রৌমারী মুক্তাঞ্চল আজ একটি বিস্মৃতপ্রায় নাম। অথচ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রৌমারী রণাঙ্গন ছিল একটি অনন্য নাম, ছিল আমাদের কাছে প্রেরণার উৎস, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এবং আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তাদের কাছে একটি অবিস্মরণীয নাম। ৭১’ এর সেই রক্তঝরা দিনগুলিতে রৌমারী মূল চড়, রাজীবপুর চড় এবং ব্রহ্মপুত্রের বুকে ছোট বড় অসংখ্য চড় ও দ্বীপমালা নিয়ে গড়ে উঠেছিল সেদিন যুদ্ধাবস্থা বাংলাদেশের সবচাইতে বড় ও বিশাল মুক্তাঞ্চল। শুধু পুরাতন রৌমারী থানার অন্তর্ভুক্ত মূল রৌমারীর মুক্ত্ঞ্চলের আয়তন ছিল ১২০ বর্গমাইলেরও বেশী। এই এলাকা আক্রমণকারী পাক বাহিনী দ্বারা অধিকৃত হয়নি  কোনদিন- গাঢ় সবুজের জমিনে আঁকা বাংলাদেশের সোনালী মানচিত্র ও রক্তলাল সূর্যখচিত বাংলাদেশের পতাকা সব সময় গর্বভরে আকাশে উড্ডীন ছিল মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় জুড়ে। এর কৃতিত্ব রৌমারীর সাধারণ মানুষের, আর অদম্য সাহসী মুক্তিসেনাদের, যারা রৌমরীর প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিল –  জীবনকে বাজী রেখে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক রৌমারীর স্বাধীনতা ভুলুণ্ঠিত হতে দেন নি … (এরপরে পড়ুন এখানে) :pdf: