জীবন নামক পরীক্ষা অথবা জীবনের উদ্দেশ্য
পৃথিবী
ধর্মীয় কেতাবকে ঘুরিয়ে-পেচিয়ে-কাটাছেড়া করে না হয় বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায়, কিন্তু জীবনের উদ্দেশ্য কি ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারে? ধার্মিকরা(যাদের দিনকাল ভাল যাচ্ছে না) প্রায়ই বলেন জীবনটা স্রেফ পরীক্ষা ছাড়া কিছুই নয়, এই পরীক্ষাটি ভালমত দিতে পারলে পরকালে রয়েছে অশেষ শান্তি। এই যাদুমন্ত্র শুধু নিরাশ ব্যক্তিবর্গ নয়, ধর্মজীবিরাও ব্যবহার করে থাকেন কারণ গরীব, দুঃখী মানুষকে দলে ঢোকানোর এটিই সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী পন্থা।
এখানে একটা প্রশ্ন আসে, একেকজনের কাছে জীবন নামক পরীক্ষাটি একেকরকম কেন? নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখার ছাত্রকে তো কখনও চতুর্থ শ্রেণীর সমাজের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়না, তেমনি উচ্চমাধ্যমিক স্তরের মানবিক শাখার ছাত্রদের তো কখনও মাস্টার্স লেভেলের পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় না। মানুষ অনেক ভাবনা-চিন্তা করেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরী করে। অথচ ঈশ্বর দেখি প্রশ্নপত্র তৈরী করে দিয়েই খালাস, তিনি একটুও খেয়াল করে দেখলেন না সব মানুষ একই পরীক্ষা দিচ্ছে কিনা। সমাজে যারা উচ্চবিত্ত শ্রেনীর পরিবারে জন্মগ্রহন করে, তাদের জন্য জীবনসংগ্রাম হয় অনেক সোজা। তারা কেউই সাধারনত নিম্মবিত্ত শ্রেনীতে নেমে আসে না। অথচ নিম্মবিত্ত শ্রেনীতে যে শিশু জন্ম নেয়, জন্ম নেওয়াই হয়ে দাঁড়ায় তার আজন্ম পাপ। বিত্তবৈভব লাভের সম্ভাবনা তার জন্য খুবই ক্ষীন, মৌলিক অধিকারের জন্য যুদ্ধ করতে করতে একসময় তার প্রাণপ্রদীপ নিভে যায়। ৫ ওয়াক্ত নামায, কোরান তেলাওয়াত, রোজা, যাকাত, হজ্ব করার সময়/সামর্থ্য তার হাতে থাকে না। হয়ত তার ইচ্ছে থাকে, কিন্তু সময় থাকে না। অল্প কথায় বলতে গেলে বিনা প্রস্তুতিতে তাকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। পরীক্ষায় সে কত নম্বর(সওয়াব) পাবে? প্রতি বছর যে ব্যক্তি হজ্ব করে এবং যার হাতে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভগুলো মেনে চলার মত অঢেল সময় আছে, নিশ্চয় তার চেয়ে বেশি নম্বর অথবা সওয়াব পাবে না? কোনমতে যদি সে স্বর্গে আসন লাভ করতেও পারে, নিশ্চয়ই সে অতি উচ্চ আসন পাবে না? এখন কেউ কেউ বলতে পারেন, “গরীব, দুঃখীদের জন্য আল্লাহ একটু ঢিলে দিবেন”। এখানেও তো সমস্যা রয়ে যায়, আমরা তো পরীক্ষায় কখনও বিত্তবৈভবের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন করি না। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে যে ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় আর যে ছাত্র সারাদিন রিকসা চালিয়ে রাতের বেলা মোমবাতির আলোয় পড়াশুনা করে, তাদেরকে একইভাবে মূল্যায়ন করা হয়(বাস্তবতা হয়ত ভিন্ন, কিন্তু আসলে তো এমনই হওয়া উচিত)। গরীব বলে বেশি সুবিধা দেওয়া আর ধনী বলে বেশি কঠোর হলে ঈশ্বরের এই পরীক্ষা মোটেও সুষ্ঠু হবে না। অমুসলমানদের প্রশ্নটাও বিবেচনায় নেওয়া উচিত, কিন্তু অমুসলমানরা বেহেস্তে যেতে পারবে কিনা এ নিয়ে বহু বিতর্ক থাকায় সেই প্রসঙ্গে আর গেলাম না।
আরেকটা বিষয় বিবেচ্য যে মক্কা-মদীনায় যারা থাকে, তাদের জন্য জীবন নামক পরীক্ষাটা অতি সহজ। বিশেষ করে যারা হেটে হেটে কাবা কিংবা মসজিদে নববীতে সালাত আদায় করতে যান, তারা তো বলতে গেলে বই খুলে পরীক্ষা দিচ্ছেন! মুসলমানরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে মসজিদে নববীতে সালাত আদায় করলে সাধারণ সালাতের চেয়ে বেশি সওয়াব আদায় করা যায়। কাবা শরীফে সালাত আদায় করলে সওয়াব হয় আরও বেশি। তার উপর রমজান মাসে ওমরাহ করলে সওয়াব হয় একাধিক হজ্বের সমান। বিদায়ী জুমার নামাযটা কাবা কিংবা মসজিদে নববীতে আদায় করলে কত সওয়াব পাওয়া যাবে, সেই সমীকরণ বের করার দায়িত্ব পাঠকের হাতে ছেড়ে দিলাম। বলাই বাহুল্য, মক্কার একজন বাসিন্দা আর বাংলাদেশের অজপাড়াগাঁয়ের কোন অখ্যাত মসজিদের ইমাম পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়লেও মক্কাবাসীর সওয়াব বেশি হবে। অতঃপর, সে স্বর্গলাভের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে। আল্লাহ যদি কাউকে বিশেষ বিবেচনায় বেশি সওয়াব দেন, তাহলে অনিয়ম হবে। আল্লাহ যদি সবাইকে তাদের প্রাপ্য সওয়াব দেন, তাহলেও কিছু কিছু মানুষ সবসময় প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকবে। অথচ এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার সুযোগ সবাইকেই সমানভাবে দেওয়া উচিত ছিল।
ইসলাম ধর্মে নবী-রসূল বাদ দিলে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি বোধহয় একজন শহীদ। আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার নিয়ত অনেকেরই থাকে, কিন্তু সবাই কি যুদ্ধে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে? ধরুন, দেশে একটা ইসলামি জিহাদ অনুষ্ঠিত হল। সেই যুদ্ধে শক্ত-সমর্থ সব মুসলমান যোগদান করল, কিন্তু একজন বৃ্দ্ধ শাহাদাত গ্রহন করতে প্রস্তুত থাকলেও স্বাস্থ্যের কারণে যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে পারল না। সেই যুদ্ধে কয়েকজন যুবক শহীদ হল। তারা তো শহীদ হয়ে বলতে গেলে চিরতরে বেঁচে গেলেন, তাদের জন্য স্বর্গ অবধারিত। কিন্তু বৃ্দ্ধটি কি দোষ করল? তার নিয়তও তো একইরকম শক্ত ছিল। এখন কেউ যদি বলে যে আল্লাহ বৃ্দ্ধটিকে শহীদের সমান সওয়াব দিবেন, তাহলেও সমস্যা আছে। প্রথমত, জীবন নামক পরীক্ষায় যখনই আল্লাহ কাউকে বিশেষ বিবেচনায় নম্বর দিতে যাবেন তখনই তিনি অনিয়ম করে বসবেন। দ্বিতীয়ত, শহীদের সমান সওয়াব পাওয়ার পরও কিন্তু বৃ্দ্ধ মৃত্যুবরণ করেননি। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন এবাদত-বন্দেগী করে আরও সওয়াব কামাতে পারবেন। এদিক দিয়ে বেচারা শহীদরা দুর্ভাগ্যবান, তাদের জন্য তো বাড়তি সওয়াব কামানোর ফুরসত নেই!
আসলে জীবনকে একটি পরীক্ষা হিসেবে অভিহিত করলে প্রথমেই যে প্রশ্নটি আসে, তা হল- আল্লাহ তো ভবিষ্যত দেখতে পারেন, তাহলে এই পরীক্ষা নেওয়াটা অনর্থক না? এই প্রশ্নের জবাবে সর্বোৎকৃ্ষ্ট যে উত্তর হতে পারে তা হল “যাতে শেষ বিচারের দিন কেউ আল্লাহর কাছে অবিচারের অভিযোগ তুলতে না পারে”। ব্যাটার ধৃষ্টতা দেখুন, সৃষ্টিকর্তার বিচারবুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন! আসলে জীবনকে রঙ্গিন করতে বিশ্বাসীরা যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখলে খুব মায়া লাগে। সবাই মনে করে, “জীবন যেহেতু আছে, নিশ্চয়ই জীবনের একটা উদ্দেশ্যও আছে!”। আমরা আসলে ভুলে যাই যে উদ্দেশ্য শূন্য থেকে সৃষ্ট হয় না, আমরা নিজেরাই নিজেদের উদ্দেশ্য এবং গন্তব্য সৃষ্টি করে নিই। আপনি কি বর্তমানে উদ্দেশ্যহীনতায় ভুগছেন? এক কাজ করেন, এমন কোন ব্যক্তির জন্য অর্থ জোগাড় করেন যে তার চিকিৎসার ব্যয় জোগাড় করতে পারছে না। এই মুহুর্তে আমার একজন ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রীর কথা মনে পড়ছে যে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত, চিকিৎসার জন্য ৭০ লাখ টাকা লাগবে। মেয়েটি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে, জীবনের কিছু দেখতে পাওয়ার আগেই তার মৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে। তাকে জীবনের স্বাদ আস্বাদন করতে সাহায্য করুন। সারা জীবন এবাদত-বন্দেগী করে হয়ত বেহেস্ত লাভ করতে পারবেন, কিন্তু একটা মানুষের অমূল্য প্রাণও আপনি রক্ষা করতে পারবেন না। মানবসেবাকে যদি যুতসই উদ্দেশ্য মনে না হয়, তবে আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার জীবনের বর্তমান উদ্দেশ্য হল দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান অস্তিমান সবকিছুর জন্মরহস্য মৃত্যুর আগে জেনে যাওয়া। আমি হয়ত কখনওই এই গন্তব্যে পৌছুতে পারব না, কিন্তু আমি তো অন্তত বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমার একটি গন্তব্য আছে!
আসলে মহাবিশ্বের সৌন্দর্য্য উপলদ্ধি করার জন্য কোন ধর্মীয় চশমা লাগে না, কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই কিভাবে এই জগতসংসার গড়ে উঠেছে তা নিয়ে একটু চিন্তা করলেই এর সৌন্দর্য্য দেখা যায়। অনিকেত প্রান্তরে যদি একটা ফুল স্বতন্ত্রভাবে জন্ম নেয়, তবে তার মধ্যে একটু অন্যরকম সৌন্দর্য্য পরিলক্ষিত হয়। তবে ওই ফুলটি যদি কেউ ইচ্ছেকৃ্তভাবে রোপন করে, আমি তার মধ্যে কোন বিশেষত্ব দেখি না।
—-০—-
অসাধারণ একটি লেখা। এই বিশাল বিশ্বের কোনোকিছুর ব্যাখ্যাতেই ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই।
স্প্রেটারিং ছবিতে যেমন শিল্পীর কিছু করার থাকে না,রং নিজেই ছড়িয়ে পড়ে ছবি হয়-তেমনি
ঈশ্বর-আল্লাহ কিছু থেকে থাক’লেও তিনি নিষ্ক্রিয় দর্শক ছাড়া কিছু নন।অথচ এই জড়-ভরত ঈশ্বরকে নিয়েই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই,অর্থহীন রক্তপাত!
“Do not read to contradict and refute,
nor to believe and take it for granted,
but to weigh and consider.” – Kashif Ahmed Shahzada
@ফুয়াদ ভাই,
আপনার অনেক মন্তব্য দেখলাম। আমি ইসলামের নতুন ছাত্র। সল্প বিদ্যায় মন্তব্য করতে সাহস পাইনা। আপনাকে উপরের উপদেশ দেয়ার মুল কারন ছিল আতিক ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর। ভদ্রলোক আপনাকের কি প্রশ্ন করলেন আর আপনি কি উত্তর দিলেন। এই যদি ইসলামের ব্যাখ্যা হয় তাহলে আদৌ তর্কের প্রয়োজন আছে কিনা আপনি ভেবে দেখুন। ভাই সৎ চিন্তা নিয়ে আস্তিক হতে চাচ্ছি। এধরনের উত্তর আমাদের আরও হতাশ করে। আর প্রতিপক্ষ ভেবে উত্তর না দিয়ে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে উত্তর দিলে ভাল হয়। আপনার যুক্তি যদি সঠিক হয় সকল নাস্তিক আপনার যুক্তি মেনে নেবে। আর নাস্তিকরা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে অবিস্বাস করেনা। তারা শুধু সত্য জানার চেষ্টা করে।
@ফুয়াদ
ভাই, আল্লার সম্পর্কে যখন কিছু জানেনই না, তখন কোরানের অমানবিক, হাস্যকর বানীগুলো যে আল্লার খুবই পছন্দ এই ধারনা বা বিশ্বাস আপনার কিভাবে হল? আপনি হয়ত বলবেন যে এটা কোরানেই লেখা আছে আর আল্লার রাসুল মুহম্মদ সব কিছু আমাদের জানিয়ে গিয়েছেন।
আজকের যুগে যদি কেউ মুহাম্মদের মত দাবী করে আল্লাহর পয়গম্বর, তাহলে তার সম্পর্কে আপনি কি ভাববেন বলতে পারেন? ঠিক আমি আপনার মুহাম্মদ সম্পর্কে যা ভাবি ঠিক তাই।
যদি আল্লাহ সম্পর্কে ধারনা করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নাই হয়, তবে তার অযুহাতে একখানি ঐশী গ্রন্থের আমদনীর মাধ্যমে কিছু নিয়ম কানুনকে তার নিয়ম কানুন বলে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস কতটুকু গ্রহনযোগ্য?
আমি শুধু বলতে চাই যে কোন ধর্ম গ্রন্থের দাস না বনে নিজের সত্য সুন্দর বিবেকের (যা দিয়ে আপনার আল্লাহ আপনাকে সবার শ্রেষ্ঠ বানিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন) দাস বনে যান। এতে আপনার দৈত সত্তারও সৃষ্টি হবেনা, আর আপনার পৃথিবীও হবে অনেক বেশী সুন্দর। তাতে আপনার আল্লাহ রাগ না করে বরং খুশীই হবেন।স্বয়ং আল্লাহ যদি দেখেন যে, আপনি আপনার আল্লাহ প্রদত্ত শ্রেষ্ঠ সম্পদ বিবেকের দরজায় তালা মেরে, মনুষ্য সৃষ্ট ধর্মবই এর পূজো করছেন তখন তিনি তার এমন বেহুদা সৃষ্টির আফসোসে হয়ত পাথরে মাথা ঠুকে মরবেন।
@Mithoon,
আপনি বললেই তো হল না । আল্লাহ swt কে অনুভব করতে পারি , আপনি যা ইচ্ছা ভাবতে পারেন । কোরান তো আপনি বল্লেই মানুষ্য সৃষ্ঠি হইলো না । এ নিয়ে মুসলিম, নাস্থিক ব্যাপক যুক্তির ঝগরা বিবাদ হইতে ছে । নাস্থিক তাদের সিদ্ধান্তে পোছেছে, আর মুসলিম রা তাদের । So, Choice is yours and ours. We wanna God or not…………
@ফুয়াদ,
আল্লাহ আছে কি নেই এই অর্থহীন বিতর্কে না গিয়ে বলা যায় যে মিঠুন সাহেবের শেষ উপদেশ কিন্তু ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক না; আল্লাহ কি কোনদিন সূঃস্থ বিবেকের বিরুদ্ধে কিছু করতে বলেছেন? যাবতীয় সৃষ্টির যিনি স্রষ্টা তিনি কি কোনদিন মানুষকে বিবেকহীন কিছু করতে বলতে পারেন? ধর্ম অনুযায়ী জীবন চালাতে গিয়ে এ কথাটা মাথায় রাখলে দেখবেন আর কোন সমস্যা হচ্ছে না, পীর মাওলানা আলেম ওলামার কাছে আর ধর্মীয় বিধানের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। মানুষ তো তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এর বিবেকের জন্যই, তাই না?
অবশ্য আপনি যদি মনে করেন যে আপনার মনুষ্য বিবেক আপনাকে যা বলে তা ধর্মের সাথে মিলে না তাহলে ভিন্ন কথা। এ কথাটিকে ঘুরিয়ে বললে বলতে হয় যে আপনি যে ধর্মে বিশ্বাস করেন সে ধর্ম মানবিক নয়। কথাটা একটু ভেবে দেখবেন।
@আদিল মাহমুদ,
ভাই বলেন তো দেখি, হাকুলুখু খান মানুষ পিপরার মত{রাষ্ট্র বিবেক} মার লো । এটা আবার কোন বিবেক ?
আবার ধরুন বিবেক দ্বারা{অহংকারী বিবক} সাদা কলোকে ইচ্ছা মত মারল, ইটাও বিবেক ।
বিবক দ্বারা {ব্যবসায়ী বিবেক} diamond conflict লাগাইয়া, হিরা চুরি করা ।
কোন শিশুকে গ্রাম থেকে তুলেনিয়ে ধর্ম না করতে বাধ্য করাও বিবেক{চালাক বিবেক} ।
খঠিন হইলোগিয়া ধোকাবাজ বিবেক যেমন Sent পল , নিজেকে Christan দাবি কইরা খ্রিষ্ঠান ধর্মকে নষ্ঠ করল । তার বিবেক খুশি হইলো ।
@ফুয়াদ,
[আপনি বললেই তো হল না । আল্লাহ swt কে অনুভব করতে পারি , আপনি যা ইচ্ছা ভাবতে পারেন । ]
– আপনে এখন না পাইরা ‘অনুভব’ এ আইস্যা ঠেকছেন। কি আর করা। আপ্নের অনুভব হইলেই সেটা ঠিক হইবো তা তো নাও হইতে পারে। বহু পাগল আছে যারা মা কালীরে অনুভব করে কেউ শনছি আবার যীশুরে জ্যান্ত দেখতে পায় । তাই বইলা মা কালী তো সত্য হইয়া যাইবো না , নাকি যাইবো? ডাক্তারের কাছে লইলে কইবো – এরা মানসিক রোগি। হ্যালুশিনেশন হইতেছে। ওষুধ দিব রোগ সারানোর। আপ্নে সময় কইরা একটু চেক করাইয়া আসতে পারেন – সব কিছু ঠিক ঠাক আছে কিনা।
@রফিক,
বিষয়টি পারা বা না পারার, না । মিথুন ভাইয়ের {তার অযুহাতে একখানি ঐশী গ্রন্থের আমদনীর মাধ্যমে কিছু নিয়ম কানুনকে তার নিয়ম কানুন বলে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস কতটুকু গ্রহনযোগ্য} এইলেখার বিপরীতে লেখা । আর কিছু নয় , আপনি বিষয় গুলি যত সহজ ভাবতাছেন তত সহজ নয় ।
। হায়রে রফিক ভাই, আপনাদের খেলা তো পৃথিবী অনেক দেখছে যেমন বিবর্তনবাদী হিটলার, মুক্তমনা আলেকজেন্ডার, ধর্ম নিরপেক্ষ চেঙ্গিশ খান, নাস্থিক স্যটেলিন , কমিঊনিষ্ট মাও, নাস্থিকতার capital বার্লিনের 2 বিশ্ব যুদ্ধ , মানবতাবাদী অটেনহোমারের atom bomb, সিভিয়েট-আমেরিকার{নাস্থিক-সেকুলার} শক্তিপরীক্ষার গিনিপিগ Korea, Vietnam… etc নুতুন Georgia ইত্যাদি । আরকি বাকি রাখসেন ?
আমাদের {ধার্মিকদের} বলবেন কি ? না কি গোপন তথ্য ফাস হয়ে যাবে বলে বলেন না ।
সব জায়গায় ছোটমানুষের মত হারজিত ভাবিয়েন না ।
ধন্যবাদ
@ফুয়াদ,
আবারো ভাই আপনি আমাকে হতাশ করলেন। আমি বললাম কি আর আপনি শুরু করলেন কি!
আমি খুব সাধারণ একটা কথা আপনাকে বলতে চেয়েছিলাম। ধর্ম তো মানুষের কল্যানের জন্য এসেছে, তাই না? অন্তত যেকোন ধর্মের লোক তো এটা স্বীকার করবেন। তার মানে দাড়ায় ধর্ম কোনদিন আমাদের খারাপ বা অমানবিক কিছু করতে বলতে পারে না। তাই ধর্মের নামে আমানবিক বা বিবেখীন কিছু করার কোন বিধান কোথাও পেলে বা কেউ বললে তা যে কোন ধর্মের বাণী হতে পারে না এটা বোঝা খুব কঠিন কিছু না। শুধু দরকার নিজের স্বাধীন চিন্তা শক্তি, বিবেকের দরজা খোলা রাখা। মনে রাখতে হবে যে ধর্ম এসেছে মানুষের জন্য, মানুষ ধর্মের জন্য না।
আপনি যে প্রসংগ টেনেছেন তাতে একটূ আসি। আরো কাকেও দেখলাম কিছু কুখ্যাত নাস্তিকের লম্বা লিষ্ট দিয়েছেন। এটা আরেকটা অর্থহীন তর্ক। ইতিহাসে যেমন কুখ্যাত নাস্তিক ঘাতক আছে তেমনি আস্তিক ঘাতকও আছে। এতে কিছু প্রমান হয় না। ধার্মিকদের লড়াইয়ে এ পর্যন্ত বিশ্বে কত রক্ত ঝরেছে তার হিসেব কেউ দিতে পারবে?
১৯৫০ সালে পাকিস্তানে মাত্র কদিনে ৫০ হাজার কাদিয়ানীকে “সাচ্চা” মোসলমান বলে দাবীদার মৌদুদীপন্থীরা জবাই করেছিল। এখন কি বলা যায় যে ধর্মিক মানেই সব রক্তপিপাসু, নৃশংশ ঘাতক? তবে আমি তো বরং বলব যে আস্তিক নরঘাতরা আরো বেশী বিপদজনক।
কেন? কারন; নাস্তিক ষ্ট্যালিন বা পলপট গনহত্যা চালিয়েছে কোন ধর্মের দোহাই পেড়ে নয়, তারা ছিল স্রেফ বিবেকহীন। নরহত্যা তাদের কাছে পিপড়ে মারা থেকে বেশী কিছু ছিল না। অন্যদিকে আস্তিক (সাচ্চা মোসলমান বলে দাবীদার) ইয়াহিয়া খান বা সাদ্দাম হোসেন তাদের নিজে দেশের লাখ লাখ মানুষ মেরেছে ধর্মের দোহাই পেড়ে, এমনকি তারা তাদের নিজ ধর্মের ভাইদের পাইকারীভাবে মারতেও দ্বিধা করেনি। পার্থক্যটা বুঝলেন তো?
“god taking the exam”
what a subject to make debate.
may be i was expelled by god..
funny article and more fun from reply .. thanks to fuad
শ্রদ্ধেয় ফুয়াদ ভাই,
রাব্বুল আলামিন যদি আপনার মুক্ত মনায় লেখা মন্তব্য সমুহ দেখেন আপনি জাহান্নামের কোন আগুনে যে পরবেন আমি ভেবে কুল পাইনা। ভাই আল্লাহর ওয়াস্তে আপনি কোরান এবং সাধারন বিজ্ঞান ভাল ভাবে পড়ূন। প্লিস আমার অনুরুধটা অন্যভাবে নিবেন না।আপনার লেখা পরে মনে হয় মহান আল্লাহ রাব্বুলআলামীন আপনার যুক্তির দরজায় সীলগালা করে দিয়েছেন।এভাবে ইসলামের ক্ষতি করাটা কততুকু যৌক্তিক তা আমার মাথায় কাজ করেনা।
@rony,
Brother,
কেন বিষয়টি ব্যাক্ষা করে বলেন Pleas? May be I could wrong But If you have different idea, Could you tell me ? Please………..
ফুয়াদ ভাই,
একটা প্রশ্ন আনেকের কাছে করেছি কিন্তু যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর পাইনি। আপনাকে পেয়ে আশা জাগছে মনে।
আচ্ছা যে সব শিশুরা পাপ-পূন্যের জ্ঞান হবার আগেই মারা যায় তারাতো বিনা বিচারে বেহেস্তে যাবে তাই না ? মানে পরীক্ষা ছাড়াই।
আমরা যারা দুর্ভাগ্যক্রমে বেচে রইলাম এবং দোযখে যাবার সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে এখনও বেঁচে আছি তাদের প্রতিকি একটু আবিচার হয়ে গেল না?
যেহেতু জন্ম-মৃত্যুর ব্যাপারে আমাদের কোন হাত নেই আর বেহেস্তে যাওয়াটাই হচ্ছে মানব জীবনের চরম লক্ষ্য ফলে যা দেখছি আমরা ,একদল মানুষ শৈশবে মরে গিয়ে কোন রকম পরীক্ষা ছাড়াই পৌছে গেল জীবনের চরম লক্ষ্যে- কেবল মাত্র আল্লাহর ইচ্ছায়। জন্মান্ত্রবাদ ইসলাম ধর্মের অংশ হলেও নাহয় এর একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যেত। কিন্তু কেবল মাত্র আকাল মৃত্যুর মাধ্যমে বেহেস্তে যাবার সবচেয়ে সহজ সুযোগ থেকে বচ্ঞীত করার জন্য আমরা আল্লাহ রববুল আলামিনকে ছাড়া আর কাকে দায়ী করতে পারি?
এখন বাবা-মায়েদের কি উচিৎ না তাদের সন্তান্দের জ্ঞান বুদ্ধি হবার আগেই হত্যা করা ?হত্যার দায়ে তারা দোযখে গেলেও প্রানের চেয়ে প্রিয় সন্তানকে নিশ্চিৎ বেহেস্ত পাইয়ে দেবার মহান দায়িত্ব পালনের জন্য
সন্তানেরা যদি কৃ্তজ্ঞতা বসত বাবা-মাকে সংগে নিয়ে বেহেস্তে যাবার বায়না ধরে তবে স্ব-পরিবারে এমন বেহেস্তে যাবার সুযোগ হাতছাড়া করা আমাদের উচিৎ কিনা?
আমিন।
@Atiq,
কঠিন বলেছেন।
ফুয়াদের কাছ থেকে উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
@Atiq,
বুঝতে পেরেছি আপনার কথা, একটি ঘটনা শুনেন ঃ কোন একদিন এক মহিলা বলছিল আমি অনেক অপরাদ করেছি, আমার কি হবে । উত্তর আসল তুমি কি তোমার কোলের ছেলে কে আগুনে ফেলে দিতে পারবে, মহিলা বলল্ জীবন থাকতে না । তাহলে সবুর কর।
আল্লাহ Swt তার বান্দা ৯৯ গুন বেশী ভালাবাসেন, এটা আপনিও জানেন । অতএব ধইর্জ ধরেন । আল্লাহ swt বিচারের উপর বিশ্বাস রাখেন । বিন্দু পরিমান হিসাব ও বাতিল হবে না ।
@ফুয়াদ,
এইটা কি হইলো ভাই? আনেক আশানিয়া আপনার কাছে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে। ভেবেছিলাম এতদিনে পেয়েছি সেই ব্যাক্তি, যে পারবে এই আতৃপ্ত আত্মায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু হায় পেলাম উপদেশ।যাহা কিনা আতীব সস্তা- সবুর করো, পাবে।তাও আবার আখেরি সবুর। মৃত্যুর আগে উত্তর পাওয়ার কোন সুযোগ নাই।
ঠিক আছে ভাই,কি আর করা? আমার মত যাহাদের জানিবার ইচ্ছা প্রবল তাহাদের যেন একটু দ্রুত মৃত্যু হয়, দোয়া করেন।
@Atiq,
ভাই, আল্লাহ swt একজন যিনি উনার সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জানেন । আমরা এব্যাপারে কি বলতে পারি ।
আল্লাহ swt সর্ভোবোমত্ত আছে কওরে কিছু দিবার, এখানে কারও প্রশ্ন করর অধিকার নাই .
যাইহোক, যে সন্তান মারা গেল আল্লাহ swt র ইচ্ছায়, সহজে বেহেস্থে গেল, কারন হয়তো তার পূর্ববর্তী কেউ কোন একভাল কাজ করেছিল যাহা আল্লাহ খুব
পচ্ছন্দ হয়েছে । তাই তাকেও কিছু দিলেন, তার বংশধর কেও দিলেন ।
সত্ কর্ম কখনই মাটি হয়ে যায় না ।
{সন্তানেরা যদি কৃ্তজ্ঞতা বসত বাবা-মাকে সংগে নিয়ে বেহেস্তে যাবার বায়না ধরে তবে স্ব-পরিবারে এমন বেহেস্তে যাবার সুযোগ হাতছাড়া করা আমাদের উচিৎ কিনা}
আচ্ছা আপনি কি সরকার বাদী কেস বুঝেন । নিজের ছেলেমেয়ে খুন করলে তো তারাও মাফ দিতে পারবে না । So লাভ হবে না ।
আর নিজের সন্তান কে ইচ্ছা করলেও আপনি মারতে পারবেন না, কারন আল্লাহ swt যাকে জীবিত রাখেন, কেউ তাকে মারতে পারে না ।
আশাকরি আপনি উত্তর পেয়েছেন ।
@Atiq,
ভাই,
{আনেক আশানিয়া আপনার কাছে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে}
প্রতিভা কেন বল্লেন ভাই, আমার অজ্ঞানতা কে নিয়ে ঠাঠ্ঠা করেন । করেন এতেও যদি সামান্য কিছু আনন্দপান ………………………………..
@Atiq,
আতিক ভাই, আপনার আশার গুড়ে বালি। আমি অবশ্য এর থেকে ভাল কোন উত্তর আশা করিনি।
চমতকার বলেছেন ফুয়াদ ভাই।
মহান আল্লাহ্ নিশ্চয়ই সৃস্টির শ্রেষ্ঠ , চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিবৃত্তি তে সবার থেকে উত্তম কোন কিছু সৃষ্টির প্রয়াসের পরিক্রমায়, আপনার মত এক অতুলনীয়, বুদ্ধিমান, যুক্তিবাদী আজব এক জীবের সৃষ্টির সাফল্যে অতিশয় আনন্দিত।
আপনি নিশ্চয়ই আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক, যুক্তিবাদী মনের (যেসব অসামান্য গুনের প্রতিফলন মহান আল্লাহ তার সৃস্টির মধ্যে দেখতে চেয়েছিলেন) কারনে মহান আল্লার দরবারে প্রশংসিত এবং পুরস্কৃত হবেন।
আমীন।
@Atiq,
আতিক ভাই, মৃত্যুর সাথে সাথেও উত্তর পাবেন বলে মনে হয়না। কারন মৃত্যুর পরেও আপনাকে কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর হাসরের ময়দানে আপনার বিচার করা হবে। সেখানে আপনার যাবতীয় সংশয়ী, যুক্তবাদী চিন্তাচেতনার (যা সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব মানুষের জ্ঞানের বিকাশের প্রধান অন্তরায়!!!) জন্য আপনাকে দায়ী করা হবে আর শাস্তি স্বরুপ অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
সত্যি সুমহান আমাদের এই আল্লাহ, কোন সন্দেহ নেই। ঠিক আমাদের ধর্মের ধ্বজাবাহী ধর্ম রক্ষক, ধর্মগুরুদের আদর্শ প্রভুর মত, যারা যুগে যুগে মানব সভ্যতার বিকাশের মূল অন্তরায় এইসব স্বাধীন চিন্তা, মুক্তবুদ্ধির মানুষদের (শয়তান) কঠোর হস্তে দমন করতে চেয়েছে, অন্তরীন করে রেখেছে, পুড়িয়ে মেরেছে আর সভ্যতাকে করেছে মহিমান্বিত। মহান আল্লার অনুগত বান্দারাই যেখানে এইসব কাফের শয়তানদের বিচারে এতটা উদ্ধত সেখানে তাদের আল্লাহ swt এর বিচার এর ধরন বা স্বরুপ সম্পর্কে আমার ধারনার কোন অভাব নেই। এর জন্য অবশ্য আমাকে কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। এখনই ঢেড় বুঝতে পারছি।
য়াসলে ধর্মে বিজ্ঞান আবিষ্কারের চেষ্টা বা জোর করে চাপানোর দায় কিন্তু যারা গায়ের জোরে এ কাজটি করতে চান তাদের, ঈশ্বর বা আল্লাহ ক্কোথাও কিন্তু বলেননি যে কোরান বাইবেলের মধ্যেই যাবতীয় জ্ঞান বিজ্ঞান আছে, তাই আর কোন রকম বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়া এখান থেকেই সব পেয়ে যাবে।
জনাব পৃথিবী,
শুধুকি তাই নাকি, এই মহাবিশ্ব ছাড়াও আপনি বিশ্বজুড়ে এই মানব জাতি, তাদের ধ্যান-ধারনা, আচার-সংস্কৃতি, উপলব্ধি, প্রত্যাশা গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন, কি বিপুল বৈচিত্র্য তাতে! এই মানব জাতির বিবর্তনের ইতিহাসটাই বা কম কিসে! আজও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষেরা যে প্রকৃতির নান্দনিক সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে ক্রমাগত এই বিপুল বিষ্ময়কর ভান্ডারের রহস্য উন্মোচন করে চলেছেন সেও তো আরেক বিষ্ময়! সেখানে গাঁজাখুড়ি কোন ধর্মীয় কল্পকাহিনী কিংবা অনুমান নির্ভর আলোক সম্পাতের প্রয়োজন নেই। এযাবৎ প্রাপ্ত বৈঞ্জানিক তথ্য এবং সমীকরনেই প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর ব্যাক্ষ্যা পাওয়া সম্ভব। অদূর ভবিষ্যতে এসব ব্যাক্ষ্যার আপাতঃ সীমাবদ্ধতা দূর হয়ে যাবে এবং মহা বিশ্ব এর সৃষ্টিরহস্য উন্মোচিত হবেই।
বিশ্বাসীগনের ভক্তি গদগদ ভাব আমাকে যেমন অবাক করে তেমনি তাদের অসহায়ত্ত্ব আমাকে খুব পীড়িতও করে। গতকাল রোববারে আমার কাছে খৃষ্টীয় ধর্মপ্রচারক এক আমেরিকান যুগল এসেছিলেন। আধাঘন্টা ইনিয়ে বিনিয়ে যীশুখৃষ্টই যে বিশ্বের সকল প্রানীর একমাত্র উদ্ধার কর্তা তা প্রমানের চেষ্টা করলেন। সব শেষে জানতে চাইলেন যে, বাইবেল ঈশ্বর কর্তৃক মানব জাতির উদ্দ্যেশ্যে প্রদত্ত একটি গিফ্ট (gift), আমার কি মত? আমি বল্লাম, আমার মতামতটি না হয় পরে দিই, তার আগে আমার একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দরকার। আমি প্রশ্নটি করেছিলাম এই রকম, আপনাদের আমেরিকায় খৃষ্টধর্মের ইতিহাসটি কতো বছরের জানেন? অনেক ভেবে ভদ্রমহিলা বল্লেন, ২৫০/৩০০ বছরের বোধহয় হবে। আমি বল্লাম, নাহ, আরেকটু বেশী বোধহয় হবে। এই ধরুন প্রায় ৪০০ বছরের, ধরাযাক বৃটীশ পরিব্রাজক কলোম্বাসের ১৫৯২ সালে আমেরিকা আবিষ্কারের পরে। এতো সেই দিনের কথা। আমি জানতে চাইলাম, আচ্ছা আপনাদের ঈশ্বর কি আড়াইহাজার বছর আগে, মানে কলোম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের আগে আমেরিকা সম্পর্কে জানতেন না! তিনি এক ভূখন্ডের মানুষের পাপ হতে উদ্ধারে তৎপরতা চালালেন, আর আরেক ভূ-খন্ডের মানুষ গুলোকে পাত্তাই দিলেন না! নাকি আমেরিকার মানুষেরা ঈশ্বরের অতি প্রিয় বান্দা হিসেবে তখন তাঁর তখ্তের তলায় অবস্থান করতো? আমি তাদের আরো বল্লাম যে, দেখুন, আজকের একটি স্কুল পড়ুয়ার যে ঞ্জান আছে, আপনাদের ঈশ্বর কিংবা তাঁর পুত্রের তা ছিলোনা। কাজেই কিকরে বাইবেল কে আপনাদের কথিত ঈশ্বরের মানবজাতির প্রতি প্রদত্ত গিফ্ট হিসেবে বিবেচনা করা যায়? তারা বাইবেলের দু-চারটি পদ দিয়ে আমাকে আস্বস্থ করার ব্যার্থ চেষ্টা করে অবশেষে অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় বিদায় নিলেন। এইযে তখনকার তাদের অসহায়ত্ব! এখানেও কিন্তু এক অসীম ক্ষমতাবান প্রাকৃতিক ঈশ্বরের বিপুল বিষ্ময় ধরা পড়ে।
ডঃ অভিজিতের অনেক অনেক লেখা এই মুক্তমনা সাইটে রয়েছে, যেখানে আরো স্পষ্টভাবে বিষয়টিকে বিধৃত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ঈশ্বরের যে সরল সৌন্দর্য আর জটিল প্রকাশ, আর সেই জটিল প্রকাশের মধ্যেই রযেছে সৌন্দর্যের সরলতা, সে বিষ্ময় আমাকে অভিভূত করে! সার্ন এর লার্জ হেড্রন কলাইডারের সর্ব্বশেষ আপডেটটির জন্যে এই সেদিনো মুখিয়ে থাকতাম। এখনো আপেক্ষা করি!
বেদনাপ্লুত হই যখন দেখি সেই কথিত বিশ্বাসীরা তাদের বিশ্বাসের ধ্বজা মাথায় নিয়ে বিশ্বময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, করছে খুনো-খুনি, কুট-কাচালী, হিংসে-বিবাদ-ধ্বংস! ওদের মাঝে মানবতাবোধের এতোটুকুও আর বোধ করি অবশিষ্ট নেই! তাই প্রকৃতির সরল সৌন্দর্যই এখন বিশ্বমানবের চোখে পৌঁছে দেয়াই হোক সকলের ব্রত।
@Keshab K. Adhikary, আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে বন্যা আহমেদের “বিবর্তনের পথ ধরে” বইটি পড়ে বিবর্তনের সৌন্দর্য্য প্রথমবারের মত উপলদ্ধি করেছিলাম। বিবর্তনবাদের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না, এর সৌন্দর্য্যই আমাকে বদলে দিয়েছে। সেই কাহিনী নিয়ে ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছে আছে।
অসাধারণ একটি লেখা। এই বিশাল বিশ্বের কোনোকিছুর ব্যাখ্যাতেই ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই।
স্প্রেটারিং ছবিতে যেমন শিল্পীর কিছু করার থাকে না,রং নিজেই ছড়িয়ে পড়ে ছবি হয়-তেমনি
ঈশ্বর-আল্লাহ কিছু থেকে থাক’লেও তিনি নিষ্ক্রিয় দর্শক ছাড়া কিছু নন।অথচ এই জড়-ভরত ঈশ্বরকে নিয়েই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই,অর্থহীন রক্তপাত!
কিন্তু আল্লাহর বিবেচনা এরূপ হবে না । হবে।
আবার কারও অক্ষমতা আল্লাহর জানা আছে হবে।
{সমাজে যারা উচ্চবিত্ত শ্রেনীর পরিবারে জন্মগ্রহন করে, তাদের জন্য জীবনসংগ্রাম হয় অনেক সোজা। তারা কেউই সাধারনত নিম্মবিত্ত শ্রেনীতে নেমে আসে না। অথচ নিম্মবিত্ত শ্রেনীতে যে শিশু জন্ম নেয়, জন্ম নেওয়াই হয়ে দাঁড়ায় তার আজন্ম পাপ।}
জীবন সংগ্রাম ই শুধু পরীক্ষা না, আরও পরীক্ষা হল জীবনে আপনি কতটুকু ইশ্বর কে মনে করলেন । তার দেওয়া সম্পদ কিভাবে use করলেন ? তার দেওয়া প্রতিবেশীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করলেন । প্রতিটি ভাল কাজের পুরুষ্কার পাবে, জ্ঞান এবং বুঝা অনুষারে, মাএ পার্থক্য হবে ।
প্রশ্ন পএ এক হবে কেন, ভিন্ন মানুষ কে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন । কারও অনেক সম্পদ দিয়ে , কারও না দিয়ে, কারও বা মধ্যবৃত্তক করে ।
আবুজর গীফারী রঃ, হজরত বেলাল রঃ , সালমান ফারসী রঃ তারা কি দরিদ্র ছিলেন না, দরিদ্র পাপ হয় কিভাবে ? আবু জর গীফার র জীবনি পরেন কি দরিদ্র হয়ে ছিলেন উনার মৃত্যুর সময় ।
এক ব্যক্তি কাঠ মেস্থ্র , কাঠের কাজ করে , হজুর দেখে আফসুস করে , হায় আমি তার মত পারলাম না । কিন্তু দেখা যায়, ঐ হুজুরের আগেই আছে ।
কথা হচ্ছে আপনার মনের মত পার করবেন নাকি আল্লাহ উদ্দেশ্য করে রাখবেন ।
{৫ ওয়াক্ত নামায, কোরান তেলাওয়াত, রোজা, যাকাত, হজ্ব করার সময়/সামর্থ্য তার হাতে থাকে না। হয়ত তার ইচ্ছে থাকে, কিন্তু সময় থাকে না। অল্প কথায় বলতে গেলে বিনা প্রস্তুতিতে তাকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে}
আপনি কি মনে করেন সাধ্যের বাহিরে আল্লাহ swt করো প্রতি বেশী চাপাবে ন ?
{পরীক্ষায় সে কত নম্বর(সওয়াব) পাবে? প্রতি বছর যে ব্যক্তি হজ্ব করে এবং যার হাতে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভগুলো মেনে চলার মত অঢেল সময় আছে, নিশ্চয় তার চেয়ে বেশি নম্বর অথবা সওয়াব পাবে না? কোনমতে যদি সে স্বর্গে আসন লাভ করতেও পারে, নিশ্চয়ই সে অতি উচ্চ আসন পাবে না? এখন কেউ কেউ বলতে পারেন, “গরীব, দুঃখীদের জন্য আল্লাহ একটু ঢিলে দিবেন”। এখানেও তো সমস্যা রয়ে যায়, আমরা তো পরীক্ষায় কখনও বিত্তবৈভবের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন করি না। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে যে ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় আর যে ছাত্র সারাদিন রিকসা চালিয়ে রাতের বেলা মোমবাতির আলোয় পড়াশুনা করে, তাদেরকে একইভাবে মূল্যায়ন করা হয়(বাস্তবতা হয়ত ভিন্ন, কিন্তু আসলে তো এমনই হওয়া উচিত)। গরীব বলে বেশি সুবিধা দেওয়া আর ধনী বলে বেশি কঠোর হলে ঈশ্বরের এই পরীক্ষা মোটেও সুষ্ঠু হবে না}
ভাই , আল্লাহ swt একজন যিনি সুক্ষ বিচার করতে পারেন, মানুষ না । মানুষের ভুল থাকেই । আপনি কি আমাদের পরীক্ষা কে 100 % শুধ্দ মনে করেন ? অনেক ভাল ছাএ রেজাল্ট খারাপ করে, তাই নয় কি ? অনেকে প্রকৃত রেজালট পায় না, কিন্তু বিবেচনা এরূপ হবে না ।
{আরেকটা বিষয় বিবেচ্য যে মক্কা-মদীনায় যারা থাকে, তাদের জন্য জীবন নামক পরীক্ষাটা অতি সহজ। বিশেষ করে যারা হেটে হেটে কাবা কিংবা মসজিদে নববীতে সালাত আদায় করতে যান, তারা তো বলতে গেলে বই খুলে পরীক্ষা দিচ্ছেন! মুসলমানরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে মসজিদে নববীতে সালাত আদায় করলে সাধারণ সালাতের চেয়ে বেশি সওয়াব আদায় করা যায়। কাবা শরীফে সালাত আদায় করলে সওয়াব হয় আরও বেশি। তার উপর রমজান মাসে ওমরাহ করলে সওয়াব হয় একাধিক হজ্বের সমান। বিদায়ী জুমার নামাযটা কাবা কিংবা মসজিদে নববীতে আদায় করলে কত সওয়াব পাওয়া যাবে, সেই সমীকরণ বের করার দায়িত্ব পাঠকের হাতে ছেড়ে দিলাম। বলাই বাহুল্য, মক্কার একজন বাসিন্দা আর বাংলাদেশের অজপাড়াগাঁয়ের কোন অখ্যাত মসজিদের ইমাম পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়লেও মক্কাবাসীর সওয়াব বেশি হবে। অতঃপর, সে স্বর্গলাভের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে। আল্লাহ যদি কাউকে বিশেষ বিবেচনায় বেশি সওয়াব দেন, তাহলে অনিয়ম হবে। আল্লাহ যদি সবাইকে তাদের প্রাপ্য সওয়াব দেন, তাহলেও কিছু কিছু মানুষ সবসময় প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকবে। অথচ এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার সুযোগ সবাইকেই সমানভাবে দেওয়া উচিত ছিল।}
হায়রে, এটা কেন ভুঝেন না, কোন সময় একরাকাত নামাজ পড়লে বেহেস্থে যাবে, কোন সময় এক অয়াক্ত নামাজ না পড়লে দোজকে যাবে । পারিপার্শিক আবস্থা অনেক বড় বিষয় ।
{ইসলাম ধর্মে নবী-রসূল বাদ দিলে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি বোধহয় একজন শহীদ। আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার নিয়ত অনেকেরই থাকে, কিন্তু সবাই কি যুদ্ধে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে? ধরুন, দেশে একটা ইসলামি জিহাদ অনুষ্ঠিত হল। সেই যুদ্ধে শক্ত-সমর্থ সব মুসলমান যোগদান করল, কিন্তু একজন বৃ্দ্ধ শাহাদাত গ্রহন করতে প্রস্তুত থাকলেও স্বাস্থ্যের কারণে যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে পারল না। সেই যুদ্ধে কয়েকজন যুবক শহীদ হল। তারা তো শহীদ হয়ে বলতে গেলে চিরতরে বেঁচে গেলেন, তাদের জন্য স্বর্গ অবধারিত। কিন্তু বৃ্দ্ধটি কি দোষ করল? তার নিয়তও তো একইরকম শক্ত ছিল। এখন কেউ যদি বলে যে আল্লাহ বৃ্দ্ধটিকে শহীদের সমান সওয়াব দিবেন, তাহলেও সমস্যা আছে। প্রথমত, জীবন নামক পরীক্ষায় যখনই আল্লাহ কাউকে বিশেষ বিবেচনায় নম্বর দিতে যাবেন তখনই তিনি অনিয়ম করে বসবেন। দ্বিতীয়ত, শহীদের সমান সওয়াব পাওয়ার পরও কিন্তু বৃ্দ্ধ মৃত্যুবরণ করেননি। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন এবাদত-বন্দেগী করে আরও সওয়াব কামাতে পারবেন। এদিক দিয়ে বেচারা শহীদরা দুর্ভাগ্যবান, তাদের জন্য তো বাড়তি সওয়াব কামানোর ফুরসত নেই}
বৃদ্ধ ইনটেনশন অনুষারে পাবে আল্লাহ তার হৃদয় দেখবেন । নিয়ত করর্লেই একটি ছওয়াব হয়, বাস্তবায়নে দুইটি । আবার কারও অক্ষমতা আল্লাহর । ঐ ছওয়াব গুলোর ওজন সমান নয় । আরও বিষয় আছে যে গুলো মানুষ এখন ও যানে না, ঐ হিসব গুলো আল্লাহ করবেন । X=y2 +25Oa+ya-300b+100c+abc+………y=adfgghhj +100+…..হইলেও আল্লাহ swt সমাধান করতে পারবেন । সর্বশক্তিমান বিশ্বাস করতে পারলে, উনার বিচার কেও বিশ্বাস করতে পারবেন ।
Anyway, আল্লাহ swt যেন আপনার ভাল কাজ গুলো কবুল করেন, যে আপনি অশহায় MaNUSH কে সহযোগিতা করেন ।
{আসলে মহাবিশ্বের সৌন্দর্য্য উপলদ্ধি করার জন্য কোন ধর্মীয় চশমা লাগে না, কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই কিভাবে এই জগতসংসার গড়ে উঠেছে তা নিয়ে একটু চিন্তা করলেই এর সৌন্দর্য্য দেখা যায়। অনিকেত প্রান্তরে যদি একটা ফুল স্বতন্ত্রভাবে জন্ম নেয়, তবে তার মধ্যে একটু অন্যরকম সৌন্দর্য্য পরিলক্ষিত হয়। তবে ওই ফুলটি যদি কেউ ইচ্ছেকৃ্তভাবে রোপন করে, আমি তার মধ্যে কোন বিশেষত্ব দেখি না।}
কন্তু আমিদেখি একব্যক্তি যত্মসহ করে পরাঘায়ন করেছেন , একটি CELL থেকে গড়ে তুলেছেন , যার প্রতিটি অংশ এক একটি মহাকাব্য । যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ SWT র ।
@ফুয়াদ,
আপনি যত বেশি লিখে চলেছেন, তত লেখায় বেশি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এই সাইটে। নিজের লেখা উপর থেকে নীচে পড়েন – নিজেই আগামাথা পাবেন না। আপনি ‘পরাঘায়ন’ আর CELL নিয়ে আবেগে ভাইস্যা ভাইস্যা যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ SWT র নামে চালান না কেন, প্রকৃতির সবগুলা রহস্য বিজ্ঞানীরাই বাইর করতেছে। তারা সেইগুলা করতেছে কোরানের কোন আয়াত সুরা না জাইনাই। ইন্টারনেট আবিস্কারের জন্য বিজ্ঞানী গো কোরানের কাছে জাইতে হয় নাই। ইন্টারনেট আবিস্কারের পর সেইটারে ব্যবহার কইরা আপ্নেরা পারেন খালি গার্বেজ প্রডিউস করতে আর জিকির করতে। যত ইচ্ছা আল্লাহ আল্লাহ করেন, খালি মনে রাইখেন যে, বিজ্ঞান আজকে এতদূর না আসলে কি-বোর্ডের বোতাম টিপা হাবি জাবি লেখনের সুযোগ পাইতেন না। আল্লাহ মালিক।
হে আল্লাহ তুমি অসীম ক্ষমতাবান, এত কিছু পার – খালি ফুয়াদ সাহেবের মাথার ভিতর একটু বুদ্ধি সুদ্ধি দিবার পার না ক্যান?
খুবই চমৎকার লাগলো আপনার এই উক্তিটি পড়ে। মহাবিশ্বের অনুপম সৌন্দর্যে আপ্লুত হন অনেকেই, সেই সৌন্দর্যই প্রকাশ পায় মানবতাবাদীদের কাছে ‘মানব বা মনুষ্য ধর্ম’ হিসেবে, রবীনদ্রনাথের কাছে ‘অতি মানবীয়তা’ হিসেবে , আর আইনস্টাইন যাকে বলেন – কসমিক রিলিজিয়ন বা মহাজাগতিক ধর্ম। একজন সার্থক কবির মতই বিজ্ঞানীরা আপ্লুত হন ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণের সরলতায়, তাপবলবিদ্যার দ্বিতীয় নিয়মের চমৎকারিত্বে, কখনোবা ব্ল্যাক হোলের মহাপ্রহেলিকায়। এই সৌন্দর্যই তাদের কাছে উঠে আসে এক ধরণের ‘নান্দনিক ধর্মানুভূতি’ হিসবে। আইনস্টাইনের এই অনুভূতিই প্রকাশ পেয়েছে তার একটি অনুপম উক্তিতে –
“আমি ব্যক্তি ঈশ্বরের কল্পনা করতে চাইনা; আমরা আমাদের অসম্পূর্ণ ইন্দ্রিয়ের সহায়তায় যে মহাবিশ্বের গড়ন এখন পর্যন্ত সম্যক বুঝতে পেরেছি এতেই শ্রদ্ধামিশ্রিত ভয়ে আমরা আপ্লুত।”
মুক্তমনার ই-বুক ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম : সংঘাত নাকি সমন্বয়?’-এ এই মহাজাগতিক ধর্ম নিয়ে বেশ কিছু ভাল লেখা সন্নিবেশিত হয়েছে প্রথম অধ্যায়ে। পড়ে দেখতে পারেন। আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।