এক চিলতে মেঘ

 

কেশব অধিকারী

 

মেঘের আনাগোনায় যখন আমার ভাবনা গুলো মনের মাঝে ভর করে তখন যে সমস্ত বিষয় গুলো বেশী বেশী করে আমাকে জ্বালায় তার মধ্যে এই পশ্চাদ্পদতা, বিশেষ করে শিক্ষায় বিজ্ঞানে, হলো অন্যতম একটু পর্যালোচনা করলেই দেখা যাবে, কিভাবে পর্যায়ক্রমে আমরা আমাদের ঋজু পথ থেকে সরে এলাম এবং এর জন্যে দায়ী কারা বা কেনো এগুলোও ভাবতে হবে আমাদের স্বাধীনতা উত্তর ৩৭ বছরেও আমরা আমাদের কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারিনি এটি আমাদের অনেক বড় একটি দৈন্যতা বৈ কিছুই নয় আমি বুঝতে পারি তখনই যখন আমার ছোট ছেলেটিকে নিয়ে স্কুলে যাই কিংবা ওর সাথে পড়তে বসি সব চেয়ে অবাক হই, যখন দেখি আমাদের অভিভাবকদের সেকি প্রানান্তকর চেষ্টা, কেন? তাঁর সন্তানকে নামকরা বিদ্যালয়ে পাঠাবেন সে জন্যে এমন কোন পথ তাঁরা অবশিষ্ট রাখেননা যা থেকে বুঝা যায় যে তিনি তাঁর সন্তানের মঙ্গলের জন্যে, তার উপযুক্ত ভবিষ্যতের জন্যে আন্তরিক ভাবে তৎপর বরং আমার কাছে মনে হয় ব্যাপারটা অন্যরকম, নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে শিশুদের উপর কারন শৈশব থেকেই শিশুরা দেখছে কিভাবে তার বাবা কিংবা মা সমাজের বিভিন্নস্তরে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন কিংবা কিভাবে অর্থ-বিত্তের ও বৈভবের দ্বারা অনৈতিক ভাবে সম্মান, সম্ভ্রম এবং সম্পত্তি ক্রয় করছেন এর ফলে এই শিশু মনেই ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে মনুষত্বহীনতা, স্বার্থপরতা, একটি ভয়ংকর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী এই সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি আইন এবং মনুষত্বের প্রতি অবহেলা, অমানবিক হয়ে উঠা প্রকারন্তরে কি তারই প্রতি অঙ্গুলী নির্দেশ করেনা? আর সেকারনেই আমার আজকের প্রসঙ্গের অবতরণা

 

আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষায়তন গুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিভিন্ন শ্রেণী, ধরণ আর পদ্ধতির প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছড়িয়ে আছে চতুর্দিকে নিজে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত বলে কম বেশী এতদ্সংক্রান্ত ধারনা আমার আছে আমি মতিঝিল মডেল, ভিকারুন্নেছা নুন, হলিক্রস, সোডা যেমন দেখেছি তেমনি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাস্থ আমার গুলিয়াড়া গ্রামে মাটির ভিত্তির উপড়ে চার খুঁটিতে দাঁড়িয়ে থাকা দেয়াল বিহীন খড়ের চালের প্রাথমিক বিদ্যালয়ও দেখেছি সেখানে বেন্চ-টেবিলের কোন বালাই নেই এই একবিংশ শতাব্দিতেও ছালার উপরে বসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমেত ধারাপাত পড়ছেন! কি বৈপরীত্য তাইনা? আমার ছোটবেলাকার সেই সব স্মৃতি আমাকে তাড়িত করে, যখন দেখি আজকাল  ছেলে-মেয়েদের মাঝে একাডেমিক কমপিটিশন তেমন আর একটা দেখা যায়না দেখা  যায়না নিজেকে নায়কোচিত ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন, তখন স্বভাবতঃই মনে হয় কোথায় যেন ভুল হচ্ছে আমাদের

 

সম্প্রতি আমরা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা মূল্যায়নের চিরাচরিত পদ্ধতির পরিবর্তে পাশ্চাত্যের গ্রেডিং পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছি সম্ভবতঃ এই কারনে যে, অধুনা প্রতাপশালী পাশ্চাত্য বিশ্ব, শিক্ষাকেও যারা ব্যবসার একটি অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে দাঁড় করিয়েছে ঊনবিংশ শতকের শেষ ভাগে এসে সঙ্গত কারনেই ছাত্র এখানে অন্যতম পণ্য বিশ্ববাজারে আন্তর্জাতিক মানের ছাত্র-পণ্য বিপননই এখানে নিগুঢ়তম প্রনোদনা  হিসেবে কাজ করেছে, রাষ্ট্রকে উৎসাহিত করেছে এতদ্সংক্রান্ত ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশের এতে উপকার হয়েছে এই যে, বিশ্ববাজারে আমাদের ছাত্র-পণ্যটির মান যাচাইয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের সুবিধে হয়েছে! সুবিধে হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও যাদের হাত দিয়ে এ পণ্য বিশ্ববাজারে স্থানান্তরিত হচ্ছে! আরও একটি বিষয় এখানে কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য, তাহলো, গ্রেডিং এর বিভিন্ন গ্রেড আসলে পণ্যের মডেল আর ব্যাচ হল প্রডাকশনের সময় নির্দ্দেশক! গ্লোবালাইজেশনের কারনে বিশ্ববাজারে একই ধরনের প্রোডাক্টের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এই ছাত্র-পণ্যের মডেল নির্ধারনও জরুরী হয়ে পরে আর তাই গ্রেডিং পদ্ধতি আমাদের জন্যে অতীব জরুরী একটি বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছিলো পদ্ধতির সমালোচনা আসলে এ-লেখার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নয়, বরং এতোকিছুর পরেও আমরা পিছিয়ে পড়ছি, এই সত্যটিকে সামনে ধরে করণীয় কিছু আছে কিনা তা বিবেচনায় নেয়া আমার মনে হয়, গ্রেডিং পদ্ধতির অনেক বড় বড় মেরিটের মধ্যে একটি অন্যতম ডি-মেরিট হলো ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে যে প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা, এর বোধ হয় এক ধরনের সামাজিক ডাইল্যুশন ঘটে ফলে ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্দীপনা হ্রাস পায় ঠিক এই ধরনের ডি-মেরিটস্ গুলোকে অপসারনের লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বের দেশ গুলোতে প্রতিটি সেমেস্টারে এক্সট্রাকারিকুলার আ্যক্টিভিটির পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার পরিপূর্ণ প্রকাশে ২০ টিরও বেশী কৌশলী-প্রকৌশলী বিষয়ে প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করে থাকে, যেগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মাঝে যেমন উদ্দীপনা সঞ্চারী তেমনি আহরিত তত্ত্বীয় বিষয়ের বাস্তব প্রায়োগিক কৌশল আয়ত্তের সোপান হিসেবেও বিবেচিত আমাদের ব্যবস্থায় এসব প্রায় অনুপস্থিত কাজেই বেশ বড়সড় সীমাবদ্ধতা নিয়েই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে! কিন্তু দরকার এগুলোকে প্রশমিত করা

 

ধরা যাক অনুরূপ পদক্ষেপ এবং প্রমিত ব্যবস্থার মাধ্যমে উপরোক্ত ত্রুটি গুলোকে আমরা সারিয়ে নিয়েছি তাহলেই কি আশা করা যাবে যে আমরা এবার এগিয়ে যাবো, সামনে কোন বাধা নেই? এ প্রশ্নের উত্তর হল না কারণ শিক্ষক সমাজ প্রকৃতপক্ষেই অবহেলিত আমাদের এখানে ফলে দুটি বিপরীত শ্রেণীর কর্মকান্ড চোখে পড়বে একটু খেয়াল করলেই প্রথমতঃ এই শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত যাঁরা, তাঁরা বেশ সিরিয়াস ধরনের এবং আদর্শবান আলোকিতজন বিভিন্ন সামাজিক কারনে বৈরী সমাজে এঁরা অবহেলিত থাকেন আর্থিক জোর কম থাকায় সামাজিক এবং সাংসারিক জীবনে থাকেন বিপর্যস্ত অথচ কঠোর আদর্শিক অবস্থান আর শক্তিশালী চারিত্রিক বৈশিষ্ট তাকে আত্মমর্যাদাশীল সমাজের অংশ হতে সহযোগীতা করলেও বৈরী পরিবেশ তাকে আবদ্ধ করে ফেলে সহজেই, তাই বাধ্য হয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন অতি যত্নে! পরিবেশ তাড়িত হয়ে সম্ভাবনাময় মেধাটি অচিরেই সমাজের অন্ধ গলিতে হারিয়ে যায় তাঁর সন্তানেরা আদর্শবান এবং কঠোর চরিত্রের অধিকারী হওয়া সত্যেও সমাজে অবহেলিত এবং নিঃগৃহীত হন তাঁরা অন্যের সন্তান মানুষ করার দায়িত্ত্ব পালনে সর্ব্বাংশে নিজেকে বিলিয়ে দিতে এতোটুকুও কার্পন্য করেন না ঠিকই কিন্তু কখনো কখনো নিজ সন্তানকে আলোকিত করতে ব্যর্থ হন অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে তাঁর সন্তানেরা আর্থিক দৈন্যতার কারনে হয়ে উঠতে পারেন না স্বাবলম্বী অথবা সমাজের আলোকিত জন সংখ্যায় নগন্য হলেও যুগের সন্ধিক্ষণে এঁরাই সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়েছেন নিরন্তর হয়েছেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর

 

শিক্খক শ্রেণীর যে অংশটা দ্বিতীয় পর্যায়ে পড়বে তারা সংখ্যায় অনেক বড় এরা শিক্ষকতা পেশাকে একমাত্র পেশা হিসেবে কখনোই গ্রহন করেন না মেধাবী ছাত্রদের একটি অংশ যে কারনে পুলিশবাহিনীর প্রতি দুর্বল আমার মনে হয় শিক্ষকশ্রেণীর এই অংশটিও একই কারনে শিক্ষকতা পেশার প্রতি দুর্বল সুতরাং শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত বৃহত্তর অংশটিই আসলে শিক্ষানুরাগী নয় প্রকৃতপক্ষে যখন থেকে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ শুরু হল, তখন থেকেই পেশাটিরও বাণিজ্যিকীকরণ শুরু হয়েছে ফলে ছেঁটে ফেলা হয়েছে পেশার দায়িত্ত্ব, আদর্শ, দার্শনিক ও নান্দনিক রূপটিও এর ফলে এই পেশার অন্তর্ভুক্তদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীরও পরিবর্তন হয়েছে ব্যপক হারে গত শতকের শেষার্ধ অব্দিও শিক্ষকতা পেশাটি ছিলো শ্রদ্ধা, সমীহ আর পরম সন্মানীয়! অথচ আজ? আজ পরম করুণাশ্রয়ী, নুব্জ ও নতজানু পেশা যেনো অনেকটা একই কারনে অনেকে আজকাল ডাক্তারদের বলেন কসাই! পুলিশকে বলেন ঠোলা! প্রতিটি পেশারই একটি এথিক্স আছে, আছে নান্দনিকতা, আছে দর্শন সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই আজকাল তা মেনে চলেন না!

 

আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন আমার প্রধান শিক্ষক ছিলেন জনাব রুস্তম আলী খান আমার ধারনা, আমার ব্যক্তিগত জীবনে যাঁদের প্রভাব অতি উচ্চ, ইনি তাঁদেরই একজন খুব ভালবাসতেন আমাকে এস. এস. সি পরীক্খার খাতার ভীড় যখন বাড়তো, আমার ডাক পড়তো তখন ক্লাশ সিক্স কাংবা সেভেন-এ বোধ হয় পড়ি মাঝে মাঝে বলতেন তাঁর শিক্ষকতা জীবনের গল্প একদিন দেখি, তাঁর টেবিলের উপরে কাঠের রেহেলে লাল, সাদা ও কালো কাপড়ে মুড়ানো ৩/৪ খানা বই জানতে চাইলাম এগুলো কি বই? বললেন, এটি কোরান শরীফ, এইটা গীতা আর ঐপাশেরটা বাইবেল আমি অবাক হইনি স্যর বললেন, গীতার প্রথম শ্লোকটা জানিস? নেতিবাচক মাথা নাড়লে উনি বলতে শুরু করলেন, ওম্ ভুবুর্বর্ষ……… তারপরে বললেন মানে জানিস? আমার মৌনতার অর্থ টেরপেয়ে বলতে শুরু করলেন, এই বিশ্ব-ভূমন্ডলের সর্বত্রই আমি বিরাজমান ….. আর বই গুলো দেখিয়ে বলছিলেন, সবেরই ভাষ্য এক, হয়তো আচার প্রকৃয়ায় খানিকটা তারতম্য আছে এরপর একে একে সব গুলো মোড়ক খুলে ধর্মীয় বই গুলো দেখালেন, দেখেছিলাম, আরবীতে লেখা কোরান, সংস্কৃততে লেখা গীতা আর ইংলিশে বাইবেল! আমাকে বলেছিলেন ৮টি ভাষায় তিনি বলতে, লিখতে এবং পড়তে পারেন আমার খুব গর্ব হয়েছিলো তখন একদিন গল্প করেছিলাম বন্ধুদের কাছে স্যরের এই ঘটনা আমার অবাক হবার পালা এর পর থেকে বন্ধুদের কয়েকজন সাথে সাথেই রিআ্যক্ট করেছিলো এই বলে যে, স্যর নাকি খুব অন্যায় করেছিলেন বিধর্মীদের(!) বই কোরানের সাথে একই সঙ্গে রেখে! আমি স্যরকে জানিয়েছিলাম ব্যাপারখানা, কোন গুরুত্ত্ব দিলেন বলে মনে হলোনা শুধু বললেন, ওদের এবিষয়ে অনেক কিছুই জানা নেই তাই না বুঝেই বলেছে যাইহোক একটু বড় হয়ে দেখেছি, তিনি সেকুলার মনোবৃত্তির মানুষ ছিলেন সবচেয়ে যেটি আমার ভাবনার জগতে আলোড়িত হয়েছিল তা হলো, তাঁর স্কুল সপ্তাহের স্বারম্বরতা! প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী-মার্চ নাগাদ আমাদের স্কুলে স্বারম্বরে সপ্তাহ জুড়ে অনুষ্ঠিত হতো এক বিশাল কর্মযজ্ঞ! শিশুশ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত যেকোন ছাত্র কিংবা ছাত্রী যতগুলো ইভেন্টে ইচ্ছে অংশগ্রহন করতে পারতো এমনকি কোন ইভেন্টে যদি মাত্র একজন প্রতিযোগী থাকতো তবুও এর কারন বোধহয় এই যে, এখনতো ওর আত্মপ্রকাশের সময় নয়, লক্ষ্য স্থিরের প্রয়াস মাত্র! প্রক্রিয়াটি হয়তো এর অনুঘটক! ফলে গোটা এলাকায় সারা পড়ে যেতো আর সারাটা বছর ধরেই প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর মাঝেই চলতে থাকতো একধরনের প্রতিযোগীতা আর এর ফলাফল? এককথায় চমৎকার! আমাদের ব্যাচের ১৭ জনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত! এমনকি আমাদের আগে-পরের ব্যচ গুলোরও একই সু-কীর্তি! তখন কি দৈন্যতা ছিলোনা? এখনকার চেয়ে অনেক বেশী ছিলো চলুন পেছনে ফিরে দেখুন, ঊনিশ শতকে এই বাংলায়, কি সাহিত্যে, কি বিঙ্গানে, বিশ্বরাজনীতিতে, সামাজিক আন্দোলনে যে রেঁনেসার জন্ম হয়েছিলো তা আজ কোথায়? ইতিহাসে পড়েছি, তখন বাংলা তথা ভারতবর্ষকে এই তামাম বিশ্ব চিনত! অথচ দেখুন গোটা বিশ্ব যখন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে, আমরা তখন পশ্চাদপদতার অতলান্ত অন্ধকারে ডুবতে বসেছি!

 

আসলে যদি একটু খেয়াল করা যায় তাহলে দেখা যাবে, স্কুল জীবনের শিক্খাটা আসলে প্রতিটি মানুষের মানবিক গঠনের ভিত্তিমূল এসময় মূলতঃ তার আদর্শিক ভিত্তি এবং সৃষ্টিশীলতার অঙ্কুরোদ্গম ঘটে স্বপ্ন দেখতে শেখে মানুষ এসময়ে আর শিক্খকেরা স্বপ্ন দেখতে শেখায় আর তাই এসময় ছাত্রকে লিখানো হয় তার Aim in Life. কারন সেতো স্বপ্ন দেখছে, আর তার পরিপক্কতার জন্যে ভাবনা দরকার, দরকার তার চতুর্দিকে তাকিয়ে দেখবার আর শিশু তার চার দিকে তাকিয়ে দেখেতো তার শিক্খকেরই চোখ দিয়ে! জগৎটাকে চিনতে শেখায়তো সে! আর সেই শিক্খকের চোখ যদি হয় অন্ধ! ভাবুনতো সেই শিশুর ভবিষ্যৎ!

 

এতো গেলো স্কুল আর শিক্ষক প্রসংগ এবার দেখা যাক আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক রকমফের দেশে পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই একথা সত্যি সেজন্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক এবং উপযুক্ত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা খুউবই জরুরী বিগত দিনে সরকারী ভাবে অনুমতিও দেওয়া হয়েছিলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে পূঁজি বিনিয়োগের আমার মনে হয়েছিলো, সারা দেশে যেনো স্কুল কলেজের বন্যা বয়ে যাবে! এইতো আশির দশকের শেষ দিকের কথা! অধিকাংশ মাধ্যমিক স্কুল গুলো ঊচ্চমাধ্যমিক পর্যায় খুলে বসলো! আর ঊচ্চমাধ্যমিক কলেজ গুলো রূপান্তরিত হতে লাগলো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে! যেগুলো ছিলো তথাকথিত কোচিং সেন্টার সেগুলোও রূপান্তরিত হলো স্কুল কিংবা কলেজে! এমনকি কোন কোনটি বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়ে গেলো! দেশে এতো এতো শিক্ষার্থী এইচ. এস. সি পাশ করে বের হবে, এরা যাবে কোথায়? এদেরতো ডিগ্রি দিতে হবে, তাই বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে হবে! তাই গড়ে উঠলো আর এতো এতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করতে হবে, শিক্ষক কোথায়, কুচপরোয়া নেহি! আমি দেখলাম, লেদার কারখানার ইন্জিনীয়ার, হাইকোর্টের উকিল, হসপিটালের ডাক্তার, কোম্পানীর অফিসার, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর মার্কেটিং কর্মকর্তা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক, আলোকচিত্রী, গায়ক, নায়ক সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যপক এস. এন নবী তাঁর অফিসে একদিন আমাকে কথাপ্রসঙ্গে বললেন, এই দেশেতো আর কিছু দেখতে পারবানা, দেখ, তামাশা দেখো! সত্যি তামাশাই দেখছি সমাজে এমনি একটা পরিস্থিতি, চতুর্দিকে হুলুস্থূল! টাকা উড়ে বেড়াচ্ছে! তাই ধরার জন্যে এহেনো কান্ড! এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বসে নেই! গোটা সমাজ জুড়ে যে হরির লুট চলছে তাতে সামিল হতে কারোরই বাধলোনা! আমার মনে আছে আমি রাত ১১টা ১২টার আগে হলে ফিরতে পারতামনা যখন মাস্টারস-এ রিসার্স ল্যবে কাজ করি, অথচ এই সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্দকার মোকাররম হোসেন বিজ্ঞান ভবনে দুপুরের পরে স্যরদের সাথে দেখা করতে গিয়ে কাউকেই পেলামনা চতুর্দিক খাঁ খাঁ করছে নাই ছাত্রকূলের খোঁজ, নাই স্যারেরা! গুটিকয় পিয়ন আশপাশের চেয়ারে বসে ঝিমুচ্ছেন আর হাই তুলছেন! এই হলো গিয়ে আমাদের গোটা শিক্ষাব্যবস্থার এক খন্ডচিত্র! আর এর পাশাপাশি দেখুন চলছে ধুমধুমার ইংলিশ মিডিয়ামের রমরমা ব্যবসা! নাহ্, এখানেই শেষ নয়, সেকেলে ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে সাথে ধর্মীয় উগ্রতা ও জঙ্গীবাদের উত্থানও লাফিয়ে লাফিয়ে ঘটছে

 

একটা বিষয় বুঝে পাইনে, এইযে ছোট্ট আমাদের একটা দেশ, এতো মানুষ! সবাই এক হয়ে কতোগুলো কমন নীতিমালার ভিত্তিতেইতো গোটা শিক্ষাব্যবস্থাটাকে সাজিয়ে নেয়া যেতো কই হলো না তো এখানেও লাল সুতোর দৌড়াত্ব্য, এখানেও অদৃশ্য সুতোর টান, এখানেও স্বার্থান্বেষি মহলের হরির লুট! আর কর্মকান্ডের ভেতর দিয়েই কিন্তু সরকারের চরিত্র ফুটে উঠে এইযে এতোগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলো, সরকারের তহবিলে কোটি টাকার সিকিউরিটি মানি জমা দেয়া ছাড়াতো নিয়মের কোন বালাই দেখা গেলোনা আর সেই সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকেরা কেউ ব্যবসায়ী, কেউ মন্ত্রী, কেউ আমলা কিংবা জেনারেল অথবা রাজনীতিবিদ কই? আমাদের দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদেরা কোথায়? গুটিকয়েক কে দেখা যায় কোন কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চোখে ঠুলিপরা, হাত পেছনে পিছমোড়া করে বাঁধা, কোমড় ও পায়ে দড়ি পেঁচানো V.C. হিসেবে ক্ষমতা বিহীন ঠুটো জগন্নাথ! মেধা, বিদ্যা-বৈভবের জন্যে নয়, নিয়ম রক্ষার খাতিরে! তার মানে হল, উচ্চবিত্তের কালো টাকা সাদা করার আরেকটি উপায় আর সেই জোয়ারে সমাজের অবশিষ্ট নৈতিকতার সচেতন বিসর্জন এই জন্যে যে, নইলে এক্ষেত্রে আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের মতোই এখানে এইসব ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলার সচেতন মানসিকতা দেখা যেত যা আসলেই নেই কেন, ভারত ও অপরাপর দেশের মতই এক্ষেত্রে সরকার আমাদের যশস্বী, অভিজ্ঞ এবং আগ্রহী শিক্ষাবিদদের অনুদান কিংবা দীর্ঘমেয়াদী সহজ ঋন সুবিধার ব্যবস্থা করে অনুপ্রাণিত করতে পারতো না? বাড়ানো যেতোনা সরকারের সহযোগীতার হাত খাস জমি থেকে বরাদ্দ দিয়ে গড়তে ইনফ্রাস্ট্রাকচার? একারনেই সরকারি তরফের উদ্যোগ প্রায়ই হয় প্রশ্নবিদ্ধ! আসলে অন্যসব সেক্টরের মতো এটিকেও সন্দেহাতীত ভাবে কলুষিত করা বাকী ছিলো খানিকটা, যা সম্পন্ন হয়েছে কারণ কালিমা লিপ্ত মুখে প্রতিবাদ ও চেতনার ভাষা হারিয়ে যায় যেটা শাসক শ্রেণীর লক্ষ্য!

 

একটা দেশ, এতো ধরনের পদ্ধতির তো দরকার নেই মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এর সাথে একীভূত করে দেয়া হোক এই বোর্ড নির্ধারন করবে প্রমিত ব্যবস্থা, আমাদের কোমলমতিদের জন্যে বোর্ডের কর্ণধার করা হোক কোন প্রথিত যশা শিক্ষাবিদকে যিনি ইতোমধ্যে অবসরে গিয়েছেন কারণ, তাঁদের সারা জীবনের অর্জিত অভিজ্ঞতা আমাদের কোমলমতিদের দিক নির্দ্দেশনা দেবে, জাতি অগ্রসর হবে সুনির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই বোর্ড নির্ধারন করবে সিলেবাস এবং মূল ৭টি বিষয়ের টেক্স্ট যেমন, বাংলা সাহিত্য, ইংলিশ লিটারেচার, সমাজ বিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি এবং পৌরনীতি বাকি বিষয় গুলো থাকবে উন্মুক্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাডেমিক কমিটির মাধ্যমে বাকি বিষয়াবলীর টেক্স্ট নির্ধারন করে নেবে এস. এস. সি এবং এইচ. এস. সি. পরীক্ষা বরাবরের মতোই বোর্ডের অধীনেই হবে মাদ্রাসা শিক্ষায় যারা আগ্রহী তাদের জন্যে ধর্মীয় বিষয় সংশ্লিষ্ট সিলেবাস প্রনয়ন করা হোক, মূল ধারার সিলেবাস হতে অগুরুত্ত্বপূর্ণ ১/২টির পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট সিলেবাস তারা পড়বে, ঠিক যেমন প্রি ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট যারা পড়ে বায়োলজীর পরিবর্তে

 

এবং ও-লেভেল  সহ অন্যান্য বিদেশী পদ্ধতি, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সহ বাতিল করা হোক কারন স্থানীয় পদ্ধতিরই ইংলিশ মিডিয়াম প্রচলিত আছে, যাকে ইংলিশ ভার্সন নামে অভিহিত করা হয়েছে তবে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলো স্থানীয় ইংলিশ ভার্সনের জন্যে প্রযোজ্য হতে পারে এদেশে এবং এ-লেভেল মূলতঃ পরিচালিত হয় বৃটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে যারা এ মধ্যমে আগ্রহী (বস্তুতঃ অনাগ্রহ সৃষ্টি করা প্রয়োজন) তাদের সেটা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া এবং ডিগ্রী অর্জন করা শ্রেয়ঃ অথবা বিষয়টিকে বৃটিশ কাউন্সিলের নিজস্ব ব্যপ্তিতে পরিচালিত করা যেতে পারে বা সীমাবদ্ধ রাখা যেতে পারে, যেমনটি TOEFL বা GRE ইত্যাদির ক্ষেত্রে আমেরিকান কালচারাল সেন্টারের মাধ্যমে হয়ে থাকে প্রকৃতপক্ষে বা ও-লেভেলের জন্যে কোন নির্ধারিত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান স্থাপন সাময়িক ভাবে হলেও অনুমোদন যোগ্য করা যাবেনা এতে করে অন্ততঃ আভ্যন্তরীন ইংলিশ ভার্সন ক্ষতিগ্রস্থ হবে না বরং একটা বড় অংশ এতে আগ্রহী হবে এবং এব্যবস্থার নিশ্চিত ক্রমবিকাশ ঘটবে দেশে যে ক্যডেট পদ্ধতি চালু আছে সেটিকে পরিপূর্ণ ভাবে বোর্ডের আওতাভূক্ত করতে হবে, করতে হবে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রন মুক্ত শুধুমাত্র সামরিক প্রশিক্ষনের অংশটুকু ছাড়া পাশাপাশি দেশের প্রতিটি ছাত্রের জন্যে স্বল্পকালীন সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে এই ক্যডেট কলেজ গুলোর মাধ্যমেই সেই সাথে ছাত্রীদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হতে পারে কিংবা হতে পারে বাধ্যতামূলক স্বল্পকালীন নার্সিং ট্রেনিং এর ব্যবস্থা  গ্রাজুয়েশনের আগে এই ট্রেনিং অবশ্যই বাধ্যতা মূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়, বাধ্যতামূলক আরো একটি বিষয় হওয়া উচিৎ, আর তা হলো লেকচারার বা তদূর্ধ পদের জন্যে আবেদন পত্রের সাথে ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি সার্টিফিকেট (TOEFL or IELTS) জমা দিতে হবে এর ফলে বড় উপকার হবে এইযে, শিক্ষা ক্ষেত্রে যে বৈষম্য তা বহুলাংশে হ্রাস পাবে আমার মতে বি এস সি (পাশ কোর্স) বাতিল করা প্রয়োজন, কারন এটি এখন আর সময়োপযোগী নয় তার পরিবর্তে ভকেশনাল ট্রেনিং এবং নিয়মিত অনার্সকোর্স-ই যথেষ্ট এতে করে ওপেন ইউনিভর্সিটির গুরুত্ত্ব ও পরিধি বাড়বে আর ন্যশনাল ইউনিভার্সিটিকে পরিনত করা হোক পরিপূর্ণ ন্যশনাল ইউনিভার্সিটিতেই জনবহুল দেশে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির অন্ততঃ একটি অন্তরায় দূর হবে

 

শিক্ষা ক্ষেত্রের প্রত্যেক স্তরেই শিক্ষক নিয়োগে কম-বেশী অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে এম পি ও ভূক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারী ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে নিবন্ধনের ব্যবস্থা যদিও আছে কিন্তু আমার কাছে তা যথেষ্ট বলে প্রতিভাত নয় এক্ষেত্রে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ কোডার (কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ-র) শিক্ষক নির্বাচন পদ্ধতি প্রনিধান যোগ্য এই পদ্ধতিটি আমার বিবেচনায় অত্যন্ত গ্রহনযোগ্য, আদর্শ, সুবিবেচনা প্রসূত এবং যুক্তিগ্রাহ্য বলে প্রতীয়মান হয় (পদ্ধতি সম্পর্কে আমার সম্যক ধারনা থাকলেও নীতিগত কারনে আগ্রহীদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগের অনুরোধ রইলো) এক মাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতাই শিক্ষক নির্বাচনের মাপকাঠি হওয়া উচিৎ নয় আমার জানামতে সারাদেশেই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একই প্রচলিত রীতি প্রয়োগ করা হয় অথচ প্রকৃত সম্ভাবনাময় এবং প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষক নিয়োগ-ই লক্ষ্য হওয়া উচিৎ বিশেষ করে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্য্যায়ে এটি অতিশয় গুরুত্ত্বপূর্ণ বলে  আমার  ধারনা শিক্ষক হয়ে আসলে কেউ জন্মায় না এর জন্যে যেমন দরকার প্ররম্ভিক জীবন থেকেই নিরবিচ্ছিন্ন অধ্যাবসায়, তেমনি দরকার ধৈর্য্য এবং কঠোর চারিত্রিক দৃঢ়তা বিষয় এবং সম্পর্কের কমপ্লেক্স কম্বিনেশনকে মাধুর্য্যময় উপস্থাপনের সক্ষমতাই একজন মানুষকে দিতে পারে  সফল শিক্ষকতার অত্যুজ্জ্বল গৌরব একজন প্রকৃত শিক্ষক আসলে আমৃত্যু শেখেন, শেখাননা তাঁর জ্ঞ্যান আহরনের তৃষ্ণা এবং অনুসন্ধিৎসা অনুপ্রাণিত করে তাঁর অনুগামীদের এই অনুসন্ধিৎসু শিক্ষানুরাগীর সংস্পর্শে ক্রমবিকাশমান অনুসন্ধিৎসু চক্রের মিথষ্কৃয়াই আসলে গড়ে তোলে  এক শিক্ষানুরাগী ক্যম্পাসকোডার শিক্ষক নির্বাচন পদ্ধতিই হোক কিংবা অনুরূপ কোন যথার্থ পদ্ধতি নিরূপন সাপেক্ষে হোক, তা অবশ্যই সরকারী বা বেসরকারী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই অনুসরনের জন্যে প্রেরণা যোগানো কিংবা বাধ্য করা যেতে পারে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এতে অন্ততঃপক্ষে যথাযথ ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করার যে প্রয়াস তার সূচনা হবে আর এই বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট কঠোরতা অবলম্বনের দাবী রইলো এই জন্যে যে, এঁদের হাত দিয়েই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নির্মলভাবে গড়ে উঠা নির্ভর করবে নির্ভর করবে জাতীয় ভবিষ্যৎ

 

আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের সফলতার জন্যে, নির্মলতার জন্যে, তাদের বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্যে আসুন ভেবে দেখি এই ক্ষেত্রে আর কি কি আশু পদক্ষেপ গ্রহন জরুরী