তাহের এবং ৭ নভেম্বরের মূল প্রত্যয়
আবুল হোসেন খোকন

বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে একটি স্বতঃস্ফূর্ত জনযুদ্ধের মধ্যদিয়ে। রাজনীতি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব এ জনযুদ্ধ সংগঠিত করেছে। রাজনীতি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ বা জনযুদ্ধ পরিচালনা করেছে। ঠিক একইভাবে তার আগে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যগত আন্দোলন-সংগ্রাম-বিজয়-অর্জন ইত্যাদি সবই হয়েছে রাজনৈতিক কর্তৃত্বে। ব্রিটিশ খেদিয়ে ভারত-পাকিস্তান জন্মের বিষযটিও রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফসল। এরপর ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত যে ইতিহাসÑ তাও রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফসল। ১৯৭০-এর নির্বাচন ও গণরায়ও ছিল রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফল। আর ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল এর চূড়ান্ত পরিণতি। সুতরাং এখানে একটা বিষয় পরিস্কারÑ রাজনীতিই হলো দেশ, জাতি, রাষ্ট্র বা সমাজ পরিচালনা ব্যবস্থার মূল। এখানে রাজনীতিভিত্তিক লড়াই-সংগ্রাম-কর্মকাণ্ড মানেই গণমানুষের কর্মকাণ্ড। রাজনীতির লড়াইয়ে গণমানুষই মূল। কারণ এখানে এই মানুষই লড়াই্ করে, আন্দোলন করে এবং লড়াইয়ের মধ্যদিয়েই পরিণতি নিয়ে আসে। এই গণমানুষ কার বিরুদ্ধে লড়াই বা যুদ্ধ করে বা করতে সক্ষমÑ তা নতুন করে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। আমরা সবাই জানি, রাজনীতি পরিচালিত গণমানুষের লড়াই সকল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধেই লড়ে এবং লড়তে পারে। সবচেয়ে প্রশিক্ষত সামরিক বাহিনী বা যে কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই এ গণমানুষ লড়তে পারে। বিশ্বের ঘটনাবলীর দিকে তাকালে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বা বাঙালি জাতির ইতিহাসও তার প্রমাণ। সুতরাং রাজনীতি মানেই গণমানুষ, আর সেই রাজনীতি বা গণমানুষ যখন বাংলাদেশের জন্য সশস্ত্র লড়াই করে, যুদ্ধ করেÑ তখন তা গণমানুষের মুক্তিযুদ্ধ বা জনযুদ্ধ নামেই খ্যাত হয়। অর্থাৎ ১৯৭১-এ বাঙালি জাতি ‘যার যা আছে তাই নিয়ে’ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই বা জনযুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশ কায়েম করেছে। এখানে গণমানুষের কাছে পরাজিত হয়েছে পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রশিক্ষত সামরিক বাহিনী এবং তাদের প্রভূ পরাশক্তি পর্যন্ত। বলা যায় বাঙালির জনযুদ্ধ পৃথিবীতে আরেক অগ্রযাত্রার ইতিহাস রচনা করেছিল। কারণ জনযুদ্ধের বাংলাদেশ জনযুদ্ধের অর্জন অনুযায়ীই সামনে এগিয়ে নতুন ভবিষ্যৎ রচনা করবেÑ এটাই ছিল স্বাভাবিক। এজন্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রয়োজন ছিল সমস্ত কিছু গণমানুষের আকাক্সক্ষামতই দাঁড় করিয়ে ফেলা, বা সে-মতো সব গড়ে তোলা।
কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, আমরা আমাদের প্রত্যাশিত অগ্রযাত্রার ইতিহাসকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। ’৭১-এ প্রবল প্রতাপশালী অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রধারী সামরিক বাহিনীকে পরাভূত করা সম্ভব হলেও, গণমানুষের আকাক্সক্ষামত দাঁড়িয়ে যাবার ঘটনাটি ঘটানো সম্ভব হয়নি। হয়নি, কারণÑ বাঙালি প্রস্তুত ছিল না শত্র“পক্ষের পরবর্তী আঘাতের ব্যাপারে। বাঙালি তার ’৭১-এর বিজয়কেই স্বতঃসিদ্ধ ধরে নিয়েছিল। এ বিজয়কে যে রক্ষা করার জন্য আরও যুদ্ধের প্রয়োজন আছেÑ তা ভুলে বসেছিল। এখানে রাজনৈতিক বা নেতৃত্বের ব্যর্থতা রয়েছে তো বটেই। বলা যায় দূরদর্শীতার এ অভাবÑ জনযুদ্ধের বিজয়কে নতুন করে বিপদগ্রস্ত করেছিল।
আমরা সবাই জানি যুদ্ধ করার দায়িত্ব সব সময়ই সামরিক বাহিনীর। এ জন্যই এ বাহিনী গড়া হয়। এই বাহিনী পেশাদার একটি সংস্থা। আর এ সংস্থা যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করে। তাদের যে যুদ্ধ তাকে সামরিক ভাষায় বলা হয় ‘নিয়মতান্ত্রিক যুদ্ধ’ বা ‘নিয়মিত যুদ্ধ’। এতে কোন সিভিলিয়ানের অংশ নেওয়ার বিষয় থাকে না। কিন্তু একাত্তরের যুদ্ধ মোটেও নিয়মিত যুদ্ধ ছিল না, পেশাদারি সংস্থার যুদ্ধ ছিল না। এ যুদ্ধ সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ ছিল না। আর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দায়িত্বও সামরিক বাহিনীর ওপর ছিল না। এ যুদ্ধ এবং যুদ্ধের দায়িত্ব ছিল গোটা সিভিলিয়ানদের ওপর, তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর। রাজনৈতিক নেতৃত্বই এর পরিচালক ছিল। এখানে একটা কথা উল্লেখ না করলেই নয় যে, এই বিশাল জনযুদ্ধের জনবাহিনীতে সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর যে কয়েক হাজার সদস্য ছিলেনÑ তারা আসলে তাদের নিয়মিত বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে জনগণের বাহিনীতে যুক্ত হয়েছিলেন।
এই দৃষ্টিকোন থেকেই ভবিষ্যত প্রত্যাশার দিকটি ছিল অন্যরকম। অর্থাৎ জনযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নেওয়া স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য কাম্য ছিল সিভিলিয়ানিজম বা জনগণভিত্তিক সামরিক ব্যবস্থাপনা। কারণ জনগণের রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রয়োজন সবকিছুই জনগণভিত্তিক হওয়া। এই ব্যবস্থাপনার সামরিক সংস্থাকে বলা হয় ‘সিটিজেন আর্মি’।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশে রেগুলার আর্মির বদলে ঠিক এরকম সামরিক ব্যবস্থাপনার কথাই ভেবেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। তিনি চিন্তা করেছিলেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে সেনাবাহিনীকে কিভাবে উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করা যায়, কীভাবে একে জনগণের বাহিনীতে পরিণত করা যায়। তিনি অন্যান্য দেশের রেগুলার আর্মিকে দেখেছিলেন এইভাবে যে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সেনাবাহিনী মানেই একটি সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণি বা গ্র“প। দেশের মানুষ অভূক্ত থাকলেও, কিংবা অভাব-অনটনে মানুষ নি:শেষ হয়ে যেতে থাকলেও এই শ্রেণি বা গ্র“পটির বেলায় তার স্পর্শও লাগে না। বরং রাজকীয় সুবিধায় এরা থাকে বহাল তবিয়তে। দেখা গেছে, এই সুবিধাভোগী শ্রেণিটি পুরো একটি অনুৎপাদনশীল গোষ্ঠী এবং এরা সমাজের উন্নয়নে কোন কাজেই লাগে না। আবার এই সুবিধাভোগী গোষ্ঠীটি সুযোগ পেলেই রাষ্ট্র-রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। দেখা গেছে, দুর্ভিক্ষ কিংবা দরিদ্রতায় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়লেও এই বিশেষ গোষ্ঠী বা গ্র“পটি সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করে। দরিদ্রতম দেশগুলোতে এই সুবিধাভোগী শ্রেণিটির জন্য রাষ্ট্রকে বরাদ্দ রাখতে হয় গোটা জনগণের বরাদ্দের চেয়ে অনেক বেশি।
কর্নেল তাহের দেখেছিলেন, জনযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এরকম সুবিধাভোগী শ্রেণি বা গোষ্ঠী থাকা বাঞ্ছণীয় নয়। এ কারণে তিনি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি ‘গণবাহিনী’ বা সিটিজের আর্মি গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। কোন গণতান্ত্রিক, বিশেষ করে জনযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নেওয়া দেশে এ ধরণের বাহিনীই কেবল আর্থ-সামাজিক এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত। এ রকম বাহিনীর বদৌলতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়, যাতে যুদ্ধের সময় প্রতিটি নাগরিকই একজন দক্ষ সৈনিক হিসেবে লড়তে পারে। এদিক থেকে তখনকার সাত কোটি মানুষই হয়ে উঠতো দক্ষ সৈনিক। আর রেগুলার আর্মির মতো তাঁদের ক্যান্টনমেন্টে আবদ্ধ থাকার প্রশ্ন উঠতো না বলে সে গণবাহিনী হতো জনগণের ভেতরে থাকা বাহিনী। তারা যুদ্ধের সময় যুদ্ধ, প্রতিরক্ষার সময় প্রতিরক্ষা, দেশের কাজের সময় দেশের কাজ, সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড-উৎপাদনী কাজে তারা সর্বোতভাবে যুক্ত থাকতো। এতে দেশের জন্য বিশাল ব্যয়ই শুধু রক্ষা পেতো না, উৎপাদনমুখী গণবাহিনী হওয়ায় তাঁদের দ্বারা উল্টো বিশাল আয় অর্জন হতো। কর্নেল তাহের পরিবির্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এরকম পরিবর্তিত সামরিক ব্যবস্থাপনার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
স্বাধীন দেশে তাহের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে একটি আধুনিক সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এই স্বপ্নের বিষয়কে শোষক শ্রেণি, পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রধান শত্র“ পাকিস্তান, তাদের এদেশীয় দোসর, কট্টর দক্ষিণপন্থী মহল এবং তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুরা মহাবিপদ হিসেবে দেখেছিল। ফলে তাহেরের এই উদ্যোগ ও পরিকল্পনা যাতে বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য শুরু থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছিল। এজন্য তারা অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় সর্বক্ষেত্রে নেটওয়ার্কও গড়ে তুলেছিল।
এদিকে কর্নেল তাহের জনযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত বাংলাদেশকে তার মূল প্রত্যয়ে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এমন একটা সময় তিনি এ প্রস্তুতির প্রকাশ ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যখন ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে এবং এরপর ৩ নভেম্বর জেলখানার ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের মূল চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে অপশক্তি তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্তÑ ঠিক তখনই ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহের তাঁর সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থান রচনার উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ী তিনি সামরিক বাহিনীর ভেতর বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা, বেসামরিক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গড়ে তোলা বিপ্লবী গণবাহিনী এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ সহযোগী গণসংগঠনগুলোর সহায়তায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। কিন্তু সুচতুর প্রতিপক্ষ শক্তি এ সবগুলো পর্যায়ে অন্তর্ঘাতি চক্রকে আগেই লেলিয়ে দিয়েছিল। ফলে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নামে অভ্যুত্থান ঘটলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অন্তর্ঘাতি ঘটনার শিকার হয়ে তা ব্যর্থ হয়ে যায়। তাহেরের কাছ থেকে এই অভ্যুত্থানের কর্তৃত্ব হাতছাড়া হয়ে যায়। কর্তৃত্ব দখল করে কট্টর দক্ষিণপন্থী ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুদের ক্রিড়নক জেনারেল জিয়াউর রহমান। এর আগে জিয়া তাহেরের পক্ষে থাকার ভান করে আসলেও ঘটনা ঘটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রভূশক্তির নির্দেশে স্বমূর্তি ধারণ করেন এবং তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহেরকেই বন্দি করেন, পরে তাঁকে হত্যা করেন। এভাবেই জনযুদ্ধের প্রতিপক্ষ শক্তি তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে ফেলে। আর এর মধ্যদিয়ে ব্যর্থ হয়ে যায় জনযুদ্ধ, বিজয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমস্ত কিছু। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে বসে মুক্তিদ্ধের শত্র“ এবং তাদের প্রভু শক্তি। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে তার মূল প্রত্যয়।
৭ নভেম্বরের এই ব্যর্থতার খেশারত দিতে হয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। দীর্ঘ এ সময়ে সামরিক এবং বেসামরিক পর্যায়ে জেনারেল জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষকে বেছে বেছে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। কতো হাজার গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে হত্যা করা হয়Ñ তার পুরো হিসাব আজও উদ্ধার হয়নি। কারণ যাদের হত্যা করা হয়, সঙ্গে সঙ্গে তাদের লাশ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস বা গুম করে দেয়া হয়েছে। এসব কারণে আজ কেও ৭ নভেম্বরভিত্তিক ঘটনাকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ঘটনা হিসেবে দেখে থাকেন। আর কট্টর দক্ষিণপন্থী এবং জনযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষরা একে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে মূল্যায়ন করেন। কারণ ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দেওয়ার মাধ্যমে মূলত রাজাকার-আলবদর-জামায়াত-মুসলিমলীগ-মৌলবাদীসহ মুক্তিযুদ্ধের মূল শত্র“দের সংহতি ও বিজয় সূচিত হয়েছিল।
তবে এতো কিছুর পরেও জনযুদ্ধের বাংলাদেশের জন্য কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রত্যয় অনস্বীকার্য। কারণ এদেশের জন্য এই প্রত্যয়ই ছিল সত্যিকারের গণমুক্তির উপায়।
[ঢাকা, বাংলাদেশ]

 আবুল হোসেন খোকন : সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট।