খুব ব্যস্ত আছি ইদানিং। তাই নিয়মিত যেগাযোগ থেকে একটু বিচ্ছিন্ন, সাময়িক ভাবে। কিন্তু এ পোষ্টটি একটি তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া আমার। আজ (২৩শে নভেম্বর, ২০০৯) সকালের BD News 24 dot com এর একটা নিউজ আমাকে খুব নাড়া দিলো। সেটি হলো “আ্যমনেষ্টি কি নিহতদের ফিরিয়ে দিতে পারবে?”

গত ১৯ তারিখে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের রায় হলো, চৌত্রিশটা বছর পরে জাতি আজ অভিষাপ মুক্ত হতে চলেছে। এই সেদিনো এই খুনীর দল ব্যারিস্টার তাপসকে হত্যার উদ্যেশ্যে হামলা চালালো। তারপরেও আ্যমনেষ্টি কি করে খুনীদের ফাঁসীর রায় অমানবিক এবং অবমাননাকর বলে আখ্যায়িত করে?

আমার কাছে মনে হযেছে কোন সুস্থ এবং বিবেকবান এই রায়ের কার্যকারীতা ছাড়া ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করতে পারে না। এটাই মানবিক। এর ব্যাতিক্রমটাই এই ক্ষেত্রে অমানবিক বলে আমি মনে করি। ১৯৭৫ এর এই কালো অধ্যায়ের রেশ ধরেই দেশে বিগত ৩৪ বছর ধরে চলছে হত্যা ক্যূ এর ঘৃন্য রাজনীতি। কত শত মুক্তি যোদ্ধাকে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে, বুদ্ধিজীবিকে, ছাত্রনেতাকে, শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষককে, কবিকে, শিল্পীকে, অভিনেতাকে, সৈনিককে, ব্যবসায়ীকে, শ্রমীককে, মজুরকে, আমরা হাড়িয়েছি শুধু মাত্র এই ইস্যূটিকে কেন্দ্রকরে। এসব হত্যাকান্ডের বিচার এই মাটিতেই হতে হবে। হতে হবে বিচারের রায়ের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। নইলে জাতি হিসেবে আমাদের স্বাধীন অস্তিত্ত্বের অবকাশ কোথায়? এই বিচার এবং রায় কার্যকরের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত জাতির সামনে থাকতে হবে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির আছে বলে আমার জানা নেই যেখানে জাতীয় কোন নেতাকে হত্যা করে মৃত্যুদন্ডের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে হত্যাকারী বা হত্যাকারীরা, কিংবা রায় কার্যকর করা হয় নাই মানবিক বিচারে!

কি হাস্যকর! কি বিভৎস তামাশা! শুধু এই বাঙ্গালী জাতির ক্ষেত্রে! কারা এই মহান মানবিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি বিশেষ? অমনেষ্টির এটা কি ধরনের ধৃষ্টতা যে তারা একটা স্বাধীন জাতির অকৃত্রিম মূল্যবোধকে যারা পদদলিত করেছিলো তাদের জন্যে দরদে গলে প্যাঁক? আমারতো মনে হয় আ্যমনেষ্টির এই ধরনের ঘোষনা এজাতির বোধ, বিবেক এবং ঐক্যের অন্তরায়। এবং সম্ভবতঃ আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার মূল লক্ষ্যের প্রতিলক্ষ্যের প্রবক্তা। সম্ভবত পঁচাত্তরের বেনিফিসিয়ারী ছাড়া কারোও পক্ষেই এই হত্যাকারীদের স্বপক্ষে সাফাই গাইবার সুযোগ নেই। সত্যিই এটা ভাবা একেবারেই অসম্ভব যে এতোবড়ো একটি নৃসংশ হত্যাকান্ডের পড়ে স্ব-স্বীকৃত দম্ভোক্তিকার হত্যাকারীদের ন্যায়দন্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে মানবিকতার প্রশ্ন! কিজানি আ্যমনেষ্টির বিঞ্জজনেরা গত চৌত্রিশটা বছর নাকে তেল দিয়ে নিশ্চিন্ত দিনাতিপাত করছিলেন কিনা! কাঁচা ঘুম থেকে জেগেছেন তো, তাই আবোল তাবোল বকছেন মনে হচ্ছে! বিশেষ বিশেষ জায়গায় তাদের মানবাধিকারের বিষয়টি জেগে উঠে! রহস্যটা আসলে কোথায়?

:line:
আপডেটঃ
সবাইকে অনুরোধ করবো যার যার মতো করে আপনার অসেন্তোষের কথা অমনেষ্টিকে জানান (একটি স্যাম্পল চিঠি রাখা আছে এখানে)। এমেনেস্টির সাইটে Contact us নামে একটি লিঙ্ক আছে সেখান থেকে আপনি আপনার বক্তব্য সরাসরি জানাতে পারবেন।