পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে যারা প্রথম জীবন এবং এর অর্থ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম এরভিন শ্র্যোডিঙার। তার “What is Life?” নামক বইটি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা বিজ্ঞান গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। এই বইটিই প্রথম দিককার জৈব-পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে শ্র্যোডিঙারের নাম স্মরণীয় করে রেখেছে। বইটি পড়ে অনেক পদার্থবিজ্ঞানী জীববিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সেই আকর্ষণের সূত্র ধরেই একসময় ডিএনএ’র গঠন আবিষ্কৃত হয়। ডিএনএ’র গঠনের অন্যতম আবিষ্কারক ফ্রান্সিস ক্রিকের মতে, এই বইটি প্রকৃত ডিএনএ আবিষ্কারের আগেই তাত্ত্বিক পর্যায়ে ব্যাখ্যা করেছিল, কিভাবে মানবদেহে জেনেটিক স্টোরেজ কাজ করতে পারে। এ কারণেই “হোয়াট ইজ লাইফ?” বইটি ছিল ডিএনএ গবেষকদের প্রেরণার প্রাথমিক উৎস। “জীবন কি?” শিরোনামে বইটির বঙ্গানুবাদ শুরু করলাম। ১৯৪ পৃষ্ঠার বইয়ের পূর্ণ অনুবাদ করার ইচ্ছা আছে।

এরভিন শ্র্যোডিঙার-এর “What is Life?” গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ। ১৯৪৪ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
বইটির পুরো নাম “What is life? The Physical Aspect of the Living Cell.”
১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজস্থিত “ডাবলিন ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ”-এ শ্র্যোডিঙার কিছু বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই বক্তৃতাগুলোর উপর ভিত্তি করেই বইটি রচিত হয়েছে।
শ্র্যোডিঙার বইটি তার বাবা-মাকে উৎসর্গ করেছেন।

ভূমিকা

একজন বিজ্ঞানীর অবশ্যই কোন একটি বিষয়ে পরিপূর্ণ এবং স্বচ্ছ জ্ঞান থাকা উচিত; প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত যে জ্ঞানের ভিত্তিতে তিনি কথা বলবেন। কোন বিজ্ঞানীরই এমন কোন বিষয়ে বিশদ কিছু লেখা উচিত নয়, যে বিষয়ে তিনি অভিজ্ঞ নন। উচ্চ মর্যাদার উচ্চ দায়িত্বের খাতিরেই তাকে এমনটি করতে হয়। কিন্তু, এখনকার জন্য আমি এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছি, এবং এই বাধ্যবাধকতা থেকেও নিজেকে জোরপূর্বক মুক্ত করে নিচ্ছি। কারণ হিসেবে আমি বলতে চাই: একটি সামগ্রিক এবং সর্বব্যাপী জ্ঞানের প্রতি আমাদের বিশেষ কৌতূহল রয়েছে যা উত্তরাধিকার সূত্রেই আমরা লাভ করেছি। অতি প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে আমরা কেবল সর্বজনীন বিষয়গুলোকেই সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে এসেছি। অতীতের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোর নাম দেখলেই বোঝা যায়, সর্বজনীন জ্ঞান কতোটা প্রভাব বিস্তার করে ছিল। কিন্তু, গত কয়েক শতাব্দী জুড়ে জ্ঞানের বিপুল সংখ্যক শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হওয়ায় এক সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জ্ঞানের সকল বিভাগের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা অর্জনের মতো নির্ভরযোগ্য মাপকাঠিও আমরা সম্প্রতি অর্জন করতে শুরু করেছি। অন্য দিকে, একজন ব্যক্তির পক্ষে এই সবগুলো বিভাগের ধারণা লাভ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একজন বিশাল এই জ্ঞানভাণ্ডারের একটি ক্ষুদ্র অংশেই কেবল বিচরণ করতে পারে। এই জগাখিচুরি পাকানো পরিস্থিতিকে সরল করার একটা আনাড়ি উপায় হতে পারে, কেবল তত্ত্ব এবং বাস্তব তথ্যের সমাহার নিয়ে গবেষণা করা। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের তত্ত্ব এবং তথ্যগুলোকে একসাথে করার কাজ করে যাবেন। কিন্তু এতেও আছে ঝামেলা, কারণ অনেকগুলো বিষয়েই তার জ্ঞান থাকবে অপক্ক পর্যায়ের। এহেন পরিস্থিতিতে আমার আসলেই কিছু করার নেই। আর আমার এই বক্তৃতার প্রসঙ্গ উঠলে আবার বলতে হয়, এই মাত্র বলা সমস্যাগুলোর সাথে যুক্ত হচ্ছে ভাষার সমস্যা। যে কেউ তার মাতৃভাষায় কথা বলতে সবচেয়ে সাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন। মাতৃভাষার বদলে অন্য যেকোন ভাষায় বক্তৃতা দিতে বললে অস্বস্তি বোধ করাটাই খুব স্বাভাবিক।

আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি ডঃ ইংকস্টার (ট্রিনিটি কলেজ, ডাবলিন), ডঃ প্যাডরেইগ ব্রাউন (সেন্ট প্যাট্রিক্‌স কলেজ, মেইনুথ) এবং জনাব এস সি রবার্টস এর প্রতি। তারা সবাই আমার এই ভিনদেশী ভাষার বক্তৃতাকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন। বক্তৃতা দেয়ার ক্ষেত্রে আমার নিজস্ব কিছু ভঙ্গিও পরিবর্তন করতে হয়েছে তাদের পরামর্শে। প্রথম দিকে এই ভঙ্গিগুলোর পরিবর্তনে আমার বিশেষ গরজ ছিল না। তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার পুরনো স্বভাব ত্যাগ করতে পারিনি। সে সীমাবদ্ধতার দায় আমারই, আমার এ বন্ধুদের কারো নয়। বিভিন্ন অনুচ্ছেদের শিরোনামগুলো প্রকৃতপক্ষে ঐ অনুচ্ছেদের সারাংশ হিসেবে কাজ করেছে। শিরোনাম দিয়ে অনুচ্ছেদ ভাগ করার কোন অভিপ্রায় আমার ছিল না। সব অধ্যায়ের লেখাগুলো আসলে একইসাথে পড়া উচিত।

এরভিন শ্র্যোডিঙার
ডাবলিন সেপ্টেম্বর ১৯৪৪

Homo liber nulla de re minus quam de morte cogitat; et ejus sapientia non mortis sed vitae meditatio est. – স্পিনোজার “এথিক্‌স”, খণ্ড ৪, প্রস্তাবনা ৬৭
অর্থঃ একজন স্বাধীন মানুষ কোন কিছু নিয়েই মৃত্যুর চেয়ে বেশী ভাবে না; অথচ তার প্রজ্ঞা জীবনের ধ্যান করার জন্য, মৃত্যুর ধ্যানের জন্য নয়।

অধ্যায় ১
এ বিষয়ে চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিভঙ্গি

এক তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী (এরভিন শ্র্যোডিঙার নিজেই) প্রায় চার’শ শ্রোতার উদ্দেশ্যে ধারাবাহিকভাবে কিছু বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই বক্তৃতার কথাগুলো নিয়েই বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। বক্তৃতাগুলোকে জনপ্রিয় বিজ্ঞানের পর্যায়ে ফেলা যায় না, আবার জটিল বৈজ্ঞানিক সমীকরণের কাতারেও ফেলা যায় না। আগেই শ্রোতাদের বলে দেয়া হয়েছিল, পদার্থবিজ্ঞানীদের সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র তথা সমীকরণের ব্যবহার খুব একটা না থাকলেও এই বক্তৃতামালাকে জনপ্রিয় বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে না। দর্শক-শ্রোতার সংখ্যা প্রতিটি বক্তৃতায়ই আশানুরূপ ছিল। সমীকরণ ব্যবহার করা হয়নি বলে আবার এটা ভাবা যাবে না, বিষয়টা এতোই সোজা যে কোন সমীকরণই লাগে না। বরং বিষয়টাই এমন যে গণিত তার পুরোটা ব্যাখ্যা করতে পারে না। আরেকটি বিষয় বক্তৃতাগুলোর জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি হল: বক্তা প্রথম থেকেই পদার্থবিজ্ঞানী এবং জীববিজ্ঞানী সবার কাছে এমন একটি মৌলিক ধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন যা পদার্থবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞানের মধ্যেই দোদুল্যমান। অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও এই বক্তৃতার মূল উদ্দেশ্য ছিল কেবল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর বিষয়ে সবাইকে জ্ঞাত করা। চলার পথে যেন পিছলে যেতে না হয়, সেজন্য প্রথমেই আমাদের পরিকল্পনা সম্বন্ধে সাধারণ কিছু কথা বলে নেয়া উচিত।

অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল: একটি জীবিত সত্তার স্থানিক সীমার স্থান-কালের মধ্যে সংঘটিত ঘটনাগুলোকে পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন দিয়ে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?
এই ছোট্ট বইটি এই প্রশ্নের যে উত্তর প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে তার সারকথা হল: বর্তমানে এই ঘটনাগুলোকে পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না, তাই বলে এটা মনে করার কোন কারণ নেই যে, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের মাধ্যমে ঘটনাগুলোকে ব্যাখ্যা করা যায় না।

পরিসাংখ্যিক পদার্থবিজ্ঞান (ভৌত গঠনসমূহের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য)

অতীতে যা আমরা অর্জন করতে পারিনি ভবিষ্যতে তা অর্জনের স্পৃহাকে জাগিয়ে তোলাই যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আমার উপর্যুক্ত মন্তব্যটিকে বেশ নগণ্য মনে হতে পারে। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞানের এই ব্যর্থতাকে যখন সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় তখনই বোঝা যায়, এই আশাবাদী মন্তব্যটি কত ইতিবাচক। গত ত্রিশ-চল্লিশ বছরে জীববিজ্ঞানী বিশেষত জিনতত্ত্ববিদদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে আজ আমরা জীবদেহের প্রকৃত গাঠনিক পদার্থ সম্বন্ধে জানত পেরেছি। সেই সাথে একটি জীবিত সত্তার স্থানিক সীমার স্থান-কালে সংঘটিত ঘটনাগুলোকে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন দিয়ে কেন ব্যাখ্যা করা যায় না তাও জানতে পেরেছি। পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদরা এতোদিন পরমাণুর যে ধরণের সজ্জা নিয়ে তাত্ত্বিক পর্যায়ে গবেষণা করেছেন তা এক ধরণের, আর জীবদেহের প্রধান অঙ্গসমূহে পরমাণুর সজ্জা এবং এসব সজ্জার মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টি একেবারে ভিন্ন ধরণের। যে পার্থক্যটিকে এতো প্রকটভাবে উপস্থাপন করলাম তা-ই আবার কারো কাছে সামান্য মনে হতে পারে, যদি তিনি পদার্থবিজ্ঞানী না হন এবং পরিসংখ্যান সম্বন্ধে ধারণা রাখেন। কারণ তিনি জেনে থাকবেন, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের সূত্রগুলো আদতেই পরিসংখ্যান ভিত্তিক।

আমরা তথা পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদরা নিজেদের গবেষণাগারে এতোদিন যে ধরণের গবেষণা করে এসেছি তা থেকে জীবদেহের প্রধান অঙ্গগুলোর গঠন এতো পৃথক কেন, এই সমস্যাটির সাথে পরিসংখ্যানের নিবিঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আসলেই তো, যে ব্যবস্থার জন্য আমরা সূত্রগুলো আবিষ্কার করেছি সেগুলোই একেবারে ভিন্ন একটি ব্যবস্থায় একই রকম ফলাফল প্রদর্শন করবে, এমনটি ভাবা ঠিক নয়। তার পরও সমস্যা রয়েছে। এতোক্ষণ আমি দুই ভিন্ন ব্যবস্থার “পরিসাংখ্যিক গঠনে” যে পার্থক্যের কথা বিমূর্তভাবে বলে গেলাম তা পদার্থবিজ্ঞানী নন এমন কারো পক্ষেই সহজে বুঝে নেয়া সম্ভব নয়।

একটা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলছি। এখানে কেবল স্থূল অর্থে উদাহরণ টানছি, বিস্তারিত পরবর্তীতে আসবে। একটি জীবিত কোষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ক্রোমোজোম তন্তু। এই ক্রোমোজোম তন্তুকে “অনাবর্তী কেলাস” (Aperiodic crystal) (১) বলা যেতে পারে, অন্তত এমনটি বললেই তাকে মানায়। পদার্থবিজ্ঞানে এতোদিন আমরা কেবল পর্যাবৃত্ত কেলাস নিয়েই গবেষণা করে আসছি। একজন নিবেদিত পদার্থবিজ্ঞানীর কাছে এই বস্তুগুলো খুবই জটিল এবং চমৎকার। এগুলো বিশ্বজগতের অন্যতম বিস্ময়কর এবং জটিল ভৌত গঠনের সৃষ্টি করে। আর এগুলোর মাধ্যমেই নিষ্প্রাণ এই প্রকৃতি তার জটিল প্রাণের ধাঁধাময় বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। অথচ অনাবর্তী কেলাসের তুলনায় পর্যাবৃত্ত কেলাসকে সরল এবং খুব সাধারণই বলতে হবে। এই দুই কেলাসের মধ্যের পার্থক্যটিকে একটি সাধারণ ওয়ালপেপার এবং রাফায়েলের ট্যাপেস্ট্রির মত যুগান্তকারী শিল্পের পার্থক্যের মাধ্যমে তুলে ধরা যায়। সাধারণ ওয়ালপেপারে একই ধরণের গড়ন একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ব্যবহৃত হতে থাকে। কিন্তু রাফায়েলের ট্যাপেস্ট্রির মত জটিল এমব্রয়ডারিতে এরকম নিরস উনরাবৃত্তির অবকাশ নেই, বরং এর প্রতিটি অংশ স্বকীয় এবং অর্থবহ। পদার্থবিজ্ঞানীদের গবেষণায় কিন্তু পর্যাবৃত্ত কেলাসের গঠনই সবচেয়ে জটিল। কিন্তু জৈব রসায়নের কথা তুললে সে জটিলতা কিছুই না। জটিল থেকে জটিলতর জৈব অণু নিয়ে গবেষণা করতে থাকায় বর্তমানে জৈব রসায়ন অনাবর্তী কেলাসের ধর্ম বোঝার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। আর আমার মতে এই অনাবর্তী কেলাসই হল জীবনের বাহক। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আমি এই ভেবে খানিকটা বিস্মিত হই যে, এই বিষয়ে জৈব রসায়নবিদরা যেখানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন এবং জীবন সমস্যার প্রায় সমাধান করে ফেলেছেন সেখানে পদার্থবিজ্ঞানীদের এ বিষয়ে কোন অবদান নেই বললেই চলে।

*****
অনুবাদকের কথা
(১) ক্রোমোসোমের মধ্যে এমন কি থাকে যা জীবনের জটিল তথ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে যায়? এই প্রশ্নের কোন নির্দিষ্ট উত্তর তখন কারও জানা ছিল না। তাই শ্র্যোডিঙার পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ কেলাসের বাইরে অনাবর্তী কেলাস তথা অ্যাপিরিয়ডিক ক্রিস্টাল নামে একটি অণুর ভবিষ্যৎবাণী করেন। একেই বলেন জীবনের বাহক। এই ভবিষ্যৎবাণীর প্রায় ১০ বছর পর ডিএনএ অণু আবিষ্কৃত হয়। শ্র্যোডিঙারের অনাবর্তী কেলাস নয়, প্রকৃতপক্ষে ডিএনএ হল জীবনের বাহক। কিন্তু, শ্র্যোডিঙারের এই কেলাসকে একটি সফল ভবিষ্যৎবাণী বলা হয়। তিনিই প্রথম ডিএনএ ধরণের কিছুর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন।