মুক্তমনার সদস্য হওয়ার পর থেকেই মুক্তমনায় কিছু একটা লেখার জন্য মন উসখুশ করতেছিল । কিন্তু কি নিয়ে লিখব , তাই বুঝতে পারছিলাম না । মাথার মধ্যে ছাড়াছাড়া অনেক কিছু ঘুরলেও আমার লেখার অভ্যাস কম বলে কিছু গুছিয়ে লেখতেও পারছিলাম না । বিশেষতঃ মুক্তমনার জ্ঞানী-গুনী লেখকদের লেখার কাছে আমার লেখা তো একেবারেই বেমানান দেখাবে । তবুও মুক্তমনায় লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না । তাই মুক্তমনার জন্য আমার এই একেবারেই ক্ষুদ্র একটা কবিতা বা ছড়া ।

গৃহতলে মোর শূন্য কোঠা
অন্তরেতে প্রদীপ জ্বলে
কতশত গৃহী দেয়রে বাধা
সেই প্রদীপ ,গৃহে আনতে গেলে ।

আমি তাদের পদে পরে,
বলি ভাইরে তব লাগি
হৃদি হতে আনতে চাইরে
ঐ সে উজ্জ্বল প্রদীপখানি ।

দিস নে বাধা মোরে তোরা
মোর লাগি নয়, তোদের লাগি
আনতে চাই সে জ্ঞানের তারা
পরে, আঁধার ভাইরে যাবে ভাগি ।

তবু, শুনল না হায় মোর আবেদন
আঁধারেতে থাকতে হায়রে
কি আনন্দ পায় যে সে মন
প্রদীপ হতে হায় যায়রে সরে ।

বুঝি না মুই,তারা অন্ধ নাকি
অথবা, সইতে নারে আলোর জ্যোতি
তবে কি আমি দিয়া ফাঁকি
বুঝব সদাই নিজের পাতি?

কেমনে আমি করব সেটা ?
মনে যে হায় বিধে কাঁটা
আমি থাকি আলোর মাঝে
মোর বান্ধব কেন থাকবে সাঝেঁ ।

তাইতো আমি করিনু পণ
সদাই আমি রইব সজাগ
দিতে মোর বন্ধুরে জ্ঞানধন
ঘুচবে তাহার অজ্ঞানতার দাগ ।

তবে চিন্তা করি মনে মনে
মোর হৃদয়ে নেই কি অজ্ঞান?
পূর্ণ কি মুই জ্ঞানধনে,
হৃদয়ে কি বইছে জ্ঞানের বান?

পরে বুঝি হায় এখনো হইনি পূর্ণ !
তবে মিথ্যারে কভু ভাবিনি সত্য একবর্ণ,
যুক্তির তীক্ষ্ণ আলোয় যাহা বুঝিলাম সত্য
তাহাই মানিলাম, এইতো মোর জীবনের ব্রত ।

পরে দেখা হইল মোর সাথে মুক্তমনার,
বিজ্ঞানের আলোয় পূর্ণ এক সাইটের,
যাহা ঘুচায় অন্ধকার মূর্খজনার,
দেব ভাবি ঠিকানা ইহার মোর বন্ধুদের ।

দূর হবে নিশ্চয়, আছে যত মূর্খামি
যুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত হবে চতুর্দিক ।
সেই দিনের প্রতীক্ষায় রহিলাম আমি,
কবে যে হইব সেই কালের শরিক?