ডারউইনের সাথে ধর্মের সংঘাত 

অগ্নি অধিরূঢ়

 

ইংল্যান্ডের মফস্বলের এক ছোট শহর শ্রুসবারি। ছবির মতন সাজানো এই শহরে ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন প্রখ্যাত প্রকৃতিবিদ ডারউইন। অন্যান্য প্রতিভাবানদের মতো তারও প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া ভাল লাগত না। ক্লাসে বসে শিক্ষকের বক্তৃতা শোনার চাইতে বনের ভিতরে গুবরে পোকার পাখার মৃদু ধ্বনি শুনতে বেশি ভাল লাগত, বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হত। স্কুল পালানো ছেলেকে ডাক্তার পিতা পাঠিয়েছিলেন এডিনবরায়। উদ্দেশ্য ছিল ডাক্তারী পড়া। সেই সময়ের এনেসথেসিয়াবিহীন অপারেশন টেবিলের ভয়াবহ চিত্র তার উদ্দেশ্যকে সফল হতে দেয়নি। ব্যথাকাতর রোগীর আর্তনাদ সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অসন্তুষ্ট পিতা সেকালের অভিজাতবর্গের অন্যতম পেশা পাদ্রীগিরি শিখবার জন্য ছেলেকে ধর্মতত্ত্বে পড়ান। ফাইনাল পরীক্ষায় অল্প নম্বর পেয়ে পাস করেন।

 

স্বভাবলাজুক, অতিবিনয়ী, মুখচোরা, ভীরু এই ছেলেটি পরবর্তীকালে ধর্মের সাথে এক অসম লড়াইয়ে জড়িয়ে পরেন। ধর্মের প্রতি কোনরূপ বিরূপ ধারণা তার মনে ঘুণাক্ষরেও ছিল না। ধর্মানুসারী পরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। বাইবেলের উপর ছিল তার অপরিসীম আস্থা। ঈশ্বর ও তার সৃষ্টিতত্ত্বে তার কোনরকম সন্দেহ ছিল না। তার বন্ধুদের মধ্যে কেউ অবিশ্বাসী ছিলেন না।

 

১৮৩১ সালের ১৬ ডিসেম্বর শুরু করা তাদের যাত্রা ভেস্তে গিয়েছিল। অলুক্ষণে ঝড়ের কারণে দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেও তারা রওনা হতে পারেননি। অবশেষে তৃতীয়বার ২৭ ডিসেম্বর এক মাহেন্দ্রক্ষণে বিগল জাহাজ পৃথিবীভ্রমণে বেড়িয়ে পরে।

 

ডারউইনের সময়ে বাইবেলের মত অনুযায়ী ধারণা করা হত যে পৃথিবীর বয়স মাত্র চার হাজার চার বৎসর। বাইবেলের এই ধারণাকে মেনেই বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পাহাড়, নদী, আগ্নেয়গিরি ইত্যাদির বয়স মাপার চেষ্টা করতেন। সেক্সপিয়র পর্যন্ত তার নাটকে পৃথিবীর বয়স ছয় হাজার বৎসর বলে উল্লেখ করেছিলেন।

 

দিগন্তভেদী পাহাড়শ্রেণী তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে ‘একরাতের ভূমিকম্প’ তত্ত্বের উদ্ভাবন করা হয়েছিল। বাইবেলীয় বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন যে সমস্ত পৃথিবী যদি চার হাজার বৎসরে তৈরি হতে পারে, তাহলে এক রাতের ভূমিকম্পে পাহাড় সৃষ্টি হওয়া কিংবা দূরবর্তী পাহাড়গুলোর একস্থানে এসে মিলিত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

 

মাটির উপরে পড়ে থাকা বা ভূগর্ভে যেমন খনিতে, গুহায়, পাহাড় বা নদীর মাটি ধ্বসে পরার ফলে উন্মুক্ত জায়গায় ডাইনোসরের হাড় পাওয়া যেত। গির্জার পোষা বিজ্ঞানীরা এই হাড়গুলোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নুহ নবীর নৌকার কাহিনীকে স্মরণ করতেন। ডাইনোসরের হাড়গুলো সম্পর্কে তারা বলতেন, যেসব প্রাণী নুহ নবীর নৌকায় উঠতে পারেনি, সেইসব প্রাণীর হাড়। তারা জানতেন যে পৃথিবী থেকে নানা প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মনে করতেন প্রাণীদের বিলুপ্ত হওয়ার কারণ নিহিত রয়েছে বাইবেলে। নুহ নবীর নৌকায় যে প্রাণীগুলোর জায়গা হয়নি, তারাই বন্যার স্রোতে ডুবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

 

বিগল জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিল রাগী, সাহসী, জেদী, দক্ষ এবং উদ্যমী এক বীরপুরুষ। ডারউইনের সাথে একটিমাত্র দিক ছাড়া আর কোনদিকে তাদের মিল ছিল না। আর সেই একটিমাত্র বিশেষ দিক হল ধর্ম। তারা দুজনই খ্রিস্টিয় ধর্মে প্রবলভাবে নিষ্ঠাবান ছিলেন। ডারউইনের শিক্ষক ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানী স্টিভেন্স হেনস্লো নিজেও ধর্মভীরু ছিলেন। ডারউইনের কাছে লায়েলের Principles of Geology বইটি পাঠাবার সময় বলে দিয়েছিলেন যেন এর সব কথা তিনি বিশ্বাস না করেন। হেনস্লো নিজেও লায়েলের বাইবেলবিরোধী সময়কালের ধারণাকে বিশ্বাস করতেন না। শুধুমাত্র বিভিন্নরকম চিত্রবহুল ভৌগলিক বর্ণনা আছে বলে বইটি পড়ার জন্য ডারউইনকে পাঠিয়েছিলেন।

 

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ভ্রমণ করতে করতে ডারউইন যেসব পাহাড়শ্রেণী দেখেছেন, প্রাণীর যত রকমের প্রজাতি দেখেছেন তাকে ব্যাখ্যা করার জন্য, বোঝার জন্য এক বিশাল সময়কালের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। ডারউইনের আগে হাটন, চার্লস লয়েল প্রমুখ ভূতাত্ত্বিক পৃথিবীর শরীরের বিভিন্ন স্তর পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তারা অনুমান করেছিলেন যে পৃথিবীর বয়স লক্ষ কোটি বছরের কম হবে না। তাদের এ ধারণা বাইবেলের সৃষ্টিকালকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। ফলে সাধারণ জনগণ তাদের মত গ্রহণ করেনি।

 

বিভিন্নরকম প্রাণীর সৃষ্টি সম্পর্কে সে সময়ের ধারণা আরও মজার ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৪-৫৬৫ অব্দে গ্রিক দার্শনিক থ্যালিস বলেছিলেন ‘প্রাণীজগতের সৃষ্টি হয়েছে সমুদ্রের অপার জলরাশি থেকে।’ প্রখ্যাত গ্রিক পণ্ডিত অ্যানেস্কিমেন্ডার ও অ্যারিস্টটল মনে করতেন প্রাণীজগতের বহু প্রাণী স্বতঃস্ফুর্ত জননের ফলে উদ্ভব হয়েছে। কাদার মধ্যে মাছ, পচা মাংসে মাছি বা আবর্জনার মধ্যে ইঁদুর আপনাআপনি জন্মগ্রহণ করে। চোখে দেখার বাহিরেও যে সত্য লুকিয়ে থাকতে পারে একথা তারা পরীক্ষা করে দেখেননি।

 

প্রায় সব ধর্মে থাকা বিশ্বব্যাপী মহাপ্লাবনের ঘটনাটি বাইবেলীয় ভূতাত্ত্বিকদের চিন্তার অন্যতম দিক নির্দেশক ছিল। মহাপ্লাবনের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ দিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠের জীবজগত ও ভূমিগঠনের নানা রহস্য তারা ব্যাখ্যা করতেন।

 

ডারউইন কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে বিগল জাহাজে চড়ে বসেননি। কিন্তু নতুন নতুন জায়গায় নতুন নতুন প্রজাতি দেখে তার চিন্তাজগতে এক ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে যায়। পাহাড়, দ্বীপ ইত্যাদির ভূগঠন তাকে সময়কালের ধারণা নিয়ে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। তিনি বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরা মেলাতে গিয়ে বুঝতে পারলেন যে মাত্র ৫-৬ হাজারের পরিসীমায় প্রাণীজগতের বিকাশ ও পরিবর্তনগুলো হতে পারেনা। এর জন্য লক্ষ্যকোটি বৎসরের প্রয়োজন।

 

হেনস্লো মানা করা সত্ত্বেও লায়েলের সময়ধারণা ডারউইন মানতে বাধ্য হলেন। তার এই উপলব্ধি তিনি কাউকে জানাননি। সহযাত্রী ক্যাপ্টেনকেও না। বাইবেলের নিয়ম অনুযায়ী যত দ্রুত প্রাকৃতিক পরিবর্তনগুলো হওয়ার কথা, ডারউইন বুঝতে পারলেন অত দ্রুত কোন প্রাকৃতিক পরিবর্তন হওয়া আদতে সম্ভব না। এক প্রবালপ্রাচীরের গঠনশৈলী ডারউইনের চিন্তাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছিল। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে এক ড্রিলিং এর ফলে প্রাপ্ত উপাত্তে দেখা যায়- প্রবালের স্তর চারহাজার ফিট গভীর, এর ভিত রয়েছে সমুদ্রতলের ব্যাসল্ট শিলার উপরে, প্রত্যেক বৎসরে মাত্র দুই মিলিমিটার হারে ছয় কোটি বৎসর ধরে জমতে জমতে প্রবাল প্রাচীরের সৃষ্টি হয়েছে। এত ধীর গতির পরিবর্তনের ধারণা ডারউইন কল্পনা করতে পারেননি।

 

দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশের ভূতত্ত্ব ডারউইন লায়েলের চোখে দেখতে আরম্ভ করলেন। এবার আর কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়নি। লায়েলের বিশাল ও অনন্ত সময়ের ধারণাকে বাদ দিয়ে যদি বাইবেলীয় সময়কালকে ডারউইন আঁকড়ে ধরে থাকতেন তাহলে হয়ত বিবর্তনবাদের জন্মই হত না। কিন্তু ডারউইন নিজের কাছে নিজে সৎ থাকতে চেয়েছেন। নিজে যে ভৌগলিক চিহ্নগুলো দেখেছেন, প্রাণীদের বিভিন্নতাকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন, সেগুলোর কার্যকারণ যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝতে চেয়েছেন।

 

গালাপাগস দ্বীপে প্রাণীর অদ্ভুত রকমের বৈশিষ্ট্য ডারউইনকে ধর্মের বিপক্ষে মত প্রকাশ করতে বাধ্য করেছে। ঝড়ে কোন কাঠের টুকরোর সাথে ভেসে ভেসে ইগুয়ানা ও কচ্ছপগুলো গালাপাগস দ্বীপে এসে আশরীর বদলে গেছে। খাদ্যের প্রয়োজনে, টিকে থাকবার প্রচেষ্টায় এক ফিঞ্চ পাখি তেরটি (পরের একটিসহ চৌদ্দটি) প্রজাতিতে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। ডারউইন এই রহস্যের সূত্র ধরতে পেরেছেন। কোনরকম অলৌকিক প্রভাব ছাড়া শুধুমাত্র বেঁচে থাকবার প্রয়োজন ও পরিবেশের উপযোগিতা যে এই পরিবর্তনের কারণ তা ডারউইন বুঝতে পেরেছিলেন। অন্যান্য আরও নানাপ্রকারের প্রাণীর কাছাকাছি প্রজাতির মধ্যে এরকম অদ্ভুদ পার্থক্য দেখে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রাণী হিসেবে মানুষও এই বিকাশপ্রক্রিয়ার বাইরে নয়।

 

পাঁচ বৎসর ধরে সংগৃহীত উপাত্ত দিয়ে ডারউইন আসলে নতুন কোন মতবাদ প্রকাশ করেননি। তার পূর্বে লামার্ক, দিদেরো প্রমুখ ক্রমবিকাশের ধারণাকে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু যথোপযুক্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে তাদের মতবাদে বেশ কিছু ত্রুটি ছিল। ডারউইনের সংগৃহীত নমুনাগুলোর বিশ্লেষণ তাদের পক্ষেই গেছে। ডারউইনের সংগ্রহ করা প্রাণী ও লতাপাতার সম্ভার বাইবেলের ধারণার স্বপক্ষে একটি কথাও বলে নি।

 

ধর্মবিরোধী হয়ে যাবে বলে ডারউইন তার বিশ্লেষণকে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চান নি। শহর থেকে দূরে গ্রামের শান্ত পরিবেশে নিজের মতবাদকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যাচ্ছিলেন। প্রত্যেকবার তিনি ধর্মের মতের বিরুদ্ধে নতুন নতুন প্রমাণ খুঁজে পান। গবেষণা নিয়ে ২০ বৎসর ধরে কয়েকজন ঘনিষ্ঠবন্ধুসহ আলোচনার পর ডারউইন তার বিখ্যাত মতবাদ ১৮৫৮ সালের ১ জুলাই তারিখে প্রকাশ্যে উপস্থাপন করলেন। পরের বৎসর ১৮৫৯ সালের ২৪ নভেম্বর তার বিখ্যাত বই Origin of Species প্রকাশের সাথে সাথে সাড়া পরে যায়। এতকাল ধরে কঠোরভাবে বিশ্বাস করা বেশ কিছু ধর্মীয় ধারণার পতন ঘটে। যেসব ধর্মীয় ধারণা ডারউইন তত্ত্বের মাধ্যমে বাতিল হয়ে যায় সেগুলো হল

  1. পৃথিবী সৃষ্টির সময়কাল
  2. পৃথিবীর বয়স
  3. পৃথিবী সৃষ্টির উপাদান
  4. প্রাণীর সৃষ্টির কারণ
  5. প্রাণীর বিকাশের কারণ
  6. প্রাণীর বিলুপ্তির ধারণা
  7. নুহ নবীর মহাপ্লাবনবাদ
  8. মানুষের সৃষ্টিতত্ত্ব ইত্যাদি।

 

উপরে বর্ণিত প্রত্যেকটি বিষয়ে ডারউইনের মতবাদ ধর্মের সম্পূর্ণ বিরোধীতা করে। ডারউইন নিজে ধর্মবিরোধী হতে চাননি। ধর্মের সমালোচনা করা তার উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি শুধু তার সংগৃহীত হাজার হাজার নমুনার পারস্পরিক মিল-অমিলের কার্যকারণ, সৃষ্টিরহস্য ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন। তিনি যৌক্তিক বিচার পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক পরিবর্তনের একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা দাঁড় করিয়েছেন। তার এই পর্যবেক্ষণজাত সিদ্ধান্ত এত অনিবার্য ছিল যে ধর্মের গায়ে আঘাত না লেগে উপায় ছিল না। ডারউইনের সংগৃহীত নমুনাগুলি সরাসরি ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ করছিল। তিনি বিভিন্ন অজুহাতে তার মতবাদ প্রকাশ না করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধর্মকে আর রক্ষা করা যায় নি।

 

Origin of Species প্রকাশের পর ধর্মবাদীরা বিরাট শোরগোল শুরু করে দিয়েছিলেন। ডারউইন তাতেও অংশগ্রহণ করেননি। তার পক্ষ থেকে বন্ধুরা ধর্মবাদীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি সভায় বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছিল মাত্র। ধর্মবিদরা বিভিন্নভাবে ডারউইনের মতবাদ ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। তাকে ব্যক্তিগতভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে, হুমকি দিয়ে প্রচারিত মতবাদ তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।

 

বিনয়ী ভদ্র, মার্জিত স্বভাবের ডারউইন কাউকে আঘাত দিতে চাইতেন না। ধর্মবাদীদের দাবীমতো নিজমতকে ভুল স্বীকার করতেও হয়তো তার আপত্তি থাকতো না। কিন্তু নিজের প্রতিষ্ঠিত মতবাদের শক্তিকে উপক্ষা করার মত কোন বৈজ্ঞানিক স্বাক্ষ্যপ্রমাণ তিনি সংগ্রহ করতে পারেননি। বরং দিন গড়ানোর সাথে বিজ্ঞান যত সমৃদ্ধ হয়েছে, মানুষ আরও নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করেছে, ডারউইনের মতবাদ তত বেশি শক্ত ভিত্তি খুঁজে পেয়েছে। ধর্মের আস্ফালনকে উপেক্ষা করে ডারউইনের ‘প্রাণী সৃষ্টি ও টিকে থাকার মতবাদ’ তত বেশি প্রসারিত হয়েছে।

ডারউইন দিবস ২০০৯