নাস্তিকতা / আস্তিকতা নিয়ে বহুদিন ধরে বিতর্ক চলছে। এই কিছুদিন আগে মুক্তমনা ব্লগেই এক প্রাণবন্ত বিতর্ক হয়ে গেল। ঐ বিতর্কে আমি আমার শেষ মন্তব্যে বলেছিলাম ইশ্বরের সংজ্ঞা নিয়ে কিছু লিখব। আমি যে বিষয়ের উপর যোর দেব সেটা হল ইশ্বরের সংজ্ঞায়নের ব্যাপারটা। এখানে যুক্তির নিয়মের বিশেষ ভূমিকা আছে। অনেক কিছুর সংজ্ঞা যে যার খুশিমত দিতে পারেন, কারণ সেই সব কিছু আছে কি না সেটা নিয়ে বিতর্ক হয় না। প্রেম, সৌন্দর্য, ভাল মন্দ (লোক), ইত্যাদি একেকজন একেকভাবে সংজ্ঞা দেন। সেখানে যুক্তির নিয়ম বা ব্যাকরণ পালিত হল কি না সেটা নিয়ে মাথা ঘামানর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ইশ্বরের সংজ্ঞায়নের ব্যাপারে অতটা ঢিলেমি মানা যায় না কারন ইশ্বর আছেন কিনা সেটা নিয়ে সিরিয়াস বিতর্ক হয়। আর বিতর্ক মানেই ত প্রতিপক্ষের কোন মত বা সিদ্ধান্তকে মিথ্যা আর নিজের কোন মত বা সিদ্ধান্তকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস। যে কোন মত বা সিদ্ধান্ত এক বা একাধিক বাক্যেরই সমষ্টি। যুক্তির নিয়মে কোন বাক্যের সত্যতা মিথ্যাত্ব যাচাইয়ের জন্য বাক্যগুলিকে বচন বাক্য হতে হবে। তা নাহলে সেই বাক্য বা বাক্যগুলি সত্যি না মিথ্যা সেটা যুক্তির দ্বারা নিরূপণ করা যায়না আর তাই সেই বাক্য সত্য বলা যেমন অর্থহীন তেমনি মিথ্যা বলাও অর্থহীন। বচনবাক্যের সংজ্ঞা যে কোন যুক্তির মৌলিক বই এ পাওয়া যাবে। আমি আমার “যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি” প্রবন্ধে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। যুক্তির নিয়মকে অনেকে তাচ্ছিল্য বা হেয় করেন। কেউ একে বস্তবতার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন বলে উড়িয়ে দেন। অথচ মুক্ত-মনার মূল মন্ত্রই হল যুক্তিতে মুক্তি। যুক্তির নিয়মই যদি মানা না হল তাহলে যুক্তির আলোচনা করাটা প্রহসনেই ছাড়া আর কিছু নয়। যুক্তির নিয়মের আওতায় না থাকলে যে যার খুশিমত যুক্তি দিয়ে নিজেকে সঠিক আর অন্যকে ভুল বলতে পারেন। পুরো বিতর্ক টাই বিশৃংখলায় পর্যবসিত হয়, যেমনটি হয় কোন খেলা নিয়ম না মেনে খেললে। বচন বাক্যের একটা শর্ত হল এতে অসংজ্ঞায়িত বা অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত, অজানা বা অপরিচিত কোন শব্দ থাকতে পারবে না।

ধর্মবাদীদের ইশ্বরের সংজ্ঞার প্রথম অংশে বলা হয় ইশ্বর হলেন বিশ্বের স্রষ্টা । কিন্তু এক্ষেত্রে স্রষ্টা বা Creator দর্শনসম্মত অর্থাৎ যৌক্তিক কোন ধারণা নয়। দর্শনে কার্য ও কারণ এর ধারণা স্বীকৃত । কার্য কারণ হল দুইটি সুসংজ্ঞায়িত বস্তু বা ক্রিয়ার (মনে করি ক আর খ) মধ্যকার এক অপ্নিবার্য্য সম্পর্ক। যখন খ এর অস্তিত্ব ক এর অবর্তমানে কখনই ঘটতে না পারলে আমরা ক কে খ এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি আর সেক্ষেত্রে ক কে খ এর স্রষ্টা হিসেবে সংজ্ঞা দেয়া যায়। কিন্তু ক কে আবিষ্কার বা চিহ্নিত করা না পর্যন্ত “ক খ এর স্রষ্টা” বলাটা অর্থহীন। যেমন বলা যায় রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলীর স্রষ্টা, দ্য ভিঞ্চি মোনালিসার স্রষ্টা। কিন্তু পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগবে কেউ যদি দ্য ভিঞ্চির নাম না শুনেও মোনালিসার চিত্র দেখেন তিনি কি বলতে পারেন না যে ঐ চিত্রের একজন স্রষ্টা (যিদিও এখন ও অজানা) আছেন? অবশ্যই পারেন। এখানেই যুক্তির সূক্ষ্ণ দিকের প্রয়োজন দেখা দেয়। তিনি যদিও দ্য ভিঞ্চির নাম শুনেননি কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানেন যে চিত্র মাত্রই কোন না কোন মানুষের সৃষ্টি। মানুষ ত সবার কাছে এক সুস্পষ্ট জানা এক বস্তু। সে ক্ষেত্রে তিনি চিত্রের স্রষ্টা দ্য ভিঞ্চি না বলে বলবেন এই চিত্রের স্রষ্টা আছেন, যিনি একজন মানুষ, কারণ চিত্রের উদাহরণ অনেক আছে এবং সর্বখেত্রে চিত্রের একজন মানুষ স্রষ্টা থাকে। তিনি তার নাম দিলেন ভ্য দিঞ্চি । চাইলে তিনি আর এক ধাপ এগিয়ে ভ্য দিঞ্চির কিছু গুণের বর্ণনাও দিতে পারেন। তাঁর এই ভ্য দিঞ্চির সংজ্ঞা ও গুণাবলির বর্ণনা যৌক্তিক বিচারে শুদ্ধ, এবং তার সত্যতা মিথ্যাত্ব যাচাই করা যেতে পারে। তাহলে দেখা যাচ্ছে কোন ক্রিয়া বা বস্তুর স্রষ্টা আছে (অর্থাৎ স্রষ্টা শব্দটির ব্যবহার) বলাটা তখনই যুক্তিসিদ্ধ হয় যখন হয় সে ক্রিয়া বা বস্তুর কারণ ইতোমধ্যেই চিহ্নিত হয়ে গেছে অথবা আরোহ পদ্ধতির মাধ্যমে (Induction) যখন একই রকম অন্য সব বস্তু বা ক্রিয়ার স্রষ্টা সবসময় চিহ্নিত হতে দেখা গেছে । আরও দেখা যাচ্ছে যে এই দুটো ক্ষেত্রেই স্রষ্টার স্বরূপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা স্রষ্টা চিহ্নিত হবার আগেই করা যায়। ভ্য দিঞ্চি কে জানা বা চেনার আগেই তিনি জানেন যে ভ্য দিঞ্চি একজন মানুষ (দুটো হাত, দুটো পা ইত্যাদি)। একই রূপ উদাহরণ দেয়া যায় মৌচাক আর মৌমাছি নিয়ে। স্রষ্টা যে শুধু প্রাণীই হতে হবে তা নয়। বৃষ্টির স্রষ্টা (অর্থাৎ কারণ) হিসেবে মেঘ কে চিহ্নিত করা যায়। এর সবটাতেই একটা সাধারণ গুণক হল যে স্রষ্টার সব উদাহরণেই স্রষ্টা এক সুস্পষ্ট, পরিচিত জানা বস্তু বা ক্রিয়া । এখন পর্যন্ত এমন কোন ক্ষেত্রে স্রষ্টা কথাটা আরোপ করা হয়নি যা অজানা, অপিরিচিত অস্পষ্ট এবং যা বিতর্কিত নয় । এখন আসা যাক মূল কথায়। যদি এমন এক বস্তু বা ক্রিয়ার সন্ধান মেলে যার কোন কারণ এখনও চিহ্নিত হয় নি এবং যার অন্য কোন উদাহরণও নেই। সেই ক্ষেত্রে সেই বস্তু বা ক্রিয়ার স্রষ্টা বলাটা যৌক্তিকভাবে ভুল। কারণ স্রষ্টা শব্দটাই উদ্ভাবিত হয়েছে সৃষ্ট বস্তুর জানা কারণের ক্ষেত্রে, যেখানে কারণ থাকাটাও আরোহ পদ্ধতির দ্বারা অনুমিত। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিশেষ বস্তু বা ক্রিয়াটির কোন কারণ থাকাটা আরোহ পদ্ধতির দ্বারা নিশ্চিত করা যায় না। থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। এখানে কারণের ধারণাটা যুক্তিসিদ্ধ ঠিকই কিন্তু কারণ আছে কি নেই সে ব্যাপারে কোন সহায়ক ইঙ্গিত নেই। এই ক্ষেত্রে তাই স্রষ্টা শব্দটা ব্যবহার করাটাই ব্যকরণগত ভুল ও দর্শনসিদ্ধ নয়। অনেকে বলবেন কারণ আর স্রষ্টা, কি আসে যায় কোনটা বলা হয়, ব্যাপারটা ত একই। না একই নয়। স্রষ্টা বলার মধ্যেই অনিবার্যভাবে তার স্বরূপ জানা আছে এই ইঙ্গিত প্রচ্ছন্ন থাকে, যা ঠিক নয়। কিন্তু কারণ বললে কারণের স্বরূপ সম্পর্কে কিছুই বলা হয়না, যেটা ঠিক, কারণ আসলেই ত স্বরূপটা অজানা । কারণ শব্দটা একটা সাধারণ বা সামান্যীকৃত শব্দ (General) , স্রষ্টা শব্দটা কারণের এক বিশেষ ক্ষেত্রে প্রজোয্য, যেখানে কারণটা চিহ্নিত হওয়া এক জানা বস্তু বা ক্রিয়া। এইটুকু বলার পর আর হয়ত বলে দিতে হবে না যে এই বিশেষ বস্তু বা ক্রিয়ার প্রকৃষ্ট উদাহরন হল সমগ্র মহাবিশ্ব বা সৃষ্টি। তাই ধর্মবাদীদের ইশ্বর মহাবিশ্বের স্রষ্টা বলাটা গোড়াতেই এক যৌক্তিক ও ব্যকরণগত ভুল। তাঁরা যদি বলতেন মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারণ আছে তাখলে সেটা ভুল হত না (যদিও সেটা সত্যি না ম ইথ্যা সেটা অপ্রমাণিতই থাকবে)। ধর্মবাদীদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারণ আছে না বলে ইশ্বর মহাবিশ্বের স্রষ্টা বলাটার কারণটা স্পষ্ট। স্রষ্টাকে এক মহামানব হিসেবে চিন্তা করে মানবসুলভ কতগুলি মহাগুন দিয়ে ধর্মের বাণী প্রচার করতে আর শ্রোতার কাছে আকর্ষণীয় করতে খুবই সুবিধা হয় আর নিজেকে প্রবোধ দিতে সুবিধা হয়, মৃত্যু আর বিপদ আপদের চিন্তা থেকে। ইশ্বরের যে সংজ্ঞায়ক গুণের বর্ণনা দেয় ধর্মবাদীরা যেমন সর্বশক্তিমত্তা, সর্ব্বুদ্ধিমত্তা, সর্বদয়ালুতা সবই ত মানুষ থেকে লব্ধ গুণাবলী, শুধু সীমিতের জায়গায় অসীম বলা। আর ধর্মীয় গ্রন্থে ত আরও একধাপ এগিয়ে স্রষ্টার ক্রোধ, হিংসাপরায়নতা, বিচার করা, ভয় দেখান, সিনহাসনে আসীন হওয়া ইত্যাদির কথা বলা হয়, যা সবই মানুষ থেকে লব্ধ । এমন কোন গুণএর বর্ণনা নেই যা মানুষের মধ্যে চিন্তা করা যায় না। তাই ধর্মের ইশ্বরকে নরাত্মক (Anthropomorphic) বলা হয়। ধর্মের ইশ্বর হলেন এমন এক মানব যার সেই মহাগুণ গুলো আছে অথচ তারঁ দেহ নেই, মগজও নেই। যে সব গুনগুলি মানুষ থেকে লব্ধ তা মানুষ নয় এমন কিছুর উপর আরোপ করা ব্যকরণ ও যুক্তির বিচ্যুতি। ধর্মবাদীরা যদি ইশ্বরকে সংজ্ঞা দিতেন যে ইশ্বর উক্ত মহাগুণসম্পন্ন এক মহামানব (মানুষের সব দৈহিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ) যিনি মহাবিশ্বের অজানা কোন এক স্থানে থাকেন তাহলে সেটা যুক্তির আর ব্যকরণের আলোকে অসঙ্গত হত না। সে ক্ষেত্রে সেই মহামানব আসলেই আছেন কিনা সেটা নিয় তর্ক, কল্পনা ইত্যাদি করা যেত, যেমনটি করা যায় ভিন কোন তারার কোন গ্রহ আছে কিনা যেটা পৃথিবীর মত প্রাণে ভরপুর, বা পক্ষীরাজ ঘোড়া (যা ব্যকরণগত ভাবে সুসংজ্ঞায়িত) আছে কিনা ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় কথা হল যে দেহমান কোন অতিমানব/ মহামানব ই হোক বা যুক্তি ও ব্যকরণ পরিপন্থী নির্দেহ কোন অতিমানব হোক, ধর্মবাদীদের দেয়া তাঁর গুণাবলীগুলি কিন্তু পরস্পর বিরোধী। এর সবগুলি একসঙ্গে সত্য হওয়াটা যুক্তিকে লঙ্ঘন করে। এটা অনেক দার্শনিক অনেক দিন ধরেই প্রমাণ করে আসছেন। ডকিন্স, স্টেঙ্গার ও নতুন করে এই স্ববিরোধিতাটাই তুলে ধরেছেন সাধারণ পাঠকদের কাছে। আমিও আমার লেখা “স্বাধীন ইচ্ছা, মন্দ ও ইশ্বরের অস্তিত্ব” সেই একই চেষ্টা করেছি। সেই অর্থে বলা যায় যে ধর্মবাদীদের ইশ্বর (তা সেটা দেহমান অতিমানব/ মহামানব ই হোক বা যুক্তি ও ব্যকরণ পরিপন্থী নির্দেহ কোন অতিমানব ই হোক) বলে কিছু নেই। কারণ সংজ্ঞায়ক ধর্মই যদি না থাকতে পারে তা হলে সংজ্ঞার বস্তু থাকাটাও অযৌক্তিক হয়ে পড়ে। ডকিন্স ও স্টেঙ্গার হয়ত সেই অর্থেই ধর্মবাদীদের ইশ্বর নেই বলেছেন। কিন্তু ধর্মবাদীদের ইশ্বরের সংজ্ঞা (গুণাবলী বাদে, অর্থাৎ ইশ্বর বিশ্বের স্রষ্টা আর ইশ্বর মানবিক গুণের অধিকারী কিন্তু নির্দেহ এই অংশটি) যে যুক্তিসিদ্ধ বা ব্যকরণসিদ্ধ সেটা বলাটা ভুল হবে। সেটা ডকিন্স ই বলুন আর স্টেঙ্গারই বলুন বা স্বয়ং ইশ্বরই বলুন। ধর্মবাদীরা যদি ইশ্বরকে দেহমান অতিমানব হিসেবে সংজ্ঞা দিত আর এমন কতগুলি গুণাবলীর বর্ণনা দিত, যা পরস্পর বিরোধী নয় তাহলে সেই ইশ্বরে নেই বলে নাকচ করা যেত না শুধু যুক্তি দিয়ে। যেমন পক্ষীরাজ় ঘোড়া নেই তা শুধু যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা যাবে না, যদি না পক্ষীরাজ ঘোড়া বায়ুগতিবিজ্ঞানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ না হয়।

ইশ্বরের এমন কোন সংজ্ঞা যদি দেয়া যায় যা যুক্তি বা দর্শনসিদ্ধ তাহলে সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী ঈশ্বর আছেন বা নেই দুটো বলাটাও যুক্তিসিদ্ধ হবে এবং সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে দুটোই বিশ্বাস হিসবে গণ্য করা যেতে পারে। যেমন ইশ্বরকে কে যদি কেউ বিশ্ব সৃষ্টির কারণ (কারণের স্বরূপ অনুক্ত রেখে) হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন তাহলে সেই কারণ আছে বা নেই দুটোই বলাটা গ্রহণযোগ্য অবস্থান। এর প্রথমটিকে দার্শনিক অর্থে আস্তিক আর দ্বিতীয়টিকে দার্শনিক অর্থে নাস্তিক বলা চলে। এর কোনটাকেই যুক্তি বা বিজ্ঞান দিয়ে ভুল বা সত্য প্রমাণ করা যায় না। এই ক্ষেত্রে নাস্তিকতাও একটা বিশ্বাস, যেমনট আস্তিকতা। আরও একটা কথা বলা দরকার। এটা বেশ কিছুদিন ধরেই জানা আছে যে শুধু পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়মের অভিব্যক্তির কারণেই পর্যবেক্ষিত মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। পদার্থ বিজ্ঞানের নতুনতম গবেষণার দ্বারা এই সম্ভাবনা আরও জোরদারই হচ্ছে। কাজেই বিশ্ব সৃষ্টির কারণ না বলে ইশ্বরকে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মের কারণ বলে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। এই কারণ সদা অজানাই থেকে যাবে। কাজেই এই সংজ্ঞা অনুযায়ী আস্তিক, নাস্তিক ও এক valid বিশ্বাসে বিশ্বাসী। শুধু এই সংজ্ঞার অজ্ঞেয়বাদীদের বিশ্বাসী বলা যায় না কারণ অজ্ঞতা স্বীকার করেই তাঁরা ইস্তফা দেন। বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটার বস্তুনির্ভর কোন কারণ নেই বলে কোনটাই তারা গ্রহণ করতে পারেন না । তবে এই তিন অবস্থানের মধ্যে স্থান পরিবর্তন অবশ্যই করা যায় যুক্তি বা বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে না গিয়ে, নিছক ব্যক্তিগত অনুভূতির তাগিদে।