুল করে
আবোল তাবোল বকবো নাকো, টানবো না আর চুল ধরে,
ভাঁজবো না আর আজগুবী সুর, রাখব চেপে স্তব্ধ রোশ,
ঘরের কোনে নিজের মনে লিখবো বসে শব্দকোষ।