সবে কাজ থেকে বাসায় ফিরেছি খেতে বসবো, এমন সময় ফোন বেজে উঠলো। সচরাচর এ সময় বিজ্ঞাপনী ফোনই এসে থাকে, পারতপক্ষে ধরি না। আজ কাছে ছিলাম বলেই হয়তো না ভেবেই ফোনটি তুলে বললাম, হ্যালো। দীর্ঘ লয়ে উত্তর পেলাম ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহে ওয়াবারাকাতুহু’। মনে মনে বললাম, এই সুভেচ্ছা বানীটি আরো সংক্ষিপ্ত করলেও আপনার সদিচ্ছার ব্যাপারে আমি কখনো সন্দেহ প্রকাশ করতাম না। ইদানিং বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে মুসলমান লেখকের তিন বাক্যের যেসব ইমেইল পাই, তার বেশির ভাগেই অবশ্যই দুটো বাক্য থাকে ‘আসসালামুয়ালাইকুম ওয়াবারাকাতুহু’, ‘আল্লা হাফেয’ বা ‘ইনশাল্লাহ’ বা ‘ফি সাবিলিল্লাহ’ জাতীয়। বয়সে ছোট কয়েকজন আত্মীয়কে উত্তরে জানিয়েছিলাম, একই সুত্রের একাধিক ইমেইলের আদান-প্রদানে বারবার এই কথাগুলো না লিখলে, তোমাদের আঙ্গুলের পরিস্রম কিছুটা কম হবে, আর আমি এটি প্রিন্ট করলে কালি কম খরচ হবে। আমার উপদেশে কোন কাজ হয়নি। কদাচিৎ পাওয়া অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকে কোন ইমেইলে আশ্চর্যজনক ভাবে এই বাক্যগুলোর বাহুল্য কম থাকে। কাজেই ধরে নিলাম আমার আজকের ফোনের আগন্তুক উপমহাদেশেরই ধার্মিক কেউ হয়ে থাকবেন। তাই গুনাহর ভয়ে মোলায়েম স্বরে ‘ওয়ালাইকুম…’ প্রত্যুত্তর দিতে দিতে আমার খালি পেট ‘ভাত কই ভাত কই’ বলে হুঙ্কার দিয়ে উঠলো। এক হাতে পেটের অন্ত্রনালি চেপে ধরে নিজের কন্ঠনালিতে যথাসম্ভব শক্তি এনে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ভাই আপনি কে বলছেন?’ বললো স্যার, আমি আপনার পুরনো এক ছাত্র, সাবিউল্লাহ। খুব খুশি হলাম, পেটও আমার সাথে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে তর্জন-গর্জন ছেড়ে কাঁইকুঁই করতে থাকলো।

আসলে সত্যিকার অর্থে সাবিউল্লাহ আমার ছাত্র ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যখন শেষ বর্ষের, ও তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। পরবর্তিতে শিক্ষক হয়ে ওদের গোটাকয়েক ক্লাশে আমি একটি চ্যাপ্টার পড়িয়েছিলাম মাত্র। স্যার সম্বোধন করে সে নিজেরই বিনয় প্রকাশ করলো, শিক্ষক হিসেবে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না। পিএইচডি করে এদেশের একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা-গবেষণা করছিল। ওর মেধা ও বিজ্ঞানে অবদানের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন বিভাগকে আমি একটি চিঠি লিখেছিলাম, আর গ্রিন কার্ড পাওয়ার সাথে সাথে আমাকে ফোন করে জানিয়েও ছিল। এখন একটি কাজে এসে ওর এক বন্ধুর বাড়িতে উঠেছে, দুদিন থাকবে। যেহেতু সময় বেশি নেই, কাল সন্ধ্যায় ওর বন্ধুকে নিয়ে আমার সাথে দুটো ডালভাত খেতে আমন্ত্রণ জানালাম, প্রায় তিরিশ বছর পরে দেখা হবে আশায়। অতি বিনয়ের সাথে বললো কাল সন্ধ্যায় ও শুধুই দেখা করতে আসবে কিন্তু খাওয়াদাওয়া নিয়ে আমাকে ঝামেলায় ফেলতে চায় না। আসলে ঝামেলার কিছুই নেই, কাল আমার ও আমার স্ত্রীর দুজনেরই কাজ আছে, চাইলেও ওকে আমরা উপযুক্ত সমাদর করতে পারবো না। কাজেই সচরাচর যা খাই, সেটাই সাবিউল্লাহ ও তার বন্ধুর সাথে ভাগাভাগি করবো, দেখা হওয়াটাই মূখ্য। ও আবার বললো, স্যার ভাবীকে কোন কষ্ট না দিয়ে শুধুই ডিম সিদ্ধ ও আলু ভর্তা করতে বলবেন। মনে পড়লো আমাদের স্বাস্থ্য সচেতন বন্ধু মনোয়ার ভাই লং ড্রাইভে বেড়াতে গেলে কোলেষ্টারোলের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে অবশ্যই সেদ্ধ ডিম সাথে নেবেন, আর প্রতিটি কামড়ের সাথে এর স্বাদ ও সুগন্ধের ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়ে যাবেন। ভাবলাম লং ড্রাইভের থেকেও বহু দূরে এসে সাবিউল্লাহ হয়তো ডিমের স্বাদ থেকে বঞ্ছিত হতে চায় না।

সাথে সাথে এই ডিম নিয়ে যে এক মহা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম তাও মনে পড়লো। বছর দুয়েক আগে এক বিজ্ঞান সম্মেলনের বক্তার তালিকায় পরিচিত একটি নাম দেখে তার সাথে দেখা করতে এগিয়ে গেলাম। সুবল মিত্র আমাকে দেখেই হৈ হৈ করে উঠলো। আশির দশকে যখন এদেশে পোষ্ট-ডক্টোরাল ফেলোশিপ নিয়ে আসি, বেশি কেউ ছিলেন না বলে বাংলাদেশের কাউকেই চিনতাম না। একই পাড়ায় থাকা, একই পেশার কলকাতার বেশ ক’জন বাংগালিই হয়ে উঠেছিলেন আমাদের পরমাত্মীয়। সুবল মিত্র ছিলেন তেমনি এক বন্ধু। একমাত্র মুসলমান বলে, আমাদের গোমাংসের বাসায় ছিল ওদের স্বচ্ছন্দ যাতায়ৎ। পরে নিজেই রান্না করে এক বসায় এক পাউন্ড গোমাংস সাবাড় করে দিয়েছিল সুবল। দিল্লির নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও একটি বিভাগীয় প্রধান ডঃ সুবল মিত্র এক সম্মানিত অতিথি হিসেবে এখানে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন। বিজ্ঞানী হিসেবে সুনাম অর্জন ও ভারতের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান পুরষ্কার প্রাপ্ত এই বিজ্ঞানী এখন ওই দেশের জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থার একজন নীতিনির্ধারক বিধায় ভীষণ ব্যাস্ত সময় কাটান। অনেক লোকের ভিড়ে ব্যাস্ততার মাঝে বললো আশরাফ ভাই, এবার আপনার বাসায় থাকতে পারবো না তবে বাইশ বছর থেকে বৌদির হাতের রান্না খাই না! বলবেন একটু কষ্ট করে ডিম রান্না করে রাখতে, আমি পরসু সন্ধায় আপনাদের বাসায় ডিনার খাব। কাজ থেকে একদিন ছুটি নিয়ে আমার স্ত্রী, সুবল পছন্দ করে বলে পরম যত্ন করে শুধুই মাংস জাতীয় খাবার রান্না করলো। ঝাল গরুর মাংস, মুরগির রোষ্ট, খাসির মাংসের বিরিয়ানী, টার্কির টিকিয়া, টুনার কাবাব, ও রুই মাছের দো’পেয়াজা রান্না করে অপেক্ষা করতে থাকলো। সুবল এলে পুরনো সব বন্ধু, বলুদা, অশোকদা, প্রহ্লাদ, পিযূষ, কৃষ্ণাদি, রতন, দিব্যেন্দু, বৈশাখি, কল্যানী, ওদের সবাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণ হল। খাওয়ার টেবিলে এসে প্লেট নিয়ে সুবল সব কিছুর দিকে তাকিয়ে বললো, বৌদি আপনি এত কষ্ট করতে গেলেন কেন, আমার ডিম কোথায়? আসলে সুবল সেদিন বিনয় করে বলেছিল বলে ধরে নিয়ে ডিমের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। জানালো ওর নিরামিষাশি অবাংগালি স্ত্রীকে বিয়ে করার পর থেকে সব ধরণের মাংস জাতীয় খাবার খাওয়া সে ছেড়ে দিয়েছে। এত বছর পরে দেখা, কাজ থেকে ছুটি নেয়া, আমাদের এতো আয়োজন, এতো উৎসাহ এক নিমেষেই মাটি হয়ে গেল। নিজের নির্বুদ্ধিতায় নিজেকে দোষারোপ করা ছাড়া উপায় রইলো না। এত বছর পর এই সম্মানিত অতিথি তাই শুধু সালাদ খেয়েই আমার বাড়ি থেকে বিদায় নিলেন! উর্দূ একটি বচণ ‘আকেলমন্দ কি লিয়ে ঈশারা ই ক্কাফি হ্যায়’ মনে পড়লো। হতে পারে সাবিউল্লাহ হালাল ছাড়া কোন মাংস খায় না, সরাসরি তা বলতে না পেরে ডিমের কথা বলছে। মনে মনে সাবিউল্লাহ’র বুদ্ধির তা’রিফ করে বিস্তারিত না জানিয়ে বললাম, ওর জন্যে ডিম সিদ্ধ ও আলু ভর্তা থাকবে, আর আমরা যা খাই তাও থাকবে। কাজেই কোন ঝামেলাই হবে না।

আসলে হালাল অর্থাৎ মুসলমানী কায়দায় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে হত্যা করা প্রাণীর মাংস এবং এখানকার গ্রোসারি ষ্টোরের কশাইখানার মাংসের ব্যাপারে আমার কোন বাছবিচার নেই – স্বাদেও কোন পার্থক্য পাই না। এব্যাপারে ধর্মীয় বই-পুস্তক বিস্তর ঘাটাঘাটি করেছি। তবে যেহেতু বেশির ভাগ লোকের কাছেই আমার যুক্তি কোন সাড়া পাবে না, হালাল সম্পর্কে আমি প্রচণ্ড ধার্মিক, বয়োজ্যোষ্ঠ এক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুর মতামতকেই প্রাধাণ্য দেই। গভীর রাতে তাহাজ্জ্যোত নামাজ সহ সব সময়েই জামাতে নামাজ পড়তে পারেন, সেই জন্যে তিনি বাড়ি করেছেন মসজিদের পাশে। কোরান-হাদিসের আলোকে তিনি বলেছিলেন, ‘রোগমুক্ত ও প্রাপ্ত বয়ষ্ক যে পশু মা-কালি বা অন্য কোন দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করা হয় নাই, তার মাংশ হালাল’। আর যেহেতু এদেশের গ্রোসারি ষ্টোরের মাংসের উৎসে গরুকে কারো নামে হত্যা করা হয় না, অথচ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কাটা ও সংরক্ষন করা হয়, সেগুলো অবশ্যই হালাল। এই হালালের ব্যাপারটি পর্যবেক্ষন করতে তিনি ঢাকায় এক কশাইখানায় গিয়ে দেখলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে কশাইরা কসরৎ করে একে একে গরুগুলোকে মাটিতে যখন ফেলে, তখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলার কথা মনে থাকে না। তার পরিবর্তে যেটি বলাতে তারা বেশি অভ্যস্ত, গরুটির মায়ের সতিত্ব নষ্ট করার একটি প্রতিজ্ঞা, তাই উচ্চারণ করে ছুরি চালিয়ে দেয়। জানিনা বলে আমরা দেশে কখনো এটি হারাম বা হালাল নিয়ে মাথা ঘামাই না। কিছুদিন আগে শুনলাম ঢাকার সাংবাদিকেরা কশাইখানায় গিয়ে দেখতে পেলেন, দুই হিন্দু কশাই প্রতিদিনের মত একের পর এক খাসী জবাই করে চলেছে ‘আল্লাহু আকবর’ না বলেই। আর তার মাংস বায়তুল মোকাররামের খাতিব থেকে শুরু করে সব মুসলমান নিশ্চিন্ত মনে খেয়ে চলেছেন বিন্দুমাত্র সন্দেহ না করেই!

তার পরও এদেশে অনেক অতিথি আছেন যারা হালাল ছাড়া কিছুই খান না, আর দাওয়াত খেতে এসে সরবে প্রশ্ন করে জেনে নেন মাংশটা হালাল কিনা। তাঁদের কাছে মুসলমানের দোকান থেকে কেনা মাংস মানেই হালাল। তাঁরা ভুলে যান, মুসলমানরাও ব্যাবসায়ী। আর আমরা মিথ্যা কারো চেয়ে কম বলি তারও কোন নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান নেই। ছোট কাল থেকে জেনে এসেছি অসৎ উপার্জন হারাম, অথচ কোন বিজ্ঞজনকে প্রশ্ন করতে শুনিনি যে টেবিলের খাবারগুলো সৎ উপার্জনের কিনা। খাওয়া নিয়ে বাছবিচার শুধু আমাদের মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না। ঈহুদীদের কোশার-প্রীতি সম্পর্কে তো সবাই জানেন। এদেশেও অনেকে আছেন, যারা পশুর প্রতি দয়াপরশ হয়ে নিরামিষাশি হয়েছেন, কোন ধর্মীয় অনুশাসনের জন্যে নয়। এক দুপুরে লাঞ্ছ করতে গিয়ে জানলাম ইষ্টার্ণ মেথডিষ্ট নামে খ্রিষ্টানদের একটি সেক্টের অনুসারি এক সহকর্মী শুক্রবার কোন মাংশ খান না। ভারত ও আমাদের দেশের নিরামিষাশি হিন্দুদের খাবার ব্যাপারে কঠিন বাছ-বিচারের কথাও আমরা জানি। তাদের অনেকের পানি বা খাবারে আমাদের ছোঁয়া লাগলে উপোশে থাকলেও তা ফেলে দিতে হয়। একবার শ্বশুর বাড়ির দেশের হিন্দু একটি পরিবার আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। এঁদের বয়োজ্যোষ্ঠ জন অনেক কুন্ঠার সাথে আমার স্ত্রীকে বলেছিলেন, মা কিছু মনে করো না, বুড়ো হয়েছি তো, ছোটকালের অভ্যাস ছাড়াতে পারিনি বলে আমার আর তোমার মেশোমশাই এর রান্নার হাড়ি, চুলো ও সব সরঞ্জাম আমরা সাথে নিয়ে এসেছি, কিন্তু তোমার দাদা, বৌদি, ভাইটি ও ছোটরা তোমাদের সাথেই খাবে। অতি রক্ষনশীল হলেও তাদের এই কুন্ঠা ও বিনয়ের কথা মনে হলে আজো শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। তুরস্কের এক ধার্মিক মুসলমানকে সবার মাঝে কখনো খাবারটি হালাল কিনা প্রশ্ন করতে শুনিনি, কখনো সন্দেহ হলে কাউকে কিছু না বলে শুধু শব্জি ও মিষ্টি খেয়েই আসরকে প্রাণবন্ত রাখতে দেখেছি। আমার কেন জানি মনে হয় বাংগালি মুসলমানদের বেলায় হালাল-প্রীতি জাহির করার প্রবণতাটা হয়তো একটু বেশি; এতে যে নিমন্ত্রিয়েতা (গহকর্তা-কর্ত্রী) এক অঃস্বস্থিকর অবস্থায় পড়তে পারে এব্যাপারে তারা পুরোপুরি উদাসীন। (এই ধারণা আমার ভুলও হতে পারে কারণ অন্য গোত্রের লোকজনের সাথে আমাদের সামাজিক মেলামেশা তো বাংগালি মুসলমাদের তুলনায় অনেক কম।) আগে এদেশে হালাল জিনিস পাওয়া যেত না বেশি, এখন বড় বড় শহরগুলোতে মুসলমান জনসসংখ্যা বেশি হওয়ায় অনায়াসে পাওয়া যায়। তাই কখন কোন হালাল মেহমান চলে আসে, কোন ঝুঁকি না নিয়ে আমরাও সব সময় বেশি দাম দিয়ে মুসলমান দোকান থেকেই মাংস কিনি ও ফ্রিজে মজুদ রাখি, খালি হতে দেই না। সাবিউল্লাহকে আমরা অভ্রান্তচিত্তে ও নিঃসঙ্কোচে আপ্যায়ন করতে পারবো ভেবে খুব ভাল লাগলো।

কাল সন্ধ্যায় দেখা হবে, তার পরও এটা সেটা নিয়ে দুয়েকটা কথা বললাম ফোনে। সাবিউল্লাহ আবারো বললো স্যার, ভাবীকে কিন্তু অবশ্যই বলবেন কোন কষ্ট না করতে, আমি কিন্তু হালাল ছাড়া খাই না, শুধুই যেন ডিম আর আলু ভর্তা করেন। মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমি বললাম, সাবিউল্লাহ, তোমার সাথে এতদিন পরে দেখা হবে, তোমার পছন্দের ডিম-আলু ভর্তা নিষ্চয়ই হবে, তবে মুরগিটি বা পাখিটি যে ‘বিসমিল্লাহ’ বা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে ডিম পেড়েছিল আমি তো ভাই তোমাকে সেই গ্যারান্টি দেতে পারবো না। তা’ছাড়া কি করে তোমার ধারণা হল যে আমরা হারাম খাই?