এই নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের সংবাদপত্রে আমি কোন সংবাদই দেখিনি-বাংলাদেশের প্রথম আলো ছাপিয়েছে-যদিও ঘটনা ঘটেছে কোলকাতায়

যরত মুহাম্মদকে (সাঃ) নিয়ে আপত্তিকর প্রবন্ধ প্রকাশের দায়ে গতকাল গ্রেফতারকৃত ভারতীয় দৈনিক দ্য স্টেটসম্যানের সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার ও প্রকাশক আনন্দ সিনহাকে জামিন দেয়া হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কোলকাতার একজন মুসলিম নেতা ইসলাম বিরোধী প্রবন্ধ প্রকাশের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং এর স্বল্প সময় পরই আদালত তাদেরকে জামিন দেয়। সম্প্রতি দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় ব্রিটিশ লেখক জন হ্যারির লেখা Why should I respect these oppressive religions? ( ‘কেন আমি এই অত্যাচারী ধর্মকে শ্রদ্ধা করবো’ ) শীর্ষক একটি নিবদ্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি ঐ দৈনিকটির পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত বিতর্কিত নিবন্ধের জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়নি। (সুত্র )
এর আগে জন হ্যারির বিতর্কিত ঐ লেখাটি পশ্চিমা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মূল প্রবন্ধ দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ
 

প্রথমত জনহ্যারির লেখাটি ধর্ম সম্মন্ধে বিশেষত ইসলাম সম্মন্ধে কটূ সত্যকেই প্রকাশ করেছে। সেটা হল এই যে ইসলামের পশ্চাদপর অন্ধকার অন্ধবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে, রাজনৈতিক ক্ষমতা লুটছে কিছু ব্যাক্তি। সেটা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান-সব দেশের জন্যে সত্য। এই সত্যটুকু প্রকাশের অধিকারও কেড়ে নিলে-আমরা অন্ধকারে ডুবে যাব।
এই লেখাটিতে জন হ্যারি যে দাবি করেছেন তা আমিও করিঃ


The Universal Declaration of Human Rights stated 60 years ago that “a world in which human beings shall enjoy freedom of speech and belief is the highest aspiration of the common people”. It was a Magna Carta for mankind – and loathed by every human rights abuser on earth. Today, the Chinese dictatorship calls it “Western”, Robert Mugabe calls it “colonialist”, and Dick Cheney calls it “outdated”. The countries of the world have chronically failed to meet it – but the document has been held up by the United Nations as the ultimate standard against which to check ourselves.

এবং জন হ্যারি যে সমস্যার কথা বলেছেন তা আজকের নয়। মানবাধিকার আসলেই সার্বজনীন। ১৮২৪ সালে লর্ড বেন্টিং একই দ্বিধার সম্মুখীন ছিলেন-সতীদাহ প্রথা রধ করার জন্যে। এবং তিনিও সিদ্ধান্তে এসেছিলেন-মানবাধিকার সবার জন্যে-তা কোন পশ্চিমা ধারা নয়। তাই ধর্মের দোহাই দিয়ে হিন্দুরা সতীদাহ প্রথা চলাতে পারে না। অথচ ধর্মের নামেই সবথেকে বেশী মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় পৃথিবীর সবদেশে। এই নিয়ে আমার ২০০৫ সালে লেখা একটি ব্লগ দেখতে পারেনঃ
লক্ষ্য করুন লর্ড বেনটিঙ্ক ও একই কথা বলেছেনঃ
With the firm undoubting conviction entertained upon this question, I should be guilty of little short of the crime of multiplied murder if I could hesitate in the performance of this solemn obligation

ধর্মকে সমালোচনা করার অধিকার নিয়ে মুক্তমনা যে লড়াই করছে-সেই লড়াকু অকুতোভয় যোদ্ধাদের জন্যে ঘটনাটা জানিয়ে রাখলাম। এর সাথে প্রথম আলোর পাঠকদের মন্তব্যগুলোও দিলামঃ

http://prothom-aloblog.com/users/base/broadcaster/131#

পাঠকরা নিন্দা জানাতেই পারেন। তবে কিছু কিছু পাঠকের বাক স্বাধীনতা হরন করার দাবি দেখে আসলেই দুঃখ হয় এরা কোন শতাব্দির লোক? এদের ভারতেও হিন্দুদের মধ্যেও দেখেছি। তবে ইসলামে এই ধরনের ডাইনোসরদের সংখ্যা অন্যধর্মের চেয়ে বেশী-সেটাও ঠিক।

ধর্মের মুখোশ এই ভাবে বেশীদিন আটকে রাখা যাবে না। ধর্মের আসল মুখ রাজনৈতিক ক্ষমতালিপ্সু কিছু অসৎ লোকের-আর মুখোসটা হচ্ছে মানবিকতা, নৈতিকতার নামাবলী। কোরান এবং গীতা পড়লে এটা ভালো বোঝা যায়। তখনকার সময়ে রাষ্ট্র গঠনে এসবের দরকার ছিল-সেটা মেনে নিতে আমার আপত্তি নেই। কারন তা সত্য। কিন্ত বর্তমানে ধর্মের নামাবলী চাপিয়ে ক্ষমতাদখলের রাজনীতি যারা করছেন-তাদের জেলে না ঢুকিয়ে-সাহসী সম্পাদকদের কেন জেলে ঢোকানো হবে-সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু ভবিষ্যত চাইবে।